E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

তবে কি রাজনৈতিক শক্তির মদদেই নুসরাতকে পুড়িয়ে মারে দূর্বৃত্তরা!

২০১৯ এপ্রিল ২২ ১৫:১৪:২৭
তবে কি রাজনৈতিক শক্তির মদদেই নুসরাতকে পুড়িয়ে মারে দূর্বৃত্তরা!

অমল তালুকদার


আমি সরকারি দল করি। আমার আর টিকিটিও ছুঁতে পারবেনা প্রসাশন! এমন মনস্তাত্তিক বোধের কারনেই বোধকরি নুসরাত আজ চিরবসন্তের দেশে। ঋতুরাজ বসন্তকে মহালিঙ্গন করে স্বজন-সমাবেশ ছেড়ে নুসরাত আজ চিরনির্বাসনে । সময় এফোঁড়-ওফোঁড় করে বসন্ত পেরিয়ে এখন গ্রীষ্ম ভর করেছে প্রকৃতিতে। সকলে বলছে হয়তো রুনি-তনুদের মতো বিস্মৃতির অতল গহবরে হারিয়ে যাবে নুসরাত রাফিও! কীভাবে অস্বীকার করি! দু'যুগের সাংবাদিকতার অভিজ্ঞতা তো তা-ই বলছে।

কতো খুন কতো অপহরণ। অবৈধ অর্থ, দলিয় ক্ষমতা, প্রভাব, পেশিশক্তির দাপটে কুপোকাত হয়েছে।অালোর মুখ দেখেনি কতশত খুন-খাড়াপির মামলা। বড় বিচিত্র এইদেশ। এখানে আমার সন্তানের জিবন নিরাপদ নয়। আমি ইচ্ছে করলেই বদলাতে পারবনা সমাজটাকে। নীতিনৈতিকতা বিসর্জন দিয়ে বেশ আছি আমরা (!) যৌনলালসা এইদেশটাকে আজ কোথায় নিয়েগেছে! ধর্মিয় উপসনালয়ের ধর্ম জাযক, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কারিগড়, অফিসের কর্তা, রাজনৈতিক দলের কথিত বড়ভাই। এদের দ্বারাই মুলত ধর্ষিত হচ্ছে মানবতা(!) নূসরাত ইচ্ছে করলেই লম্পট সিরাজউদ-দৌলাদের পাঁতা ফাঁদে পাঁ দেয়ার মতো মেয়ে ছিলো না।যে কারনে জীবন দিতে হলো তাঁকে।

এদেশ এখন যোগ্য নেতৃত্ব দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। আর কেউ আশার আলো না দেখলেও আমি দেখছি। বঙ্গকন্যা চাইছেন না এই লাম্পট্য আর ডালপালা ছড়াক। এখনই দরকার লাগাম টানা। এইদেশে শেখ হাসিনার মতো প্রধানমন্ত্রী যখন বলেন নূসরাত রাফির খুনিদের ছাড় নয়! তখন জাতি অন্তত বিশ্বাসে ভর করতেই পারে। লজ্জা হয় ওই সকল কুলাঙ্গারদের জন্য। যারা এইদেশের রাখাল রাজা,হাজার বছরের শ্রষ্ঠ বাঙ্গালী সোনার বাঙলার স্বপ্নদ্রষ্টা, স্বাধীন এই বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতেগড়া সংগঠন আওয়ামীলীগের সদস্যপদ লাভ করে নিজেকে ঘৃন্যকর্মে জড়িয়ে নির্লজ্জ বেহায়ার মতো ট্রামকার্ড ছোড়ার প্রতিযোগিতায় নেমে পরে।

রাজনীতির তমকা গায়ে জড়ানোর পর একটিবারও কি ওরা মনে করে না বঙ্গবন্ধুর ত্যাগ আর আদর্শের কথা?
আমার প্রশ্ন এইসব কুলাঙ্গারদের আ.লীগের রাজনীতিতে সূযোগ করে দেয় কারা? কী-ভাবনা এদের? অপকর্ম করে পার পেয়ে যাবে তারা? আ.লীগের নেতার ছত্রছায়ায় গজিঁয়ে ওঠা এমনসব দুর্বৃত্তদের আমরা এখনই ছাটাই দেখতে চাই।মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে দেশবাসীর এতটুকুই চাওয়া; দু-চারটা নষ্টদের কারনে বিশাল এই দলকে রক্ষা করুন।কারন জাতি আপনার কথা ও কাজে চিরদিন-ই মিল খুঁজে পেয়েছে। হঠাৎ নেতা ঘুরছে আশেপাশে। চৌদ্দগোষ্ঠীতে কেউ কখনও আ.লীগ করেনি; অথচ গায়ে তার মুজিবকোর্ট!

নূসরাত রাফির আত্মা তখন-ই প্রকৃত শান্তি পাবে; যখন লম্পট-খুনিরা সর্ব্বোচ্চ দন্ডে দন্ডিত হবে। এদেশ এইমাটি কলঙ্কমুক্ত হোক আরও একবার। জাতি দেখুক আ.লীগের সামিয়ানার ছায়াতলে লম্পটরদের ঠাঁই নাই।

লেখক : গণমাধ্যম কর্মী ।

পাঠকের মতামত:

২৫ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test