E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

গদ্য কার্টুন: রাষ্ট্র স্বার্থের গণকথন

২০২৩ ডিসেম্বর ১২ ১৬:৫৪:৫৯
গদ্য কার্টুন: রাষ্ট্র স্বার্থের গণকথন

রিয়াজুল রিয়াজ


 

"যুক্তরাষ্ট্রঃ আমাদের থেকে বোয়িং ৭৮৭-১০ বিমান কেনার প্রস্তাব রাখছি। বাংলাদেশঃ আমরা ঢাকা-নিউইয়র্ক ফ্লাইট দ্রুত চালু করার দাবি জানাচ্ছি।" যুক্তরাষ্ট্রের হাইকমিশনার পিটার হাস কর্তৃক তাদের দেশের তৈরী বোয়িং ৭৮৭-১০ বিমান কেনার প্রস্তাব এবং বাংলাদেশ বিমান বাহিনী কতৃক ঢাকা-নিউওয়ার্ক ফ্লাইট চালুর দাবীর খবরে দেশের গণমানুষের মিশ্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা গেছে। তাদের কেউ কেউ পিটার হাসকে নিজের সামনে সরাসরি দন্ডায়মান কল্পনা করে এতোদিনের মনের মধ্যে জমিয়ে রাখা অব্যক্ত কথাগুলো মুক্তমনে মাতৃভাষায় প্রকাশ করেছেন!

দেশের এক শ্রেনীর লোক বলছেন

'এসব প্রস্তাব আগপভাগে খোলামেলা বললেই তো হতো মি. পিটার হাস!! এতো রাজনীতি করে, এতো ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে, এতো জল ঘোলা করার কি দরকার ছিলো জনাব? আপনারা তো সব সময় নিজের স্বার্থ উদ্ধার করতে অন্য দেশের এটা উটা ধরে টানাটানি করেন। মানবাধিকার ও গণতন্ত্রের মুখস্থ গান গেয়ে হুমকি ধামকি দেন। যেটা সারাবিশ্বের এখন নখদর্পনে আছে। মোড়লগিরির দিনও একদিন শেষ হবে আপনাদের। যাহোক, বিমান তো আমরা তৈরি করতে পারি না, তাই উটা আমাদের কিনতেই হয়! আমরা ইতিমধ্যে ফ্রান্সকে কথা দিয়েছি আপনাদের প্রস্তাবও ভেবে দেখবো; সমস্যা নাই; কিন্তু আমাদের নিউইয়র্ক ফ্লাইট দিতে এতো দেরি করছেন কেন? যাহোক, আপনি কিছুদিন আগেও যা করলেন, আমাদের কাছে তা দৃষ্টিকটু মনে হয়েছে; এতো অযাচিত হস্তক্ষেপ আমাদের দেশের মানুষের পছন্দ না।

আমরা কিন্তু এখন আর তলা বিহীন ঝুড়ি নই ভাইয়া। শেখের বেটি আমাদের দেশটাকে উন্নত স্মার্ট বাংলাদেশ করতে আগ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন। তাই হয়তো আপনাদের ও আমাদের দেশের স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তির এতো জ্বলছে! দেশের পরাজিত শক্তিরা আপনাদের প্রভু মানলেও এদেশের দেশপ্রেমিক জনগণ ভুলেও বন্ধু রাষ্ট্রের বাইরে আপনাদের অন্য কিছু ভাবে না, এটাই সত্যি। মনে রাখবেন, আপনাদের আমরা সম্মান করি, ভালোবাসি কিন্তু ভয় পাই না। আর জাতিগতভাবে আমরা বীরের জাতি, তাই ভয় পাবার কোন সুযোগও নাই। আমাদের ইরাক, সিরিয়া, আফগানিস্তান ভাবলে ভুল করবেন। জানেন তো, আমরা অনেক রক্ত ও ইজ্জতের বিনিময়ে এই দেশটাকে কিনেছি। আপনারাও ওই সময়ে আমাদের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিলেন। তাই তো রাষ্ট্র হিসেবে এদেশের মানুষ আপনাদের ভালো চোখে দেখে না। তবে, ওই সময় যুক্তরাষ্ট্রের জনগণের সাপোর্ট বাংলাদেশের জন্য ছিলো। তাই তাঁদের প্রতি সম্মান ও কৃতজ্ঞতা আমাদের আছে এবং থাকবে।'

'আরেকটি কথা, দক্ষিণ এশিয়ার শান্তি বিনষ্ট হবে এমন কোন চুক্তি জাতির পিতার কন্যা শেখ হাসিনা বেঁচে থাকতে কোনোদিনও কারো সাথে করবেন না। আর আপনাদের সাথে প্রশ্নই উঠে না! এগুলো একটু মাথায় রাইখেন মি. পিটার হাস সাহেব!

সুতরাং, অবশ্যই সেন্ট মার্টিন দীপের স্বপ্ন ভুলে গেলেই খুশি হবে বাংলাদেশ! নিজের দেশের স্বার্থে, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা স্বার্থে আপনারা যদি সব বাঙালির উপরও নিষেধাজ্ঞা দেন তা আমরা মেনে নিবো। এমনকি, দেশের সবার উপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া শেষ হলে আমার ভাগিনার দুইটি গৃহপালিত কুকুর 'জো' এবং 'ট্রাম্পা' এর নামেও আপনারা নিষেধাজ্ঞা দিতে পারেন! সেটা আপনাদের ইচ্ছা। সব দেশের সাথে সু-সম্পর্ক রাখতে বাংলাদেশ প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। তবে কেউ বৈরিতা সৃষ্টির চেষ্টা করলে সেটার দায় তাদেরই নিতে হবে। বাঙালি জাতি উদার, তবে উদাসীন নয়;; বাঙালি জাতি বন্ধুত্বের মর্ম বুঝে, কিন্তু কারো দাসত্ব মেনে নেয় না। নিষেধাজ্ঞা যা দিয়েছেন, ওসব তুলবেন কি তুলবেন না; সেটা আপনাদের ব্যাপার! তবে, দয়াকরে সু-সম্পর্ক চাইলে আর ওসব না দেয়ার পরামর্শ রইলো। প্রয়োজন হলে কিন্তু আমরাও কোন দেশকে নিষেধাজ্ঞা দিতে জানি! আমরা এতো সহজে দেই না কারণ, আমরা সবার সাথে বন্ধুত্ব চাই, কারো সাথে বৈরিতা চাই না। আমরা স্বেচ্ছাচারী মনোভাবেও বিশ্বাসী নই। তবে, কেউ নিজের সীমা লঙ্ঘন করে আমাদের সহ্যের সীমা অতিক্রম করলে আমরা দিতেও পারি। বিশ্ব মানচিত্রে বাংলাদেশ একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র বটে।'

ধন্যবাদ পিটার ডি. হাস। ভুলেও আর দিয়েন না বাঁশ। বাঙালিদের প্রিয় একটি খাবার কিন্তু চিতই পিঠা ও হাঁস!

দেশের আরেক শ্রেনীর লোক আছে যারা পিটার হাস'দের সহযোগিতায় ক্ষমতার মসনদে আসীন হওয়ার স্বপ্ন দেখে। তারা মনে করছেন যে, 'বোয়িং বিমান কেনার প্রস্তাব দিয়েছে তারমানে পিটার হাস তাদের ছেড়ে সরকারের পক্ষে চলে গেছেন! তাই তারা বলছেন, 'আপনি পিটার হাস একজন বেঈমান, নিমক হারাম ও সরকারের গোয়েন্দা সংস্থার সাথে আঁতাত করে আমাদের ছেড়ে ফ্যাসিস্ট, অগণতান্ত্রিক আওয়ামী লীগ সরকারের সাথে হাত মিলাচ্ছেন? আপনাদের পিছনে পিছনে এতো ঘুরলাম, কত সময় দিলাম, এতোকিছু দিলাম, আরো দিতে চাইলাম, আপনাকে ভগবান-অবতার ডাকলাম, হারিয়ে যাওয়া গণতন্ত্র খুঁজতে আমাদের দলের মুখোপাত্র বানালাম, সর্বোপরি আমাদের ক্ষমতায় নিয়ে গেলে যা দরকার আপনাদের সবকিছু দেয়ার জন্য রাজি হলাম, আর আপনি হাস স্যার কামডা করলেন কি? এইডা কিছু হইলো?'

আমরা কি তাহলে আপনাদের পিছনে ঘুরে ভুল করেছি? আমাদের তো জনগণের সাথেই সম্পর্ক রাখা উচিত ছিলো, আপনার পিছনে খামোখাই ঘুরেছি! হায় আল্লাহ! এখন কি হবে? সাার, আপনি ফিরে আসেন, আমাদের মুখপাত্র হয়ে আন্দোলনে শরিক হোন। জো বাইডেনের সত্যিকারের একজন উপদেষ্টাকে নিয়ে আসেন। আমাদের অফিসে বসিয়ে একটা বক্তব্য দেয়ান; (এইবার কিন্তু মিথ্যা কাউকে আনা যাবে না স্যার!) তাহলেই, আগামী ঈদের পরের আন্দোলনেই আমরা সফল হবো, ইনশাআল্লাহ। আর শেখ হাসিনাকে যদি আমরা সবাই মিলে একবার গদি থেকে নামাইতে পারি, তাহলেই দেশে অসাংবিধানিক ও অগণতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থা চলে আসবে। হা হা হা । এরপর তত্ত্বাবধায়ক সরকার এবং আপনাদের সহযোগিতায় তাদের সাথে দর কষাকষি করে আমরা ক্ষমতায় আসবোই স্যার। তারপর এই শেখ হাসিনার উন্নয়নের বাংলাদেশকে টেক ব্যাকে টেনে হিঁচড়ে নিতে নিতে পুর্ব পাকিস্তানের স্থানে নিয়ে যাবো স্যার, কথা দিলাম। আপনারা তো চানই নাই এই দেশ স্বাধীন হোক, তাইনা স্যার? আমরা চাইছিলাম কিনা, স্যার কি বুঝেন? আমাদের সঙ্গী-সাথী কৃতকর্ম থেকে বুঝেন না কিছুই? যাহোক, না বুঝলে নাই! আমরা যদি টেক ব্যাকে নিতে পারি, তাহলেই তো আপনাদের ৭১ এর চাওয়া পুরণ হবে! আর স্যার, তখন আপনারা যাই চাইবেন, তাই ই পাইবেন, কোন সমস্যা হবে না। কথা দিলাম স্যার- এই দেশটা নামে মাত্র বাংলাদেশ থাকবে, এটাতো আপনাদের ও পাকিস্থানের একটা প্রদেশ বা অঙ্গ রাষ্ট্র হিসেবে বিবেচিত হবপ স্যার! হা হা হা!।একবার ক্ষমতায় নিয়ে দেখেন না স্যার। তখন দেখবেন আমরা কতোটা প্রভুভক্ত প্রাণী।

আমাদের ছেড়ে আপনি যাবেন না স্যার প্লিজ।। আপনি গেলে আমরা কি নিয়ে রাজনীতি করবো? আমরা কিভাবে ক্ষমতায় যাবো বলেন না হাস স্যার! আপনারা এই দেশের উপর থেকে কিন্তু নিষেধাজ্ঞা থামাবেন না, দিতে থাকেন! আমরা ক্ষমতায় যাওয়ার আগ পর্যন্ত চালাতে থাকেন, সরকারকে দৌড়ের উপর রাখেন। আর আমরা আগুন সন্ত্রাস ও হরতাল-অবরোধ নিয়ে আছি আপনার পিছু পিছু। দেখবেন স্যার শীঘ্রই সফলতা আসবে। এইতো! আগামী ১০ ই ডিসেম্বর অথবা তার পরের বছর কোন এক ঈদের পরেই এই সরকার আর থাকবে না স্যার। তখন শেখ হাসিনার কথায় দেশ চলবে না, দেশ চলবে আমাদের নেতা ও আপনাদের ইশারায়। তখন আপনি এদেশে থাকেন আর না থাকেন, হোয়াইট হাউজের দারোয়ান বা আপনাদের হাইকমিশনের যে কোন একজন পিয়ন পাঠিয়ে শুধু বলবেন, আপনাদের ওইটা লাগবে? সঙ্গে সঙ্গে তা দিয়ে দিবো, সবই তো আপনাদের স্যার। আর স্যার! আপনি সেন্ট মার্টিন নিয়ে এতো ভাবতাছেন কেন? সেন্ট মার্টিন আপনাদের আমরা সরাসরি দিতে পারবো না, কিন্তু দিবো। আপবি নিশ্চিত থাকেন স্যার, আমরা ক্ষমতা গেলে সন্ত্রাস, খুন, ধর্ষণ, জঙ্গিবাদ যে পরিমাণে বাড়বে তাতে আপনারা ইচ্ছা করলেই মানবতার গজল ও জঙ্গিবাদ নির্মূলের মন্ত্র পড়তে পড়তে আমাদের দেশে অনায়াসে ঢুকে যেতে পারবেন।

কি ভাবছেন স্যার এতো চিন্তা করেন কেনো? শেখ হাসিনা পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র করেছে, তাও আবার আপনাদের শত্রুরাষ্ট্র রাশিয়ার সহযোগিতায়! সুতরাং চিন্তা কি সাার? ইরাকের মতো একটা ভুল গোয়েন্দা রিপোর্ট দিয়ে আগ্রাসন চালাতে চলে আসবেন! বুঝেন নাই? কান পাতেন স্যার, কানে-মুখে বলি! শুনেন, বলবেন রাশিয়ার সহযোগিতায় আমরা পরমাণু বোমা বানাই, হা হা হা! এই বলেই ঢুকে পড়বেন আমাদের সুজলা-সুফলা-শস্য-শ্যামলা এই বাংলায়! আমরা তো থাকবোই আপনাদের জন্য! আর ক্ষমতায় গেলে তো আর আওয়ামী লীগ ও স্বাধীনতা পক্ষের কোন শক্তিকেই রাখতাম না স্যার, এইটা মুটামুটি শিওর থাকেন। তখন স্যার শুধুই আমরা-আমরাই। হা হা হা কি মজা যে লাগতাছে স্যার! আচ্ছা স্যার আপনার মজা লাগে না? প্লিজ আপনি ফিরে আসেন সাার, আপনি আমাদের ক্ষমতায় না দিয়ে কোথায়ও যাবেন না প্রিয় হাস সাার। আপনারাই আমাদের একমাত্র ক্ষমতায় আসার ভরসা, আমাদের ত্রাণকর্তা ও অবতার।

দুঃখ লাগে স্যার, দেশের জনগণ অনেক চালাক হয়ে গেছে স্যার। ওরা এখন- গুজব, উন্নয়ন, ভালো-মন্দ সবই বুঝে ফেলে। আর আওয়ামী লীগ রাজনীতিতে তো ঝানু দল স্যার! ওদের সাথে রাজনীতি করে আমরা আর কোনদিনও পারবো না সাার। আমরা মাঠে যেখানে শেষ করি, ওরা ঠিক ওইখান থেকে শুরু করে সাার। তাই আপনাকে আমরা ছাড়তে পারবো না স্যার। আপনিই আমাদের একমাত্র ভগবান, ত্রাণকর্তা, অবতার! আমাদের কবুতর বানিয়ে দিয়েন না হাস স্যার। বিশ্বাস করেন, আপনার নামের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে, আমাদের দলের নেতাকর্মীরা কেউ আর হাঁসের মাংস-চিতই পিঠা খায় না। ক্ষমতায় যাওয়ার আগে আর খাবও না সাার, শপথ নিয়েছি।

এরপর.... কিছু না বলেই পিটার হাস ওইখান থেকে চলে গেলেন।

পিটার হাসের সাথে থাকা কিছু যুক্তরাষ্ট্রের সাধারণ নাগরিক রয়ে গেলো। সাদা চামড়ার লোকগুলোকে ঘিরে রেখেছে আমাদের দেশের দুই গ্রুপের লোকজন। একজন বললো, 'এই বৈদেশি ভাইয়েরা সবই তো শুনছেন, কিছু বলেন? পিটার হাস তো কিছু না বলেই চলে গেলেন। তখন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের মধ্য থেকে একজন আমাদের দেশের ওই লোকগুলোর উদ্দেশ্যে ইংরেজিতে বললেন:

'প্রিয় বাংলাদেশী ভাই ও বোনেরা! আপনারা যে যা এতোক্ষণ বলেছেন, আমাদের স্যার পিটার হাস ও আমরা তার কিছুই বুঝি নাই। তবে আপনাদের শারিরীক ভাষা দেখে যা বুঝেছি তার উত্তরে বলছি,' যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বব্যাপী নানান উপায়ে সর্বদা নিজেদের স্বার্থ উদ্ধার করতে ব্যস্ত থাকে! এটা দেশটির অঘোষিত মূল রাষ্ট্রনীতির একটি বলতে পারেন। নিজেদের স্বার্থে বিভিন্ন দেশ, সংগঠন ও ব্যক্তির সাথে তাঁরা বন্ধুত্ব, অংশীদারিত্বে, দান-খয়রাত, ভয়-ভীতি, হুমকি ধামকি, নাটক-সিনেমা ইতাাদি করতেই থাকে। ওসব করতে করতে যতোটুকু রাষ্ট্রের স্বার্থ হাসিল করা যায়, তা তারা দ্রুতই করে ফেলে। যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের প্রায় সব দেশেরই বন্ধু রাষ্ট্র। কিন্ত ইসরায়েল ছাড়া কারো সাথেই প্রেম করে না তারা। প্রায় সারাবিশ্বে মোড়লগিরি ও খবরদারি দেখাতে চেষ্টা করে বিশ্বের ক্ষমতাধর রাষ্ট্র হিসেবে রিপ্রেজেন্ট করতে। এই প্রক্রিমায় যুক্তরাষ্ট্র সহজে কারো শত্রুও হতে চায়না বা হয়না অথবা কারোর সাথেই সব সম্পর্ক বিনষ্ট করেনা।

কারণ- এতে তাঁদের লাভের থেকে লস বেশি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে! আপনারা নির্ভাবনায় থাকতে পারেন, বাংলাদেশের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের আলাদা নজরদারি আছে,এবং ভু-রাজনৈতিক কারণে ও দেশের বৃহত্তর স্বার্থেই বাংলাদেশের সাথে যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক নষ্ট করবে না। প্রয়োজনে ক্ষুদ্রতর স্বার্থকে তাঁরা বিসর্জন দিবে, অংশীদারিত্ব বাড়াবে। কোন দেশের বিশেষ কোন রাজনৈতিক দলকে সাপোর্ট করেনা রাষ্ট্রটি। তবে, পাবলিক রিয়েকশন বুঝতে একটু আধটু খেলা দোলা করে বটে। রাজনৈতিক সুবিধা বা সুযোগ দিলে তাঁদের নিয়ন্ত্রণও নিতে পারে দ্রুতই। কিন্তু দ্বি-রাষ্ট্রীয় সম্পর্কের বিবেচনায় তা খুবই নগণ্য বা তুচ্ছ বিষয়। বিশ্বের ক্ষমতাশীন ওই দেশটির এতো সবকিছুর পিছনে একটাই লক্ষ্য; আর তা হলো- 'রাষ্ট্রের স্বার্থে ভূ-রাজনৈতিক দাপটের মাধ্যমে বিশ্ব রাজনীতিতে আধিপত্য বিস্তার করা।

বাঙালী লোকগুলো উনার কথা হা করে শুনতেছিলো। কথা শেষ হওয়ার সাথে সাথে প্রায় সবাই একসাথে বলে উঠলো, 'আমরাও কিছুই বুঝলাম না বৈদাশি।' হঠাৎ তাদের মধ্য থেকে একজন কিশোর বয়সী বাঙালি ছেলে চিৎকার করে বলে উঠলো, 'আমি বুঝেছি, আমি বুঝেছি!! লোকগুলো আগ্রহের সাথে বললো, 'কি বুঝেছো বলো খোকা?' ছেলেটি বললো আমি এতোটুকুই বুঝেছি যে, "যুক্তরাষ্ট্র যার একবার কাছের বন্ধু হয়, তার সারা জীবনে আর কোন শত্রুর প্রয়োজন হয় না!"

লেখক : সাংবাদিক।

পাঠকের মতামত:

২৭ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test