E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শিরোনাম:

এসএসসি পরীক্ষা : সকল পরীক্ষার্থীদের প্রতি রইল শুভেচ্ছা

২০২৩ এপ্রিল ২৯ ১৬:৩৯:৩১
এসএসসি পরীক্ষা : সকল পরীক্ষার্থীদের প্রতি রইল শুভেচ্ছা

ডা. মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ


রবিবার (৩০ এপ্রিল) থেকে শুরু হচ্ছে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা ২০২৩। এবারের পরীক্ষায় মোট ২০ লাখ ৭২ হাজার ১৬৩ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবেন। ১০ লাখ ২১ হাজার ১৯৭ জন ছাত্র ও ১০ লাখ ৫০ হাজার ৯৬৬ জন ছাত্রী মোট ১১টি শিক্ষা বোর্ড থেকে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নেবেন। এ বছর এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় গত বছরের তুলনায় ৫০ হাজার ২৯৫ জন পরীক্ষার্থী বেড়েছে। এর মধ্যে বিজ্ঞানেই বেড়েছে ৩৭ হাজারের বেশি পরীক্ষার্থী। আর ছাত্রী বেড়েছে ৩৮ হাজার ৬০৯ জন। গতবার এসএসসি ও সমমানে মোট পরীক্ষার্থী ছিলেন ২০ লাখ ২১ হাজার।

জানা গেছে, নির্ধারিত দিনে সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত লিখিত পরীক্ষা চলবে। প্রথমে বহুনির্বাচনী এবং পরে রচনামূলক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষা শুরু ৩০ মিনিট আগে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে পরীক্ষার্থীদের। বহুনির্বাচনী ও রচনামূলক বা সৃজনশীলে আলাদা আলাদাভাবে পাস করতে হবে। পরীক্ষার্থীরা সাধারণ সায়েন্টিফিক ক্যালকুলেটর ব্যবহার করতে পারবেন। কেন্দ্র সচিব ছাড়া পরীক্ষা কেন্দ্রে অন্য কেউ মুঠোফোন ব্যবহার করতে পারবেন না। কেন্দ্রগুলোতে পরীক্ষার্থী ছাড়া ২০০ গজের মধ্যে জনসাধারণের প্রবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে পরীক্ষা দিতে অতিরিক্ত সময় পাবেন বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিক্ষার্থীরা। দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, সেরিব্রাল পালসিজনিত প্রতিবন্ধকতা ও হাত না থাকা বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিক্ষার্থীরা শ্রুতি লেখক সঙ্গে নিয়ে চলতি বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন। এ ধরনের পরীক্ষার্থীদের ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত ২০ মিনিট সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে। অটিস্টিক, ডাউন সিনড্রোম, সেরিব্রাল পালসিতে ভোগা পরীক্ষার্থীদের অতিরিক্ত ৩০ মিনিট সময় বৃদ্ধিসহ শিক্ষক, অভিভাবক, সাহায্যকারীর বিশেষ সহায়তায় পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ দেয়া হয়েছে।

৩০ এপ্রিল শুরু হয়ে ২৩ মে পর্যন্ত চলবে এসএসসির লিখিত পরীক্ষা। আর ২৪ থেকে ৩০ মের মধ্যে ব্যবহারিক পরীক্ষা নেয়া হবে। ৩০ এপ্রিল থেকে দাখিল পরীক্ষা শুরু হয়ে চলবে ২৫ মে পর্যন্ত। আর ২৭ মে থেকে ৩ জুনের মধ্যে দাখিলের ব্যবহারিক পরীক্ষা নেয়া হবে। ৩০ এপ্রিল থেকে এসএসসি ও দাখিল ভোকেশনালের লিখিত পরীক্ষা শুরু হয়ে চলবে ২৩ মে পর্যন্ত। ২৫ মে থেকে ৪ জুনের মধ্যে ব্যবহারিক পরীক্ষা এবং ৫ জুন থেকে ১৫ জন পর্যন্ত বাস্তব প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হবে। সুষ্ঠু ও নকলমুক্ত পরিবেশে পরীক্ষা আয়োজনে গত বুধবার থেকে সব কোচিং বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। আগামী ২৩ মে পর্যন্ত সব কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে।

পাবলিক পরীক্ষায় বিভিন্ন কেন্দ্রে বিশেষ পদাধীকারী কোনো সরকারি কর্মকর্তা বা ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের সন্তানকে বিশেষ সুবিধা দেয়ার অভিযোগ দীর্ঘদিনের। অনেকেই ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে পাবলিক পরীক্ষা বিশেষ সুবিধা নেন। তবে এবার ক্ষমতার দাপটে এসএসসির হলে বিশেষ সুবিধা পাওয়া যাবে না বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি বলেছেন, বিশেষ সুবিধা প্রাপ্য নন এমন কোনো শিক্ষার্থী বিশেষ সুবিধা পাবেন না। আমাদের ম্যানুয়ালে আছে এমন অসুস্থতার কারণে কোনো পরীক্ষার্থীর যদি বিশেষ সুবিধা পাওয়া সুযোগ না থাকে, তাহলে কোনো পদাধীকারী ব্যক্তির পুত্র বা কন্যা কোনোভাবেই সে সুবিধা পেতে পারেন না। অভিযোগ পাওয়া মাত্র ব্যবস্থা নেবো। এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় অনিয়ম করলে কাউকে কোনো ছাড় দেয়া হবে না বলেও জানিয়েছেন মন্ত্রী।

৯টি সাধারণ ধারার শিক্ষা বোর্ড থেকে এবার এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেবেন ১৬ লাখ ৪৯ হাজার ২৭৫ জন। তাদের মধ্যে ছাত্র ৭ লাখ ৭৯ হাজার ৮৭০ জন। আর ছাত্রী ৮ লাখ ৬৯ হাজার ৪০৫ জন। মোট ১৭ হাজার ৭৮৬টি স্কুল থেকে এসব শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেবেন। তারা ২ হাজার ২৪৪টি কেন্দ্র থেকে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় অংশ নেবেন।

দাখিল পরীক্ষায় অংশ নেবেন ২ লাখ ৯৫ হাজার ১২১ জন পরীক্ষার্থী। এদের মধ্যে ছাত্র ১ লাখ ৪৩ হাজার ৯৯৩ জন আর ছাত্রী ১ লাখ ৫১ হাজার ১২৮ জন। এবার ৯ হাজার ৮৫টি মাদরাসা থেকে পরীক্ষার্থীরা দাখিল পরীক্ষায় অংশ নেবেন। মোট ৭১৬টি কেন্দ্রে দাখিল পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি ও দাখিল ভোকেশনাল পরীক্ষায় অংশ নেবেন ১ লাখ ২৭ হাজার ৭৬৭ জন পরীক্ষার্থী। তাদের মধ্যে ছাত্র ৯৭ হাজার ৩৩৪ জন আর ছাত্রী ৩০ হাজার ৪৩৩ জন। মোট ২ হাজার ৯২৭টি কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে পরীক্ষার্থীরা এসএসসি ও দাখিল ভোকেশনাল পরীক্ষায় অংশ নেবেন। তারা মোট ৮৫০টি কেন্দ্রে এসএসসি ভোকেশনাল পরীক্ষায় অংশ নেবেন।

৯টি সাধারণ বোর্ডের মধ্যে ঢাকা বোর্ড থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেবেন ৪ লাখ ১৯ হাজার ৬৪৩ জন পরীক্ষার্থী। তাদের মধ্যে ছাত্র ১ লাখ ৯৬ হাজার ৮৯১ জন আর ছাত্রী ২ লাখ ২২ হাজার ৭৫২ জন। ৩ হাজার ২৬৯টি স্কুলের এসব শিক্ষার্থী ঢাকা বোর্ডের অধীনে থাকা ৪৩১টি কেন্দ্রে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেবেন।

রাজশাহী বোর্ড থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেবেন ২ লাখ ৫ হাজার ৮০২ জন পরীক্ষার্থী। তাদের মধ্যে ছাত্র ১ লাখ ৬ হাজার ২২৩ জন আর ছাত্রী ৯৯ হাজার ৫৭৯ জন। ২ হাজার ৬৭৮ টি স্কুলের এসব শিক্ষার্থী রাজশাহী বোর্ডের অধীনে থাকা ২৬৫ টি কেন্দ্রে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেবেন।

কুমিল্লা বোর্ড থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেবেন ১ লাখ ৮৫ হাজার ১০৬ জন পরীক্ষার্থী। তাদের মধ্যে ছাত্র ৭৭ হাজার ৪৫৬ জন আর ছাত্রী ১ লাখ ৭ হাজার ৬৪১ জন। ১ হাজার ৭৭৬ টি স্কুলের এসব শিক্ষার্থী কুমিল্লা বোর্ডের অধীনে থাকা ২৭২ টি কেন্দ্রে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেবেন।

যশোর বোর্ড থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেবেন ১ লাখ ৫৭ হাজার ৭৯৫ জন পরীক্ষার্থী। তাদের মধ্যে ছাত্র ৭৮ হাজার ৪৯৩ জন আর ছাত্রী ৭৯ হাজার ৩০২ জন। ২ হাজার ৫৪৮ টি স্কুলের এসব শিক্ষার্থী যশোর বোর্ডের অধীনে থাকা ২৯৩ টি কেন্দ্রে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেবেন।

চট্টগ্রাম বোর্ড থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেবেন ১ লাখ ৫৪ হাজার ৬৯১ জন পরীক্ষার্থী। তাদের মধ্যে ছাত্র ৬৮ হাজার ২২১ জন আর ছাত্রী ৮৬ হাজার ৪৭০ জন। ১ হাজার ১০৭ টি স্কুলের এসব শিক্ষার্থী এ বোর্ডের অধীনে থাকা ২১৬ টি কেন্দ্রে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেবেন।

বরিশাল বোর্ড থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেবেন ৯১ হাজার ৮০০ জন পরীক্ষার্থী। তাদের মধ্যে ছাত্র ৪৩ হাজার ৭২৭ জন আর ছাত্রী ৪৮ হাজার ৭৩ জন। ১ হাজার ৪৭৫ টি স্কুলের এসব শিক্ষার্থী এ বোর্ডের অধীনে থাকা ৯১টি কেন্দ্রে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেবেন।

সিলেট বোর্ড থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেবেন ১ লাখ ৯ হাজার ৮২০ জন পরীক্ষার্থী। তাদের মধ্যে ছাত্র ৪৫ হাজার ৩০৬ জন আর ছাত্রী ৬৪ হাজার ৫১৪ জন। ৯৩১ টি স্কুলের এসব শিক্ষার্থী বোর্ডের অধীনে থাকা ১৪৯ টি কেন্দ্রে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেবেন।

দিনাজপুর বোর্ড থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেবেন ২ লাখ ১ হাজার ৮০২ জন পরীক্ষার্থী। তাদের মধ্যে ছাত্র ১ লাখ ১ হাজার ৫৯৮ জন আর ছাত্রী ৯৯ হাজার ৭৬১ জন। ২ হাজার ৭০৩ টি স্কুলের এসব শিক্ষার্থী বোর্ডের অধীনে থাকা ২৭৭ টি কেন্দ্রে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেবেন।

ময়মনসিংহ বোর্ড থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেবেন ১ লাখ ২৩ হাজার ২৫৯ জন পরীক্ষার্থী। তাদের মধ্যে ছাত্র ৬১ হাজার ৯৪৬ জন আর ছাত্রী ৬১ হাজার ৩১৩ জন। ১ হাজার ২৯৯ টি স্কুলের এসব শিক্ষার্থী বোর্ডের অধীনে থাকা ১৫০ টি কেন্দ্রে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেবেন। আজকে লেখায় প্রথমে তুলে ধরছি পরিক্ষার ইতিহাস:-ছাত্রজীবনের সকল সুখকর মুহূর্ত গুলো যেই একটি শব্দ শোনার পর বিষাদে রূপ নেই, তারই নাম পরীক্ষা। অনেকের কাছে এটা এতটায় বিভীষিকাময় যে, পরীক্ষার নাম শুনলেই জ্বর চলে আসে। পরীক্ষার আবিষ্কারক কে নিয়ে চিন্তা করেননি এমন মানুষ খুব কমই আছেন। কমবেশি সকলেই আমরা আমাদের ছাত্রজীবনে প্রত্যেক পরীক্ষার আগে একবার হলেও সেই মানুষটিকে স্মরণ করি। একই সাথে তাকে যদি একবার সামনে পেতাম তাহলে তাকে যে কিভাবে শায়েস্তা করতাম সেই নীল নকশাও মনের অজান্তে করে ফেলি। কিন্তু এই ভয়ানক পরীক্ষা কে আবিষ্কার করেন, সেটা জানার আগে আমাদের জানতে হবে কিভাবে এই পরীক্ষা পদ্ধতির সূত্রপাত হয়েছে।

পরীক্ষা পদ্ধতি

পরীক্ষার পদ্ধতির সূত্রপাত হয়েছে প্রাচীন চীনে। জি! এটাও . চীনে সর্বপ্রথম মানসম্মত পরীক্ষা বা সার্বভৌম পরীক্ষার প্রচলন করা হয়। এই পরীক্ষার ছিল মূলত একটি বাছাই পরীক্ষা। যার মাধ্যমে সরকারি চাকরির জন্য যোগ্য প্রার্থীদের বাছাই করা হত। এই পরীক্ষা পদ্ধতি চালু হয় ৬০৫ খ্রিষ্টাব্দে। সুই রাজবংশ এই পদ্ধতি চালু করে। এর প্রায় ১৩০০ বছর পরে কুইং রাজবংশ ১৯০৫ খ্রিষ্টাব্দে এই পদ্ধতি বাতিল করে। কিন্তু ১৮০৬ সালে ইংল্যান্ড এই পরীক্ষা পদ্ধতি গ্রহণ করে এবং সরকারি বিভিন্ন কাজে প্রার্থী নিয়োগের জন্য এই পদ্ধতি অবলম্বন করে। পরবর্তীতে তারা ইংল্যান্ডের শিক্ষাব্যবস্থায় পরীক্ষা পদ্ধতির সংযোজন করে। এইভাবে আস্তে আস্তে বিভিন্ন দেশে পরীক্ষা পদ্ধতি ছড়িয়ে পড়ে এবং দেশে দেশে গ্রহনযোগ্যতাও পেতে থাকে। বিশ্বব্যাপী ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য পরীক্ষা পদ্ধতির সূচনা হয়। আসলে পরীক্ষা পদ্ধতি কবে থেকে প্রচলন হয়েছে সেটা যদি আমরা খেয়াল করি তাহলে দেখবো, আসলে আমরা যাকে পরীক্ষার জনক বলে আখ্যায়িত করছি তার জন্মের অনেক আগে থেকেই পরীক্ষার প্রচলন হয়েছে।

আধুনিক পরীক্ষা পদ্ধতি

পরীক্ষার সাথে এখন অনেক কিছু জড়িত। রুটিন, গ্রেড, জিপিএ কিংবা ফলাফল সবকিছুই পরীক্ষার সাথে সম্পর্কিত। তাই এই বিষয়গুলো কে আরো সহজ করতে দিন দিন নতুন নতুন পরীক্ষা পদ্ধতির সূচনা হচ্ছে। যেমন আগে পরীক্ষা মানেই ছিল বড় বড় করে প্রশ্নের উত্তর দেওয়া অনেকটা রচনার মত। এর পরে শুরু হল বহুনির্বাচনী প্রশ্নপদ্ধতি। যেখানে শুধু টিক দেওয়া লাগে বা বৃত্ত পূরণ করা লাগে। বিজ্ঞান শাখার ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে যেটি সবচেয়ে মজার পরীক্ষা সেটি হল ব্যবহারিক পরীক্ষা বা প্র্যাকটিকেল পরীক্ষা। যেখানে সবকিছু হাতে কলমে করতে হয়। তথ্যপ্রযুক্তির উন্নতির সাথে সাথে এখন পরীক্ষা অনেকক্ষেত্রে কম্পিউটার নির্ভর হয়ে গেছে। অনেক দেশে বর্তমানে সরাসরি কম্পিউটারের মাধ্যমে পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়। শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নতির সাথে সাথে পরীক্ষা পদ্ধতিতেও নতুন নতুন পরিবর্তন আসছে, যা শিক্ষার্থীদের জন্য খুবই উপকারি।আর ভবিষৎ বিবেচনা এবং উচ্চশিক্ষা গ্রহণের ক্ষেত্রে এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষা দুটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

এসএসসি পরীক্ষায় ভালো করার মাধ্যমে জীবন সিঁড়ির একটি ধাপ সফলভাবে ডিঙ্গিয়ে যেতে হবে। এ কথা যেমন সত্য তেমনি এ কথাও মনে রাখতে হবে, পরীক্ষা নিয়ে অহেতুক অস্বস্তি বা হতাশ হওয়ার কিছু নেই। আর সব পরীক্ষার মতোই এসএসসি একটি পরীক্ষা তবে এর গুরুত্ব একটু বেশি। এই গুরুত্বটুকু বুঝে সঠিকভাবে প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে।আর পরীক্ষায় কী করতে হবে, কীভাবে করতে হবে এ জন্য নিজেকে যাচাই করা প্রয়োজন। এ যাচাই প্রক্রিয়ার অন্যতম মাধ্যম হল শেষ সময়ে এসে অতি কমন প্রশ্নের উত্তর লেখা এবং শুদ্ধভাবে কত সময় নিয়ে লিখতে পারবে তা অনুধাবন করা। এ অনুধাবন চূড়ান্ত পরীক্ষায় ঠিক সময়ে শতভাগ উত্তর দিতে সহায়তা করতে পারে।

প্রতিটি পরীক্ষার আগের রাতেই সকালে বের হওয়ার জন্য সার্বিক প্রস্তুতি সেরে রাখতে হবে। অবশ্যই নিয়ম মেনে পরীক্ষার হলে প্রবেশ করতে হবে। পরীক্ষার খাতা হাতে পাওয়ার পর নির্ভুলভাবে প্রয়োজনীয় তথ্য পূরণ কর। এরপর খাতার প্রতিপৃষ্ঠায় ওপরে ও বাঁ পাশে আনুমানিক এক ইঞ্চি এবং নিচে হাফ ইঞ্চি জায়গা ফাঁকা রেখে পেনসিল দিয়ে মার্জিন করতে হবে। যদি এ মাপে খাতায় লেখা শুরু এবং শেষ করা যায় তবে মার্জিন না করলেও চলবে। শুদ্ধ, সুন্দর ও স্পষ্ট অক্ষরে উত্তর করবে, অহেতুক কাটাকাটি বা ওভাররাইটিং করবে না।

প্রয়োজনীয় উত্তর লেখার পরও সময় থাকলে রিভিশন কর এবং নির্দিষ্ট সময় খাতায় জমা দিয়ে হল ত্যাগ করতে হয়। আর প্রতিটি পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত হতে হবে সমান গুরুত্বের সঙ্গে।পরিশেষে বলতে চাই, দুই বছর ধরে অনেক পড়েছ, তাই পরীক্ষার আগের রাতে কম পড়লেও সমস্যা হবে না। শুধু পরীক্ষার আগের রাতে পড়েই ভালো পরীক্ষা দেয়ার মতো অবস্থা তৈরি হবে বলে আমি মনে করি না। পরীক্ষার আগের রাতে শুধু পৃষ্ঠা উল্টিয়ে পড়াগুলো রিভিশন দিবে। যাতে কী কী পড়েছ সেগুলো মস্তিষ্ককে স্মরণ করিয়ে দেয়া হয়।পরীক্ষার আগের রাতে ও পরীক্ষা চলাকালীন দিনগুলোতে খাবার-দাবারের দিকে বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে। অনেকে আছে যে বিরিয়ানি বা এ ধরনের ভারী খাবার পছন্দ করে- যা মোটেই পরীক্ষার সময় স্বাস্থ্যকর নয়।

আশা করি উপরের বিষয়গুলো শিক্ষার্থীরা যদি মেনে চলে এবং অভিভাবকরা যদি তাদের বোঝাতে সক্ষম হন, আসন্ন পরীক্ষায় শিক্ষার্থীরা আশানুরূপ ভালো ফলাফল অর্জন করতে পারবে।সর্বোপরি এস এস সি ও দাখিল পরীক্ষার সকল পরীক্ষার্থীদের প্রতি রইল শুভেচ্ছা, সবাই যেন তাদের সৃজনশীলতার পুরোটাই এই পরীক্ষায় ঢেলে দিয়ে নিজেদের মেধার বিকাশ ঘটায়।

লেখক : কলাম লেখক ও গবেষক।

পাঠকের মতামত:

০২ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test