E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

প্রীতিলতার আত্মদান-দেশপ্রেম আর সাহসিকতার অনন্য দৃষ্টান্ত

২০২৩ সেপ্টেম্বর ২৪ ১৬:১০:১২
প্রীতিলতার আত্মদান-দেশপ্রেম আর সাহসিকতার অনন্য দৃষ্টান্ত

গোপাল নাথ বাবুল


১৮ এপ্রিল, ১৯৩০ সালে চট্টগ্রাম যুব বিদ্রোহের অন্যতম পরিকল্পনা ছিল পাহাড়তলী ইউরোপিয়ান ক্লাব আক্রমণ। কিন্তু গুড ফ্রাইডের কারণে সেদিনের ঐ পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়। চট্টগ্রাম শহরের উত্তর দিকে পাহাড়তলী রেল স্টেশনের কাছে এ ক্লাবটি ছিল ব্রিটিশদের প্রমোদকেন্দ্র। পাহাড়তলীর এ ক্লাবের চারিদিকে প্রহরী বেষ্টিত ছিল। একমাত্র শেতাঙ্গরা ব্যতীত এবং ক্লাবের কর্মচারি, বয়-বেয়ারা, দারোয়ান ছাড়া এদেশিয়দের ঐ ক্লাবে প্রবেশ নিষিদ্ধ ছিল। ক্লাবের সামনে সাইনবোর্ডে লেখা ছিল,“ডগ এন্ড ইন্ডিয়ান প্রহিবিটেড”। 

সন্ধ্যা হতেই ইংরেজ সাহেব-মেমরা এ ক্লাবে এসে মদ খেয়ে নাচ-গান ও আনন্দ উল্লাসে মেতে ওঠতো। আত্মগোপনকারী বিপ্লবীরা ইউরোপিয়ান ক্লাব আক্রমণের জন্য ১৯৩২ সালের ১০ আগষ্ট শৈলেশ্বর চক্রবর্তীর নেতৃত্বে সাতজনের একটা দল নতুনভাবে পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। কিন্তু ঐ দল ব্যর্থ হয়। এরপর মাষ্টারদা ১৯৩২ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর বিপ্লবী কল্পনা দত্তের নেতৃত্বে ইউরোপিয়ান ক্লাব আক্রমণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। কিন্তু ৭ দিন আগে পুরুষবেশি কল্পনা দত্ত গ্রেফতার হলে দায়িত্ব পড়ে প্রীতিলতার উপর। এজন্য চৌকষ ও সাহসিদের নিয়ে ৭ জনের (বিপ্লবী বিরেশ্বর রায়, শান্তি চক্রবর্তী, প্রফুল্ল দাস, কালী কিংকর দে, মহেন্দ্র চৌধুরী, সুশীল দে ও পান্না সেন) একটা দল গঠন করা হয়। কাট্টলীর সমুদ্রতীরে প্রীতিলতাসহ অন্যান্য বিপ্লবী আক্রমণকারীদের যথাযথ অস্ত্রশিক্ষা দেওয়া হয়।

রাত ১০টা ৪৫ মিনিট। পুরুষবেশি প্রীতিলতার পরনে ছিল মালকোঁচা দেওয়া ধূতি আর পাঞ্জাবী, চুল ঢাকা দেওয়ার জন্য মাথায় সাদা পাগড়ি, পায়ে রবার সোলের জুতা। অন্যদের পোষাক ছিল ধূতি, শার্ট ও লুঙ্গি। ক্লাবের একজন বাবুর্চির সহায়তায় বিপ্লবীরা আগেভাগেই সব খবর পেয়েছিলেন বিধায় রিভলবার, রাইফেল, বোমা ও ভেজালি নিয়ে দলনেতা প্রীতিলতার বাঁশির হুইশেল শোনার সাথে সাথে ক্লাবের তিনদিক থেকে ‘বন্দে মাতরম’ ধ্বনি দিয়ে আক্রমণ শুরু করেন। ঘন ঘন গুলি আর বোমার আঘাতে পুরো ক্লাব প্রচন্ড কেঁপে উঠছিল। ক্লাব ঘরের সব বাতি নিভে যাওয়ার কারণে অন্ধকারের মধ্যে প্রায় চল্লিশজন ইউরোপীয়ান ছুটোছুটি করতে লাগল।

সফলভাবে অভিযান শেষ করে দলের নেতা হিসেবে প্রীতিলতা সবাইকে বের করে নিজে বের হলেন শেষে। সবাই নির্বিঘেœ চলে গেলেন। হঠাৎ ক্লাবের ভিতর থেকে একটা গুলি এসে প্রীতিলতার বুকে লাগে। পুলিশের হাতে ধরা পড়লে অপমান ও লাঞ্চিত হতে হবে। তাই রক্তাক্ত অবস্থায় দলের সবাইকে নিরাপদে পাঠিয়ে দিয়ে শত্রুর হাতে বন্দী এড়াতে ‘সায়ানাইড’ (বিষ) খেয়ে আত্মাহুতি দেন। পুলিশের রিপোর্ট অনুযায়ী সেদিনের এ আক্রমণে মিসেস সুলিভান নামে একজন মহিলা নিহত হন এবং চারজন পুরুষ ও সাতজন নারী আহত হন।

ভারতীয় নারীদের বিপ্লবের পথে অনুপ্রাণিত করতে তিনি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বলে তাঁর মায়ের কাছে লেখা শেষ চিঠিতে তিনি লিখে যান। মৃত্যুর আগেরদিন অজ্ঞাতবাস থেকে ক্ষমা চেয়ে মাকে লেখা তাঁর শেষ চিঠিতে প্রীতিলতা লিখেছিলেন্, দেশের স্বাধীনতা যজ্ঞে অনেক পুত্র প্রাণ দিয়েছে, কিন্তু কোনও কন্যা এখনও প্রাণ দেয়নি। তাঁদের অনুপ্রেরণা দিতেই মৃত্যুবরণ করছেন তিনি। তাঁর এই ত্যাগ, সমর্পণ হোক দেশের চলার পথে পাথেয়।

যে বাঙালি নারীরা আজীবন গৃহের কোণে পড়ে থেকে কেবলই সন্তান জন্ম দেওয়া আর সাংসারিক কাজকর্মে আত্মনিবেশ করেন, সে নারীকে তিনি চিনিয়েছেন দেশের জন্য, বিপ্লবের জন্য একটি জীবনকে কতখানি মহিমান্বিত করা যায়। তাই আজও কোনও আদর্শ ও দেশপ্রেমিক নারী বিপ্লবের কথা লেখা হলে সবার আগে আসে বীর চট্টলার অগ্নিকন্যা প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারের নাম। কারণ, বাঙালি নারীদের তিনি দেখিয়েছেন, এক জন্মের কর্মে কীভাবে মানুষের হৃদয়ের মণিকোঠায় স্থান করে নিতে হয়।

প্রীতিলতার সাথে প্রথম সাক্ষাতের বর্ণনাতে মাষ্টারদা লিখেছেন, “তার চোখেমুখে একটা আনন্দের আভাস দেখলাম। এতদূর পথ হেঁটে এসেছে, তার জন্য তার চেহারায় ক্লান্তিকর কোনো চিহ্নই লক্ষ্য করলাম না। যে আনন্দের আভা তার চোখেমুখে দেখলাম, তার মধ্যে আতিশয্য নেই, ফিকলেন্স নেই, সিনসিরিটি শ্রদ্ধার ভাব তার মধ্যে ফুটে উঠেছে। একজন উচ্চ শিক্ষিত কালচার্ড লেডি একটি পর্ণকুটিরের মধ্যে আমার সামনে এসে আমাকে প্রণাম করে উঠে বিনীতভাবে আমার সামনে দাঁড়িয়ে রইল। মাথায় হাত দিয়ে নীরবে তাকে আশীর্বাদ করলাম। তার এ্যাকশন করার আগ্রহ সে পরিস্কার ভাবেই জানাল। বসে বসে যে মেয়েদের অর্গানাইজ করা, অর্গানাইজ চালানো প্রভৃতি কাজের দিকে তার প্রবৃত্তি নেই, ইচ্ছেও নেই বলে।”

তিনদিন ধরে বিপ্লবীদের গোপন জায়গা ধলঘাট গ্রামে সাবিত্রী দেবীর বাড়িতে অবস্থানকালে নির্মল সেনের কাছে আগ্নেয়াস্ত্র ট্রিগারিং এবং টার্গেটিং এর উপর প্রীতিলতা প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন এবং এ বাড়িতে অবস্থানকালে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ক্যাপ্টেন ক্যামরুনের নেতৃত্বে ব্রিটিশ সৈন্যরা বাড়িটি ঘিরে ফেলে। মাষ্টারদা সূর্যসেনের নেতৃত্বে বিপ্লবীরা প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। এ যুদ্ধে শহীদ হন বিপ্লবী নির্মল সেন ও অপূর্বসেন। অন্যদিকে ক্যাপ্টেন ক্যামরুন নিহত হন। মাষ্টারদা সূর্যসেন ও প্রীতিলতা পালিয়ে যেতে সক্ষম হন।

৫ মে, ১৯১১ সালে জন্মগ্রহণ করা এ বীরকন্যা বেড়ে ওঠে চট্টগ্রাম জেলার বর্তমান পটিয়া থানার অন্তর্গত ধলঘাট গ্রামের মামার বাড়িতে। ডাক নাম ছিল রানী আর ছদ্মনাম ছিল ফুলতার। বাবার নাম ছিল জগৎবন্ধু ওয়াদ্দেদার এবং মায়ের নাম ছিল প্রতিভা ওয়া্েদ্দদার। ছয় ভাইবোনের মধ্যে ছিল প্রীতিলতা দ্বিতীয়। বাবা জগৎবন্ধু ছিলেন চট্টগ্রাম মিউনিসিপ্যালটির হেড ক্লার্ক ও গৃহশিক্ষক। মা ছিলেন হোমিওপ্যাথি ডাক্তার ও গৃহিনী। পড়াশুনায় গভীর মনোযোগী ডাঃ খাস্তগীর স্কুলে ইংরেজি মাধ্যমে পড়ার সময় প্রীতিলতার প্রিয় শিক্ষক ছিলেন ঊষাদি। তিনি প্রীতিলতাকে পাঠ্যবই পড়ার পাশাপাশি বিভিন্ন বীর নারীদের জীবনী পড়তে দিতেন। একদিন দিলেন ‘ঝাঁসির রানী’ বইটি। পুরুষের বেশে ঘোড়ায় চড়ে খোলা তরবারি হাতে ইংরেজদের বিরুদ্ধে যুদ্ধক্ষেত্রে দাঁড়িয়ে ঝাঁসির রানী লক্ষীবাঈ বলেছিলেন,“মেরি ঝাঁসি নেহি দুঙ্গি”। ঝাঁসির রানীর এ বীরত্বপূর্ণ কথাটি প্রীতিলতাকে দারুণভাবে উত্তেজিত করেছিল।

এছাড়া ১৯২৪ সালে বেঙ্গল অর্ডিন্যান্স নামক এক জরুরি আইনে বিপ্লবীদের বিনা বিচারে আটক করা শুরু হয়। চট্টগ্রামেও অনেক বিপ্লবীকে কারারুদ্ধ করা হয়। তখন বিপ্লবী সংগঠনের ছাত্রদের অস্ত্রশস্ত্র, সাইকেল, বইপত্র গোপনে রাখার ব্যবস্থা করতে হত। প্রীতিলতার নিকটাত্মীয় বিপ্লবী দলের কর্মী পূর্ণেন্দু দস্তিদার সরকার কর্তৃক বাজেয়াপ্ত কিছু গোপন বই প্রীতিলতাকে রাখতে দেন। দশম শ্রেণির ছাত্রী প্রীতিলতা লুকিয়ে পড়ে ফেলেন ক্ষুদিরাম, কানাইলাল আর বাঘা যতীনের জীবনী।

আর একজন বিপ্লবী রামকৃষ্ণ বিশ্বাস। তাঁর গাম্ভীর্যপূর্ণ চাউনি, খোলামেলা কথাবার্তা, নিঃসঙ্গচিত্তে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করা, ইশ্বরের প্রতি অচল ভক্তি, শিশুসুলভ সারল্য, দরদী মন এবং প্রগাঢ় উপলব্ধিবোধ প্রীতিলতার উপর গভীর রেখাপাত করে। আত্মাহুতি দিতে প্রস্তুত এ স্বদেশপ্রেমি যুবকের সংগে যোগাযোগ তাঁর জীবনের পরিপূর্ণতাকে অনেক খানি এগিয়ে দেয়। ১৯৩১ সালের ৪ আগষ্ট চাঁদপুরের তারিনী মুখার্জী হত্যা মামলায় রামকৃষ্ণ বিশ্বাসের ফাঁসির ঘটনা প্রীতিলতার জীবনে এক আমূল পরিবর্তন নিয়ে আসে এবং বিপ্লবী কর্মকান্ডে সরাসরি যুক্ত হবার আকাঙ্খা অনেকখানি বাড়িয়ে দেয়। এ ছাড়া ঢাকায় ১৯২৮ সালের ভয়াবহ সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার সময় ইংরেজদের আচরণে প্রীতিলতা খুবই মর্মাহত হন এবং ইংরেজদের শাসন ব্যবস্থার বিরুদ্ধে কিছু একটা করার লক্ষ্যে উদীপ্ত হন।

ঢাকা ইডেন কলেজে পড়ার সময় তিনি লীলা নাগ (রায়) প্রতিষ্ঠিত ‘দিপালী সংঘ’-এ যোগ দিয়ে লাঠি খেলা ও ছুরি চালানো শিখেন। নিয়মিত ব্যায়াম চর্চাও করতেন। লীলা নাগ শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের লেখা ‘স্বরাজ সাধনায় নারী’ প্রবন্ধসহ বিভিন্ন নারী বিপ্লবীদের বই পড়িয়ে প্রীতিলতার মনে বিপ্লবের বীজ রোপণ করে দেন। ১৯৩০ সালে বেথুন কলেজে পড়ার সময় তিনি বিপ্লবীদের গৌরবময় জীবনাদর্শ ও বিপ্লবের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে বিপ্লবী দলে আত্মনিবেদিত হন। ফলে পড়াশুনায় ব্যাঘাত ঘটায় তিনি ইংরেজিতে অর্নাস পড়া বাদ দিয়ে ১৯৩২ সালে ডিস্টিংশনসহ বিএ পাশ করেন। এরপর চট্টগ্রাম এসে নন্দকানন বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে শিক্ষকতা শুরু করেন। বিপ্লবী দলে যোগদানের আগ্রহের ফলে প্রশ্নের সম্মুখিন হয়ে তাঁর এক দাদা বিপ্লবী পূর্ণেন্দু দস্তিদারকে বলেন,‘নাটোরের রানী যা পেরেছিলেন, চাটগাঁর রানী (প্রীতিলতার ডাক নাম) কী সে বীরত্বের কাজ করতে পারে না ?’

এরপর বিপ্লবী দলে যোগদানে প্রীতিলতার আগ্রহের কথা পূর্ণেন্দু দস্তিদার মাষ্টারদা সূর্যসেনকে বললে সূর্যসেন সম্মতি জ্ঞাপন করলে আরেক বিপ্লবী নির্মল সেনের মাধ্যমে ১৯৩২ সালের মে মাসের এক রাতে এক ছোট্ট কুটিরের অঙ্গনে বিপ্লবী জীবনের আরাধ্য মাষ্টারদা সূর্যসেনের সাথে দেখা হয় এবং দীর্ঘপ্রতিক্ষিত সময়ের অবসান ঘটে।

আজ বড়–ই দুঃখের সাথে বলতে হচ্ছে, পুরো ভারতবাসির মুক্তির জন্য এবং ইউরোপীয়ান ক্লাবে ‘কুকুর ও ভারতীয়দের প্রবেশ নিষেধ’ এর বিরুদ্ধে লড়াই করে আত্মাহুতি দিয়েছিলেন যে সাহসি মেয়েটি, সে প্রীতিলতার নামে একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী হল, পাহাড়তলীতে অযত্নে থাকা একটা আবক্ষ মূর্তি ও ধলঘাটে স্মৃতি স্মারক ছাড়া আর কীইবা আছে ? পাকিস্তান আমলে বৃটিশবিরোধী আন্দোলনের তীর্থক্ষেত্র, ইতিহাসের উৎপত্তিস্থল, প্রীতিলতার স্মৃতিবিজড়িত ও রক্তে রঞ্জিত চট্টগ্রামের পাহাড়তলীতে অবস্থিত ‘ইউরোপীয়ান ক্লাব’টিকে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের কার্যালয় বানিয়েছিল।

স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম হয়েছে আজ প্রায় ৫২ বছর। এ দীর্ঘ সময়েও বাংলাদেশ সরকার ঐতিহাসিক স্থানটিকে সংরক্ষণের উদ্যোগ নেয়নি যা খুবই দুঃখজনক। ক্লাব’টির বর্তমান অবস্থা খুবই ভঙ্গুর ও জরাজীর্ণ। ক্লাবটি এবং প্রীতিলতার আবক্ষ মূর্তিটি ধুলোবালিতে একাকার। নেমপ্লেটে ইউরোপিয়ান ক্লাবের বেশ কয়েকটি অক্ষর খসে পড়েছে। যেন দেখার কেউ নেই। অথচ বিপ্লবী প্রীতিলতার স্মৃতিবিজড়িত ‘ইউরোপীয়ান ক্লাব’টি দ্রুত সংরক্ষণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে গত ২৪ আগস্ট সংসদ ভবনে রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির ২৯তম বৈঠকে কমিটির সভাপতি এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী নির্দেশ দিয়েছিলেন, যা এখনও বাস্তবায়ন হয়নি। এ ছাড়াও ২০২২ সালের জানুয়ারিতে এ ক্লাবটিকে জাদুঘর করার ঘোষণা দেওয়া হলেও অদ্যাবধি সে ঘোষণারও প্রতিফলন ঘটেনি।

পরিশেষে ক্লাবটিকে ‘প্রীতিলতা স্মৃতি জাদুঘর’ ঘোষণার বাস্তবায়ন ও সংসদীয় কমিটির নির্দেশ অনুযায়ী দ্রুত সংরক্ষণের দাবি জানাচ্ছি এবং বৃটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম নারী মুক্তিযোদ্ধা ও প্রথম বিপ্লবী মহিলা শহীদ ব্যক্তিত্ব মাত্র ২১ বছর বয়সে যিনি তৎকালীন চট্টগ্রামের পাহাড়তলী ইউরোপিয়ান ক্লাব আক্রমণ করে সারা বৃটিশ রাজশক্তির ভীত কাঁপিয়ে দিয়েছিলেন, ২৪ সেপ্টেম্বর সেই সাহসী বীর প্রসবিনী চট্টলার বীরকন্যা প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারের ৯১তম মৃত্যুবার্ষিকীতে গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করছি।

লেখক : শিক্ষক ও কলামিস্ট।

পাঠকের মতামত:

০৭ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test