E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শিরোনাম:

গর্জে ওঠো বাংলাদেশ

২০২০ অক্টোবর ১৩ ১৮:১৮:১৮
গর্জে ওঠো বাংলাদেশ

রণেশ মৈত্র


না, এ বাংলাদেশ চাই নি। এমন বাংলাদেশের জন্য মুক্তিযুদ্ধ করি নি। এমন একটি দুর্বৃত্তায়িত বাংলাদেশ বাংলাদেশ গঠনের জন্য জীবনভয় লড়াই সংগ্রাম করি নি। বছরের পর কারা নির্য্যাতন ভোগ করি নি। এমন একটি দেশের জন্য আজীবন দারিদ্র্য (আর্থিক) কে জেনেশুনে বরণ করে নিই নি। লোভ-লালসার শিকার কদাপি হই নি বা তার বিরুদ্ধে জীবনভর লড়াই করিনি।

আজ সংবাদপত্রের পৃষ্ঠাগুলির দিকে, টেলিভিশন চ্যানেলগুলির দিকে তাকানো যায় না, ধর্ষণের খবরে পরিপূর্ণ থাকার জন্যে। সর্বত্র, সকল পৃষ্ঠায়, সকল পত্রিকায়। সকল চ্যানেলে শুধুই নারী নির্য্যাতন, নারী ধর্ষণ, নারী অপহরণের সচিত্র খবর। তা হলে যে বাংলাদেশ আমরা দেখছি, প্রতি মুহুর্তে দেখতে বাধ্য হচ্ছি-সে বাংলাদেশটা তাহলে কার? নারীর নয়, মানুষের নয়, দুর্বৃত্তের নয়, শাসকদলের নেতাদের নিরাপদ আশ্রয়ে থেকে, প্রায় সকল ক্ষেত্রেই, তাদেরই নানা অঙ্গদলে লালিত সূর্যসন্তান বলে অবিহিত ভয়ংকর ক্যাডাররাই, আজ নির্বিবাদে নারী জীবনকে, আমাদের মা, বোন, মেয়ে, নাতনি এবং স্ত্রীকেও ঘর থেকে বের করে নিয়ে স্বামীকে বেঁধে রেখে তাঁরা সামনেই গণধর্ষণে লিপ্ত হচ্ছে-এই দৃশ্য দেখতে, এমন খবর পড়তে, শুনতে বা জানতে হবে স্বাধীন বাংলাদেশে-এমনটা মুহুর্তের জন্যেও তো ভাবি নি-আজও ভাবতে চাই না। কোন বিবেকবান মানুষই তা চান না।

১৯৭১ কে আমাদের মনে আছে?

ঐ নয়টি মাস ধরে অবরুদ্ধ বাংলাদেশে কী তা-বই না পাকিস্তানী সেনারা ঘরে ঘরে চালিয়েছিল। তাদের সৃষ্ট রাজাকার শক্তি কমিটির লোকদের দিয়ে বাঙালী মেয়েদেরকে কি দিনে কি রাতে নিজ নিজ বাড়ী থেকে প্রকাশ্যে ধরে নিয়ে পাক-সেনাদেরকে তাদের আগ্রহী যৌনক্ষুধাকে নিবৃত্ত করতে। লাখো বাঙালি তরুণী-কি বিবাহিত-কি অবিবাহিত তরুণীদেরকে ধর্ষণ করে দেশের ঐ শত্রুরা পৈশাচিক উল্লাসে বলে উঠতো, বাঙালি মুসলমানরা খাঁটি মুসলমান নয়-খাঁটি মুসলমান পয়দা করতেই বাঙালীকে জেনা করছে ঐ মুসলমান নামক নরপশুরা। সে কারণেই তো, অপরাপর দাবীর মধ্যে নারী জীবনের নিরাপত্তা বিধানকে নিশ্চিত করতেই মুক্তিযোদ্ধারা নয়মস ধরে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করে দেশকে মুক্ত করেছে-স্বাধীন করেছে।

পাকিস্তানীরা বলেছিলো, ওরা ঐভাবে “জেনা”র (ধর্ষণের) মাধ্যমে বাঙালি খাঁটি মুসলমানের জন্ম দেবে কারণ ‘ইসলাম রক্ষার জন্যই তারা বাঙালির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে।

অপরদিকে বাঙালি লাখো তরুণ সেদিন জীবন বাজি রেখে অস্ত্র হাতে পাকিস্তানী তথাকথিত মুসলমানদের বিরুদ্ধে লড়াই করে নারী জীবনের নিরাপত্তা বিধান, নারী-পুরুষের সম অধিকার প্রতিষ্ঠা, আইনের শাসন কায়েম, অস্ত্রের ও কালোটাকার রাজনীতির অবসান, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, সর্বপ্রকার শোষণ ও দুর্নীতিমুক্ত দেশ গঠনের সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়েই পরিচালিত হয়েছিল মহান মুক্তিযুদ্ধ যার অন্যতম প্রত্যয় ছিল পাকিস্তানের সাম্প্রদায়িক দ্বিজাতিতত্ত্বের বিষকে বিতাড়ন করে অসাম্প্রদায়িক ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র ও সমাজ প্রতিষ্ঠা।

আমরা একবিংশ শতাব্দীতে প্রবেশ করেছি আজ থেকে দুই দশক আগে। আমরা মহান মুক্তিযুদ্ধের সুবর্ণ জয়ন্তী উদ্যাপন করে চলছি আসন্ন ২০১১ সালে। স্বাধীনতা অর্জনের পর দীর্ঘ পঞ্চাশ বছর অতিক্রমের পথে বাংলাদেশ। এখন তো আমরা শুনবো দেশের নানা অঙ্গনে সাফল্যের ইতিকথা। শুনবো নারীর স্বাধীনতা স্বীকৃত, তার মর্য্যাদা সুনিশ্চিত, সাম্প্রদায়িকতা বিদূরিত, শিক্ষার মান উন্নত, স্বাস্থ্য বিভাগ সদা প্রস্তুত সৎভাবে যাবতীয় রোগের বিনামূল্যে, স্বল্পমূল্যে মানসম্মত চিকিৎসা সকলের জন্য নিশ্চিত করতে, দুর্নীতিমুক্ত সমাজ নির্মিত দুর্নীতিবাজদের কঠোর শাস্তি সুনিশ্চত, বিদেশে টাকা পাচার বন্ধ, পাচারকৃত টাকা দেশে ফিরিয়ে আনা এবং পাচারকারীদের কঠোরতম শাস্তি প্রদত্ত, নারী ধর্ষণ-নারী নির্য্যাতন, নারী অপহরণ অতীতের বিষয়বস্তুতে পরিণত-দারিদ্র্য ও বেকারত্ব সম্পূর্ণ দূরীভূ...... এমন অসংখ্য সবলতার ইতিবৃত্ত।

কিন্তু দেখছি কি? শুনচিই বা কি?

এখনও চলছে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী মুক্তিবর্ষ-যার ১৬ মার্চ, ২০২১ এগিয়ে সমাপ্তি টানা হবে। নীরবে করোনার থানার কারণে।

প্রত্যাশা কি এই ছিল না যে আসন্ন মহান মুক্তিযুদ্ধের সুবর্ণ জয়ন্তী যথাযথভাবে উদযাপনের জন্য নানা স্থানে উদযাপন কমিটি এবং অসংখ্য সাব কমিটি গঠন করছি। বাঙালি ও মুক্তিযুদ্ধে এবং বাঙালির তাবৎ সংগ্রামের ইতিহাস নিয়ে বই-পুস্তত, কবিতা, গান, নাচ, নাটক প্রভৃতি অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে এবং জাতিতাতে স্বত:স্ফূর্তভাবে সাড়া দিচ্ছে প্রভৃতি?

কিন্তু কার্য্যত: বা বাস্তবে আমরা কি দেখছি? মানুষ বিজয় ভাবছে না ভাবছে যেন বাঙালি জাতি আজ পরাজিত, পরাজিত দুর্বৃতদের কাছে, পরাজিত নারীর সম্ভ্রম লুটেরাদের এবং তাদের সরকারী দলভূক্ত প্রভাবশালী গডফাদারদের কাছে, পরাজিত দুর্নীতিবাজদের কাছে, পরাজিত লুটেরা ধনীদের কাছে, পরাজিত ব্যাংক লুটেরাদের কাছে, পরাজিত বিদেশে টাকা পাচারকারীদের কাছে, পরাজিত দারিদ্র্যের কাছে, পরাজিত বেকারত্বের কাছে। বাঙালি আজ নিরানন্দ নিস্পৃহ জীবন কাটাচ্ছে। তারা নীরব, নিথর-অনুভূতিহীন পাথরের মত।

হ্যাঁ, এক ধরণের উন্নয়নও হচ্ছে শহরে-নগরে বিশাল বিশাল বহুতল বিশিষ্ট দালান-কোঠা নির্মিত হচ্ছে, নির্মিত হচ্ছে আলো-ঝলমল অসংখ্য বিপণী-বিতানের সুসজ্জিত অসংখ্য আবাসিক ফ্ল্যাট প্রভৃতির। অস্বীকার্য্য নয় যে প্রাইভেট কারের সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে, সরকারি কর্তাদের বেতন ও অন্যান্য সুবিধা-ভাতা প্রভৃতি রাষ্ট্রের সামর্থের বাইরে বাড়ানো হচ্ছে, ব্যাংকের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে, স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ও ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকার সংখ্যা বাড়ছে কিন্তু শিক্ষা হারাচ্ছে তার মান।

অতীতের তুলনায় দেশে হাসপাতালের ও বেডের সংখ্যা বেড়েছে, ডাক্তার-নার্স-স্বাস্থ্যকর্মীদের সংখ্যাও বেড়েছে। ততোধিক বেড়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সহ সকল অধিদফতর ও মন্ত্রণালয়ে কর্মকর্তাদের সংখ্যাও। দুর্নীতিও বাড়ছে পাল্লা দিয়ে। কিন্তু জবাবদিহিতা নেই। উল্টো আইন করা হয়েছে সরকারের পূর্বানুমতি ছাড়া কোন সরকারী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের বা গ্রহণ করা যাবে না। কিন্তু এমন কোন ইমিউনিটি আইন সৎ রাজনীতিকদের জন্য, কবি-সাহিত্যিক-সাংস্কৃতিক অঙ্গনের কর্মীদের জন্য। অথচ ঐ আইনের দ্বারা কার্য্যত: সংবিধানে বর্ণিত “আইনের চোখে বাংলাদেশের সকল নাগরিকই সমান” বিধানটির লংঘন করে সরকারি কর্মচারীদের আইনী রক্ষাকবচের আওতায় আনা হয়েছে।

হাসপাতালের সংখ্যা ও সেগুলিতে আসন সংখ্যা অতীতের তুলনায় বাড়লেও তা নিতান্ত অপ্রতুল ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার তুলনায়। কিন্তু হাসপাতাল, বেড, ডাক্তার, নার্স, মেডিক্যাল কলেজ প্রভৃতির সংখ্যা ও মান বৃদ্ধির কোন চিন্তা সরকারি মহলের আছে বলে প্রমাণ পাওয়া যায় না। ফলে, নাগরিকদের চিকিৎসার সুযোগ শুধুমাত্র সীমিতই থেকে যাচ্ছে-তা নয়। তা প্রতিদিনই বাড়ছে। “সিট নেই”-জবাব দেশের সকল হাসপাতালেই।

এ তালিকা আর বাড়াবো না। শুরু করেছেন সমুদ্রের উত্তাল ঢেউ বাংলাদেশের সর্বত্র আঘাত করছে। ইদানীংকার সিলেট এম.সি কলেজে গৃহবধূ ছাত্র লীগ ক্যাডারদের দ্বারা ধর্ষণের ঘটনায় সারা দেশে প্রতিবাদের ঢেউ উঠেছিল। তাকে আড়াল করে দিয়েছে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে গৃহবধূকে উলঙ্গ করে যুবলীগ ক্যাডারদের দ্বারা গণ ধর্ষণের কাহিনী। এই ক্যাডারের মাদক, বে-আইনী অস্ত্র, ছিনতাই-ধর্ষণ-অপহরণের সাথে দীর্ঘকাল ধরে জড়িত কিন্তু এতদিন কিভাবে যেন তা গোপনই থেকেছে। প্রকাশ বিলম্বে হলেও সারা দেশের সকল স্তরের মানুষের বিবেককে তা ভয়াবহভাবে নাড়া দিয়েছে।

দৈনিক ‘সংবাদ’ লিখেছে তাদের ৬ অক্টোবরের সংখ্যায়, “নোয়াখালির বেগমগঞ্জে গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে নির্য্যাতনকারীদের সবাই দেলোয়ার বাহিনীর প্রধান দেলোয়ার হোসেনের সহযোগী। তার পরিচালিত কিশোর গ্যাং গ্রুপের সদস্য। তারা নিজেরই জানায় তারা যুবলীগের সদস্য যেমন সিলেট মুরাবী চাঁদ কলেজ হোষ্টেলের গৃহবধূ নির্য্যাতনকারীরা স্বীকৃত ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী। যৌন মিলনের অনৈতিক প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় পরিকল্পিতভাবে গৃহবধূর বেগমগঞ্জের একলাসপুর ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের খালপাড় এলাকার বাসায় ঢুকে বিবস্ত্র ও নির্য্যাতন করা হয়। শুধু নির্য্যাতন করেই শেষ নয়। মহিলাটিকে বিবস্ত্র করে তার নগ্ন দেহের ভিত্তিও করে তা ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে টাকাও দাবী করে ধর্ষকরা। টাকা না দেওয়াতে ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলিতে ছড়িয়ে দেওয়া হয়।

ঘটনাটি ঘটে ২ সেপ্টেম্বর রাতে কিন্তু তত দিন পর থানায় এ নিয়ে মামলা দায়ের করা হয়। এর পর ৪ আসামীকে পুলিশ গ্রেফতার করে। নোয়াখালির এম.পি. আলমগীর হোসেন জানান, ঘটনার এক মাস পর নির্য্যাতনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি পুলিশের নজরে আসে। এরপর পুলিশ ভিডিও দেখে অভিযানে নামে। এতে পুলিশ এজাহারভূক্ত দুই আসামীকে গ্রেফতার করে। র‌্যাব জানায়, মধ্যযুগীয় কায়দায় ঐ মহিলাকে নির্য্যাতনের ঘটনা গতকাল বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়লে দেশব্যাপী ব্যাপক আলোড়ন হয়।

ঘটনা জানতোই না পুলিশ?

নোয়াখালির বেগমগঞ্জের এখলাসপুরের প্রত্যন্ত অঞ্চলে সৌদি প্রবাসী স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে বিবস্ত্র করে ধর্ষণ চেষ্টা ও ভয়ংকর নির্য্যাতনের ঘটনা ২ সেপ্টেম্বর রাতে। ভয়ংকর ও পৈশাচিকতার ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে ঘটনার একমাস তিনদিন পর। সব মিলিয়ে ততদিন আগের এ পৈশাচিক ঘটনা পুলিশ জানলেও ছিল চুপচাপ। গত রোববার ৪ অক্টোবর ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি আপলোড করে জেলা পুলিশ সুপারকে পাঠালেও পুলিশ রহস্যজনক কারণে নীরব থাকে। অথচ ভিডিওটি আপলোড করে এসপিকে পাঠায় গোয়েন্দা বিভাগ। এমন কি, নির্য্যাতীত মহিলার বাড়ীতেও যায়নি পুলিশ। প্রশ্ন উঠেছে, পুলিশের কাজটি কি? এমন পুলিশ রাখার দরকারই বা কি? অথচ ঘটনাস্থল জেলা সদর থেকে মাত্র তিন কিলোমিটার দূরে। এদিকে বেগমগঞ্জের গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে নির্য্যাতন ও ধর্ষণ চেষ্টার কেন ধামাচাপা ছিল তা খুঁজে বের করতে ৩ সদস্যের এক তদন্ত কমিটি গঠন করেছে পুলিশ সদর দফতর।

স্থানীয় সূত্র জানায়, স্থানীয় সংসদ সদস্যের ডান হাত হিসেবে পরিচিত কিশোর গ্যাং গ্রুপের নেতা দেলোয়ার। হত্যা, ধর্ষণ, মাদক ব্যবসায় চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী থেকে এমন কোন অপরাধ নেই যার সাথে দেলোয়ার বাহিনী সম্পৃক্ত নয়। ইতিমধ্যে তিনটি হত্যা মামলার আগামী দেলোয়ার। মাদকের রয়েছে একাধিক মামলা। দেলোয়ার বাহিনী বেগমগঞ্জের মূর্তিমান আতংক। থানার এএসআই-এসআই’দের সাথে দেলোয়ারের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। স্থানীয় এম.পি’র কারণে ওসি দেলোয়ার বাহিনীর বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিতে পারতো না।

কথা আর না বাড়ালেও, দিব্যি ও পরের কথাগুলি থেকে বুঝা গেল কেন পুলিশ নিষ্ক্রিয় থাকে-কেনই বা তারা ধর্ষক সন্ত্রাসী দেলোয়ার বাহিনীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় না। ভয় এমপি সাহেবদের, ভয় সরকার দলীয় নানাস্তরের নেতাদের। তারাই গডফাদার তাদের বেপরোয়া প্রশ্রয়েই ধর্ষণ অপহরণ, নারীকে বিবস্ত্র করার মত ঘটনাগুলি একের পর ঘটে চলেছে।

শুধু তাই না রাজশাহী এক গীর্জায় ফাদারও কোন না খুঁটির জোরে এক তরুণীকে গীর্জায় আটকে রেখে পরপর তিন দিন ধরে ধর্ষণ করতে সাহসী হয়।

আবার কুষ্টিয়ায় এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে নিজ কক্ষে ডেকে এনে ধর্ষণ করেছে মাদ্রাসার সুপার মাওলানা আবদুল কাদের।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেশে আইনের শাসন আছেন। তাই ধর্ষণের পর আসামীরা ধরা পড়ছে। আবার বলেন, পৃথিবীতে এমন কোন দেশ নাই-যেখানে ধর্ষণ নাই।

সতরাং এই পাসবিকতা জনগণকেই প্রতিরোধ করতে হবে। কঠিন হলেও ঘরের মেয়েদেরকে বাঁচাতে প্রতিরোধের বিকল্প নেই। তার জন্যে প্রয়োজন এক গণ-অভূত্থান।
গর্জে ওঠো বাংলাদেশ।

লেখক : সভাপতি ম-লীর সদস্য, ঐক্য ন্যাপ।

পাঠকের মতামত:

২৬ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test