E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

আন্তর্জাতিক কন্যা শিশু দিবস

কন্যা শিশুদের অধিকার ও মানসিক বিকাশে আমাদের করণীয়

২০২৩ অক্টোবর ১০ ১৮:২৬:২৮
কন্যা শিশুদের অধিকার ও মানসিক বিকাশে আমাদের করণীয়

ডা. মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ


বাংলাদেশে জাতীয় কন্যা দিবস ছাড়াও জাতিসংঘের এক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রতিবছর সারাবিশ্বে পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক কন্যাশিশু দিবস ২০২৩। প্রতিবছর ১১ অক্টোবর আজকের এই দিনে দিবসটি পালন করে থাকে বিশ্ববাসী। দিবসটি মেয়েদের দিন হিসেবেও পরিচিত। মেয়েদের শিক্ষার অধিকার পুষ্টি সহায়তা ও ন্যায় অধিকার, চিকিৎসা সুবিধা ও বৈষম্য থেকে সুরক্ষা নারীর বিরুদ্ধে হিংসা ও বলপূর্বক বাল্যবিবাহ বন্ধে কার্যকর ভূমিকা পালনের উদ্দেশ্যে এই দিবসের সূচনা হয়। ২০১২ সালে সারা বিশ্বব্যাপী এ দিবসটি পালন করা শুরু হলেও বাংলাদেশে এর পরের বছর অর্থাৎ ২০১৩ সাল থেকে “বিশ্ব কন্যা শিশু দিবস” পালন করা হচ্ছে।এই বছর আন্তর্জাতিক মেয়ে দিবসের ১১তম বার্ষিকী উদযাপন করা হচ্ছে। 

উল্লেখ্য যে শিশুদের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও সচেতনতা সৃষ্টির জন্য আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বছরের একাধিকবার বিভিন্ন নামে শিশু দিবস পালন করা হয়। এর পাশাপাশি বিশ্বের বিভিন্ন দেশগুলো বিভিন্ন সময় নিজেদের মতো করে পালন করে জাতীয় শিশু দিবস। যেমন আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে ২৪ জানুয়ারি “জাতীয় কন্যা শিশু দিবস” উদ্‌যাপন করে থাকে। এর বাইরে ভারত জাতিসংঘ ঘোষিত ১১ অক্টোবর “আন্তর্জাতিক কন্যা শিশু দিবস”ও পালন করে থাকে।

জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে পৃথিবীতে প্রায় এক কোটি মেয়ে বাল্যবিবাহের ঝুঁকিতে রয়েছে। স্বল্পোন্নত দেশের প্রায় অর্ধেক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মেয়েদের জন্য আলাদা টয়লেট নাই।অথচ বিদ্যালয়ে মেয়েদের উপস্থিতির জন্যে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ। নির্যাতনের শিকার মেয়েদের মধ্যে দেখা গেছে, ৭২% যৌন নির্যাতনের শিকার হয়।

অপরদিকে নির্যাতনের শিকার ছেলেদের মধ্যে ৬৬% প্রধানত জোরপূর্বক শ্রমের শিকার হয়। অনেক মেয়ে/কন্যা/ শিশু শিক্ষাগ্রহণের ক্ষেত্রে বৈষম্যের শিকার হচ্ছে।সারা বিশ্বে মেয়েরা শিক্ষাগ্রহণ, শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা এবং নির্যাতন বা সহিংসতামুক্ত জীবনযাপনের জন্য প্রয়োজনীয় সুরক্ষার ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে। প্রতিবন্ধী মেয়েরা বিভিন্ন ধরনের সহায়তা এবং সেবা/পরিসেবাগুলো পেতে অতিরিক্ত বাঁধার সম্মুখীন হচ্ছে।আর জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, গত এক দশকে মেয়েদের অধিকারসংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোতে সকলের মনোযোগ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং অনেক উন্নতি সাধন করেছে।

বর্তমানে বিশ্বজুড়ে ১১০ কোটিরও বেশি মেয়ে ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত। প্রতিদিন মেয়েরা বাল্যবিবাহ, শিক্ষা গ্রহণে বৈষম্য, সহিংসতা বা নির্যাতন, কোভিড ১৯ ও জলবায়ু পরিবর্তনজনিত দুর্যোগ এবং অপ্রতুল/ অসম স্বাস্থ্যসেবার মতো সমস্যা/চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলা করে চলছে।

তাদের অদম্য ইচ্ছা ও প্রচেষ্টায় তারা সে সমস্ত বাধা ও সীমাবদ্ধতাগুলো দূর করে সাফল্যের সহিত সামনে এগিয়ে চলছে।

মেয়েরা প্রমাণ করছে তারা অপ্রতিরোধ্য। বিশ্বের ৬০ কোটি কিশোরী মেয়েরা বার বার দেখিয়েছে যে দক্ষতা এবং সুযোগগুলো দেওয়া হলে, তারা তাদের নিজ নিজ দেশের/ জনগোষ্ঠীর অগ্রগতির চালিকাশক্তি ও পরিবর্তনকারী হতে পারে। এমনকি তারা নারী, ছেলে এবং পুরুষসহ সকলের জন্য শক্তিশালী চালিকাশক্তি হয়ে উঠতে পারে। যেমন, যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য এবং অধিকার সম্পর্কে সচেতনতা বেড়েছে। নারী নির্যাতন প্রতিরোধ ও বাল্য বিবাহ বন্ধে কিছুটা অগ্রগতি হয়েছে।

মাসিক নিয়ে ট্যাবু বা বিধি নিষেধগুলোতে কিছুটা পরিবর্তন এসেছে যেমন, মাসিক হলে একসাথে খাবার খাওয়া (আগে একসাথে খেতে দিতো না), একসাথে ঘুমানো (আগে আলাদা করে মেঝেতে ঘুমাতে হতো) পুষ্টিকর খাবার খাওয়া (আগে টক, মাছ, ডিম খেতে নিষেধ করতো) ইত্যাদি। আর এখন অনেক পরিবারে বাবা মেয়ের জন্য প্যাড কিনে দিচ্ছে অথচ আগে লজ্জায় এ বিষয়ে কোন কথা বলা যেতো না। অবশ্য এখনো অনেক পরিবারে মাসিক নিয়ে কিছুটা কুসংস্কার চর্চা রয়েছে। মেয়েরা নিজ হাতে পুন:ব্যবহারযোগ্য স্যানিটারি প্যাড তৈরি করে ব্যবহার করছে যা স্বাস্থ্যসম্মত মাসিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনায় অনেক গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।মেয়ে/কন্যা শিশুদের অধিকার পরিপূরণ, চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং সম্ভাবনাগুলো অর্জন করতে :- নিম্নে কিছু সুপারিশ দেওয়া হলো:

কন্যা শিশুদের করণীয়

* নিজে অধিকার সম্পর্কে সচেতন হতে হবে এবং অন্যকে সচেতন করতে হবে;

* অদম্য ইচ্ছা শক্তিকে কাজে লাগিয়ে দক্ষতা অর্জন করতে হবে এবং সুযোগগুলোকে সদ্ব্যবহার করতে হবে;

* নিজের জীবনের সাথে সংশ্লিষ্ট/ স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সোচ্চার হতে হবে এবং নিজের মতামতকে প্রকাশ করতে হবে।

মা-বাবা ও অভিভাবকদের করণীয়

* মেয়ের/ কন্যা শিশুর প্রয়োজনগুলো শুনতে হবে, বুঝতে হবে এবং তাদের যেকোন প্রয়োজনে সাড়া দিতে হবে বা সাহায্য করতে হবে;

* মেয়ের/কন্যা শিশুর জীবনের সাথে জড়িত যেকোন বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে তার মতামত শুনতে হবে, তার মতামতকে গুরুত্ব দিতে হবে এবং তাকে সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করতে হবে;

* মেয়ে/ কন্যা শিশুকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জায়গায় সব সময় স্বাগত জানাতে হবে;

* মেয়ে/কন্যা শিশুকে সকল ক্ষেত্রে সমান অধিকার পরিপূরণে অঙ্গীকারবদ্ধ থাকতে হবে, কেননা, সমস্ত মেয়ে এবং ছেলেদের একই অধিকার রয়েছে এবং প্রত্যেকের একটি মর্যাদাপূর্ন জীবনযাপনের সুযোগ থাকা উচিত;

* শিক্ষা গ্রহনের ক্ষেত্রে মেয়ে ও ছেলে শিশুর উভয়কে সমান সুযোগ দিতে হবে।

সরকারি ও বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাসমূহের করণীয়

* মেয়ে/ কন্যা শিশুকে সব ধরনের নির্যাতন বা সহিংসতা থেকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্যে সচেষ্ট থাকতে হবে;

* সম্ভাব্য সর্বোত্তম স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে হবে বা সর্বোত্তম স্বাস্থ্যসেবা পেতে সহায়তা করতে হবে।

* সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মেয়েদের জন্য আলাদা স্বাস্থ্যসম্মত ও মাসিক বান্ধব টয়লেট এর ব্যবস্থা করতে হবে;

* সকল ক্ষেত্রে মেয়েদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে হবে এবং নেতৃত্ব বিকাশ ও সম্ভাবনাগুলো অর্জনের জন্য পর্যাপ্ত বিনিয়োগ করতে হবে;

* উন্নয়ন কর্মসূচিসমূহে মেয়েদেরকে কেন্দ্রবিন্দুতে রেখে উন্নয়ন পরিকল্পনা তৈরি ও বাস্তবায়ন করতে হবে।

কেন পালন করা হয় দিনটি?

মেয়েদের প্রতি দিনের চ্যালেঞ্জগুলি মোকাবিলা করার এবং মেয়েদের ক্ষমতায়ন এবং তাঁদের অধিকারের পরিপূর্ণতা দেওয়ার লক্ষ্যেই এই দিনটি পালন করা হয়।

কন্যা শিশু দিবস নিয়ে বিভ্রান্তি

আমাদের দেশে শিশুদের জন্য বেশ কয়েকটি দিবস উদ্‌যাপন করা হয়। শিশু বিষয়ে একাধিক দিবস থাকায় অনেকের কাছে বিভ্রান্তি তৈরি হয়। যেমন আমাদের দেশে কন্যা শিশু দিবস মোট ৩ দিন বা ৩ বার উদ্‌যাপন করা হয়। তাই ইন্টারনেট ঘাঁটাঘাঁটি করে নিজের এবং অন্যদের সেই বিভ্রান্তি দূর করার চেষ্টা থেকে এই লেখা। চলুন দিবসগুলো সম্পর্কে সংক্ষেপে জেনে নেই।

বিভ্রান্তি যেভাবে তৈরি হলো?

বিগত কয়েক বছর পূর্বে ভারতে সেপ্টেম্বর মাসের শেষ নাগাদ “কন্যা দিবস” উদ্‌যাপন করতে দেখা যায়। ভারতীয়দের সাথে মিল রেখে আমাদের দেশেও ব্যক্তি পর্যায়ে (বিশেষত ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে) সেপ্টেম্বর মাসের শেষ রবিবার কন্যা শিশু দিবস পালনের প্রচলন শুরু হয়। যা উপরে উল্লিখিত তিনটি দিবসের বাহিরে পালন করা হচ্ছে। কিন্তু দিবসটি মোটেও ভারত বা বাংলাদেশের “জাতীয়” বা জাতিসংঘ ঘোষিত “আন্তর্জাতিক কন্যা শিশু দিবস” নয়। এই দুই দেশেও জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দুটি কন্যা শিশু দিবস উদ্‌যাপন করা হয়। তাই নতুনভাবে আরেকটি দিবস পালনের কোনো যৌক্তিকতা নেই বরং এটি উদ্‌যাপন এর ফলে আমাদের মূল দিবস দুটি তার গুরুত্ব হারাচ্ছে বলে আমি মনে করি।

কারা তৈরি করলো এই বিভ্রান্তি?

সেপ্টেম্বর মাসের শেষ রবিবার যে কন্যা দিবস উদ্‌যাপন করা হয় তা মূলত শুরু করে “আর্কিস লিমিটেড” নামে ভারতীয় শুভেচ্ছা কার্ড নির্মাণকারী একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। তারা কন্যা শিশু সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে দিবসটি সৃষ্টি করেছে বলে দাবি করলেও এটি মূলত তাদের কার্ডের ব্যবসা বাড়াতে একটি প্রচারণা বলে অনেকে মনে করেন। ফলে দিবসটি ভারতে জাতীয় দিবসের মর্যাদা পায়নি। কিন্তু “আর্কিস লিমিটেড সুচতুর ভাবে “আন্তর্জাতিক কন্যা শিশু দিবস” দাবি করে। উল্লেখ্য জাতিসংঘ ঘোষিত “আন্তর্জাতিক কন্যা দিবস ১১ অক্টোবর, যা ২০১২ সাল থেকে উদ্‌যাপিত হচ্ছে এবং ভারত সরকার কর্তৃক ঘোষিত জাতীয় কন্যা দিবস ২৪ জানুয়ারি যা ২০০৮ সাল থেকে ভারতে উদ্‌যাপন হচ্ছে। বাংলাদেশে ২০০০ সাল থেকে ৩০ সেপ্টেম্বরকে “জাতীয় কন্যা শিশু দিবস” হিসেবে পালন করে। তাহলে আমাদের দেশে হঠাৎ করে সেপ্টেম্বও মাসের শেষ রবিবার কন্যা দিবস পালনের যৌক্তিকতা কোথায়?

সমস্যা কোথায়?

প্রতি বছরের এবছরও সেপ্টেম্বরের শেষ রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) অবাক হয়ে লক্ষ করলাম আমাদের কয়েকজন সংসদ সদস্য থেকে শুরু সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকতা, সরকারি বেসরকারি কলেজ- বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, রাজনীতিবিদসহ সাধারণ মানুষ সবাই ২২ সেপ্টেম্বর (শেষ রবিবার) কন্যা দিবস দাবি করে ফেসবুকে ছবি পোস্ট করেছে। অর্থাৎ সবাই একটি “ভুয়া কন্যা দিবস” পালন করেছে। কেউ একজন বলেছে আজ কন্যা দিবস অমনি গুজবে বাঙালি ঝাঁপিয়ে পড়েছে কন্যা দিবস পালনে। কেউ যাচাই করার প্রয়োজন মনে করলো না। অনেকটা চিলে কান নিয়েছের মত অবস্থা। আচ্ছা, কন্যা দিবস পালন না হয় ভালো কিছু। এমনিভাবে কত গুজবে গাঁ ভাসাই তার হিসেব আছে কি আমাদের কাছে। আমাদের এসব গুজবে “তুবা” মনি’রা মা হারায়। আমি কন্যা দিবস পালনের বিরোধী না, তবে ভুয়া কন্যা দিবস পালনের বিরোধী।

তাহলে সমাধান কী?

বিগত বছরগুলোতে এবং এই বছর ইন্টারনেটে অনেকগুলো সাইট ঘাঁটাঘাঁটি করে এসব তথ্য সংগ্রহ করেছি এবং সত্যতা নিশ্চিত করেছি। এগুলি জানার পরও কেউ যদি নিজের সন্তানের ছবি যে কোন দিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করতে চান; তা আপনার ব্যক্তিগত ব্যাপার। তবে সেখানে “জাতীয় কন্যা দিবস”, “আন্তর্জাতিক কন্যা দিবস” “বিশ্ব কন্যা শিশু দিবস” এই জাতীয় শব্দ উল্লেখ না করাই বাঞ্ছনীয়- এর ফলে বিভ্রান্তি তৈরি হয়। আমি গত কয়েক বছরও এই বিষয়ে একটি বিস্তারিত লেখা লেখা বা প্রচারণার করার চেষ্টা করছি। এই বছরও এরকম একটি লেখার প্রকাশের উদ্দেশ্য হলো গত কয়েক বছর যাবৎ এটা লক্ষ্য করছি যে, সরকারি কর্মসূচি ছাড়া আমরা নিজেদের কন্যা দিবসগুলোতে কোন ধরনের কর্মসূচির পালন করি না। এমনকি অনেকে জানেই না আমাদের দেশে জাতীয় বা আন্তর্জাতিক কন্যা শিশু দিবস কবে, কখন বা কীভাবে পালন করা হয়। এমনকি সোশ্যাল মিডিয়াতেও বিষয়টি নিয়ে কোনো পোস্ট করে না। কিন্তু ভিনদেশি একটি দিবসের দিবস উদযাপনে ব্যস্ত থাকে। এইভাবে ১৪ ফেব্রুয়ারি ভালোবাসা দিবস নামে একটি দিবস আমাদের দেশে প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে। আর এই দিবসে গা ভাসিয়ে দিয়েছে আমাদের তরুণ সমাজ। ভালোবাসা শুধু প্রেমিক-প্রেমিকার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, এর ব্যাপকতা অনেক, এটা আর তরুণ তরুণীদের বোঝানো যায় না।

পরিশেষে বলতে চাই,কন্যা শিশুদের অধিকার, তাদের প্রতি সহনশীল আচরণ, শারীরিক ও মানসিক বিকাশে পিতা মাতার অনেক দায়িত্ব রয়েছে। তাই কন্যা সন্তানের প্রতি বৈষম্য নয়, অনাদর অবহেলা নয়, তাদের সঙ্গে সর্বোত্তম সুন্দর আচরণ করা জরুরি। কন্যা বা নারীরা পণ্য নয় বরং ইসলাম কন্যা ও নারীকে দিয়েছে সর্বোচ্চ মর্যাদা ও সম্মান।

লেখক : কলাম লেখক ও গবেষক।

পাঠকের মতামত:

০৬ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test