E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

পর্ব-২

প্রজন্মের কাছে এক মুক্তিযোদ্ধার খোলা চিঠি

২০২২ জানুয়ারি ১৮ ১৬:২৭:৪৫
প্রজন্মের কাছে এক মুক্তিযোদ্ধার খোলা চিঠি

প্রিয় প্রজন্ম,
তোমরা আমার ভালবাসা নিও। তোমরা লেখাপড়া কর, মানুষের মতো মানুষ হও। তোমরা সৎ ও দেশ প্রেমিক হও। মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন বাঙালি জাতির বিভিন্ন গৌরবময় অর্জনের মধ্যে অন্যতম। তোমরা সুযোগ সুবিধা মত মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস পড়বে। তাহলে বাঙালি জাতির বীরত্বের ও ত্যাগ ইতিহাস জানতে পারবে। আমরা ব্রিটিশদের শাসন শোষনের হাত থেকে মুক্ত হয়েছিলাম ১৯৪৭ সালে। ১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্ট পাকিস্তান রাষ্ট্রের সৃষ্টি হয়েছিল। এই রাষ্ট্রের ২টি অংশ ছিল। একটি পূর্ব পাকিস্তান ও অপরটি পশ্চিম পাকিস্তান। এই দুই অংশের শাসক ছিল পশ্চিম পাকিস্তানি অবাঙালি। পাকিস্তানি শাসক বাঙালিদের শোষন করতো। পশ্চিম পাকিস্তানী শাসক শাসনের নামে পূর্ব পাকিস্তানি ও বাঙালিদের শোষণ, নির্যাতন ও নিপিড়ন করতো। পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের অবস্থানগত দূরত্ব ছিল ১০০০ কিলোমিটারের অধিক। তারা আমাদের ন্যায্য অধিকার দিত না। চাকরি ও অন্যান্য সকল ক্ষেত্রে আমাদের কে বঞ্চিত করত। পূর্ব-পাকিস্তানের সম্পদ নিয়ে গিয়ে পশ্চিম পাকিস্তানে কলকারখানা করতো।

১৯৫২ সালে আমাদের মাতৃভাষা বাংলার পরিবর্তে উর্দূকে রাষ্ট্র ভাষা করার উদ্যোগ ষড়যন্ত্র করে ছিল। কিন্তু বাঙালিদের আন্দোলনের কারনে পারে নাই। বাংলা ভাষাকে রক্ষার জন্য রফিক, শফিক, বরকত ও জব্বার সহ অনেকে শহীদ হয়েছেন। শহীদ মিনার বাঙালিদের ভাষা আন্দোলনের স্মারক। বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামের পর পাকিস্তানি সামরিক সরকার ইয়াহিয়া খান ১৯৭০ সালের ৭ ডিসেম্বর পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচন দিতে বাধ্য হয়। এই নির্বাচনে পূর্ব পাকিস্তানের ১৬২ টি আসনের ১৬০টিতে গণ ভোটে বিজয়ী হয় তৎকালীন বাঙালিদের অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ। আনুপাতিক হারে ৭টি সংরক্ষিত মহিলা আসনের অধিকারী হয় আওয়ামী লীগ। তখন জাতীয় পরিষদের মোট সদস্য সংখ্যা ছিল ৩১৩টি। আওয়ামী লীগ মোট ১৬৭টি জাতীয় পরিষদের আসনের অধিকারী হয়।পাকিস্তান জাতীয় পরিষদে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যা গরিষ্ঠতা লাভ করে। তখন দেশের সামরিক প্রেসিডেন্ট ছিলেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ইয়াহিয়া খান। বাঙালিদের বিজয়ে বিহারী শাসক সন্তুষ্ট ছিলেন না। তিনি বাঙালিদের হাতে ক্ষমতা দিতে নারাজ। ৩ জানু’৭১ বঙ্গবন্ধু নিজে শপথ করেন এবং নির্বাচিত এম,এন,এও,এম,পিএদের শপথ করান। পাকিস্তানের সেনাবাহিনী প্রধান প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয় খান ষড়যন্ত্র শুরু করলেন। সাধারণ নির্বাচনের ফলাফল বাতিলের পরিকল্পনা করলেন। বঙ্গবন্ধু ছিলেন অত্যন্ত জ্ঞানী ও দূর দৃষ্টি সম্পন্ন।

পাকিস্তানিরা বাঙালিদের হাতে ক্ষমতা দিবে না সেটা তিনি বুঝতে পেরেছিলেন। তবুও তিনি বিধিবদ্ধভাবে সব কাজ করে যাছিলেন। ২২ ফেব্রুয়ারী’৭১ পশ্চিম পাকিস্তানি জেনারেলদের এক বৈঠকে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান গোপন নির্দেশ দিলেন,“ত্রিশ লক্ষ বাঙালিকে হত্যা করো,তখন দেখবে বাকীরা আমাদের হাত চেটে খাবে”। আওয়ামী লীগ ও তাদের সমর্থকদের হত্যা করুণ। তাঁর ধারনা ছিল নির্যাতন করে লাখ দুয়েক বাঙালি হত্যা করলেই আন্দোলন থেমে যাবে’। কালক্ষেপন করে ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের জন্য ১৩ ফেব্রুয়ারী’৭১ ইয়াহিয়া মিথ্যা আশ্বাস দিলেন ৩ মার্চ’৭১ জাতীয় পরিষদের অধিবেশন হবে। ১৬ ফেব্রুয়ারী বঙ্গবন্ধুকে পার্লামেন্টারী নেতা নির্বাচন করা হয়। ১ মার্চ ইয়াহিয়া খান দুপুর ১২টায় জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া বেতার ভাষণে ৩ মার্চ আহুত জাতীয় পরিষদের অধিবেশন বে-আইনী ভাবে অনির্দিষ্ট কালের জন্য স্থগিত ঘোষণা করলেন। বেতার ভাষন শুনে বঙ্গবন্ধু অসহযোগ আন্দোলনের ঘোষণা দিলেন। সারা দেশের মানুষ বাঁশের লাঠি হাতে রাস্তায় নেমে এলেন। পাকিস্তানি পতাকা পোড়ানো শুরু হয়। বঙ্গবন্ধু ৩মার্চ কে জাতীয় শোক দিবস হিসেবে পালনের নির্দেশ দিলেন। ২মার্চ ঢাকায় এবং ৩-৫ সারাদেশ ব্যাপী হরতাল আহবান করলেন।

৩ মার্চ পল্টন ময়দানে ছাত্রলীগের জনসভায় জাতীয় সংগীত হিসেবে বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের- আমার সোনার বাংলা গানটি নির্বাচিত হলো। বঙ্গবন্ধুকে মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক ও জাতির পিতা ঘোষণা দেওয়া হল। বঙ্গবন্ধুর উপস্থিতিতে স্বাধীন বাংলাদেশের ইশতেহার পাঠ এবং কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গঠন করা হলো। বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উড়ানো হলো। প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের ষড়যন্ত্র জাতির পিতা বুঝতে পারলেন। ৬মার্চ’৭১ টেক্কা খানকে পূর্ব পাকিস্তানের সামরিক প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ করলেন। তীক্ষè দূর দর্শা সম্পন্ন জ্ঞানী জাতির পিতা পাকিস্তানিদের কুটকৌশল বুঝতে পারলেন তিনি ৭ মার্চ’৭১ ঐতিহাসিক ভাষণে জাতির পিতা বললেন- “এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম...। এই জন সভায় বিশ্বের সবচেয়ে বেশী জন সমাবেশ হয়েছিল। পাকিস্তানি সেনাবাহিনী পরিবেষ্টিত ছিল। সমাবেশের উপর দিয়ে বোমা নিয়ে হেলিক্যাপ্টার ঘুরছিল। সরাসরি স্বাধীনতা ঘোষণা করলে বঙ্গবন্ধু কে বিচ্ছিন্ন বাদী নেতা আখ্যায়িত করে বঙ্গবন্ধু সহ জন সমাবেশের ১০ লক্ষাধিক মানুষ কে হত্যা করার পরিকল্পনা ছিল। তাই বঙ্গবন্ধু সরাসরি স্বাধীনতা না করে পরোক্ষ স্বাধীনতা ঘোষণা করলেন। বাঙালিরা সবাই জাতি পিতা বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণা বুঝতে পারলেন। ১৫ মার্চ নতুন কুট কর্ম-কৌশল নিয়ে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান ঢাকায় আসেন।

১৬ মার্চ থেকে কাল ক্ষেপন ও ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের প্রস্তুতি মূলক কার্যাদি করার জন্য প্রহসন মূলক আলোচনা শুরু করেন। গোপনে গোপনে পশ্চিম পাকিস্তান থেকে সৈন্য ও গোলা বারুদ আনতে থাকেন। পাকিস্তানি সৈন্যদের মধ্যে সবচেয়ে নিষ্ঠুর ও অমানবীয় বিলুচিস্থানের জেনারেল টিক্কাখান ও অন্যদের দিয়ে বাঙালি নিধন যজ্ঞ চালানোর জন্য অপারেশন সার্চলাইট, পরিকল্পনা চুড়ান্ত করেন। ২৫ মার্চ বিকাল পৌঁনে ৬টায় আলোচনা শেষ না করে অপারেশন সার্চ লাইট নামক বাঙালি নিধনযজ্ঞ চালানোর নির্দেশ দিয়ে প্রেসিডেন্ট বিশেষ বিমান যোগে গোপনে পশ্চিম পাকিস্তানে চলে গেলেন। পাকিস্তানি বাহিনী বাঙালি সৈনিক, ইপিআর ও অন্যান্যদের নিরস্ত্র করে আটক ও হত্যা করতে থাকলো। অবস্থা বুঝে বাঙালি সৈনিক ও ইপিআর গণ অনেকে অস্ত্র নিয়ে পালিয়ে এলেন। ২৫ মার্চ’৭১ রাত সাড়ে ১১টায় টিক্কা খান মর্টাশেল, কামান ও অন্যান্য ভারী অস্ত্র নিয়ে অপারেশন সার্চ লাইট শুরু করে। তারা একযোগে পিলখানা ইপিআর ক্যাম্প, রাজারবাগ পুলিশ লাইন, জগন্নাথ হল, ইকবাল হলে আক্রমণ করে। ঢাকা সহ অন্যান্য শহরেও গণ হত্যা শুরু করে। নিরীহ, ঘুমন্ত বাঙালিদের ওপর নির্বিচারে গুলি চালায়। পাখির মত লোক হত্যা করে। বস্তি ও অন্যান্য স্থানে আগুন ধরিয়ে দেয়। বাঙালিদের উপর মুক্তিযুদ্ধ চাপিয়ে দেওয়া হয়।

দেশের সার্বিক অবস্থা দেখে ও বুঝে ২৬ মার্চ’৭১ প্রথম প্রহরে রাত ১২.২০মি.এ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান ধানমন্ডিস্থ ৩২ নম্বর নিজ বাড়িতে উপস্থিত নেতা কর্মীদের সম্মুখে আনুষ্ঠানিক ভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন এবং শেষবাণী প্রদান করেন। আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর বাঙালি সদস্যরা, ইপিআর, আনসার ও ছাত্র জনতা প্রতিরোধের চেষ্টা করেন। রাত ১.১০টার পর জাতির পিতাকে গ্রেফতার করে পাকিস্তানি দখলদার বাহিনী ঢাকা সেনা নিবাসে নিয়ে যায়। পরের দিন জাতির পিতাকে পশ্চিম পাকিস্তানে নিয়ে যাওয়া হয়। ২৬ মার্চ’৭১ চট্টগ্রাম আগ্রাবাদ কালুর ঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে দুপুর ১.১০মি. এর পর জাতির পিতার স্বাধীনতা ঘোষনার বার্তাটি পাঠ করেন চট্টগ্রামের আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এম,এ হান্নান। তখন সারা দেশে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী সারাদেশ তাদের নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার কার্যক্রম শুরু করলো। মো: নুরুল আমিন ও অধ্যাপক গোলাম আযম সহ ১২জন ইসলামী দলগুলোর নেতারা টেক্কা খানের সাথে সাক্ষাত করে। টেক্কা খান স্বাধীনতা বিরোধীদের প্রলোভন দেয় যে- ‘৭ডিসেম্বর’৭১ এর সাধারণ নির্বাচন বাতিল করা হবে।

২৬ মার্চ প্রেসিডেন্ট আওয়ামী লীগ কে নিষিদ্ধ ও শেখ মুজিব কে দেশদ্রোহী হিসেবে ঘোষণা করেছেন। প্রেসিডেন্টের সাথে আমার কথা হয়েছে। দেশদ্রোহী হিসেবে শেখ মুজিব এর বিরুদ্ধে মামলা করে মৃত্যুদন্ড দেওয়া হবে। নির্যাতন, ধর্ষণ ও জ্বালাও পোড়াও করে আওয়ামী লীগ নেতা কর্মী ও ভারতের দালাল হিন্দুদের কে শেষ করে দেওয়া হবে। আপনারা আমাদের সহযোগিতা করুন পুনরায় সাধারণ নির্বাচন দিয়ে ইসলামী দলগুলোর হাতে পূর্ব-পাকিস্তানের ক্ষমতা দেওয়া হবে।’ টেক্কা খানের প্রলোভনে ইসলামী দলগুলোর অধিকাংশ নেতারা পাকিস্তানি সৈন্যদের সহযোগিতা করার অঙ্গীকার করলো। ধর্মের কথা বলে কিছু ধর্মপ্রান সহজ সরল মানুষকে রাজাকার,আলবদর ও আলশামস বানিয়ে পাকিস্তানি হানাদারদের দোসর করলো। এরা জ¦ালাও,পোড়াও নির্যাতন,নিপিড়ন,লুটতরাজ,হত্যা,ধর্ষণগণ হত্যা,নারী নির্যাতন বুদ্ধিজীবী হত্যা সহ বিভিন্ন মানবতা বিরোধী নৃশংস কাজে পাকিস্তানি হানাদারদের দোসর ছিল। তারা রাস্তা চিনিয়ে নিয়ে নিয়ে দোসর হিসেবে সাথে থেকে এই সকল মানবতা বিরোধী কাজ করতো।

সৃষ্টিমের ইসলামী মৌলবাদী পীচ কমিটি, রাজাকার, আলবদর, আলশামস ও অন্যান্য বাহিনী করে পাকিস্তানি বাহিনীর সাথে যোগ দিল। জীবনের ভয়ে আওয়ামী লীগ নেতা কর্মী ও এ দেশের প্রায় এক কোটি মানুষ ভারতে আশ্রয় নিল। ১০ এপ্রিল’৭১ প্রবাসী বাংলাদেশ সরকার গঠন করল। ১৭ এপ্রিল’৭১ শপথ গ্রহণ করল। মহান মুক্তিযুদ্ধ কী, কিভাবে যুদ্ধ করতে হবে, কতদিনে দেশ স্বাধীন হবে, একটি প্রশিক্ষিত ও আধুনিক অস্ত্র শস্ত্রে সজ্জিত হানাদার বাহিনীর সাথে যুদ্ধ করে বিজয় অর্জন সম্ভব কিনা ইত্যাদি বোঝার বয়স তখন আমার হয় নাই। আমি তখন রতন কান্দি নি¤œ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র।আমি ভারতে গিয়ে প্রশিক্ষণ নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিয়ে ছিলাম। আমি একটি গেরিলা গ্রুপের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে দেশের অভ্যন্তরে এসে (১) বেলকুচি থানা আক্রমণ যুদ্ধ (২)কালিয়া হরিপুর রেলওয়ে ব্রিজ সংলগ্ন রাজাকার ক্যাম্প এ্যাম্বুস,(৩) কল্যানপুর ও (৪) শাহজাদপুর থানার ধীতপুর নামক স্থানে পাকিস্তানি হানাদারদের বিরুদ্ধে সম্মুখ যুদ্ধ করে বিজয়ী হয়েছি। তোমরা লেখাপড়ার ফাঁকে ফাঁকে মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস পড়বে। আমরা চাই তোমরা উচ্চশিক্ষিত, মানবীয় গুণসম্পন্ন দেশ প্রেমিক নাগরিক হও। দেশকে ভালোবাস। দুর্নীতি ম্ক্তু,অসাম্প্রদায়িক ধর্ম নির পক্ষ সোনার বাংলার জন্য ত্রিশলক্ষ মানুষ শহীদ হয়েছেন। দুই লক্ষাধিক মা-বোন সম্ভম হারিয়েছেন। তিন লক্ষাধিক মা-বোন অন্যান নিপিড়নের শিকার হয়েছেন। দেশের সর্বস্তরের মানুষ অনেক ত্যাগ স্বীকার করে স্বাধীনতা এনেছে। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস পড়লে সব জানতে পারবে।

ইতি, তোমাদের
বীর মুক্তিযোদ্ধা দেবেশ চন্দ্র সান্যাল

গ্রাম ও ডাকঘর- রতন কান্দি, ইউনিয়ন পরিষদ- হাবিবুল্লাহ নগর

উপজেলা- শাহজাদপুর, জেলা- সিরাজগঞ্জ।

পাঠকের মতামত:

১৯ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test