E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

সিরাজদৌল্লাহ আ. লীগে, মনে কি পড়ে শওকতকে

২০১৯ অক্টোবর ৩১ ১৪:৪৫:৫৯
সিরাজদৌল্লাহ আ. লীগে, মনে কি পড়ে শওকতকে

মানিক বৈরাগী


আজ সন্ধ্যায় বাসা থেকে বের হয়ে প্রতিদিন যেখানে বসে একটু আড্ডা দি চা খাই,সেখানে কিছু পঙ্গপাল এসে হাজির। এরা আওয়ামী নামধারী বিভিন্ন পকেট নেতাদের দালাল। তারা কাছে এসে সালাম বিনিময় করে ক'দিন পূর্বের রম্য লেখাটির ব্যাপারে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে আলাপ করতে চাইলো।

বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কক্সবাজার জেলা সংসদের সর্বশেষ সহ সভাপতি ছিলেন। আমাকে অ বাবু বলে ডাক দিতেন। পথে ঘাটে একা দেখা হলে আমার সাথে বিভিন্ন বিষয়ে প্রচন্ড ঝগড়া করতেন। তেমন পছন্দও করতেন না, রাজনৈতিক সিলসিলার কারণে। তবে লোক সম্মুখে ঠিকই চাচার মতো সম্মান করতেন।
দুর্দান্ত সংগঠক,বুদ্ধিদীপ্ত আলোচক।

বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধু, শেখ হাসিনা নিয়ে অসাধারণ স্বপ্ন মুখর তরুণ। নানা কারণে সে মানসিক ভারসাম্য হীন হয়ে পড়ে। এই মানসিক ভারসাম্যহীন অবস্থায় সেদিন আওয়ামীলীগে যোগদানের বাসনায় আসা জামাতের ক্যাড়ার সিরাজদৌল্লাহ ধুরং বাজারে প্রকাশ্যে নির্মম নির্যাতন করে।

কেউ তো সিরাজদৌল্লাহর ভয়ে শওকত উদ্ধার করতে যায়নি।কেউ তো শওকত কে হামলার প্রতিবাদে সেদিন টুঁশব্দ করেনি।কেউ তো এগিয়ে এসে তার পক্ষ হয়ে একটি মামলা করেনি। আওয়ামীলীগ তো করেইনি অন্য কেউ তো করেনি।

আমার প্রশ্ন, এই শওকত কুতবী কে এর পূর্বে বর্তমান যুবলীগ নেতা পূর্বে ছাত্রদল ও যুবদল নেতা আবু জাফর সিদ্দিকী কতৃক লাঞ্চিত হয়েছিলো, তখন তো কেউ বলেনি এই শওকত পাগলা কে কেন অনর্থক লাঞ্চিত করছো। শওকত কুতুবী অনাদরে অবহেলায় বিনাচিকিৎসায় মরে যায়। তার পাগলামি তে অতিষ্ঠ হয়ে আমাদের উকিল নেতারা খুব সহজেই থানায় ফোন করে ভালো হওয়ার জন্য জেলখানায় পাঠায়।

আবার ছাত্রলীগের সম্মেলন এলে কাউন্সিলর যেহেতু তার কাছে তো একটা ভোট আছে, সেই ভোট কেন বাদ যাবে, নিজ গ্রুপের নেতাদের ভোটে জেতানোর জন্য জেলখানা থেকে আবার মুক্ত করাই।
কিন্তু আমরা কেউ এই শওকত কুতুবীর জন্য স্থায়ী চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের জন্য একটি বারও চিন্তা করিনি। এ এক কঠিন মাদারচুদ রাজনীতি শওকত। তুই মরে গিয়ে নিজেই মুক্তি নিলি এবং মোনাফেকির রাজনীতি কেও মুক্তি দিয়ে দিলি। দুঃখের বিষয় হলো আমরা মুক্তি পাইনি। যারা শেখ হাসিনা গ্রুপ করে তারা।

এই আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে জীবন্ত খন্দকার মুস্তাকদের এখন অভয়ারণ্য। কিন্তু তোর হয়ে আমাদের এখনো লড়াই করতে হচ্ছে। আজ বেশ কয়েক মাদারচুদের দেখা হলো নাম নাইবা বল্লাম, তারা আমাকে সিরাজদৌল্লাহর ব্যাপারে ওকালতি করতে এলো,তারা এও জানালো বিগত ইউপি নির্বাচন থেকেই নাকি তারা আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। নমিনেশন ও চেয়েছিলো নৌকার।

আমি বল্লাম নমিনিশন না পেয়ে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহ প্রার্থী বলে সাংবাদিক, পুলিশ প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন কে বিভ্রান্ত করার কাজে বহু টাকা খরচ করে ফেলেছে তাই না।

একজন বল্লো, "ইন এক্কা বাদ দঅন, কিছু তো ন পাইলান" । এমনিতেই ক'দিন ধরে ব্যাথা প্রেসার বেড়েছে, তার উপর এই যন্ত্রণা। মেজাজ খুব ক্ষেপা হয়ে বিষিয়ে উঠলো। অসুস্থ বলে ধীরে পাশ কেটে বাসায় চলে আসার মুহুর্তে রিয়াদ ফোন করে আরও এক ঘন্টা দেরি করালো সোহাগ কাউন্টারে।
এ জাতিয় আমলীকের জন্য হাটাচলাও দায় হয়ে পড়েছে।

প্রিয় শওকত তোর বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করছি।ভালো করেছিস জীবন্ত খন্দকারের কুশ্রী অবস্থা দেখার আগেই মরে গেলি, শুধু আমাকে নিয়ে গেলিনা।

নোট -প্রিয় পাঠক পাঠিকা আমি লেখায় কয়েকটি অশ্রাব্য শব্দ ব্যবহার করেছি, তার জন্যে ক্ষমা প্রার্থী।


লেখক : নব্বুইয়ের নির্যাতিত ছাত্রনেতা ও কবি, কক্সবাজার।

পাঠকের মতামত:

২০ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test