বাংলাদেশ উন্নয়নে এগিয়ে, পিছিয়ে সভ্যতায়!
মীর আব্দুল আলীম
বাংলাদেশ এখন আর হেনরি কিসিঞ্জারের ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ নয়। বাংলাদেশ এগিয়ে গেছে, এগিয়ে যাচ্ছে, অনেক সক্ষমতা বেড়েছে বাংলাদেশর। আন্তর্জাতিক চোখ রাঙ্গানি আর বিশ্ব ব্যাংকের তাঁবেদারি বাইরেও কাজ করিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। পদ্মা সেতু তার জ্বলন্ত নিদর্শন। আমাদের নাগরিকদের এখন দায়িত্ব বেড়ে গেছে অনেক। আমাদের সব ক্ষেত্রে আরও দায়িত্বশীল হতে হবে। যার যার কাজ করতে হবে তাকেই। দুর্নীতিকে বলতে হবে না। হতে হবে পরিবেশ সচেতন।
দৃশ্যমান উন্নয়নে, অথর্নীতিতে এগোচ্ছে বাংলাদেশ। আমাদের পত্রিকাগুলোও আজকাল লিখছে ‘বাংলাদেশের অথর্নীতির ঝুড়ি এখন টইটম্বুর’। এটা কিন্তু সত্য। এও সত্য আমরা এখনো সভ্য নই। সভ্য হতে পারিনি। আমাদের রূপ বদলেছে, মানুষের ভেতরটা এখনো বদলাইনি। এখনো আমরা আইন মানি না, কথায় কথায় ঘুষ-দুর্নীতি করি, খাদ্যে ভেজাল দিই। এখনো মোটেও সচেতন হইনি আমরা। আমাদের সড়কে কথায় কথায় মানুষ মরে। বিষমিশ্রিত খাবার খেয়ে মানুষ জটিল কঠিন রোগে আক্রান্ত হয়। বিষাক্ত খাবার খেয়ে স্ট্রোক, হৃদরোগ আর ক্যান্সারে অকাল মৃত্যুর দিকে এগোচ্ছি আমরা। এদিক থেকে আমরা এগিয়ে যাইনি বরং পিছিয়েছি।
আগে যারা দেশটাতে তিন বেলা খাবার পেত না এখন তারা মোটামুটি সচ্ছল। সবারই সঙ্গতি বেড়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্বপ্নের সিঁড়ি বেয়ে বাংলাদেশ উন্নত দেশের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা এগোচ্ছি; উন্নত হচ্ছি, কিন্তু সভ্য হচ্ছি না। সভ্যতায় বলতে হয় আমরা বড্ড পিছিয়ে।
অভিজ্ঞতা অজের্নর জন্য অনেক দেশেই ছুটে গেছি। যেসব দেশকে খুব দরিদ্র ভাবতাম তারা আমাদের চেয়ে সভ্যতায় অনেক বেশি এগিয়ে আছে। ভুটানে যাইনি এই ভেবে পাহাড় আর গরিব দেশে কি দেখব, আর শিখবই বা কি? গত জানুয়ারি আল-রাফি হাসপাতাল লি-এর পরিচালক এবং ডাক্তারদের নিয়ে এক অনুষ্ঠানে ভুটান যাই। আমরা প্রায় ৮ লাখ মানুষের দেশ থেকে অনেক কিছু শিখলাম। মানুষ সভ্য হতে পুলিশ প্রশাসনের দরকার হয় না। ৪৬,৫০০ বগির্কলোমিটার দেশের মানুষ আইন মেনে চলে। নিজ চোখে যা দেখলাম তাই লিখছি। ১৯৫০-এর দশক পযর্ন্ত ভুটান একটি বিচ্ছিন্ন দেশ ছিল। ১৯৬০-এর দশকে ভারতের কাছ থেকে অথৈর্নতিক সাহায্য নিয়ে দেশটি একটি সভ্য রাষ্ট্রে রূপান্তরিত হতে শুরু করে। তবে এখনো এটি বিশ্বের সবচেয়ে অনুন্নত দেশগুলোর একটি। অনুন্নত একটি দেশ নিয়েই কথা বলছি আমি। হাসপাতালের ডাক্তার এবং পরিচালকদের নিয়ে মাত্র পঁাচ দিন ছিলাম। এ অল্প সময়েই নিজেকে সুস্থ অনুভব করছিলাম। খাবারের ভীতি ছিল না।
ভেজাল দিতে ওরা বোধ হয় শেখেনি। নিম্নমানের হোটেলগুলোও আমাদের পাঁচ তারকা হোটেলের মতো পরিচ্ছন্ন। ফল-ফলাদি খেলেই বোঝা যায় ভালো কিছু খাচ্ছি। দরিদ্র দেশটির মানুষ পরিচ্ছন্ন জীবনযাপন করে। পোশাক-আশাক দামি না হলেও আধুনিকতার ছাপ। সবচেয়ে বড় কথা ওরা আইন ভাঙে না কখনো। ওই দেশে চুরি-ডাকাতি নেই। যদি থাকতো মাইলকে মাইল পাহাড়ি নিজর্ন পথে আমরাই ডাকাতের কবলে পড়তাম। রাস্তায় ৫ দিনে পুলিশ দেখেছি এক জন মাত্র। রাস্তার আইন ওরা শতভাগ মানে। তাই দুগর্ম পথেও দুঘর্টনা নেই বললেই চলে। আমাদের বহনকারী ট্যুরিস্ট বাসটি নিদির্ষ্ট জায়গাতেই থামছিল। আমরা কোনো দশর্ণীয় জায়গা পেলে নামতে চাইলেও বলছিল এখানে থামার নিয়ম নেই। ত্রিসীমানায় কেউ নেই তবুও নিজ থেকেই ড্রাইভার নিয়ম মেনে চলছে। কখনো মোবাইল ফোন ধরার প্রয়োজন হলে গাড়ি থামিয়ে কথা শেষ করে তবেই গাড়ি চালাচ্ছিলেন তিনি। পথচারীর চেয়েও ড্রাইভাররা অনেক বেশি সচেতন। পথচারী পথ পার হবে বুঝতে পেরে বহু আগে থেকেই গাড়ি থামিয়ে বসে থাকে ড্রাইভার। এমন নিয়ম কোরিয়া, সিঙ্গাপুর, জাপানে দেখেছি। বোধ করি তার চেয়েও গরিব দেশটিতে ড্রাইভাররা অনেক বেশি সচেতন মনে হয়েছে আমার। এখানে সিসি ক্যামেরা পুলিশ নজরদারী নেই, আইন না মানলেও দেখার কেউ নেই, তবুও ওরা আইন মানছে। ওরা সভ্য তাই সড়কে নিরাপত্তা বেশি। পঁাচ দিন সড়কে নিভের্য় চলেছি। ভীতি ছিল না। আমাদের ফুটপথ দিয়ে চলতেও ভয় পাই, কখন গাড়ি গায়ে উঠে যায়।
যখন দেশের বাইরে যাই, ফেরার রাতে দুঃস্বপ্নরা আমাকে পেয়ে বসে। ২৫ মে ২০১৮; ঘড়িতে তখন ৩টা বাজে; রাত ৩টা। আমার মনে হচ্ছে, কেউ আমাকে তাড়া করছে; ভীষণ ভয় দেখাচ্ছে। আমি প্রাণপণ চেষ্টা করছি চিৎকার করতে; দৌড়ে পালাতে। কিন্তু কোনো এক অজানা শক্তি আমাকে তিল পরিমাণ নড়তে দিচ্ছে না। কপালে বিন্দু বিন্দু ঘাম নিয়ে চিৎকার করে উঠে বসলাম। যে দেশেই যাই, প্রতিবারই দেশে ফেরার রাতে এ জাতীয় একই চিত্র; একই আতঙ্ক! এ আতঙ্কর অবশ্য কারণ আছে। দেশের বাইরে সভ্য মানুষ, সভ্য রাষ্ট্র দেখে সারাক্ষণ আমি ভাবনায় পড়ে যাই। ভাবি ওরা এমন কেন? আর আমরাই বা কেন এমন?
সবের্শষ লায়ন্স ক্লাবের বাংলাদেশ দলের সঙ্গে মিয়ানমারের ইয়াংগুনে যাই গত তিন বছর আগে। অনেক ধনী রাষ্ট্রে যাওয়ার সৌভাগ্য হয়েছে আমার। কিন্তু মিয়ানমারের মতো দরিদ্র একটি রাষ্ট্রে এসে ওদের সভ্যতা আর আমাদের সভ্যতার তফাৎ দেখে বেশ লজ্জাবোধ হলো আমার। হতবাক তো হয়েছিই। মিয়ানমার সম্পর্কে আমাদের ধারণা খুব একটা ভালো নয়। ধমের্র বিষয়ে তো নয়ই। বামার্ বা মিয়ানমার মানেই দরিদ্র একটি রাষ্ট্র। মুসলমানদের নিযার্তনের ব্যাপারেও তাদের আছে অনেক বদনাম। সে দেশের সেনারা অনেক নিষ্ঠুরতা চালিয়ে বহু মুসলমানদের ওরা হত্যা করেছে। যা সারা বিশ্ব ঘৃণিত। এ রাষ্ট্রের ব্যাপারে আমাদের বাজে অভিজ্ঞতা আছে। আর যাই হোক, ওরা আইনের প্রতি অনেক বেশি শ্রদ্ধাশীল। স্বাস্থ্য সচেতন এবং দেশপ্রেমিক মনে হয়েছে আমার। এখানে এসে বুঝলাম আইন মানতে, আর সভ্য হতে অথের্র প্রয়োজন পড়ে না। ভালো কিছুর গুণকীতর্ন করতেই হয়। মিয়ানমারের ভালো কিছু থাকলে সেটা নিয়ে আলোচনা করতেই পারি। মন্দটা না হয় ওদের কাছেই থাক। ওদের ভালো কিছু যা আছে, যা থেকে আমরা শিক্ষা নিতে পারি তা নিয়েই এ লেখায় আলোকপাত করবো আজ।
মিয়ানমারের রাস্তায় ডিভাইডার নেই বললেই চলে। সাদা দাগ দিয়ে চলার পথ নিদির্ষ্ট করা। রাস্তায় ট্রাফিকও নেই খুব একটা। অবাক করা কথা ৫ দিনের যাত্রায় একটি বারও কাউকে নিজ দাগ অতিক্রম করতে দেখলাম না। আমরা যেখানে পারলে ইটপাথরের ডিভাইডার উল্টেপাল্টে চলতে অভ্যস্ত সেখানে ওরা দাগও অতিক্রম করে না। একদিকে এক কিলোমিটার ট্রাফিক জ্যাম চলে গেছে। অন্যদিকে ধেয়ে চলছে গাড়ি। ডিভাইডার নেই তবুও কেউ কারও জায়গায় যাচ্ছে না। আমাদের দেশে ডিভাইডার দিয়ে যেখানে রক্ষা নেই সেখানে সাদা দাগই তাদের জন্য যথেষ্ট। ওভারটেকিং কিংবা হনর্ বাজানো দরকার না পড়লে কেউ করে না সাধারণত। দিনে এমন; দেখি রাতে ওরা কি করে? ইয়াংগুনের ৫ তারকা হোটেলের রুম থেকে গভীর রাতে রাস্তার দৃশ্য দেখতে জানালার পাশে গিয়ে বসলাম। গভীর রাতেও কাউকে দাগ অতিক্রম করতে দেখিনি। লেন পরিবতর্ন করতে গেলেও রাতেও ১/২ কিলোমিটার ঘুরে তবে অন্য লেনে যায় গাড়িগুলো। সৌদি আরব, চীন, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, কোরিয়া, থাইল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশেই এ অবস্থা লক্ষ্য করেছি। ভাবি আমরা কেন ওদের কাছ থেকে শিক্ষা নিচ্ছি না? আমাদের রাষ্ট্র যারা পরিচালন করেন তারা তো এসব দেশে আসেন। রাষ্ট্রের খরচায় তারা বিদেশে আসেন। প্রশ্ন হলো তারা কি এসব দেখেন না? শেখেনই না বা কেন?
মন্দ ভাগ্য আমাদের। আমাদের লোকজন শেখানও না; শেখেনও না। শিখলে আর শেখালে আমাদের রাষ্ট্রের পরিবহনব্যবস্থাও এমন হতো না কখনই। আইন করলেই হয় না। আইন প্রয়োগ করে শেখাতে হয়। ইয়াঙ্গুনের অধিবাসীদের সঙ্গে কথা বলে যতদূর জেনেছি, পরিবহনব্যবস্থা এমন করতে রাষ্ট্রযন্ত্র খুব নিষ্ঠুর ছিল। যারা আইন মানতো না তাদের কঠোর শাস্তি দিয়ে সভ্য করা হয়েছে। সভ্য হতে বাধ্য করে তবেই সভ্য করা হয়েছে। আর একবার কেউ সভ্য হয়ে গেলে, অসভ্য হতে বিবেকে বাদ সাধে। বলতে গেলে ওদের সভ্য হওয়ানো হয়েছে। আমাদের যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে আমার কাছে অন্যসব মন্ত্রীদের চেয়ে একটু ভিন্ন মনে হয়। দেখি তিনি মাঝেমধ্যে রাস্তায় নামেন। হুঙ্কার দেন। যদিও তার হুঙ্কার কাজে আসছে না। আসলে আমাদের সড়ক এখনো এত অনিরাপদ থাকতো না। আমি প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকষর্ণ করে বলতে চাই ‘আমরা সভ্য নই, আপনি আমাদের সভ্য হতে বাধ্য করুন। কঠোর হোন। আমি বিশ্বাস করি আপনি চাইলে তা পারবেন। প্রধানমন্ত্রী তো ছোট পদ নয় যে, ইচ্ছা পূরণ হবে না। ইচ্ছা করতে হবে; নিষ্ঠুর হতে হবে; তবেই আমাদের সভ্য বানাতে পারবেন আপনি।
বিদ্যুতের অভাবনীয় সাফল্য এবং শিল্প, কৃষি, বাণিজ্য, একটি বাড়ি একটি খামার, শিক্ষা-স্বাস্থ্যের উন্নতিতে অথৈর্নতিক প্রবৃদ্ধির হার তিন বছর ধরে রয়েছে ৭ শতাংশের ওপরে। অথর্নীতিবিদ ও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মেগা প্রকল্পের মাধ্যমে উন্নয়ন কমর্কাণ্ড যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে; বিদেশি বিনিয়োগ অব্যাহত থাকলে বাংলাদেশের অথর্নীতির প্রবৃদ্ধি অনেক প্রভাবশালী দেশকে ছাড়িয়ে যাবে। পরিসংখ্যানে দেখা যায়, গত অথর্বছরে প্রবৃদ্ধি ছিল ৭ দশমিক ৬৫ শতাংশ। বতর্মান ৭ দশমিক ৮৬ শতাংশ। ২০২০ সালের মধ্যে প্রবৃদ্ধির হার ৮ শতাংশে পৌঁছানোর লক্ষ্য চলতি অথর্বছরের মধ্যেই বাস্তবায়ন হতে পারে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন অথর্মন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সবের্শষ ২০১৭-১৮ অথর্বছরের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) ও এর প্রবৃদ্ধির হারে দেখা যায়, গত অথর্বছরে জিডিপি তথা অথর্নীতির আয়তন দাঁড়িয়েছে ১০ লাখ ২২ হাজার কোটি টাকা, আর আগের বছরের তুলনায় প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৭ দশমিক ৮৬ শতাংশ। প্রবৃদ্ধির এই হার সপ্তম পঞ্চবাষির্ক পরিকল্পনায় প্রক্ষেপিত ৭ দশমিক ৪০ শতাংশের চেয়েও বেশি। এটি একটি গুরুত্বপূণর্ অজর্ন, যা নিয়ে দেশের নীতি-নিধার্রকসহ বিভিন্ন মহল স্বাভাবিকভাবেই বেশ উচ্ছ্বসিত। কিন্তু উচ্ছাসিত নই সভ্যতায়। খাবারে ভেজাল বাড়ছে, সড়ক দুঘর্টনা বাড়ছে, দুনীির্ত বাড়ছে। আগে পুলিশকে ২০০-৫০০ টাকা দিলে চলতো। পরে হাজার, লাখ ছাড়িয়ে কোটির অঙ্কে ঘুষ লেনদেন হয়। ভ‚মি অফিসে, সাবরেজিস্ট্রি অফিসে নিয়ম করে, কাজ অনুসারে প্রকার ভেদে নানা অঙ্গের ঘুষের লেনদেন চলে। হাসপাতালে দুনীির্ত চলে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দুনীির্ত। কোথায় নেই দুনীির্ত? এক প্রধানমন্ত্রী একা কি দুনীির্ত রোধ করতে পারবেন? দেশটা আমাদের সবার আসুন আমরা সবাই মিলে দুনীির্তমুক্ত বাংলাদেশ গড়ি।
এ কথা সত্য যে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্বপ্নের সিঁড়ি বেয়ে বাংলাদেশ উন্নত দেশের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। ২০৪১ সাল পযর্ন্ত বাংলাদেশের সামনে আছে আরও ২২টি বছর। এই সময়ে আরও ২২টি সিঁড়ি ভেঙে বাংলাদেশ উন্নত দেশে উত্তীণর্ হবে এটাই লক্ষ্য। এই সময়ের মধ্যে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার মাধ্যমে বিশ্বে বাংলাদেশ একটি মযার্দাশীল, উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে উত্তীণর্ হবে বলে অভিমত অথৈর্নতিক বিশ্লেষকদের। বাংলাদেশের অথর্নীতির অন্যতম প্রধান সূচক রেমিট্যান্সেও সুখবর দিয়ে শেষ হয়েছিল ২০১৮ সাল। গত বছরে ১ হাজার ৫৫৩ কোটি ৭৮ লাখ (১৫ দশমিক ৫৪ বিলিয়ন) ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন তারা। এই অংক ২০১৭ সালের চেয়ে প্রায় ১৫ শতাংশ বেশি। এরই ধারাবাহিকতায় নতুন বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে রেকডর্ ১৫৯ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা, যা এক মাসের হিসাবে রেকডর্। রেমিট্যান্সের এই অঙ্ক গত বছরের জানুয়ারির চেয়ে ১৫ দশমিক ২৫ শতাংশ এবং আগের মাস ডিসেম্বরের চেয়ে ৩২ দশমিক ২ শতাংশ বেশি।
এদিকে গত ১০ বছরে খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পন্নতা অজর্ন, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে অভ‚তপূবর্ উন্নয়ন, গড় আয়ু বৃদ্ধি, দারিদ্র্যসীমা হ্রাস পাওয়ায় বেড়েছে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ। ইতোমধ্যে বিনিয়োগ বাড়াতে প্রথম কৌশল হিসেবে বড় আকারের ফাস্টর্ ট্র্যাক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এর মধ্যে রয়েছে পদ্মা বহুমুখী সেতু নিমার্ণ, ঢাকা মেট্রোরেল প্রকল্প, ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ, পায়রা সমুদ্রবন্দর নিমার্ণ ও সোনাদিয়া গভীর সমুদ্রবন্দর নিমার্ণ। স্বাধীনতার সময়ে আমাদের অত্যন্ত ঝুঁকিপূণর্ ও একটি ভঙ্গুর অথর্নীতি ছিল। সে অবস্থা থেকে এক ধরনের টেকসই ভিত্তি তৈরি করা গেছে বতর্মান অথর্নীতিতে। যার ফলে আমাদের উল্লেখযোগ্য কয়েকটি দিক তৈরি হয়েছে। যেমন প্রবৃদ্ধির মাত্রাগুলো একটি গতি ধরে এগিয়েছে। স্বাধীনতার ৪৭ বছর পরে আমাদের চাওয়ার জায়গাটায় একটি পরিবতর্ন এসেছে। এখন কেবল সভ্য হতে হবে আমাদের।
সবের্শষ এটাই বলা যায়, আমাদের সব ক্ষেত্রে দায়িত্বশীল হতে হবে। যার যার কাজ করতে হবে তাকেই। দুনীির্তকে বলতে হবে না। হতে হবে পরিবেশ সচেতন। খাদ্যে সচেতন হতে হবে। যোগাযোগ, বিশেষ করে ট্রাফিক আইন মানার বিষয়টিতেও আমাদের অনেক শিক্ষা নেয়া প্রয়োজন। আইনশৃঙ্খলা, নিরাপত্তা, পরিচ্ছন্নতার বিষয়টিতেও আমাদের সজাগ হতে হবে। ওই যে বললাম, আমাদের সবাইকে সভ্য হতে হবে। তবেই সোনার বাংলাদেশ গড়তে সহায়ক হবো আমরা।
লেখক : সাংবাদিক, কলামিস্ট, সমাজ গবেষক।
পাঠকের মতামত:
- বরগুনায় অর্ধশতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ
- 'বৈশ্বিক জলবায়ু হুমকি মোকাবেলায় পরিবেশ বান্ধব কল-কারখানার বিকল্প নাই'
- 'ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সেবার মান বাড়াতে করণীয় সবকিছু করা হবে'
- ফরিদপুরের মধুখালি ও বোয়ালমারি উপজেলায় সামাজিক সম্প্রীতি সভা
- ফরিদপুরে নৌ পুলিশের অভিযানে চায়না দুয়ারি ও কারেন্ট জাল জব্দ, গ্রেফতার ২
- মধুখালির ডুমাইনে নিহত দুই ভাইয়ের পরিবারের সাথে দুই মন্ত্রীর সাক্ষাৎ
- দুই বিভাগে বৃষ্টির আভাস, বাড়বে ভ্যাপসা গরম
- ‘উপজেলা ভোট ব্যর্থ হলে ৭ জানুয়ারি প্রতিষ্ঠিত গণতন্ত্র ব্যর্থ হবে’
- নির্মাতা আরেফীনের সিনেমায় পাওলি দাম
- লঁরিয়েকে ৪-১ গোলে হারিয়ে পিএসজির জয়
- ইরানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর গ্রেপ্তার চায় আর্জেন্টিনা
- ‘যুক্তরাষ্ট্র সরে গেলে বিশ্বকে নেতৃত্ব দেবে কে’
- পশ্চিমবঙ্গের ২০ জায়গায় তাপমাত্রা ছাড়াল ৪০ ডিগ্রি
- ‘যুদ্ধ কখনো কোনো সমাধান দিতে পারে না’
- ইউক্রেনকে গোপনে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র
- শপথ নিলেন তিন বিচারপতি
- দেশে আবারও ৩ দিনের ‘হিট অ্যালার্ট’ জারি
- ‘প্রচন্ড লড়াই শেষে পাকবাহিনী বরিশাল শহর দখল করে নেয়’
- সাজেকে ডাম্পট্রাক খাদে পড়ে ৬ শ্রমিক নিহত, আহত ১৩
- কেন্দুয়ায় ৩ দিনব্যাপী জালাল মেলার বর্ণাঢ্য আয়োজন
- তাপপ্রবাহে ‘অতি উচ্চঝুঁকিতে’ বাংলাদেশের শিশুরা
- ভালোবাসার শহর পাংশার আয়োজনে পথচারীদের মাঝে শরবত বিতরণ
- বরগুনায় হিট স্ট্রোকে শ্রমিকের মৃত্যু
- ‘রেলের ভর্তুকি প্রত্যাহার করা হবে’
- মোংলায় ওএমএস এর চাল বিতরণে অনিয়ম, ২০ বস্তা চাল জব্দ
- কালুখালীতে গাঁজাসহ এক মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার
- নগরকান্দায় সামাজিক সম্প্রীতি সমাবেশ সভা, ব্যাপক তৎপরতায় থানা পুলিশ
- বৃষ্টি প্রার্থনায় টাঙ্গাইলের বিভিন্ন স্থানে ইসতিসকার নামাজ আদায়
- বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের ‘সহ-প্রচার সম্পাদক’ নির্বাচিত অনয় মুখার্জী
- বাগেরহাটে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
- বাগেরহাটে তাপমাত্রা ৪১.৬ ডিগ্রি, জনজীবনে স্থবিরতা
- বোয়ালমারীতে স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতৃবৃন্দের সাথে চেয়ারম্যান প্রার্থী মুশা মিয়ার মতবিনিময়
- পুতুল পোড়াতে গিয়ে আগুনে দগ্ধ শিক্ষার্থী
- বোয়ালমারীতে হিরু মুন্সীর কার্বণ মিল ও সীসা কারখানা বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন
- ঈশ্বরদীতে হিটস্ট্রোকে স্বর্ণ শিল্পীর মৃত্যু
- ‘আবাদি অঞ্চল ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ছাড়া সর্বত্র সমান লোডশেডিং হচ্ছে’
- চট্টগ্রামে ৩ দিনব্যাপী উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত সম্মেলন উদ্বোধন করবেন সুরস্রষ্টা শেখ সাদী খান
- জামালপুরে শিশুদের নিরাপত্তায় পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা শীর্ষক সভা
- বাগেরহাটে মহানবী ও চার খলিফা সর্ম্পকে মুসলিম যুবকের ফেসবুকে কটুক্তি, ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ সমবেশ
- পুলিশের তাৎক্ষণিক তৎপরতায় বেঁচে গেল ট্রেনের হাজারো যাত্রী
- ঝিনাইদহে বৃষ্টির আশায় ইস্তিস্কার নামাজ আদায়
- বেলকুচিতে চেয়ারম্যান প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণায় সংসদ সদস্যের ভাই ও সহকারি
- টাঙ্গাইলে তীব্র তাপপ্রবাহে হাসপাতালে রোগীদের ভিড়
- কাশিয়ানীতে আমের লোভ দেখিয়ে শিশুকে ধর্ষণ
- নাগরপুরে বীর মুক্তিযোদ্ধা আলমগীর হোসেন আলোর দাফন সম্পন্ন
- গোপালগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র রাজুর ইন্তেকাল
- নেটওয়ার্ক আধুনিকায়নের লক্ষ্যে বাংলালিংক ও হুয়াওয়ের চুক্তি
- বাগেরহাটের দুই উপজেলায় বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ আদায়
- ‘এক গাছে পাঁচবার ধান’ দেশের খাদ্য চাহিদা মেটাতে বড় সফলতা
- গাজীপুরে সর্বজনীন পেনশন স্কিম কার্যক্রম বাস্তবায়নে সমন্বয় কমিটির সভা
- জেনে নিন কে এই 'প্রিন্স ড. মুসা বিন শমসের' !
- জেনে নিন কে এই 'প্রিন্স ড. মুসা বিন শমসের' !
- এবারও মেডিকেল ভর্তি কোচিংয়ের ফাঁদে শিক্ষার্থীরা
- এবারও মেডিকেল ভর্তি কোচিংয়ের ফাঁদে শিক্ষার্থীরা
- সিলেটের ভ্রমণ কাহিনী
- শুধু প্রভাবশালীদের পক্ষেই আইন!
- অম্ল-মধুর যন্ত্রণায় অপু বিশ্বাস
- লাইন ধরে খেতে হয় লিখনের জগা খিচুড়ি !
- আমার বোন শেখ হাসিনাকে খোলা চিঠি : চিনে নিন কে এই বরকত!
- 'ইতিহাসের ইতিহাস'
- ধনী হওয়ার আট কার্যকর উপায়
- মেয়ে পটানোর কৌশল!
- লক্ষাধিক রাখাইন জনগোষ্ঠী আড়াই হাজারে নেমে এসেছে
- উত্তরাধিকার ৭১ নিউজের নতুন যাত্রা ১ বৈশাখ
- লোভী মানুষ চেনার সহজ উপায়
- আমায় ক্ষমা কর পিতা : পর্ব ১৪'তোমার সহজাত উদারতা তোমাকে আকাশের সীমানায় উন্নীত করলেও তোমার ঘনিষ্ঠ অনেকের প্রশ্নবিদ্ধ আচরণ তোমার নৃশংস মৃত্যুর পথে কোনই বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি'
- বাংলা বই পড়ার ওয়েবসাইট
- শাকিবের নায়িকা শ্রাবন্তী, অপুর নায়ক জিৎ
- মঠবাড়িয়ায় ৯ বছরের শিশুকে পাশবিক নির্যাতনের পর হত্যা
- হুমায়ূনের মৃত্যুর কারণ মদের পার্টি !
- দেশে ফিরছেন তারেকস্ত্রী জোবায়দা রহমান
- বোরকা পরা মেয়ের গণধর্ষণের ভিডিও নিয়ে সিলেটে তোলপাড়
- ইউটিউবে নায়লার আত্মপ্রকাশ
- নেপালের ভূমিকম্প প্রাকৃতিক নয়, যুক্তরাষ্ট্রের সৃষ্টি !
- বিএনপির আন্দোলন হচ্ছে দলের অভ্যন্তরে !