E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

নতুন আশা নতুন সম্ভাবনা এটাই ইংরেজি নববর্ষের প্রত্যাশা

২০২২ ডিসেম্বর ৩০ ১৪:৩১:৪৭
নতুন আশা নতুন সম্ভাবনা এটাই ইংরেজি নববর্ষের প্রত্যাশা

ডা. মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ


রবিবার পহেলা জানুয়ারি ২০২৩। নববর্ষের প্রথমদিন। নববর্ষ মানে নতুন বছর।মহাকালে বিলীন আরও একটি বছর। বিদায় ২০২২। ঘড়ির কাঁটা রাত ১২টার ঘর স্পর্শ করতেই সব দুঃখ-বেদনা ভুলে সারাবিশ্বের সঙ্গে বাংলাদেশও বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বরণ করেছে নতুন বছরকে। স্বাগতম ২০২৩।সময় বহমান স্রোতের মতো। সময়কে কখনো বেঁধে রাখা যায় না। তাই একের পর এক পঞ্জিকার পাতা উল্টে চলে যায় দিন, মাস, বছর, যুগের পর যুগ। কালের পরিক্রমায় এভাবেই দিনপঞ্জির পাতা উল্টাতে উল্টাতে দোরগোড়ায় হাজির হলো নতুন আরো একটি বছর। ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ। শুভ ইংরেজি নববর্ষ!পৃথিবীর প্রায় সব দেশে উৎসবের মেজাজে সাড়ম্বরে পালিত হয়ে থাকে। কিছু জাতি যেমন চীনা, ইহুদি, মুসলমান প্রভৃতির মধ্যে নিজ নিজ ক্যালেন্ডার অনুসারে নববর্ষ পালন করতে দেখা যায়।যেসব দেশে গ্রেগোরিয়ান ক্যালেন্ডার ব্যবহার করা হয়, তারা সাধারণত নববর্ষ ১ জানুয়ারিতে পালন করে থাকে। ঐতিহাসিকভাবে, রোমান ক্যালেন্ডারে নতুন বর্ষ শুরু হতো ১ মার্চ থেকে। এর প্রভাব বছরের কয়েকটা মাসের ওপর দেখা যায়। ল্যাটিন ভাষায় সেপ্টেম্বরের অর্থ হচ্ছে সাত, অক্টোবর আট, নভেম্বর নয় এবং ডিসেম্বর দশ।সেই সময় রোমান সরকারের নতুন অধিবেশন শুরু হতো জানুয়ারি মাস থেকে। জুলিয়াস সিজার খ্রিস্টপূর্ব ৪৭ সালে এ ক্যালেন্ডারে পরিবর্তন ঘটিয়ে জুলিয়ান ক্যালেন্ডারের সৃষ্টি করেন। এতে খ্রিস্টপূর্ব ৪৪ সালে মার্ক অ্যান্টোনির কনসুল এক দফা পরিবর্তন ঘটানোর পর খ্রিস্টপূর্ব ৮ সালে এম্পরর অপাসটাস সিজার আরেক দফা পরিবর্তন ঘটান। সর্বশেষ পোপ ১৩তম গ্রেগোরি ১৫৮২ সালে এই ক্যালেন্ডারে পরিবর্তন ঘটিয়ে এর বর্তমান কাঠামোতে নিয়ে আসেন। 

আজকের বিষয় নিয়ে কলাম লিখেছেন বাংলাদেশের বিশিষ্ট গবেষক ডা.এম এম মাজেদ তার কলামে লিখেন- শুভ ইংরেজি নববর্ষ! ১ জানুয়ারি ইংরেজি নববর্ষ, আজ যা সাড়ম্বরে পালিত হয়ে থাকে, দুই হাজার বছর আগেও কিন্তু এমনটি ছিল না। এমনকি দিন-তারিখ বছরও। ফিরে দেখা যায় সেসব ইতিহাস। মধ্য আমেরিকার মেক্সিকোতে এক সভ্যতার উদয় হয়েছিল।খ্রিস্টপূর্ব পঞ্চম শতাব্দী থেকে এ সভ্যতার বিকাশ এমন পর্যায়ে পৌঁছেছিল, যা বিস্ময়কর। অতীব বিস্ময়কর। এ সভ্যতার নাম 'মায়া' সভ্যতা। মায়া সভ্যতার বহু বিচিত্র কীর্তি-কাহিনীর মধ্যে হায়ারোগি্লফিক লিপি একটি। সম্প্রতি এ দুর্বোধ্য লিপির পাঠোদ্ধার করা হয়েছে। এর ফলে মায়াদের সম্বন্ধে অনেক নতুন তথ্য জানা গেছে। মায়াদের সংখ্যাতত্ত্বের সম্যক জ্ঞান, গ্রহ-নক্ষত্রের গতিবিধি পর্যবেক্ষণের অসাধারণ দক্ষতা, স্থাপত্য-শিল্পকলার বহুবিধ ব্যুৎপত্তি বিস্ময়ে আমাদের হতবাক করে দেয়। মায়ারা আবিষ্কার করেছিল সূর্যকে প্রদক্ষিণ করতে পৃথিবীর ৩৬৫ দিন লাগে। নির্ভুল বিচারে এই গণনা ছিল ৩৬৫-২৪২০ দিন। এ সময়কালকে ১৮ মাসে ভাগ করে নিয়েছিল তারা। যার প্রতিমাসের দিন-সংখ্যা ছিল ২০। বলা হয়ে থাকে, খ্রিস্টপূর্ব ৭৫০ সাল নাগাদ তিনি যে ক্যালেন্ডারের উদ্ভাবন করেছিলেন, সেখানে দিন-সংখ্যা ছিল ৩০০। এই ৩০০ দিনকে সমান ১০টি ভাগে ভাগ করে মাসের দিন-সংখ্যা ৩০ করা হয়েছিল। যা কিনা আজকের মাসের গড়দিন। একে রোমুলাস ক্যালেন্ডার বলা যেতে পারে।

এ রোমান ক্যালেন্ডারে প্রথম শুরুর মাস ছিল 'মারটিয়াস', অর্থাৎ আজকের মার্চ মাস। রোমানদের যুদ্ধদেবতার নামানুসারে এ মাস। ১ মার্চ ছিল বর্ষ আরম্ভের প্রথম দিন। খ্রিস্টপূর্ব প্রথম শতকে জুলিয়াস সিজার এই ক্যালেন্ডারের কিছু সংশোধন করিয়ে নিয়েছিলেন। তৎকালীন প্রখ্যাত জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা এ বিষয়ে তাকে সাহায্য করেছিল। এই ক্যালেন্ডারে পৃথিবীর সূর্য প্রদক্ষিণকাল ৩৬৫ দিন। কিন্তু বছর ৩৬৫ দিনে রেখে অতিরিক্ত দিন-সংখ্যা (১-৪ দিন) প্রতি চার বছর অন্তর ফেব্রুয়ারি মাসের সঙ্গে যোগ করা হয়।তখন ফেব্রুয়ারি মাসের দিন-সংখ্যা দাঁড়ায় ২৮ থেকে ২৯ দিন। এই একটি বাড়তি দিনকে বলা হয় 'লিপ'-ডে। আর বছরটি হলো 'লিপিয়ার'। এ ক্যালেন্ডারটি 'জুলিয়ান ক্যালেন্ডার' নামে খ্যাত ছিল। বহু বছর এ ক্যালেন্ডারটি চালু ছিল।অনেককাল পরে এই জুলিয়ান ক্যালেন্ডারটির পুনরায় সংশোধন করে নিয়ে নতুন একটা ক্যালেন্ডার বাজারে চালু হয়। তৎকালীন মহামান্য ত্রয়োদশ পোপ গ্রেগোরি ১৫৭৭ সালে দুজন জ্যোতির্বিজ্ঞানীর সাহায্য নিয়ে পুরনো ক্যালেন্ডারটি গ্রেগোরিয়ান ক্যালেন্ডার নামে পরিচিত।

আমাদের দেশে বর্তমানে তিনটি সন প্রচলিত রয়েছে আর তা হচ্ছে হিজরি সন, বাংলা সন ও ইংরেজি সন। হিজরি সনের প্রচলন হয় যেদিন এখানে ইসলামের আবির্ভাব ঘটেছে তখন থেকেই। এই হিজরি সন মুসলিমদের পবিত্র সন হিসেবে গৃহীত। প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহ আলায়হি ওয়া সাল্লাম ৬২২ খ্রিষ্টাব্দে মক্কা মুকাররমা থেকে মদিনা মুনাওয়ারায় হিজরত করেন। ইসলামের ইতিহাসের সেই দিগন্ত উন্মোচনকারী ঘটনাকে অবিস্মরণীয় করে রেখেছে এই হিজরি সন। ৬৩৯ খ্রিষ্টাব্দে হযরত উমর রাদিআল্লাহু তায়ালা আনহুর খিলাফতকালে তাঁরই উদ্যোগে হিজরতের ১৭ বছর। যতদূর জানা যায়, তারই পরের বছর থেকে বাংলাদেশে সাংগঠনিকভাবে ইসলাম প্রচার শুরু হয়- আর তখন ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা হযরত উমর (রা.)-এর খিলাফতের মধ্য ভাগ। অবশ্য প্রায় ১০-১২ বছর আগ থেকেই বাংলাদেশে সমুদ্রপথে ইসলামের খবর এসে পৌঁছতে থাকে। ইসলামের আগমনের সাথে সাথে বাংলাদেশে হিজরি সনেরও আগমন ঘটে, কারণ এই সনের কারণ বিভিন্ন মাসে ইসলামী আচার-অনুষ্ঠান, ইবাদত-বন্দেগীর নির্দিষ্ট দিন-রজনী, তারিখ ও নির্দিষ্ট মাস প্রভৃতি রয়েছে। এই হিজরি সনই বাংলাদেশে বর্তমানে প্রচলিত সবচেয়ে পুরাতন সন।

১২০১ খ্রিষ্টাব্দে সিপাহসালার ইখতিয়ারুদ্দীন মুহম্মদ বিন বখতিয়ার খিলজী বাংলাদেশে মুসলিম শাসনের বিজয় নিশান উড্ডীন করেন- আর তখন থেকেই রাষ্ট্রীয়ভাবে হিজরি সন বাংলাদেশে প্রচলিত হয়, যা ১৭৫৭ খ্রিষ্টাব্দের ২৩ জুন সংঘটিত পলাশীর যুদ্ধ পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। সুলতানী আমলে কী মুঘল আমলে রাষ্ট্রীয় কাজকর্মে, আদান-প্রদান তথা সর্বক্ষেত্রে হিজরি সনই প্রচলিত ছিল। অবশ্য মুঘল সম্রাট আকবরের আমলে ঋতুর সাথে সম্পৃক্ত একটি সৌর সনের তাকিদ রাজস্ব বা ফসলি সনের প্রবর্তন করা হয়। এখানে উল্লেখ্য যে, হিজরি সন চান্দ্র সন হওয়ায় ঋতুর সঙ্গে এর সম্পর্ক থাকে না।

সম্রাট আকবরের নির্দেশে ১৫৮৪ খ্রিষ্টাব্দে আমীল ফতেহউল্লাহ সিরাজী সম্রাট আকবরের মসনদে অধিষ্ঠিত হওয়ার বছর ৯৬৩ হিজরি মোতাবিক ১৫৫৬ খ্রিষ্টাব্দের নির্দিষ্ট তারিখ থেকে হিসাব করে হিজরি সনকে সৌর গণনায় এনে যে সনটি উদ্ভাবন করেন সেটাই আমাদের দেশে বাংলা সন নামে পরিচিত হয়। হিজরি সনের বছরের হিসাব ঠিক রেখেই এ মাসগুলো নেয়া হয় শকাব্দ থেকে।

বৈশাখ মাসকে স্থির করা হয় বছরের প্রথম মাস।১৫৮৪ খ্রিষ্টাব্দের পর থেকেই সম্রাট আকবরের ফরমানবলে রাজত্বের রাজস্ব আদায়ের সন হিসেবে তা প্রচলনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। বাংলাদেশে হিজরি সনের সৌরকরণ পঞ্জিকাটি ব্যাপকভাবে গৃহীত ও সমাদৃত হয়, যা একান্তভাবে বাংলার মানুষের নিজস্ব সন হিসেবে স্থান করে নিতে সমর্থ হয়। আর একানে ইংরেজি সন এলো সেই ১৭৫৭ খ্রিষ্টাব্দে পরাধীনতার শেকল পরিয়ে।একটা জিনিস লক্ষণীয় যে, বাংলাদেশের গ্রামীণ, জীবনে কিন্তু এখন পর্যন্ত ইংরেজি সনের গ্রহণযোগ্যতা তেমন একটা নেই। আবার শহর জীবনে বাংলা সনের ব্যবহার নেই বললেই চলে। অবশ্য শহুরে জীবন কি গ্রামীণ জীবনে হিজরি সনের প্রচলন সমানভাবে বর্তমান। বিশ্ব মুসলিমের ঐক্য ও সংহতির অন্যতম অবলম্বন এই হিজরি সন। আর এই হিজরি সন থেকে উৎসারিত বাংলা সন আমাদের জাতীয় জীবনে নিজস্বতার বৈভব এনে দিয়েছে।

মুসলিম দুনিয়ার অনেক দেশেই হিজরি সনের চান্দ্র হিসাবের বৈশিষ্ট্যেই জাতীয় সন হিসেবে প্রচলিত রয়েছে। এমনকি এই সনের সৌর হিসাব এনে বাংলা সনকে সৌর হিসাবে এনে সেখানে হিজরি সন প্রচলিত রয়েছে। ইরানে নওরোজ পালিত হয়। হিজরি সনের শামসী বা সৌরকরণের হিসাবে আনা তাদের নিজস্ব প্রথম মাসের ১ তারিখে। আমাদের দেশে হিজরি সনের সৌর হিসাবের প্রথম মাস যেমন বৈশাখ মাস, তেমনি ওখানে হচ্ছে ফারবারদীন প্রথম মাস। এই মাসের ১ তারিখ ওদের হয় ২১ মার্চ। আর আমাদের ১ বৈশাখ হয় ১৪ এপ্রিল।

আমাদের দেশে বাংলা নববর্ষের যে আনন্দ বৈভব কি গ্রামে কি নগরে-গঞ্জে উজ্জীবিত হয়ে ওঠে, ইংরেজি নববর্ষ কিন্তু শহুরে জীবনের মুষ্টিমেয় বিশেষ মহলে ছাড়া তা ব্যাপকভাবে কোথাও আলোড়ন সৃষ্টি করে না। তবুও ইংরেজি নববর্ষ আসে। ৩১ ডিসেম্বর রাত ১২টার ঘণ্টা বাজার পরপরই ঘোষিত হয় এই তিন ঐতিহ্যজাত নববর্ষের সূচনা মুহূর্ত, ঘোষিত হয় ইংরেজি নববর্ষের আগমন বরিতা। মধ্যরাতের সেই মুহূর্তটা আমাদের বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর কাছে কোনোরূপ আনন্দ-আবেগ সৃষ্টি না কারলেও খ্রিষ্টান জগৎ ঐ মুহূর্তে হ্যাপি নিউ ইয়ার উচ্চারণের মধ্য দিয়ে এক হৈ-হুল্লোড়ে উল্লাস ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে ওঠে। ঘটে যায় কতই না অঘটন, ঘটে যার কতই না পৈশাচিক কর্মকান্ড, মদ্যপানের নামে বহু স্থানে জীবন পানের মহড়াও চলে। ইংরেজি নববর্ষ আসে রাতের গভীরে নিকষ অন্ধকারে প্রচন্ড শীতের প্রবাহ মেখে।

ইংরেজি ক্যালেন্ডার যেহেতু আমাদের কাজ-কর্মের তারিখ নির্ধারণে, হিসাব-নিকাষ সংরক্ষণে, আন্তর্জাতিক আদান-প্রদানে ব্যবহৃত হয়ে আসছে, তাই এতে যতই ঔপনিবেশিক গন্ধ থাকুক না কেন, যতই এতে প্রায় ২০০ বছরের গোলামির জোয়ালের চি‎হ্ন থাকুক না কেন আমরা এর থেকে মুক্ত হতে পারছি না এ কারণেই বোধ করি যে, আমরা স্বকীয়সত্তা সজাগ হওয়ার চেতনার কথা বললেও, আমরা নিজস্ব সংস্কৃতিকে সমুন্নত করার কথা বললেও তা যেন অবস্থার দৃষ্টিতে মনে হয় বাতকা কি বাত তথা কথার কথা। ইংরেজি নববর্ষ আমাদের স্কন্ধে সিন্দবাদের সেই দৈত্যটির মতো, সেই চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের মতো আষ্টেপৃষ্ঠে এমনভাবে চেপে বসে আছে যে, আমরা একে ছাড়তে পারছি না। ইংরেজি নববর্ষ আমাদের নতুন দিনের হিসাব শুরু করায়, যদিও চিঠিপত্রে বাংলা তারিখ উল্লেখ করার নির্দেশ রয়েছে, কিন্তু সেটাও কি কার্যত হচ্ছে?

আমরা যাকে ইংরেজী ক্যালেন্ডার বলি আদতে এর নাম গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার। ১৫৮২ খ্রিষ্টাব্দে রোমের পোপ ত্রয়োদশ গ্রেগরি প্রাচীন জুলিয়ান ক্যালেন্ডারটির সংস্কার সাধন করেন। এই গ্রেগরির নামে এই ক্যালেন্ডার গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার নামে পরিচিত হয়। এই ক্যালেন্ডার অনুযায়ী তারিখ লেখার শেষে যে এ.ডি, (অ.উ.) লেখা হয় তা লাতিন এ্যানো ডোমিনি -এর সংক্ষিপ্ত রূপ। এই এ্যানো ডোমিনির অর্থ আমাদের প্রভূত বছরে অর্থাৎ খ্রিষ্টাব্দ। ডাইওনিসিয়াম একমিগুয়াস নামক এক খ্রিষ্টান পাদ্রী জুলিয়ান ক্যালেন্ডারের ৫৩২ অব্দে যিশু খ্রিষ্টের জন্ম বছর থেকে হিসাব করে এই খ্রিষ্টাব্দ লিখন রীতি চালু করেন। সব মিলিয়ে বিদায়ী বছরটি ছিল বৈচিত্র্যময়।

পরিশেষে বলতে চাই, নববর্ষ মানেই সকলের মাঝে জাগায় প্রাণের নতুন স্পন্দন, নতুন আশা, নতুন সম্ভাবনা। বিগত বছরের সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনা পেছনে ফেলে নতুন বছরে অমিত সম্ভাবনার পথে এগিয়ে যাওয়া।আর নতুন বছরে আনন্দ, হৈ হুল্লোড় আর পুরনো সব কিছুকে বাদ দিতেই হবে এমন নয়। নতুন বছরকে সুস্থ সংস্কৃতি আর সুন্দর পরিবেশে উদযাপন করুন আপনজনের সাথে। ভালোবাসা আর প্রীতিময় শুভেচ্ছো ছড়িয়ে দিন মানুষের জন্য। হাসি ফোটান দুঃখী মানুষের মুখে। নতুন প্রত্যয়ে এগিয়ে চলুন নতুন আরো একটি বছরের হাত ধরে।নতুন বছর কাটুক সবাইকে নিয়ে সুস্থভাবে। দিনবদলের সাথে তাল মিলিয়ে সকলেই যেন হাঁটতে পারি নতুন আলোর পথে। তবুও আগামীর দিনগুলো হোক অনাবিল সুখ, সমৃদ্ধি আর শান্তির- এটাই ইংরেজি নববর্ষের প্রত্যাশা।


লেখক : কলাম লেখক ও গবেষক, প্রতিষ্ঠাতা, জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটি।

পাঠকের মতামত:

০৬ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test