E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

আত্মপরিচয় অর্জনের মাস ডিসেম্বর 

স্বাধীন বাংলাদেশ সৃষ্টিতে তরুণ প্রজন্মের অবদান অবিস্মরণীয় 

২০২৩ ডিসেম্বর ০৪ ১৭:২৮:৪১
স্বাধীন বাংলাদেশ সৃষ্টিতে তরুণ প্রজন্মের অবদান অবিস্মরণীয় 

ডা. মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ


শুরু হলো বাঙালির তথা বাংলাদেশের বিজয়ের মাস। মহান মুক্তিযুদ্ধে এ মাসের ১৬ তারিখ পাকহানাদার বাহিনীর কাছ থেকে চূড়ান্ত বিজয়ের মাধ্যমে বাঙালি জাতির জীবনে সবচেয়ে গৌরবময় অধ্যায়ের সূচনা হয়।

বাংলাদেশের সুদীর্ঘ রাজনৈতিক ইতিহাসে শ্রেষ্ঠ ঘটনা হলো ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে সশস্ত্র স্বাধীনতা সংগ্রামের এক ঐতিহাসিক ঘটনার মধ্যদিয়ে বাঙালি জাতির সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন মুক্তিযুদ্ধের অবিস্মরণীয় গৌরবদীপ্ত চূড়ান্ত বিজয় আসে এ মাসের ১৬ ডিসেম্বর।

১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করার মধ্য দিয়ে শুরু হয় পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে বাঙালির মরণপণ যুদ্ধ। দীর্ঘ ৯ মাস বীরত্বপূর্ণ মুক্তিযুদ্ধের একপর্যায়ে বাঙালি বিজয়ের দিকে ধাবিত হতে থাকে। ডিসেম্বর মাসে মুক্তিযুদ্ধ চূড়ান্ত বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে এসে পৌঁছায়। একপর্যায়ে বাঙালির বীরত্বের কাছে পরাজয় স্বীকার করতে বাধ্য হয় পাকিস্তানের আধুনিক অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত সামরিক বাহিনী। ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তান আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়। রক্তক্ষয়ী এ মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদ ও দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়। স্বাধীন জাতি হিসেবে সমগ্র বিশ্বে আত্মপরিচয় লাভ করে বাঙালিরা। অর্জন করে নিজস্ব ভূখণ্ড ও লাল-সবুজের জাতীয় পতাকা।

১৯৭১ সালের ডিসেম্বর মাসের শুরু থেকেই মুক্তিযোদ্ধাদের গেরিলা আক্রমণ আর ভারতীয় মিত্রবাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত যৌথবাহিনীর জল, স্থল ও আকাশপথে সাঁড়াশি আক্রমণের মুখে বর্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর পরাজয়ের খবর চারদিক থেকে ভেসে আসতে থাকে। যেখান থেকে ৭ মার্চ স্বাধীনতার স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ বলে স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন, সেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেই (তৎকালীন রেসকোর্স ময়দান) পরাজয়ের দলিলে স্বাক্ষর করেন পাকিস্তানি জেনারেল নিয়াজী।

এ মাসেই স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি তাদের এ দেশীয় দোসর রাজাকার-আলবদর আল-শামসদের সহযোগিতায় হানাদারগোষ্ঠী দেশের মেধাবী, শ্রেষ্ঠ সন্তান তথা বুদ্ধিজীবীদের নৃশংস হত্যাযজ্ঞে মেতে উঠেছিল। সমগ্র জাতিকে মেধাহীন করে দেওয়ার এ ধরনের ঘৃণ্য হত্যাযজ্ঞের দ্বিতীয় কোনো নজির বিশ্বে নেই

ডিসেম্বর শব্দটা শুনলে হৃদয়ের গহীনে ত্যাগ, সফলতা ও বিজয়ের সংমিশ্রিত হিমশীতল হৃৎস্পন্দন অনুভূত হয়। যারা কখনো পরাধীনতার স্বাদ গ্রহণ করেনি, তারা কখনো স্বাধীনতা কিংবা বিজয়কে অনুভব করতে পারবে না। স্বাধীনতা আন্দোলনে আত্মাহুতি দানকারী বীরদের প্রতি রইল বিনম্র, অফুরন্ত, সহস্র শ্রদ্ধা ও সালাম। স্বাধীনতার ৫২ বছরেও আমাদের প্রাপ্তি থেকে অপ্রাপ্তি ও হতাশার পাল্লাটা বেশ ভারী। অর্ধশত বছরে এসেও জনগণের শতভাগ মৌলিক অধিকার, মানবাধিকার নিশ্চিতকরণে ব্যর্থ। আর আমরা প্রতি বছরই এ মাসটিকে বিজয়ের মাস হিসেবে রাষ্ট্রীয়ভাবে উদযাপন করি এবং সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু উদযাপনটি কেবল ভক্তি-শ্রদ্ধার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখলে আমরা লক্ষচ্যুত হব, বাংলাদেশ রাষ্ট্রের উদ্দেশ্য হয়ে যাবে অবহেলিত। আজকের প্রজন্মকে জানাতে হবে কেন আমরা পশ্চিম পাকিস্তানিদের সঙ্গে থাকতে পারিনি। কোন স্বপ্ন সামনে রেখে এ দেশের দামাল ছেলেরা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। এবং সে স্বপ্নের প্রকৃত বাস্তবায়ন কতটুকু হয়েছে। আমাদের প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির ফারাক কতখানি।

১৯৪৭ সালে দ্বিজাতিতত্ত্বের মাধ্যমে ভারত ও পাকিস্তান নামক দুটি রাষ্ট্রের জন্ম হয়। এটি এক ধরনের আপসরফার মাধ্যমেই হয়েছিল- হিন্দুদের দেশ হবে ভারত আর মুসলমানদের হবে পাকিস্তান। পাকিস্তানের দুটি অংশ- পূর্ব পাকিস্তান (পূর্ব বাংলা) আর ২ হাজার ২০০ কিলোমিটার দূরে পশ্চিম পাকিস্তান। দুই ‘মুসলমানের’ মাঝখানে বিশালকায় ‘হিন্দু’। অনেকেই বলে থাকেন, দ্বিজাতিতত্ত্বের ধারণা ভ্রান্ত হওয়ার কারণেই বাংলাদেশের সৃষ্টি। আমি বিষয়টিকে অত সরলভাবে দেখতে চাই না। কেননা ভুল সংশোধন করে তো আমরা আবার ভারত হয়ে যাইনি?

আমরা মনে করি, দুই দশক ধরেই আমাদের মননে বাঙালি হিসেবে একটি নতুন জাতি সৃষ্টির তাড়না অনুভূত হয়েছিল; তাই তার নাম রেখেছি বাংলাদেশ, ভারত নয়। আসলে ভুলটা ছিল জাতির সংজ্ঞা নিরূপণে। ধর্মের ভিত্তিতে কখনও জাতি তৈরি হয় না। জাতি সৃষ্টিতে ভাষা, সংস্কৃতি, ইতিহাস, কৃষ্টি, পোশাক-পরিচ্ছদ, এমনকি খাবারও একটা অংশজুড়ে থাকে। আরব বিশ্বের আয়তন ১৩.১৩ মিলিয়ন বর্গকিলোমিটার। ৪২ কোটিরও বেশি মানুষ সেখানে ২২টি দেশে ভাগ হয়ে বাস করে।

মুসলমানদের রাষ্ট্র হিসেবে পাকিস্তানের পূর্ব অংশের মানুষ কখনই সাম্প্রদায়িক ছিল না। এ অসাম্প্রদায়িক দৃষ্টিভঙ্গির কারণেই পাকিস্তান তৈরির মাত্র দু’বছরের মাথায় ১৯৪৯ সালে মুসলিম লীগের সংখ্যাগরিষ্ঠ নেতারা নতুন দল হিসেবে গঠন করেন ‘পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ’, পরে তা আওয়ামী লীগ নামে প্রতিষ্ঠা পায়। ‘আমি মনে করেছিলাম, পাকিস্তান হয়ে গেছে, সাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানের দরকার নেই। একটা অসাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান হবে যার একটা ম্যানিফেস্টো থাকবে’ (শেখ মুজিবুর রহমান, অসমাপ্ত আত্মজীবনী, পৃষ্ঠা : ১২১)। এর অর্থই হল পশ্চিম পাকিস্তানিদের সঙ্গে পূর্ব পাকিস্তানিদের একটা বড় রকমের দৃষ্টিভঙ্গিগত পার্থক্য ছিল।

আর শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অর্থনীতি, রাষ্ট্র আয়ত্তাধীন সেবাখাতগুলোর অবস্থা খুব নাজুক, যা আমাদের বিজয়ের আনন্দকে ভূলুণ্ঠিত করে। আমাদের সমসাময়িক স্বাধীনতা অর্জনকারী দেশের তুলনায় আমরা অনেক পিছিয়ে আছি। দুর্নীতিমুক্ত, সন্ত্রাসমুক্ত, মাদকমুক্ত, স্বনির্ভর, সমৃদ্ধশালী রাষ্ট্র না গঠন করতে পারলে আবার প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে পরাধীনতার অগ্নিকুণ্ডে পতিত হতে হবে। তাই বিজয়ের মাসে তরুণদের দৃঢ় সংকল্প হওয়া উচিত, রাষ্ট্র ও জনগণের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সুন্দর, সমৃদ্ধশালী, স্বনির্ভর, দুর্নীতিমুক্ত, ভিনদেশি প্রভাব মুক্ত স্বদেশ গঠন করা।

বাংলাদেশের জন্ম নিয়ে সঠিক ইতহাস না জানা কিছু তরুণ প্রজন্মের হতাশাবোধ দেখে বিস্মিত হয়ে যাই। তাদের মধ্যে হতাশার কথা শুনি, তাদের প্রকাশ আমাদের অবাক ও বিষন্ন করে। তরুণদের মনোজগতে বাংলাদেশের অস্তিত্ব ও দর্শনের কার্যকারিতা সম্পর্কে আমাদের আরো কাজ করতে হবে। নতুন প্রজন্ম আদর্শিকভাবে হারিয়ে না যায়, জাতিগতভাবেও আমাদের অনেক কিছু করতে হবে তরুণদের জন্য। সব দেশে সব সময় তরুণ প্রজন্মের হাত ধরেই রাষ্ট্র বিকশিত ও প্রগতিশীলতার দিকে এগিয়ে যায়। স্বাধীন বাংলাদেশ সৃষ্টিতেও তরুণ প্রজন্মের অবদানই শতভাগ। কিন্তু স্বদেশের এই ভূমিজাত তরুণ প্রজন্মের অনেকের দিকে তাকালে সেই ঐতিহাসিক সত্যটিও যেন মিথ্যা মরীচিকায় পরিণত হয়! আদর্শবিচ্যুত কিছু তরুণ প্রজন্ম নিয়ে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের রূপরেখা কল্পনাও কষ্টকর, সেজন্য আমাদের এখনি কাজ করতে হবে।

আমাদের জাতির জনক , বাংলাদেশের মহান স্থপতি, স্বাধীনতা সংগ্রামের মহান নেতা, বাংলার সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ সন্তান, মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের মর্যাদার আসনে চিরকাল অধিষ্ঠিত আছেন। বাংলাদেশের অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার দূরদৃষ্টিসম্পন্ন নেতৃত্বের কারণে একাত্তরের মার্চ মাসের শুরুতেই তিনি বুঝতে পেরেছিলেন পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ আমাদের অনিবার্য। তাই তিনি একাত্তরের ৭ মার্চ বাংলাদেশের মানুষকে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। এ ভাষণে বাঙালির প্রতি পাকিস্তানিদের হত্যা-নিপীড়ন-নির্যাতনের চিত্র মূর্ত হয়ে উঠে। শত্রুর মোকাবিলায় তিনি বাঙালি জাতিকে নির্দেশ দেন, 'তোমাদের যা কিছু আছে, তাই নিয়ে প্রস্তুত থাকো।' জাতির পিতার এই সম্মোহনী ভাষণে অনুপ্রাণিত হয়ে বাঙালি জাতি সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে শুরু করে।

৭ মার্চের মাত্র ১৯ মিনিটের এই পৃথিবী কাঁপানো বজ্রকণ্ঠের ঐতিহাসিক জ্বালাময়ী ভাষণ ছিল বাঙালির হাজার বছরের আবেগ, হাজার বছরের স্বপ্নের বাণী, হাজার বছরের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন, যা ছিল বাঙালিকে মুক্ত করার দৃঢ় প্রতিজ্ঞা। দীপ্ত কণ্ঠে বঙ্গবন্ধু উচ্চারণ করলেন, 'রক্ত যখন দিয়েছি, রক্ত আরও দেব, এ দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়ব ইনশাআল্লাহ।' এ ঐতিহাসিক ভাষণই বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে-নির্দেশে মুক্তিপাগল বাঙালি জাতিকে হানাদার পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে মহান মুক্তিযুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়তে উদ্বুদ্ধ করেছিল এবং এই ভাষণের মধ্য দিয়েই বাঙালির ভবিষ্যৎ ভাগ্য স্পষ্ট নির্ধারিত হয়ে গিয়েছিল।

প্রতিবছর বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনায় নানা অনুষ্ঠান-আয়োজনের মাধ্যমে মাসজুড়ে বিজয়ের আনন্দ উদযাপন করে বাংলাদেশ। অগুনতি লাল-সবুজ পতাকা ওড়ে সারা দেশে। একটি স্বাধীন-সার্বভৌম জাতিরাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় সর্বাধিক অবদান ও আত্মত্যাগ যে মহামানবের, তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। নিজের জীবনের সর্বস্ব বিলীন করে মৃত্যুর মুখে দাঁড়িয়েও যিনি অবিচল চিত্তে শিল্পে উন্নত করে বাংলাদেশকে ঊর্ধ্বে তুলে ধরেছেন সেই বঙ্গবন্ধু সদ্য স্বাধীন-সার্বভৌম কিন্তু যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনে বঙ্গবন্ধু গ্রহণ করেন বিরাট মহাযজ্ঞ, পালন করেন আরেক ঐতিহাসিক মহান দায়িত্ব।

১৬ ডিসেম্বর বিজয় লাভের পর বঙ্গবন্ধু স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন ১৯৭২-এর ১০ জানুয়ারি। এরপর রেসকোর্স ময়দানে প্রদত্ত তাঁর সেই ভাষণটি প্রণিধানযোগ্য, কেননা, ১৯৭১-এর সাত মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণটি যেমন ছিল স্বাধীনতার সুস্পষ্ট রূপরেখা, ঠিক তেমনি ৯ মাস পর স্বাধীন দেশে প্রত্যাবর্তনের পর রেসকোর্সে প্রদত্ত তাঁর ভাষণটি ছিল ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের সমৃদ্ধি ও উন্নয়নের একটি রূপকল্প। ওই ভাষণে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ পুনর্গঠনের কাজের প্রতিই তিনি সবিশেষ গুরুত্বারোপ করেছিলেন। যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে সম্মিলিত উদ্যোগে সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছিলেন বারবার। দৃপ্তকণ্ঠে তিনি ঘোষণা করেছিলেন, বাংলাদেশের পুনর্গঠন কাজ পরিচালিত হবে শোষণমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে।

পরিশেষে বলতে চাই, আমরা মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জন করেছি। আমরা বিজয়ী জাতি। বিজয়ী জাতি হিসেবে বিশ্বের দরবারে কারও কাছে আমরা মাথা নত করবো না। আমাদের যতটুকু সম্পদ যেটা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বারবার বলেছেন, সেই সম্পদটুকু কাজে লাগিয়েই আমরা বিশ্বসভায় আমাদের নিজেদের আপন মহিমায় আমরা গৌরবান্বিত হবো, নিজেদের গড়ে তুলব এবং সারাবিশ্বের কাছে আমরা মাথা উঁচু করে চলব। এটাই হবে এ দেশের মানুষের জন্য সবদিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এভাবেই এগিয়ে যাবে বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ তাঁর সুযোগ্য কন্যার হাত ধরে আজ উন্নয়নের রোল মডেল।তাই সার্বিক বিবেচনাকে আমলে নিয়ে বলা যেতে পারে, গত প্রায় ৫২ বছর সময়ে আমাদের প্রত্যাশার অনেকখানিই অপূর্ণ থেকে গেছে, বিশেষ করে সংবিধানের মূলনীতির আলোকে। আমরা আগামীতে এই চেতনার ঘাটতি পূরণ করতে চাই, কারণ শহীদদের কাছে আমরা এ বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

লেখক : কলাম লেখক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক।

পাঠকের মতামত:

২৭ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test