E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

কক্সবাজার নিয়ে বঙ্গবন্ধুর গবেষণা ধামাচাপা পড়ে যাচ্ছে

২০২৩ অক্টোবর ২৪ ২৩:২৪:৩৩
কক্সবাজার নিয়ে বঙ্গবন্ধুর গবেষণা ধামাচাপা পড়ে যাচ্ছে

ডা. মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ


কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত ভ্রমণ করেছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৬৯ সালে কক্সবাজার সফরের একপর্যায়ে সমুদ্র সৈকতের সৌন্দর্য উপভোগ করেন তিনি। সেই সময়ে কক্সবাজার শহরের বাহারছড়া ঝাউতলার পুরোনো সায়মন হোটেলে তার সম্মানে আয়োজিত ক্যান্ডেল লাইট ডিনারেও অংশ নিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু।

সেই ভ্রমণের কিছু দুর্লভ ছবি নিয়ে কিছুদিন আগে একটি কর্নার সাজিয়েছিল তারকা মানের হোটেল সায়মন বিচ রিসোর্ট। এ ছাড়া সেই সময়ে অন্তত ১২বার কক্সবাজার সফর করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

কক্সবাজার সায়মন বিচ রিসোর্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মাহবুবুর রহমান জানান, ১৯৬৯ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কক্সবাজার সফরের সময় হোটেল সায়মানে ডিনার করেন এবং সৈকতের সৌন্দর্য উপভোগ করেন। ওই সময়ে আমার বাবা সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী প্রকৌশলী মোশাররফ হোসেন বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর পর তার দুই মেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং শেখ রেহানাও সায়মন হোটেলে অতিথি হয়ে এসেছিলেন।

কক্সবাজারের সদর রামু আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল এমপি সহ জেলা আওয়ামী লীগের কয়েক ডজন সিনিয়র নেতা জানান, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সর্বপ্রথম ১৯৫৮ সালে কক্সবাজার সফর করেন। সর্বশেষ ১৯৭৫ সালের ১০ জানুয়ারি কক্সবাজার সফর করেন। এভাবে তিনি বিভিন্ন কারণে ১৩ থেকে ১৪ বার কক্সবাজার এসেছিলেন।

কক্সবাজারকে ঘিরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদানের কথা উল্লেখ করে তাঁরা বলেন,, ওই সময়ে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের বালুকাময়ে ১০০ একর জমিতে ঝাউগাছ বনায়নের নির্দেশনা দেন বন বিভাগকে। যার কারণে প্রাকৃতিক ঘূর্ণিঝড় ও সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাস থেকে উপকূলীয় অঞ্চল রক্ষা এবং সৈকতের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে বিশ্বের এই দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আকৃষ্ট করেছে। বর্তমান সময়ে এসে কক্সবাজার শহরের গুরুত্ব বেড়েছে এবং বিকাশ ঘটেছে পর্যটন শিল্পের।

কক্সবাজারের তরুণ লেখক সাংবাদিক ফরিদুল মোস্তফা খান বলেন, কালাম আজাদ নামে স্থানীয় এক লেখক তার বইয়ে স্বাধীনতা পূর্ব ও পরবর্তী সময়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১২ বার কক্সবাজার সফর করেছদ্য। বঙ্গবন্ধুর জন্মের শতবর্ষ পেরিয়ে যাচ্ছে অথচ কক্সবাজারে বঙ্গবন্ধুর অবদান ও রাজনৈতিক ভূমিকা নিয়ে উল্লেখযোগ্য কোনো গবেষণা হয়নি, এ বিষয়ে রচিত হয়নি একটিও স্বতন্ত্র গ্রন্থ। বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি বুকে নিয়ে কক্সবাজারে এখনো অনেক প্রবীণ ব্যক্তি জীবিত আছেন। আরো বিলম্ব করলে হয়তো তারা সবাই গত হয়ে যাবেন। তাই কক্সবাজারে বঙ্গবন্ধুর আগমন ও অবদানের ইতিহাস সংরক্ষণের এটাই সর্বোচ্চ সময়। আরো দেরি করলে অনেক ইতিহাস হয়তো চলে যাবে ইতিহাসের আড়ালে। তাই কক্সবাজারের একজন সচেতন বাসিন্দা হিসেবে, বাংলাদেশের একজন নাগরিক হিসেবে নিজের তাগিদ ও দায়িত্ববোধ থেকেই কক্সবাজারে বঙ্গবন্ধু বিষয়ে অনুসন্ধানে তিনি কাজ করে যাচ্ছেন।

এদিকে দৈনিক কক্সবাজারবানী ও জনতারবানী সম্পাদক ও প্রকাশক ফরিদুল মোস্তফা খান বলেন, আমি বঙ্গবন্ধুর কথা বলছি এবং কক্সবাজার নিয়ে তার অবধান বিষয়ক একটি গ্রন্থ লেখার জন্য অনেকদিন ধরে কাজ করে চলছি, কিন্তুু দুর্ভাগ্য আর্থিক অসচ্ছলতার জন্য এসব বই গুলো বাজারে দিতে পারছি না। উনি এবং গণতন্ত্রের মানসকন্যা শেখ হাসিনা এবং তার পরিবারের জন্য আমার লেখা অনেক অনেক গান, গবেষণা, ছোট গল্প ইত্যাদি আলোর মুখ দেখাতে পারছি না শুধু অর্থের অভাবে।কারণ টাকা ছাড়া এখন কেউ আল্লাহর 'আ' টা পর্যন্ত লিখে না।

তো আমি কি করবো? যেখানে সততার জন্য আমার নিজের পেট চালাতে এখন হিমসিম খাচ্ছি, কর্মচারীর বেতন দিতে পারছি না। জনপ্রিয় দৈনিক কক্সবাজারবানী টি বন্ধ হয়ে যাওয়ার পথে, সেখানে স্বাধ আর স্বাধ্যের সমন্নয় ঘটাতে না পারায় জাতির জনক এবং সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড নিয়ে আমার কোন লেখালেখি আলোর মুখ দেখাতে পারছি না। অনেক লেখা ইতি মধ্যে বালিশের নিচে পড়ে থাকতে থাকতে নষ্ট হয়ে গেছে।

আমি এসব নিয়ে বেশি মাথা ঘামায় তাই উখিয়া টেকনাফের বর্তমান সাবেক অনেক মাফিয়া রাজনৈতিক নেতা এবং কক্সবাজারে সরকার বিরোধী রাজাকার চক্র জোট বেধে আমাকে হত্যা করতে চায় সবসময়। এদের ষড়যন্ত্রের কারনে আমি নিজেই এখন জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি।

লেখক : কলাম লেখক ও সমসাময়িক বিষয়ক লেখক।

পাঠকের মতামত:

০৪ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test