বর্ষার মৌসুমে ডেঙ্গু রোগী বৃদ্ধি : আতঙ্ক নয় চাই জনসচেতনতা
ডা. মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ
বর্ষায় অনেকেই ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছেন। ডেঙ্গু জ্বরের উৎপত্তি ঘটে ডেঙ্গু ভাইরাসের মাধ্যমে। এই ভাইরাসের বাহক এডিস নামক স্ত্রী মশকী। এর কামড়েই ডেঙ্গু হয়। ডেঙ্গু জ্বরের জীবাণুবাহী মশা কোনো সুস্থ ব্যক্তিকে কামড়ালে ৩-১৩ দিনের মধ্যে জ্বরে আক্রান্ত হতে পারেন।
তবে জ্বর হলেই ধরে নেওয়া যাবে না সেটা ডেঙ্গু জ্বর। এর আলাদা কিছু লক্ষণ রয়েছে। যেগুলো শরীরে দেখা দিলে বুঝতে হবে সাধারণ জ্বর নয় বরং ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন।আর এডিস মশাবাহিত এ রোগটি প্রতিদিন কাড়ছে প্রাণ। শুধু বাংলাদেশে আগস্ট মাসে হাসপাতালে ভর্তি ও মৃত্যুর সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে সারাদেশে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৩৫ জনে। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় দুই হাজার ১৪৯ জন ডেঙ্গুরোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। বুধবার (১৬ আগস্ট) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ১৬ আগস্ট পর্যন্ত সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৯২ হাজার ২৪ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ৪৫ হাজার ২৩০ জন। আর ঢাকার বাইরের হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হয়েছেন ৪৬ হাজার ৭৯৪ জন।
এছাড়া এখন পর্যন্ত হাসপাতাল থেকে মোট ছাড়পত্র পেয়েছেন ৮২ হাজার ৪২৪ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ৪০ হাজার ৮৯৯ জন এবং ঢাকার বাইরের ৪১ হাজার ৫২৫ জন।
এর আগে ২০২২ সালে ডেঙ্গুতে ২৮১ জন মারা যান। ওই বছরের শেষ মাস ডিসেম্বরে ডেঙ্গুতে ২৭ জনের মৃত্যু হয়। একই সঙ্গে আলোচ্য বছরে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন ৬২ হাজার ৩৮২ জন। ২০২০ সালে করোনা মহামারিকালে ডেঙ্গু সংক্রমণ তেমন একটা দেখা না গেলেও ২০২১ সালে সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হন ২৮ হাজার ৪২৯ জন। একই বছর দেশব্যাপী ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ১০৫ জনের মৃত্যু হয়েছিলবাংলাদেশে ডেঙ্গু একটি পুনরাবির্ভূত রোগ হিসেবে গণ্য। সাম্প্রতিক (২০০০) বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদন মোতাবেক এদেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ বিস্ফোরক পর্যায়ে আছে। বিশ্বজুড়েই বাড়ছে ডেঙ্গুর প্রকোপ আর চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছাতে পারে রেকর্ড সর্বোচ্চ। এর অন্যতম কারণ হতে পারে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন ও জলবায়ুর পরিবর্তন।
সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এ উদ্বেগের কথা জানিয়েছে।মূলত বিশ্বজুড়েই বাড়ছে ডেঙ্গুর প্রকোপ। ২০০০ সালের পর ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দ্বিগুণ হয়ে ২০২২ সালে দাঁড়ায় ৪২ লাখে। ইউরোপে আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে ডেঙ্গু রোগী। পেরুর অধিকাংশ অঞ্চলে জারি করা হয়েছে জরুরি অবস্থা।এদিকে বেশ কিছু অঞ্চল ও দেশে ডেঙ্গু ভ্যাকসিনের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাজ্য, ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, ইন্দোনেশিয়া ও থাইল্যান্ড।যুক্তরাষ্ট্রে এফডিএ মাত্র একটি ডেঙ্গু ভ্যাকসিনের অনুমোদন দিয়েছে। তবে তা সব বয়সীদের জন্য নয়।২০১৯ সালে ডেঙ্গু জ্বরকে দশম স্বাস্থ্য ঝুঁকির তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। ডেঙ্গুর ঝুঁকি যে অঞ্চলে বেশি সেখানে বিশ্বের প্রায় অর্ধেক মানুষের বসবাস। প্রতি বছর বিশ্বের ৪০ কোটি মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়।এই মুহূর্তে ডেঙ্গু মোকাবিলায় হিমশিম খাচ্ছে পেরু। এর আগে দেশটি কখনো এত ডেঙ্গু রোগীর সম্মুখীন হয়নি।
পেরুর কায়েটানো হেরেডিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন স্কুলের সহযোগী অধ্যাপক ড. কোরালিথ গার্সিয়া বলেন, ডেঙ্গু রোগী এখন শহর এলাকায় বেশি দেখা যাচ্ছে, যা আগে ছিল না।বিশেষজ্ঞরা উষ্ণ তাপমাত্রা ও ভারী বৃষ্টিপাতকে দায়ী করেছেন। কিন্তু লিমা বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মরুভূমি শহর হওয়ার পরেও ডেঙ্গু ব্যাপকভাবে বিস্তার হচ্ছে। কারণ শহরটির জনসংখ্যা এত বেশি যে, এখানে যেকোনো কিছু ঘটতে পারে।
ডেঙ্গুর মূলত তিনটি ধাপ। প্রথম ধাপ বা ‘ফেব্রাইল ফেজ’। দ্বিতীয় ধাপে ‘ক্রিটিক্যাল ফেজ’ এবং তৃতীয় ধাপে রিকভারি বা ক্রমশ সুস্থ হওয়ার সময়। এই তিনটি ধাপের মধ্যে দ্বিতীয় ধাপ সবচেয়ে কঠিন।
১৯৮২-৮৩ সালের মধ্যে পরিচালিত ঢাকা মহানগরের স্কুলের শিশুদের মধ্যে পরিচালিত এক জরিপে সর্বমোট ২,৪৫৬ রক্তের নমুনার মধ্যে ২৭৮টিতে ডেঙ্গুর লক্ষণ ধরা পড়ে। ১৯৮৪-৮৬ সালে ঢাকা শহরের হাসপাতাল থেকে সংগৃহীত রক্তের ২১টি নমুনার সবগুলিতেই সংক্রমণের অস্তিত্ব পাওয়া গিয়েছিল।১৯৯৭ সালে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বহির্বিভাগে চিকিৎসার জন্য আসা প্রায় ১১% রোগীর (২৫০ জনের মধ্যে ২৭ জন) মধ্যে ডেঙ্গু অ্যান্টিজেনের পজিটিভ অ্যান্টিবডি টাইটার ধরা পড়েছিল। ১৯৯৯ সালে ঢাকার মহাখালির স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে, বিভিন্ন জেলা থেকে পাঠানো সন্দেহজনক রক্তের নমুনা পরীক্ষা করে ২৪১টির মধ্যে ৯৮টিতে ডেঙ্গুর অস্তিত্ব পেয়েছিল। উক্ত ইনস্টিটিউট প্রদত্ত বিস্তারিত তথ্যে এগুলির মধ্যে কয়েকটি রক্তক্ষরা ডেঙ্গুরও তথ্য ছিল। ঢাকা শহরের চিকিৎসকদের দেওয়া তথ্য থেকেও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক রক্তক্ষরা ডেঙ্গুর অস্তিত্বের কথা জানা গেছে ২০১৯ সালে ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব মোকাবেলা করছে বাংলাদেশ।
এর আগে বাংলাদেশের ইতিহাসে এক মৌসুমে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এত রোগী কখনই হাসপাতালে ভর্তি হয়নি। এমনকি এই সংখ্যা গত ১৯ বছরে দেশে মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত সংখ্যার দ্বিগুণেরও বেশি।স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের তথ্য মতে, ২০১৮ সালে দেশে সর্বোচ্চ ১০ হাজার ১৪৮ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন। গত ১৯ বছরে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া মোট রোগী ৫০ হাজার ১৭৬ জন।২০০২ সালে দেশে প্রথম ব্যাপকভাবে ডেঙ্গু রোগী দেখা যায়। সে সময় ৫ হাজার ৫১১ রোগী ভর্তি হয়েছিল। ২০০১ সালে ডেঙ্গুর প্রকোপ কিছুটা কমলেও ২০০২ সালে রোগীর সংখ্যা ছয় হাজার ছাড়িয়ে যায়। এরপর থেকে ক্রমান্বয়ে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকে।প্রধানত এশিয়ার গ্রীষ্মমন্ডলীয় এলাকার একটি ভাইরাসঘটিত সংক্রামক ব্যাধি। ডেঙ্গু ভাইরাস গোত্রভুক্ত, যার প্রায় ৭০ ধরনের ভাইরাসের মধ্যে আছে ইয়োলো ফিভার ও কয়েক প্রকার এনসেফালাইটিসের ভাইরাস। ডেঙ্গুজ্বরের অনুরূপ একটি রোগের মহামারীর প্রথম তথ্য পাওয়া যায় ১৭৭৯ ও ১৭৮০ সালে চিকিৎসা সংক্রান্ত বইপুস্তকে।
ঊনবিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকে কলকাতায় প্রথম ডেঙ্গুজ্বর শনাক্ত হয়। ১৮৭১-৭২ সালে এ রোগ মহামারী আকারে দেখা দেয়। ওই সময় থেকে এ রোগের প্রকোপ এ উপমহাদেশে প্রায়শই ঘটে। ১৯৩৯-৪৫ সাল থেকে গোটা মহাদেশে ১০ থেকে ৩০ বছর পর পর ডেঙ্গুজ্বর দেখা দিতে থাকে। কোনো একটি বিশেষ স্থানে বারবার ডেঙ্গুর মহামারী দেখা দিত না। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের সময় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় বহু ডেঙ্গু ভাইরাস সেরোটাইপের সহসঞ্চালন দেখা দেয় এবং মহামারীর ঘটনা বৃদ্ধি পায়। ক্যারিবীয় অঞ্চল (১৯৭৭-১৯৮১), দক্ষিণ আমেরিকা (১৯৮০ সালের শুরুতে), প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল (১৯৭৯) এবং আফ্রিকায় ব্যাপক আকারে ডেঙ্গু মহামারী দেখা দেয় যাতে লক্ষ লক্ষ মানুষ আক্রান্ত হয়। রক্তক্ষরা ডেঙ্গুজ্বর এবং ডেঙ্গু শক সিনড্রমের প্রথম প্রাদুর্ভাব ঘটে ১৯৫৩-৫৪ সালে ম্যানিলায় এবং ১৯৭৫ সালের মধ্যে নিয়মিত বিরতিসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বেশির ভাগ দেশে। ১৯৮০ ও ১৯৯০ সালে মহামারী আকারে রক্তক্ষরা ডেঙ্গু ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ ও পূর্বদিকে চীনে ছড়িয়ে পড়ে। রক্তক্ষরা ডেঙ্গুজ্বর ও শক-সিনড্রম ডেঙ্গু এখন এশিয়ায় হাসপাতালে ভর্তি ও শিশুমৃত্যুর একটি প্রধান কারণ।
ডেঙ্গুজ্বরের বাহক মশা
চার প্রকারের ডেঙ্গু ভাইরাস ১.২.৩.৪ হলো ডেঙ্গু ও রক্তক্ষরা ডেঙ্গুর কারণ এবং এগুলি প্রতিজনীভাবেও ঘনিষ্ঠ। যে কোনো একটি সেরোটাইপ বিশেষ কোনো ভাইরাসের বিরুদ্ধে আজীবন প্রতিরোধ ক্ষমতা দেয়, কিন্তু অন্য ভাইরাসগুলির বিরুদ্ধে নয়। উষ্ণমন্ডলীয় ওউপ-উষ্ণমন্ডলীয় শহরাঞ্চলীয় চক্রেই ডেঙ্গু ভাইরাস স্থিতি লাভ করে। এজন্যই শহুরে লোকদের মধ্যেই রোগটি বেশি। মানুষের আবাসস্থলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দিনের বেলায় দংশনকারী মশা এসব ভাইরাসের বাহক। কোনো কোনো অঞ্চলে অন্যান্য প্রজাতি মশাও সংক্রমণ ঘটায়। রোগীকে দংশনের দুই সপ্তাহ পর মশা সংক্রমণক্ষম হয়ে ওঠে এবং গোটা জীবনই সংক্রমণশীল থাকে।
ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ
* ডেঙ্গুজ্বর ডেঙ্গু-ভাইরাসের সংক্রমণ উপসর্গবিহীন থেকে নানা রকমের উপসর্গযুক্ত হতে পারে, এমনকি তাতে মৃত্যুও ঘটে। সচরাচর দৃষ্ট ডেঙ্গুজ্বর, যাকে প্রায়ই ক্লাসিক্যাল ডেঙ্গু বলা হয়, সেটি একটি তীব্র ধরনের জ্বর যাতে হঠাৎ জ্বর হওয়া ছাড়াও থাকে মাথার সামনে ব্যথা, চক্ষুগোলকে ব্যথা, বমনেচ্ছা, বমি এবং লাল ফুসকুড়ি। প্রায়ই চোখে প্রদাহ এবং মারাত্মক পিঠব্যথা দেখা দেয়। এসব লক্ষণ ৫-৭ দিন স্থায়ী হয় এবং রোগী আরও কিছুদিন ক্লান্তি অনুভব করতে পারে এবং এরপর সেরে ওঠে।
বেশির ভাগ সংক্রমণই, বিশেষত ১৫ বছরের কমবয়সী শিশুর ক্ষেত্রে, সম্পূর্ণ লক্ষণহীন অথবা ন্যূনতম লক্ষণযুক্ত হতে পারে। ত্বকে স্ফোট দেখা দেয় প্রায় ৫০% ক্ষেত্রে, যা প্রথমে হাতে, পায়ে এবং পরে ঘাড়ে ছড়ায়। জ্বর চলাকালীন সময় মুখ, গলা বা বুক রক্তাভ দেখায়।ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর চোখে রক্তক্ষরণ।
* রক্তক্ষরা ডেঙ্গুজ্বর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রধানত শিশুদের একটি রোগ। রক্তক্ষরা ডেঙ্গু হলো ডেঙ্গুর একটি মারাত্মক ধরন। মূল লক্ষণগুলি বয়স নির্বিশেষে সকলের ক্ষেত্রেই অভিন্ন। এ ডেঙ্গুজ্বরের শুরুতে হঠাৎ দেহের তাপ বেড়ে যায় (৩৮০-৪০০ সে) এবং ২ থেকে ৭ দিন পর্যন্ত চলে। রক্তক্ষরণ বা ডেঙ্গু-শক সাধারণত ৩ থেকে ৭ দিনের মধ্যে দেখা দেয়। এতে থাকে মাথাব্যথা, ক্রমাগত জ্বর, দুর্বলতা এবং অস্থিসন্ধি ও মাংসপেশীর তীব্র ব্যথা। শ্বাসযন্ত্রের ঊর্ধ্বাংশের সংক্রমণসহ রোগটি হালকাভাবে শুরু হলেও আচমকা শক ও ত্বকের অভ্যন্তরে রক্তক্ষরণ ও কান দিয়ে রক্তপাত শুরু হয়ে যায়। রক্তে ক্রমাগত অনুচক্রিকা কমতে থাকে এবং রক্তের বর্ধমান রক্তবিকেন্দ্রক প্রবণতা থেকে আসন্ন শকের ইঙ্গিত পাওয়া যায়। রক্তক্ষরা ডেঙ্গুরোগীর প্রয়োজন উত্তম সেবাশুশ্রূষা ও পর্যবেক্ষণ, কেননা উপরিউক্ত পরিবর্তনগুলি খুব দ্রুত ঘটতে পারে এবং রোগীর অবস্থা সঙ্কটজনক হয়ে উঠতে পারে।
* ডেঙ্গু-শক সিনড্রম এটি রক্তক্ষরা ডেঙ্গুরই আরেকটি রকমফের, তাতে সঙ্কুচিত নাড়িচাপ, নিম্ন রক্তচাপ অথবা সুস্পষ্ট শকসহ রক্তসঞ্চালনের বৈকল্য থাকে। দেহের বাইরে থেকে যকৃত স্পর্শ করা যায় ও নরম হয়ে ওঠে এবং উৎসেচকগুলিতে সাধারণত অস্বাভাবিকতা দেখা দেয়, তবে কদাচিৎ জন্ডিস হয়ে থাকে। অন্যান্য উপসর্গের মধ্যে রয়েছে অব্যাহত পেটব্যথা, থেকে থেকে বমি, অস্থিরতা বা অবসন্নতা এবং হঠাৎ জ্বর ছেড়ে ঘামসহ শরীর ঠান্ডা হওয়া ও দেহ সম্পূর্ণ নেতিয়ে পড়া।মহামারী নতুন জাতের ভাইরাস ও সেরোটাইপ দেখা দেওয়ায় ডেঙ্গুর মহামারী আক্রান্ত দেশের সংখ্যা ১৯৮০ ও ১৯৯০ সালের মধ্যে দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে।
১৯৮০ সালের পূর্বে মারাত্মক ধরনের সংক্রমণ খুব কমই দেখা গেছে। কিন্তু ১৯৯৭ সালের মধ্যেই রক্তক্ষরা ডেঙ্গু বাংলাদেশসহ উষ্ণমন্ডলীয় ও উপ-উষ্ণমন্ডলীয় দেশগুলিতে একটা স্বতন্ত্র রোগ হিসেবে বড় কয়েকটি এবং ছোট ছোট অনেকগুলি মহামারী ঘটায়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাব অনুযায়ী বিশ্বব্যাপী ডেঙ্গু নাটকীয়ভাবে বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে। প্রতি বছর আক্রান্ত প্রায় ৫০ লক্ষ রোগীর মধ্যে অন্তত ৫ লক্ষ রক্তক্ষরা ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয় যাদের একটা বড় অংশই শিশু এবং মারা যায় শতকরা প্রায় পাঁচ জন। বিশ্বব্যাপী ডেঙ্গুর এ পুনরাবির্ভাব এবং রক্তক্ষরা ডেঙ্গু উৎপত্তির মূলে আছে নজিরবিহীন জনসংখ্যা বৃদ্ধি, অপরিকল্পিত ও অনিয়ন্ত্রিত নগরায়ণ, বিমান ভ্রমণ বৃদ্ধি, মশক দমনের অভাব এবং গত ৩০ বছরে জনস্বাস্থ্যের কাঠামোর অবনতি।
কখন ডাক্তার দেখাবেন?
যদিও ডেঙ্গু জ্বরের নির্দিষ্ট কোনো চিকিৎসা নেই। এই জ্বর সাধারণত নিজে থেকেই ভালো হয়ে যায়। তাই উপসর্গ অনুযায়ী সাধারণ চিকিৎসাই যথেষ্ট। তবে কিছু লক্ষণ দেখলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে-
* শরীরের যে কোনো অংশ থেকে রক্তপাত হলে।
* প্লাটিলেটের মাত্রা কমে গেলে।
* শ্বাসকষ্ট হলে বা পেট ফুলে পানি আসলে।
* প্রস্রাবের পরিমাণ কমে গেলে।
* জন্ডিস দেখা দিলে।
* অতিরিক্ত ক্লান্তি বা দুর্বলতা দেখা দিলে।
* প্রচণ্ড পেটে ব্যথা বা বমি হলে।
ডেঙ্গু থেকে বাঁচার উপায় কি?
প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধই উত্তম। শুধু উত্তম বললেও কম বলা হয়। এটাই বাঁচার ভাল উপায়। করোনার এই নাকাল অবস্থায় কারো ডেঙ্গু হলে অবস্থাটা কি হতে পারে এটা যার হবে সেই বুঝতে পারবে। তবে যার হয়নি সেও চিন্তা করলে মাথা ঠিক থাকার কথা না। তাই ডেঙ্গু থেকে বাঁচতে মশার প্রজনন বন্ধ করা আর মশা নির্মুলের কোন বিকল্প নাই। পানি জমতে পারে এমন কোন অবস্থাই যেন না হয় সেটা খেয়াল রাখতে হবে। সকল প্রকারের ডাবের খোসা, গাড়ির টায়ার, ভাঙ্গা বোতল, পরিত্যক্ত ফুলের টব ইত্যাদি ইত্যাদি সবই সরিয়ে ফেলতে হবে নিজ উদ্যোগেই। সরকারের একার পক্ষে ১৭ কোটি মানুষের ভাঙ্গা বোতল, গ্লাস, ডাবের খোসা, বালতি, টায়ার খুঁজে বের করা বা সরিয়ে ফেলা সম্ভব না। বাঁচতে হলে যার যার নিজ উদ্যোগেও এগুলোতে অংশগ্রহন করতে হবে। মনে রাখবেন, আপনার বাড়ির পাশের মশা আপনাকেই আক্রমণ করবে।
ডেঙ্গু প্রতিরোধ ও প্রতিকারে ঘরোয়া পরামর্শ: ডেঙ্গু প্রতিরোধ ও প্রতিকারে কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি ব্যবহার করা যেতে পারে!
* মধুঃ-প্রতিদিন সেবনে ইমিউন সিস্টেম উন্নত করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
* কালিজিরা তেলঃ-কালিজিরা বা কালিজিরা তেলকে বলে সকল রোগের মহৌষধ! তবে প্রতিদিন ৩ চা চামচের বেশি খাওয়া ঠিক নয়! আগে কখনো না খেয়ে থাকলে আধা চামচ করে শরীরে এডজাস্ট করে নিতে পারেন! যে কোনো পেশেন্ট ও গর্ভবতী মহিলা সেবনের আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিন
*নিমের তেলঃ-বাড়িতে মশার উপদ্রব থেকে বাঁচতে পানির সাথে নিমের তেল মিশিয়ে স্প্রে করা যেতে পারে।এছাড়া ১০-১৫ ফোটা নিম তেল আধা কাপ নারকেল তেলের সঙ্গে মিশিয়ে গায়ে লাগালেও মশারা আর ধারে কাছে ঘেঁষবে না।
* নারকেল তেল: নারকেল তেল গায়ে লাগালে মশারা কাছে ঘেষে না ।
* হলুদের গুড়ো: হলুদের মধ্যে প্রোটিন, ভিটামিন, খনিজ লবণ, ফসফরাস, ক্যালসিয়াম, লোহা প্রভৃতি নানা পদার্থ রয়েছে। তাই হলুদ খেলে শরীরে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। প্রতিদিন দুধ বা পানির সাথে হলুদের গুঁড়ো বা রস মিশিয়ে খাওয়া অভ্যাস করলে অনেকটাই সুস্থ থাকা সম্ভব। হলুদ সাধারনত বিভিন্ন রান্নায় পরিমাণমতো ব্যবহার করা হয়! তা ছাড়া সরাসরি সেবন করা যায়, তবে অবশ্যই মাত্রাতিরিক্ত নয়! পেশেন্ট, বিভিন্ন ওষুধ সেবনকারী ও গর্ভবতী মহিলারা সেবনের আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
* দুধ,কলা, ডিম: এগুলোকে সুষম খাদ্য বলা হয়! প্রতিদিন সেবনে সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত হয় ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে! অনেকের এসকল খাদ্যে এলার্জি থাকে অথবা বিভিন্ন রোগ (যেমনঃ কিডনি রোগ, ল্যাকটোজ ইনটলারেন্স ইত্যাদি) এ দুধ একটি নিষিদ্ধ খাদ্য।
* পেঁপে এবং পেঁপে পাতা: পেঁপে খুব দ্রুত রক্তের প্লাটিলেটের পরিমাণ বাড়াতে সক্ষম। মালয়েশিয়ার এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলোজির একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, ডেঙ্গু জ্বরের কারণে রক্তে প্লাটিলেটের পরিমাণ কমে গেলে পেঁপে পাতার রস তা দ্রুত বৃদ্ধি করে। রক্ত প্লাটিলেটের পরিমাণ কমে গেলে প্রতিদিন পেঁপে পাতার রস কিংবা পাকা পেঁপের জুস পান করুন।
* ড্রাগন ফল: ড্রাগন ফলে আছে প্রচুর এন্টিওক্সিডেন্ট! এটি ব্লাডের সাদা সেল (WBC) বাড়াতে সাহায্য করে।
* মিষ্টি কুমড়া এবং কুমড়া বীজঃ-মিষ্টি কুমড়া রক্তের প্লাটিলেট তৈরি করতে বেশ কার্যকরী। এছাড়াও মিষ্টি কুমড়াতে আছে ভিটামিন এ যা প্লাটিলেট তৈরি করতে সহায়তা করে। তাই রক্তের প্লাটিলেটের সংখ্যা বাড়াতে নিয়মিত মিষ্টি কুমড়া এবং এর বীজ খেলে উপকার পাওয়া যায়।
* লেবু: লেবুর রসে প্রচুর ভিটামিন সি থাকে। ভিটামিন সি রক্তে প্লাটিলেট বাড়াতে সহায়তা করে। এছাড়াও ভিটামিন সি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়িয়ে তোলে। ফলে প্লাটিলেট ধ্বংস হওয়া থেকেও রক্ষা পায়।
* দেশী মাছ: দেশি বিভিন্ন মাছ (যেমনঃ কই, শিং, মাগুর, শোল, বাইন, ছোট মাছ, পাঁচ-মিশালী মাছ ইত্যাদি) শরীরে রক্ত বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে।
করণীয়: ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীকে উচ্চ তাপমাত্রা রোধ করতে শরীর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মুছে দিতে হবে। শরীর বেশি ঠাণ্ডা মনে হলে খাবার স্যালাইন দিতে হবে। হেমোরেজিক ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীকে হাসপাতালে নিতে হবে। তাকে পূর্ণ বিশ্রামে রেখে বেশি করে পানি খেতে দিতে হবে। এছাড়া গ্লুকোজ, ভাতের মাড়, বার্লি, ডাবের পানি, দুধ/হরলিকস, বাসায় তৈরি স্যুপ ইত্যাদি খেতে পারেন।
হোমিও প্রতিবিধান
রোগ নয় রোগীকে চিকিৎসা করা হয় এই জন্য একজন অভিজ্ঞ চিকিৎসককে ডা. হানেমানের নির্দেশিত হোমিওপ্যাথিক নিয়মনীতি অনুসারে ডেঙ্গুরোগ সহ যে কোন জটিল ও কঠিন রোগের চিকিৎসা ব্যক্তি স্বাতন্ত্র্য ভিওিক লক্ষণ সমষ্টি নির্ভর ও ধাতুগত ভাবে চিকিৎসা দিলে আল্লাহর রহমতে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা পদ্ধতিতে ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসা সম্ভব।
হোমিও চিকিৎসা
অভিজ্ঞ চিকিৎসক গন প্রাথমিক ভাবে যেই সব মেডিসিন ব্যবহার করে থাকেন, একোনাইট, বেলেডোনা, ব্রায়োনিয়া, রাসটক্স, ইউপেটেরিয়াম পার্ফ, আর্সেনিক এলবাম, কার্বোভেজ, ইপিকাক, সালফার সহ আরো অনেক ঔষুধ লক্ষণের উপর আসতে পারে, তাই মনে রাখবেন হোমিওপ্যাথি একটি লক্ষণ নির্ভর চিকিৎসা ব্যবস্থা। এক্ষেত্রে মানুষভেদে ওষুধ বদলে যায়। তাই রোগের তীব্রতা খুব বেশি থাকলে নিজে থেকে ওষুধ না খেয়ে একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
লেখক : কলাম লেখক ও গবেষক।
পাঠকের মতামত:
- নড়াইলে বৃষ্টির জন্য ইস্তিস্কার নামাজ
- হাসপাতালগুলোতে ডাক্তার না থাকায় অনেককে শোকজ, নেয়া হচ্ছে ব্যবস্থা
- কক্সবাজার সৈকতে হিটস্ট্রোকে পর্যটকের মৃত্যু
- তীব্র তাপপ্রবাহে বেঁকে হয়ে যাচ্ছে রেললাইন, দুর্ঘটনার আশংকা
- পাবনা এডওয়ার্ড কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত হলো ইসতিসকা নামাজ ও বিশেষ দোয়া
- যোগারদিয়া বিদ্যালয়ের সভাপতি নির্বাচিত হলেন সোহেল রানা ফরহাদ
- বাগেরহাটে ট্রাক চাপায় তিন ভ্যানযাত্রী নিহত
- ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগের পদ পেলেন সুবর্ণ সন্তান জাহিদ
- দিনাজপুরে ইকো ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট নিয়ে আঞ্চলিক কর্মশালা
- বাংলাদেশ তঞ্চঙ্গ্যা সম্প্রদায়ের মহা সম্মেলনে সভাপতি দিপ্তীময় তালুকদার সম্পাদক মৃনাল তঞ্চঙ্গ্যাঁ
- ফরিদপুর ডুমাইনের ইউপি চেয়ারম্যান-মেম্বারকে ধরতে পুরস্কার ঘোষণা জেলা প্রশাসকের
- চিফ হিট অফিসারের নিয়োগ নিয়ে যা বললেন মেয়র আতিক
- রবিবার খুলছে প্রাথমিক বিদ্যালয়, বন্ধ থাকবে প্রাক-প্রাথমিক
- ‘বিএনপি ১ কোটি লোক নিয়ে নামলেও আন্দোলন সফল হবে না’
- তাপদাহ কমাতে পানি ছিটাচ্ছে ডিএনসিসি
- বৃষ্টি কামনায় মোহাম্মদপুরে জাপার বিশেষ মোনাজাত
- ‘ডিয়ার মা’ হচ্ছেন জয়া আহসান
- গাজায় শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি হামলায় শিশুসহ নিহত ১৫
- রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার ১৭
- ‘পরের জন্মে আমি বাংলার কোনও মায়ের কোলে জন্মগ্রহণ করবো’
- ‘শেরে বাংলার কর্মপ্রচেষ্টা নতুন প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে’
- যুক্তরাজ্যের তেলবাহী জাহাজে হুতিদের মিসাইল হামলা
- ‘বিএনপির ইতিহাসে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কোনো নজির নেই’
- ঢাকায় সামরিক কর্তৃপক্ষ ১৪৮নং সামরিক বিধি জারি করে
- ছোটরা ভুল করতে করতে শিখবে
- ওরা ভস্মমুখ
- রূপকথার গল্প
- দেশ-জনগণের জন্য কাজ করতে আ.লীগকর্মীদের প্রতি আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
- ‘মানবসম্পদ উন্নয়নে উচ্চশিক্ষার বিকল্প নেই’
- দুর্নীতি মামলায় তদন্তের মুখে মাহাথির মোহাম্মদ
- টানা ২৭ দিন ধরে তাপপ্রবাহ, ৭৬ বছরের মধ্যে রেকর্ড
- নড়াইলে জমজমাট ঘুড়ি উৎসব অনুষ্ঠিত
- ‘বর্তমান সরকারের আমলে পাহাড়ে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে’
- শনিবার ১২ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না রাজধানীর যেসব এলাকায়
- বাংলাদেশ যুব ঐক্য পরিষদ ফরিদপুর জেলা শাখার ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন
- বৈদ্যুতিক পাখা মেরামত করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে একজনের মৃত্যু
- শ্রীনগরে মসিউর রহমান মামুনের উঠান বৈঠক অব্যাহত
- কাপাসিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আনারস মার্কার প্রার্থীর গণসংযোগ
- কালুখালী থেকে অস্ত্র-গুলিসহ ২ সন্ত্রাসী গ্রেফতার
- সাঁথিয়ায় অগ্রনী ব্যাংকের ভোল্ট থেকে ১০ কোটি টাকা উধাও, গ্রেফতার ৩
- রোহিঙ্গাদের কারণে কক্সবাজারে দীর্ঘস্থায়ী খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা : এফএসআইএন
- নড়াইলের পানচাষী কার্তিকের স্বপ্ন পুড়ে ছাই
- গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে বাংলাদেশ, প্রধানমন্ত্রীর সফরে চোখ সবার
- চাল আমদানি না করায় সাশ্রয়ী হয়েছে ডলার
- তীব্র তাপদাহে পথচারী ও গরীব মানুষের পাশে যুবলীগ
- ফরিদপুরে ইসলামী আন্দোলনের বিক্ষোভ মিছিল সমাবেশ
- সালথায় বৃষ্টির জন্য বিশেষ নামাজ আদায়
- ডিলারের সাথে খাদ্য কর্মকর্তার বিরোধে চাল পাচ্ছে না ৫০০ ওএমএস কার্ডধারী
- উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় ৭৩ জনকে বহিষ্কার করলো বিএনপি
- চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ ৪২.৭ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড
- জেনে নিন কে এই 'প্রিন্স ড. মুসা বিন শমসের' !
- জেনে নিন কে এই 'প্রিন্স ড. মুসা বিন শমসের' !
- এবারও মেডিকেল ভর্তি কোচিংয়ের ফাঁদে শিক্ষার্থীরা
- এবারও মেডিকেল ভর্তি কোচিংয়ের ফাঁদে শিক্ষার্থীরা
- সিলেটের ভ্রমণ কাহিনী
- শুধু প্রভাবশালীদের পক্ষেই আইন!
- অম্ল-মধুর যন্ত্রণায় অপু বিশ্বাস
- লাইন ধরে খেতে হয় লিখনের জগা খিচুড়ি !
- আমার বোন শেখ হাসিনাকে খোলা চিঠি : চিনে নিন কে এই বরকত!
- 'ইতিহাসের ইতিহাস'
- ধনী হওয়ার আট কার্যকর উপায়
- মেয়ে পটানোর কৌশল!
- লক্ষাধিক রাখাইন জনগোষ্ঠী আড়াই হাজারে নেমে এসেছে
- উত্তরাধিকার ৭১ নিউজের নতুন যাত্রা ১ বৈশাখ
- লোভী মানুষ চেনার সহজ উপায়
- আমায় ক্ষমা কর পিতা : পর্ব ১৪'তোমার সহজাত উদারতা তোমাকে আকাশের সীমানায় উন্নীত করলেও তোমার ঘনিষ্ঠ অনেকের প্রশ্নবিদ্ধ আচরণ তোমার নৃশংস মৃত্যুর পথে কোনই বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি'
- বাংলা বই পড়ার ওয়েবসাইট
- শাকিবের নায়িকা শ্রাবন্তী, অপুর নায়ক জিৎ
- মঠবাড়িয়ায় ৯ বছরের শিশুকে পাশবিক নির্যাতনের পর হত্যা
- হুমায়ূনের মৃত্যুর কারণ মদের পার্টি !
- দেশে ফিরছেন তারেকস্ত্রী জোবায়দা রহমান
- বোরকা পরা মেয়ের গণধর্ষণের ভিডিও নিয়ে সিলেটে তোলপাড়
- ইউটিউবে নায়লার আত্মপ্রকাশ
- নেপালের ভূমিকম্প প্রাকৃতিক নয়, যুক্তরাষ্ট্রের সৃষ্টি !
- বিএনপির আন্দোলন হচ্ছে দলের অভ্যন্তরে !