বিশ্বজুড়ে বাড়ছে করোনা : আতঙ্ক নয় চাই সতর্কতা
ডা. মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ
বিশ্বজুড়ে ফের বাড়ছে করোনাভাইরাস। করোনা ভাইরাসের ধরন ওমিক্রনের সাব-ভ্যারিয়েন্ট (উপধরন) বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। এরই মধ্যে ভারত, চীন, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যসহ বেশ কয়েকটি দেশে ধরনটি পাওয়া গেছে। তবে, বাংলাদেশে এখনো নতুন ধরনটির তথ্য পাওয়া যায়নি।
অন্যদিকে, বাংলাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ১০ জনের শরীরে করোনার জীবাণু পাওয়া গেছে। এ নিয়ে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৪৬ হাজার ২০৭ জনে। আর ২৪ ঘণ্টায় কারো মৃত্যু হয়নি। তবে, মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৯ হাজার ৪৭৭ জনে। এখন ভারতের জন্য মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে জেএন.১ এর সংক্রমণ দেশটির গোয়া, কেরালাসহ বেশ কয়েকটি রাজ্যে অন্তত ২১ জনের শরীরে এ ভাইরাস শনাক্ত করা হয়েছে। এ অবস্থায় নতুন ভ্যারিয়েন্ট ঠেকাতে সবাইকে আগে থেকেই সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
বিশ্বজুড়ে বিজ্ঞানীরা করোনাভাইরাসের নতুন এই ধরন নিয়ে শঙ্কিত যা আগের সব ভ্যারিয়েন্টের তুলনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রামক হয়ে উঠতে পারে। কোভিড-১৯ এর নতুন এই ধরন জেএন.১ সম্প্রতি ভারত ছাড়াও চীনসহ যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যে শনাক্ত হয়েছে। খবর দ্য হিন্দুস্তান টাইমস। গত ৮ ডিসেম্বর রাজ্যের দক্ষিণাঞ্চলে তিরুবনন্তপুরম জেলার কারাকুলাম থেকে একজন আরটি-পিসিআর পজিটিভ আক্রান্ত ব্যক্তিকে শনাক্ত করা হয়। ৭৯ বছর বয়সী নারী ইনফ্লুয়েঞ্জা লাইক ইলনেসের (আইএলআই) হালকা লক্ষণ ছিল এবং কোভিড থেকে সেরে উঠেছেন। এই ধরনটি আবারও বিশ্বব্যাপী সংক্রমণের শঙ্কা ছড়িয়ে দিয়েছে। গত ১৫ ডিসেম্বর কোভিড-১৯-এর নতুন এই ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয় চীনে, যার নাম জেএন-১। ইতোমধ্যে দেশটির অন্তত সাত জন রোগীর শরীরে ভাইরাসের নতুন এই ধরনটি শনাক্ত হয়েছে। এতে করে ফের ছড়িয়ে পড়েছে আতঙ্ক।
কোভিড-১৯-এর ভয়াবহ ধরন ওমিক্রনের নতুন এই উপধরনের মাঝে বিশ্বব্যাপী দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এ অবস্থায় ওই ভাইরাসটিকে ‘আগ্রহের ধরন’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। এর আগে করোনাভাইরাসের নতুন একটি উপধরন বিএ-২.৮৬ শনাক্ত হয়েছিল যাকে জেএন.১ বলে ধারণা করা হতো। চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে এই ভাইরাসটি শনাক্ত হয়। দেশটির রোগ নিয়ন্ত্রণ এবং প্রতিরোধ সেন্টারের (সিডিসি) বরাতে জানানো হয়েছে, জেএন.১ এবং বিএ.২.৮৬-এর মধ্যে খুবই সামান্য পার্থক্য রয়েছে।
চলতি ডিসেম্বরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে যে ক’জন কোভিড রোগী এই মুহূর্তে আছেন, তাদের ১৫-২৯ শতাংশের শরীরে রয়েছে জেএন.১ উপধরনটি।
এই ধরনটির পৃষ্ঠে মধ্যে থাকা স্পাইক প্রোটিন যা দেখতে 'স্পাইক' সদৃশ্য, এটি ভাইরাসটিকে মানুষে সংক্রামিত করে থাকে। সিডিসির তথ্য অনুযায়ী, ভাইরাসের স্পাইক প্রোটিনকে ধ্বংস ও অকার্যকর করতে পারে এমন ক্ষমতাসম্পন্ন টিকা ইতোমধ্যে দেয়া শুরু হয়েছে।
উপসর্গ : * জ্বর * সর্দি * গলা ব্যথা * মাথাব্যথা * গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল (পাতলা পায়খানাসহ বমি) সমস্যা রোগীদের মধ্যে উপসর্গ হিসেবে দেখা যেতে পারে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, বেশিরভাগ রোগী হালকা শ্বাসযন্ত্রের উপসর্গগুলো অনুভব করেন, যা সাধারণত চার থেকে পাঁচ দিনের মধ্যে সেরে যায়।
এর আগে, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহান শহরে প্রথম সার্স-কোভি-২ বা করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়।
ভারত, চীন, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বজুড়ে অনেক দেশে করোনার এ ধরনটি পাওয়া গেছে।দ্রুত ছড়ানোর কারণে ডব্লিউএইচও এটিকে ‘ভ্যারিয়েন্ট অব ইন্টারেস্ট’ হিসেবে অভিহিত করেছে।সংস্থার পক্ষ থেকে সতর্ক করে বলা হয়েছে, শীতকালে কোভিড এবং অন্য সংক্রমণগুলোর প্রকোপ বাড়তে পারে। উত্তর গোলার্ধে ইতোমধ্যে আরএসভির মতো বিভিন্ন শ্বাসযন্ত্রের ভাইরাস এবং শিশুদের নিউমোনিয়ার হার বাড়তে দেখা গেছে।
ডব্লিউএইচও বলেছে, কোভিডের জন্য দায়ী ভাইরাসটি শুরু থেকে ধারাবাহিকভাবে রূপ পাল্টেছে। এর কয়েকটি ধরনও তৈরি হয়েছে। মাঝে কিছুদিন বিশ্বজুড়ে ওমিক্রন ধরনের আধিপত্য দেখা গিয়েছিল।তবে সংস্থাটি বলেছে, বর্তমানে এ করোনার ধরনটির সংক্রমণজনিত স্বাস্থ্যঝুঁকি কম এবং বিদ্যমান টিকাগুলোই এ ধরন থেকে মানুষকে সুরক্ষা দেবে।যুক্তরাজ্যের হেলথ সার্ভিস বলেছে, বর্তমানে একটি পরীক্ষাগারে যতগুলো করোনা পরীক্ষার ফল পজিটিভ আসছে, তার প্রায় ৭ শতাংশের জন্য জেএন.১ দায়ী।
শীতে প্রকোপ বাড়ার ঝুঁকি
ধারণা করা হচ্ছে, অমিক্রনের আরেক উপধরন বিএ.২.৮৬ ধরনের তুলনায় জেএন.১-এর স্পাইক প্রোটিনের অতিরিক্ত পরিবর্তনের কারণে সব অঞ্চলে জেএন.১ দ্রুত ছড়াচ্ছে। বিএ.২.৮৬ ধরন থেকেই জেএন.১-এর উৎপত্তি।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ঝুঁকিসংক্রান্ত এক পর্যালোচনায় বলা হয়েছে, বিশেষ করে, যেসব দেশে শীত মৌসুম শুরু হচ্ছে, সেখানে ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়াজনিত অন্য সংক্রমণগুলোর পাশাপাশি এ ধরনের কারণে সারস-কভ-২ (করোনাভাইরাস) এর প্রকোপ বেড়ে যেতে পারে।
ডব্লিউএইচও বলছে, টিকার কারণে যে ইমিউনিটি তৈরি হয়, তা দিয়ে জেএন.১ থেকে কতটুকু সুরক্ষা মিলবে, সে ব্যাপারে খুব বেশি প্রমাণ এখনো পাওয়া যায়নি। তবে আগের ধরনগুলোর চেয়ে এ ধরনে সংক্রমণের কারণে মানুষ অপেক্ষাকৃত বেশি অসুস্থ হচ্ছে বলে খবর জানা যায়নি।
সংস্থাটি মনে করছে, স্বাস্থ্যের ওপর এ ধরনের প্রভাব নির্ণয়ের জন্য আরও বেশি গবেষণা হওয়া প্রয়োজন।
> সংক্রমণ ও মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কিছু পরামর্শ দিয়েছে। সেগুলো হলো—
* জনাকীর্ণ ও বদ্ধ জায়গায় মাস্ক পরতে হবে।
* কাশি বা হাঁচির সময় নাক ও মুখ ঢেকে রাখতে হবে।
* কোভিড এবং টিকার নতুন নতুন তথ্য সম্পর্কে নিয়মিত খোঁজখবর রাখতে হবে।
* বিশেষ করে, যাঁরা সংক্রমণের ঝুঁকিতে আছেন।
* অসুস্থ হলে বাড়িতে থাকুন।
* লক্ষণ দেখা দিলে রোগ শনাক্তের পরীক্ষা করতে হবে।
উল্লেখ্য, তিন বছর ৯ মাস ১০ দিনে বাংলাদেশে এখনও পর্যন্ত ২০ লাখ ৪৬ হাজার ১৭০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) প্রথমবারের মতো তিনজনের করোনা শনাক্তের তথ্য জানায় ২০২০ সালের ৮ মার্চ। করোনা শনাক্ত হওয়া ওই তিনজনের মধ্যে একজন নারী ও দুইজন পুরুষ ছিলেন। করোনা মহামরির শুরুতে সংক্রামণ রুখতে ‘লকডাউন’, ‘সাধারণ ছুটি’, সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের মতো নানান সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।দেশে এখন পর্যন্ত সরকারি হিসেবে মোট করোনা শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ১০ শতাংশ। সরকারি হিসেবে করোনার সংক্রমণে দেশে মোট ২৯ হাজার ৪৭৭ জনের মৃত্যু হলো।
শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৪ শতাংশ। দেশে মোট সুস্থ হয়ে সেরে উঠলেন ২০ লাখ ১৩ হাজার ৮৫৮ জন। ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও প্রাণহানির পরিসংখ্যান করা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডও-মিটারের ১৯ডিসেম্বর ২০২৩ তথ্য অনুযায়ী বিশ্বে করোনায় এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৬৯ লাখ ৫৭ হাজার ৬০১ জনের। সুস্থ হয়েছেন ৬৬ কোটি ৯৪ লাখ ৭১ হাজার ২৮৮ জন। ভাইরাসে মোট সংক্রমিত হয়েছেন ৬৯ কোটি ৯৭ লাখ ৩৯ হাজার ৩৭৪ জন।
হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা পদ্ধতিকে প্রতিটি মহামারীতে দায়িত্ব দেয়া উচিত
অতীতের মহামারী যে বাবে হোমিওপ্যাথিতে প্রতিরোধ সম্ভব হয়েছে সেই বর্তমান ও প্রতিরোধ সম্ভবঃ- বেশ কিছুদিন ধরে করোনা সংক্রমণের হার নিম্নমুখী থাকলেও হঠাৎ করে তা বাড়তে শুরু করেছে। বর্তমান পাশ্ববর্তী দেশ ভারতের কলকাতা সবচেয়ে মহাসংকটের নাম জেএন.১ এর সংক্রমণ। হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা পদ্ধতি। ইতালি, স্পেন, কিউবা ও ভারতসহ বিভিন্ন দেশে হোমিও চিকিৎসার মাধ্যমে অতি দ্রুততার সঙ্গে বহু করোনা রোগী সম্পূর্ণরূপে আরোগ্য লাভ করেছেন গত ২০২০ সালে বাংলাদেশে হোমিওপ্যাথিক ওষুধ প্রয়োগ করে এমনি একটি আশানুরূপ নজির স্থাপিত হয়েছে পুরান, ঢাকার স্বামীবাগে অবস্থিত ইসকন মন্দিরে। মাত্র ৭ দিনের হোমিও ওষুধ প্রয়োগ করে সুস্থ হয়েছেন ইসকন মন্দিরের পুরোহিতসহ ৩৫ জন করোনা রোগী। এ মন্দিরের করোনা রোগীদের সুস্থ হওয়ার পেছনে হোমিওপ্যাথির সাফল্যটি যদি আমরা পরীক্ষামূলক হিসেবেও গ্রহণ করি, তাহলে পরবর্তীতে দেখা যায় ঢাকার রাজারবাগ সেন্ট্রাল পুলিশ হসপিটালের করোনা ওয়ার্ডের ৪২ জন রোগী শুধুমাত্র হোমিওপ্যাথিক ওষুধ সেবনের মাধ্যমে পুরোপুরি আরোগ্য লাভ করেছেন মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যেই। যা সম্পূর্ণ কার্যকর চিকিৎসা পদ্ধতি রূপেই প্রতীয়মান হয়েছে।
এছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্থানে করোনার লক্ষণ উপসর্গ নিয়ে ব্যক্তিগতভাবে অনেকেই স্বল্প খরচে হোমিও ওষুধ সেবনের মাধ্যমে পুরোপুরি আরোগ্য লাভ করেছেন। করোনা সংক্রমণের ফলে রোগীর যেসকল লক্ষণ উপসর্গ ও নিদানিক বৈকল্য দেখা দেয় তার প্রাথমিক পর্যায়ে কিছু লাক্ষণিক হোমিও চিকিৎসাই যথেষ্ট হয়।বাংলাদেশের হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকগণ ইতোমধ্যেই সাফল্যের স্বাক্ষর রেখেছেন। ফল স্বরূপ আমরা দেখতে পাই বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা বিশেষ করে পুলিশ বিভাগ হোমিও সেবা গ্রহণ করছেন এবং সুস্থও হচ্ছেন। করোনা সংক্রমণের শুধুমাত্র প্রাথমিক পর্যায়েই নয় বরং একেবারে চরম পর্যায়ে রোগীর জীবন সংকটাপন্ন অবস্থায়ও হোমিও চিকিৎসার সক্ষমতা রয়েছে। এমতাবস্থায় এসব রোগীর চিকিৎসায় লক্ষণ ভিত্তিক হোমিও ওষুধ প্রয়োগের মাধ্যমে রোগীর জীবন রক্ষা করার পাশাপাশি রোগীর স্বাস্থ্য পুনর্বাসনে সহায়তা করা যেতে পারে।
করোনা মোকাবেলায় হোমিও চিকিৎসকগণ লক্ষণ সদৃশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ রোগের কথা উল্লেখ করেছেন। যেমন- যুগে যুগে মহামারিতে হোমিও চিকিৎসার সাফল্যগাঁথা রয়েছে বিশ্বময়। ১৭৯৯ সালে জার্মানিতে স্কারলেট ফিভার মহামারিতে হোমিও চিকিৎসা করে ড. হ্যানিম্যান সফলতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন। ১৮১৩ সালে টাইফাস ফিভার মহামারিতে হোমিও চিকিৎসায় মৃত্যুর হার ছিল ১.১১ শতাংশ, যেখানে অন্যান্য চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যুর হার ছিল ৩০ শতাংশ।
এছাড়া ১৮৩১ সালে অস্ট্রিয়ার কলেরা মহামারি, ১৮৪৯ সালে সিনসিনাটির কলেরা মহামারি, ১৮৫৪ সালের লন্ডনের কলেরা মহামারি, ১৮৬২-১৮৬৪ পর্যন্ত নিউইয়র্ক ডিপথেরিয়া, ১৯১৮ সালে স্প্যানিশ ফ্লু, ২০১৮-২০১৯ সালে বাংলাদেশে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়াসহ আরও অনেক মহামারিতে হোমিও চিকিৎসার উল্লেখযোগ্য সফলতা রয়েছে। এত এত সফলতার পরেও প্রচার প্রসার ও সুযোগ সুবিধা কম থাকার দরুন সেভাবে হোমিও চিকিৎসা সেবা পরিচালনা করা ব্যাপকভাবে সম্ভব হয় না বা হচ্ছেও না।মাননীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর যদি এ বিষয়ে সুদৃষ্টি জ্ঞাপন করেন তাহলে হোমিও চিকিৎসার মাধ্যমে এ করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলা করা সম্ভবপর হবে বলে আমি বিশ্বাস করি।তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ পূর্বক সুদৃঢ়চিত্তে বলতে চাই, যদি সেন্ট্রাল পুলিশ হসপিটালের ন্যায় প্রতিটি হসপিটালে হোমিওপ্যাথিক করোনা ইউনিট চালু করা হয়, তাহলে এ সংকটময় পরিস্থিতি সফলতার সঙ্গে মোকাবেলা করা আরও অনেক সহজতর হবে।
হোমিও সমাধান
হোমিওপ্যাথি হলো একটি লক্ষণভিত্তিক প্রাচীন চিকিৎসা পদ্ধতি। ডা. স্যামুয়েল হানেমান এই চিকিৎসা পদ্ধতির প্রবর্তক। তিনি ১৭৯৬ খ্রিস্টাব্দে এই চিকিৎসা পদ্ধতির প্রবর্তন করেন এবং ১৮০৫ খ্রিস্টাব্দ থেকে তিনি সফলতার সঙ্গে এই চিকিৎসাকার্য পরিচালনা করেন।আর হোমিওপ্যাথি হলো রোগ নয় রোগীকে চিকিৎসা করা হয়, এই জন্য এক জন অভিজ্ঞ হোমিও চিকিৎসক রোগীর রোগের পুরা লক্ষন নির্বাচন করতে পারলে, করোনা জেএন.১ এর সংক্রমণ হোমিওপ্যাথির মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ সম্ভব। অনুরূপ লক্ষণে হোমওপ্যাথি ঔষধ, একোনাইট ন্যাপ, ইনফ্লুয়েঞ্জিনাম, আর্সনিক এ্যালবাম, বেলাডোনা, ব্রাইয়োনিয়া, জেলসিমিয়াম, ড্রসেরা, কার্বোভেজ, রাসটক্স সহ অনেক ঔষধ রোগীর রোগের লক্ষণের উপর আসতে পারে। তাই ঔষধ নিজে নিজে ব্যবহার না করে অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
পরিশেষে বলতে চাই, যেহেতু আমাদের বাংলাদেশে পরিবেশ দূষিত, তাই সরকারের দিকে তাকিয়ে না থেকে নিজের সুরক্ষা নিজেকেই নিতে হবে। ধুলোবালি থেকে বাঁচতে মাস্ক পরতে হবে। হাত স্যানিটাইজ করতে হবে। একটা ভাইরাস দেহে থাকতে, আরেকটি প্রবেশ করলে তখন ওই ব্যক্তির সংকটাপন্ন অবস্থা তৈরি হয়। এ জন্য ঘরেও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে।’ জনবহুল এলাকা, ভিড় থেকে শিশুকে যতটা সম্ভব দূরে রাখুন। কোভিডকালের মতোই মুখে মাস্ক এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার উপর আবারও জোর দেওয়া উচিত। এই রোগ ছোঁয়াচে। সুতরাং, সাবধানতা অবলম্বন না করলে, বিপদ বাড়বেই। তাই শীতের এই মৌসুমে ঘোরাঘুরি, উৎসব, অনুষ্ঠান বেড়ে যায়। কিন্তু যেকোনো রকম জনসমাগম, উৎসব, অনুষ্ঠান, ভিড় এড়িয়ে চলুন। উৎসব অনুষ্ঠান করতেই হলে সীমিত পরিসরে অল্পসংখ্যক মানুষকে নিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
লেখক : চিকিৎসক, কলাম লেখক ও গবেষক।
পাঠকের মতামত:
- কক্সবাজার সৈকতে হিটস্ট্রোকে পর্যটকের মৃত্যু
- তীব্র তাপপ্রবাহে বেঁকে হয়ে যাচ্ছে রেললাইন, দুর্ঘটনার আশংকা
- পাবনা এডওয়ার্ড কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত হলো ইসতিসকা নামাজ ও বিশেষ দোয়া
- যোগারদিয়া বিদ্যালয়ের সভাপতি নির্বাচিত হলেন সোহেল রানা ফরহাদ
- বাগেরহাটে ট্রাক চাপায় তিন ভ্যানযাত্রী নিহত
- ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগের পদ পেলেন সুবর্ণ সন্তান জাহিদ
- দিনাজপুরে ইকো ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট নিয়ে আঞ্চলিক কর্মশালা
- বাংলাদেশ তঞ্চঙ্গ্যা সম্প্রদায়ের মহা সম্মেলনে সভাপতি দিপ্তীময় তালুকদার সম্পাদক মৃনাল তঞ্চঙ্গ্যাঁ
- ফরিদপুর ডুমাইনের ইউপি চেয়ারম্যান-মেম্বারকে ধরতে পুরস্কার ঘোষণা জেলা প্রশাসকের
- চিফ হিট অফিসারের নিয়োগ নিয়ে যা বললেন মেয়র আতিক
- রবিবার খুলছে প্রাথমিক বিদ্যালয়, বন্ধ থাকবে প্রাক-প্রাথমিক
- ‘বিএনপি ১ কোটি লোক নিয়ে নামলেও আন্দোলন সফল হবে না’
- তাপদাহ কমাতে পানি ছিটাচ্ছে ডিএনসিসি
- বৃষ্টি কামনায় মোহাম্মদপুরে জাপার বিশেষ মোনাজাত
- ‘ডিয়ার মা’ হচ্ছেন জয়া আহসান
- গাজায় শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি হামলায় শিশুসহ নিহত ১৫
- রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার ১৭
- ‘পরের জন্মে আমি বাংলার কোনও মায়ের কোলে জন্মগ্রহণ করবো’
- ‘শেরে বাংলার কর্মপ্রচেষ্টা নতুন প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে’
- যুক্তরাজ্যের তেলবাহী জাহাজে হুতিদের মিসাইল হামলা
- ‘বিএনপির ইতিহাসে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কোনো নজির নেই’
- ঢাকায় সামরিক কর্তৃপক্ষ ১৪৮নং সামরিক বিধি জারি করে
- ছোটরা ভুল করতে করতে শিখবে
- ওরা ভস্মমুখ
- রূপকথার গল্প
- দেশ-জনগণের জন্য কাজ করতে আ.লীগকর্মীদের প্রতি আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
- ‘মানবসম্পদ উন্নয়নে উচ্চশিক্ষার বিকল্প নেই’
- দুর্নীতি মামলায় তদন্তের মুখে মাহাথির মোহাম্মদ
- টানা ২৭ দিন ধরে তাপপ্রবাহ, ৭৬ বছরের মধ্যে রেকর্ড
- নড়াইলে জমজমাট ঘুড়ি উৎসব অনুষ্ঠিত
- ‘বর্তমান সরকারের আমলে পাহাড়ে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে’
- শনিবার ১২ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না রাজধানীর যেসব এলাকায়
- বাংলাদেশ যুব ঐক্য পরিষদ ফরিদপুর জেলা শাখার ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন
- বৈদ্যুতিক পাখা মেরামত করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে একজনের মৃত্যু
- শ্রীনগরে মসিউর রহমান মামুনের উঠান বৈঠক অব্যাহত
- কাপাসিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আনারস মার্কার প্রার্থীর গণসংযোগ
- কালুখালী থেকে অস্ত্র-গুলিসহ ২ সন্ত্রাসী গ্রেফতার
- সাঁথিয়ায় অগ্রনী ব্যাংকের ভোল্ট থেকে ১০ কোটি টাকা উধাও, গ্রেফতার ৩
- রোহিঙ্গাদের কারণে কক্সবাজারে দীর্ঘস্থায়ী খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা : এফএসআইএন
- নড়াইলের পানচাষী কার্তিকের স্বপ্ন পুড়ে ছাই
- গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে বাংলাদেশ, প্রধানমন্ত্রীর সফরে চোখ সবার
- চাল আমদানি না করায় সাশ্রয়ী হয়েছে ডলার
- তীব্র তাপদাহে পথচারী ও গরীব মানুষের পাশে যুবলীগ
- ফরিদপুরে ইসলামী আন্দোলনের বিক্ষোভ মিছিল সমাবেশ
- সালথায় বৃষ্টির জন্য বিশেষ নামাজ আদায়
- ডিলারের সাথে খাদ্য কর্মকর্তার বিরোধে চাল পাচ্ছে না ৫০০ ওএমএস কার্ডধারী
- উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় ৭৩ জনকে বহিষ্কার করলো বিএনপি
- চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ ৪২.৭ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড
- মহম্মদপুরে ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হলেন মুনমুন খান
- হিলিতে গরুবোঝাই নছিমনের ধাক্কায় ২ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
- জেনে নিন কে এই 'প্রিন্স ড. মুসা বিন শমসের' !
- জেনে নিন কে এই 'প্রিন্স ড. মুসা বিন শমসের' !
- এবারও মেডিকেল ভর্তি কোচিংয়ের ফাঁদে শিক্ষার্থীরা
- এবারও মেডিকেল ভর্তি কোচিংয়ের ফাঁদে শিক্ষার্থীরা
- সিলেটের ভ্রমণ কাহিনী
- শুধু প্রভাবশালীদের পক্ষেই আইন!
- অম্ল-মধুর যন্ত্রণায় অপু বিশ্বাস
- লাইন ধরে খেতে হয় লিখনের জগা খিচুড়ি !
- আমার বোন শেখ হাসিনাকে খোলা চিঠি : চিনে নিন কে এই বরকত!
- 'ইতিহাসের ইতিহাস'
- ধনী হওয়ার আট কার্যকর উপায়
- মেয়ে পটানোর কৌশল!
- লক্ষাধিক রাখাইন জনগোষ্ঠী আড়াই হাজারে নেমে এসেছে
- উত্তরাধিকার ৭১ নিউজের নতুন যাত্রা ১ বৈশাখ
- লোভী মানুষ চেনার সহজ উপায়
- আমায় ক্ষমা কর পিতা : পর্ব ১৪'তোমার সহজাত উদারতা তোমাকে আকাশের সীমানায় উন্নীত করলেও তোমার ঘনিষ্ঠ অনেকের প্রশ্নবিদ্ধ আচরণ তোমার নৃশংস মৃত্যুর পথে কোনই বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি'
- বাংলা বই পড়ার ওয়েবসাইট
- শাকিবের নায়িকা শ্রাবন্তী, অপুর নায়ক জিৎ
- মঠবাড়িয়ায় ৯ বছরের শিশুকে পাশবিক নির্যাতনের পর হত্যা
- হুমায়ূনের মৃত্যুর কারণ মদের পার্টি !
- দেশে ফিরছেন তারেকস্ত্রী জোবায়দা রহমান
- বোরকা পরা মেয়ের গণধর্ষণের ভিডিও নিয়ে সিলেটে তোলপাড়
- ইউটিউবে নায়লার আত্মপ্রকাশ
- নেপালের ভূমিকম্প প্রাকৃতিক নয়, যুক্তরাষ্ট্রের সৃষ্টি !
- বিএনপির আন্দোলন হচ্ছে দলের অভ্যন্তরে !