অসাধু ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্য কমাতে ভোক্তাকে অধিকার রক্ষায় সচেতন হতে হবে
ডা. মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ
শুক্রবার ১৫ মার্চ বিশ্বজুড়ে পালিত হচ্ছে ভোক্তা-অধিকার দিবস ২০২৪। এবারের বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবসের মূল প্রতিপাদ্য হচ্ছে, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ। রাষ্ট্রের প্রতিটি নাগরিকই ভোক্তা। একজন ভোক্তা হিসেবে রয়েছে তার 'ভোক্তা অধিকার'। এ অধিকার সংরক্ষণের প্রথম পদক্ষেপ হলো জনসচেতনতা বৃদ্ধি। কিন্তু সে সচেতনতা সৃষ্টি না হওয়ায় ভোক্তারা পদে পদে বঞ্চিত হচ্ছে তাদের অধিকার থেকে।
১৯৬২ সালের ১৫ মার্চ সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডি কংগ্রেসে ভোক্তার স্বার্থ রক্ষার বিষয়ে বক্তৃতা দেন। ভোক্তার চারটি অধিকার সম্বন্ধে তিনি আলোকপাত করেন। এগুলো হলো- নিরাপত্তার অধিকার, তথ্যপ্রাপ্তির অধিকার, পছন্দের অধিকার এবং অভিযোগ প্রদানের অধিকার। ১৯৮৫ সালে জাতিসংঘ কেনেডি বর্ণিত চারটি মৌলিক অধিকারকে আরও বিস্তৃত করে অতিরিক্ত আরও আটটি মৌলিক অধিকার সংযুক্ত করে। কেনেডির ভাষণের দিনকে স্মরণীয় করে রাখতে দিনটিকে বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস হিসাবে বৈশ্বিকভাবে পালন করা হয়। আর ভোক্তা’ শব্দের সঙ্গে আমরা সবাই পরিচিত। ভোক্তার ইংরেজি শব্দ- কনজ্যুমার যার অর্থ ভোগকারী। অর্থাৎ যখন কেউ কোনো পণ্য বা সেবা গ্রহণ করে অর্থাৎ যারা ভোগ করে তাদের ভোক্তা বলা হয়। দেশে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ-২০০৯-এর আওতায় ভোক্তা হলেন- ‘তিনিই যিনি বাণিজ্যিক উদ্দেশ্য ব্যতীত, সম্পূর্ণ মূল্য পরিশোধ করে বা সম্পূর্ণ বাকিতে পণ্য বা সেবা ক্রয় করেন অথবা কিস্তিতে পণ্য বা সেবা ক্রয় করেন’। সমাজের সর্বস্তরের মানুষ কোনো না কোনোভাবে একজন ভোক্তা।
আবার অনেকে বলে থাকেন, মানুষের জীবন ও জীবিকার সঙ্গে যেসব অধিকার ও সুযোগ-সুবিধা রাষ্ট্র ও জাতিসংঘ কর্তৃক স্বীকৃত- এগুলো ভোক্তা অধিকারের আওতায় পড়ে।
জাতিসংঘ স্বীকৃত ভোক্তা অধিকারগুলোর মধ্যে অন্ন, বস্ত্র, শিক্ষা, চিকিৎসা ও বাসস্থানের মৌলিক চাহিদা পূরণের অধিকার, নিরাপদ পণ্য ও সেবা পাওয়ার অধিকার, পণ্যের উপাদান, ব্যবহারবিধি, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ইত্যাদি তথ্য জানার অধিকার, যাচাই-বাছাই করে ন্যায্য মূল্যে সঠিক পণ্য ও সেবা পাওয়ার অধিকার, কোনো পণ্য বা সেবা ব্যবহারে ক্ষতিগ্রস্ত হলে ক্ষতিপূরণ পাওয়ার অধিকার, অভিযোগ করার ও প্রতিনিধিত্বের অধিকার, ক্রেতা-ভোক্তা হিসেবে অধিকার ও দায়িত্ব সম্পর্কে শিক্ষা লাভের অধিকার, স্বাস্থ্যকর পরিবেশে কাজ ও বসবাস করার অধিকার অন্যতম।
তবে অধিকারের পাশাপাশি কিছু দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে বলা হলেও এসব বিষয়েও আমাদের অজ্ঞতা কম নয়। বিষয়গুলো হল- পণ্য বা সেবার মান ও গুণাগুণ সম্পর্কে সচেতন ও জিজ্ঞাসু হোন, দরদাম করে সঠিক পণ্যটি বাছাই করুন, আপনার আচরণে অন্য ক্রেতা যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হন সে ব্যাপারে সচেতন থাকুন।তাই বাংলাদেশে ভোক্তার স্বার্থ সংরক্ষণ ও ভোক্তা-অধিকার বিরোধী কাজ প্রতিরোধের উদ্দেশ্যে ২০০৯ সালে সরকার ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন প্রণয়ন করে। এ আইন বাস্তবায়নের জন্য প্রতিষ্ঠা করা হয় জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। প্রতিষ্ঠার পর থেকে ভোক্তা স্বার্থ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে এ অধিদপ্তর।একটি দেশে নাগরিকদের সুন্দরভাবে বেঁচে থাকার জন্য রাষ্ট্র নাগরিকদের কিছু অধিকার নিশ্চিত করে থাকে, যেগুলোকে বলা হয় নাগরিক অধিকার। আর এ নাগরিক অধিকারগুলোর মধ্যে ভোক্তা অধিকার অন্যতম।
একজন নাগরিকের বেঁচে থাকার জন্য বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা প্রয়োজন। এর কিছু প্রদান করে থাকে পরিবার, কিছু করে রাষ্ট্র। তবে অন্যান্য অধিকার থেকে ভোক্তা অধিকার কিছুটা ভিন্ন।
যিনি উৎপাদিত পণ্য ও সেবা চূড়ান্ত ভোগের জন্য ক্রয় করেন, অর্থনীতির ভাষায় তাকে ভোক্তা বলে। সহজ ভাষায় বলতে গেলে, যিনি কোনো পণ্য ক্রয় করেন কেবল নিজে ভোগ করার জন্য; তিনিই ভোক্তা।
একজন ব্যক্তি যখন কোনো পণ্য ক্রয় করেন, তখন তার জানার অধিকার রয়েছে পণ্যটি কবে উৎপাদিত হয়েছে, কোথায় উৎপাদিত হয়েছে এবং এর কাঁচামাল কী কী, মূল্য কত ইত্যাদি।
এসব প্রশ্নের উত্তর দিতে একজন বিক্রেতা বাধ্য। যদি কোনো বিক্রেতা এসব প্রশ্নের উত্তর না দেন বা দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন, তখন আইন অনুযায়ী তাতে ভোক্তা অধিকার ক্ষুণ্ণ হয়। জাতিসংঘ স্বীকৃত ভোক্তা অধিকার ৮টি।
এগুলো হল- মৌলিক চাহিদা পূরণের অধিকার, তথ্য পাওয়ার অধিকার, নিরাপদ পণ্য বা সেবা পাওয়ার অধিকার, পছন্দের অধিকার, জানার অধিকার, অভিযোগ করা ও প্রতিকার পাওয়ার অধিকার, ভোক্তা অধিকার ও দায়িত্ব সম্পর্কে শিক্ষা লাভের অধিকার, সুস্থ পরিবেশের অধিকার।
পণ্য ক্রয়ে প্রতারণার হাত থেকে ভোক্তাদের সুরক্ষা দিতে বাংলাদেশ সরকার ২০০৯ সালে বহুল প্রতীক্ষিত ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন প্রণয়ন করেছে। এ আইনের ফলে কোনো ভোক্তা পণ্য ক্রয়ে পণ্যের ওজন, পরিমাণ, উপাদান, মূল্যসহ কোনো বিষয়ে প্রতারিত হলে তার প্রতিকার পেয়ে থাকেন। অথচ দুঃখজনক হলেও সত্য, বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ এই গুরুত্বপূর্ণ আইনটি সম্পর্কে অবগত নয়। এমনকি শিক্ষিত সমাজের উল্লেখযোগ্যসংখ্যক ব্যক্তির মধ্যেও এই আইন সম্পর্কে তেমন কোনো ধারণা নেই।
এই আইন সম্পর্কে কোনো ধারণা না থাকার দরুন প্রতারিত হওয়ার ঘটনা বেড়েই চলেছে। বর্তমানে অনলাইনে কেনাকাটা বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। কিন্তু ওয়েবসাইটে পণ্যের যে মান উল্লেখ থাকে, মূল্য পরিশোধের পর পণ্য হাতে পেয়ে দেখা যায়- বর্ণিত গুণাগুণ সেই পণ্যের মধ্যে নেই।
তাই ভোক্তাকে এই আইন সম্পর্কে জানতে হবে এবং নির্ধারিত পন্থায় অভিযোগ দায়ের করতে হবে। তাহলেই অসাধু ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্য কমবে এবং ভোক্তাদের প্রতারিত হওয়ার সংখ্যাও কমে আসবে।আর ২০০৯ সালে প্রণীত ভোক্তা অধিকার আইনে মোট ৮২টি ধারা রয়েছে। এছাড়াও কয়েকটি ধারার উপধারা রয়েছে। আমি ভোক্তা অধিকার আইনের উল্লেখযোগ্য কিছু বিষয় তুলে ধরতে চাই। ৩৭ ধারা মোতাবেক পণ্যের মোড়ক না থাকলে বা মোড়কে পণ্যের তথ্য না থাকলে বিক্রেতা অনধিক ১ বছরের কারাদণ্ড বা ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হতে পারেন।
৩৮ ধারায় পণ্যের দাম সহজে দৃশ্যমান কোনো স্থানে না রাখলে ১ বছরের কারাদণ্ড বা ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হওয়ার বিধান রয়েছে। ৩৯ ধারায় উল্লেখ করা আছে, সেবার দাম সংরক্ষণ এবং সহজে দৃশ্যমান কোনো স্থানে না রাখলে বিক্রেতা অনধিক ১ বছরের কারাদণ্ড বা ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হতে পারেন।
৪০ ধারা অনুযায়ী, ধার্যকৃত মূল্যের অধিক মূল্যে পণ্য, সেবা বা ওষুধ বিক্রি করলে বিক্রেতা অনধিক ১ বছরের কারাদণ্ড বা ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হতে পারেন।
৪১ ধারা অনুযায়ী ভেজাল পণ্য বা ওষুধ বিক্রি করলে বিক্রেতা অনধিক ৩ বছরের কারাদণ্ড বা অনধিক ২ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হতে পারেন। ৪২ ধারা অনুযায়ী খাদ্যপণ্যে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর কোনো নিষিদ্ধ দ্রব্য মিশিয়ে বিক্রি করলে বিক্রেতা অনধিক ৩ বছরের কারাদণ্ড বা অনধিক ২ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হতে পারেন।
৪৩ ধারায় উল্লেখ আছে, জীবন বা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর এমন পণ্য অবৈধ উপায়ে বিক্রি করলে বিক্রেতা অনধিক ২ বছরের কারাদণ্ড বা অনধিক ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হতে পারেন।
৪৪ ধারায় উল্লেখ আছে, পণ্যের মিথ্যা বিজ্ঞাপন দিয়ে ক্রেতার সঙ্গে প্রতারণা করলে অনধিক ১ বছর কারাদণ্ড বা অনধিক ২ লাখ টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হতে পারেন ইত্যাদি।
পণ্য কিনে প্রতারিত হলে অভিযোগ দায়ের করার পদ্ধতি খুবই সহজ। বর্তমানে প্রত্যেকের হাতে হাতে স্মার্টফোন। গুগোল প্লে-স্টোরে সংরক্ষিত ‘ভোক্তা অধিকার ও অভিযোগ’ অ্যাপসের মাধ্যমে খুব সহজেই প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে অভিযোগ দায়ের করা যায়।আর ২০০৯ সালের আইনটি হওয়ার আগে কমবেশি ৪০ টি আইন ও ধারা বিচ্ছিন্নভাবে ভোক্তা অধিকারের সাথে সংশ্লিষ্ট ছিল। ২০০৯ সালের আইনের মাধ্যমে সবগুলো প্রাসঙ্গিক বিষয় একসাথে করা হয়।
ভোক্তা অধিকার নিয়ে আরো যে কয়েকটি উল্লেখযোগ্য আইন আছে তার মধ্যে অন্যতম হলো বিএসটিআই অধ্যাদেশ ১৯৮৫, অত্যাবশ্যক পণ্যসামগ্রী আইন ১৯৫৬, নিরাপদ খাদ্য আইন ১৯৫৯, পণ্য বিক্রয় আইন ১৯৩০, ওজন ও পরিমাপ আইন ১৯৮২ ও এক্রেডিটেশন বোর্ড আইন ২০০৬। সবগুলো আইনেই ভোক্তা অধিকারের কথা বলা আছে।
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন আছে। তারা বহুদিন থেকেই এধরনের আইন বাস্তবায়নের সুফল পেয়ে আসছে। নাগরিকদের ভোক্তা অধিকার সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি করার জন্য রাষ্ট্র বিভিন্ন পদক্ষেপও নিয়ে থাকে। একটি কার্যকর ভোক্তা আইনের ফলে সেসব দেশে জনস্বার্থ তথা ভোক্তা অধিকার আজ একটি প্রতিষ্ঠত বিষয়।
ব্যবসা-বাণিজ্য তথা ভোক্তা অধিকারের ক্ষেত্রে ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠা করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। আমরা দাম দিয়ে ভেজাল পণ্য ও সেবা ক্রয় করি। এ নিয়ে নাগরিকরা কোনো প্রতিবাদ করে না। রাষ্ট্রও নির্বিকার। কিন্তু অন্যান্য দেশে ভোক্তা অধিকার লংঘনের কথা ভাবাও যায় না।
ভোক্তা অধিকার লংঘন করলে অনেক দেশে বিক্রেতার লাইসেন্স পর্যন্ত বাতিল করা হয়। শুধু তাই নিয়, আছে ফৌজদারি দণ্ডও। তাই আইনের বাস্তবায়নটাই বড় কথা।
যেকোনো দেশে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণের প্রথম পদক্ষেপ হলো জনসচেতনতা বৃদ্ধি। কিন্তু আমাদের মাঝে অর্থাৎ ভোক্তাদের মাঝেই সে সচেতনতা সৃষ্টি হয়নি। ফলে, ভোক্তারা পদে পদে বঞ্চিত হচ্ছে তাদের অধিকার থেকে।
মিথ্যাচার, ভেজাল, ফর্মালিন আজ ভোগ্যপণের সাথে মিশে গেছে। এমনকি ওষুধ দিয়ে গরু মোটাতাজা করা হচ্ছে। বাজারের শাক-সবজি, ফল-মূল সব কিছুতেই ফরমালিন।
আইন প্রণয়নের পর বিভাগ, জেলা ও গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক এলাকায় বাজার মনিটরিং ও অভিযোগ নিষ্পত্তির মাধ্যমে এ আইন বাস্তবায়ন কার্যক্রম এগিয়ে চলছে। এ লক্ষ্যে মাঝে মাঝে গণমাধ্যমে অভিযান পরিচালনার সংবাদ দেখা যায়। এটিকে আংশিকভাবে এ আইন বাস্তবায়নের প্রাতিষ্ঠানিক পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচনা করা যায়। কিন্তু জনগণের দোড়গোড়ায় এ আইনকে পৌছে দিতে হবে। সচেতন করতে হবে সবাইকে।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণের প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে ১৯ হাজার ৮০০টি অভিযোগ পড়েছে। যেখানে ২০২২-২৩ অর্থবছরে ২৫ হাজার ১০৬টি অভিযোগ পড়েছিল। এর মধ্যে ৯০ শতাংশের বেশি ভোক্তার অভিযোগ নিষ্পত্তি করা হচ্ছে।
পরিশেষে বলতে চাই, বর্তমান প্রেক্ষাপটে দ্রব্যমূল্য একটি গুরুত্বপূণ বিষয়। বর্তমান সরকারের নির্বাচনী ইশতিহারে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি প্রধান্য পায়। নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার অধিদপ্তর নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছে। ভোক্তাদের অধিকার নিশ্চিত করা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মাণ এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের স্মার্ট বাংলাদেশ এর অংশ হিসেবে অধিদপ্তর যুগোপযোগী পদক্ষেপের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দিচ্ছে ও ভোক্তাদের সচেতন করার চেষ্টা করছে।আর
আমাদেরকে শিকার করতে হবে যে বাংলাদেশে যে কয়টি প্রতিষ্ঠান স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতার আওতায়তার মধ্যে অন্যতম জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। যদিও তাদের লোকবল অনেকখানি কম তারপরেও স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতার প্রশ্নে তারা বাংলাদেশের অন্য সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে একটু আলাদা। আশা করি তারা তাদের স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা ধরে রাখবে এবং মানুষের কল্যাণে নিয়োজিত থাকবে। তাই পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় সচেতন ও সক্রিয় হোন, ক্রেতা-ভোক্তা হিসেবে অধিকার সংরক্ষণে সোচ্চার ও সংগঠিত হোন।
লেখক : কলাম লেখক ও গবেষক।
পাঠকের মতামত:
- সোলসের গানে মুগ্ধ ডেনভার
- ধামরাইয়ের সাবেক চেয়ারম্যানের ছোটো ভাইয়ের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
- জাতীয় সংসদে গ্রাম আদালত বিল পাস
- নগরকান্দায় কালবৈশাখী ঝড়ে বজ্রপাতের শব্দে ২১ ছাত্র আহত
- আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম
- দুই ম্যাচ হাতে রেখেই বাংলাদেশের সিরিজ জয়
- গোপালগঞ্জে ২০ দিন পর ব্যবসায়ীর লাশ উত্তোলন
- বাগেরহাটে ছাদ থেকে পড়ে সৌদি প্রবাসীর মৃত্যু
- মোংলা বন্দরে কাস্টমসের শুল্ক জটিলতায় আটকা ২০ অ্যাম্বুলেন্স, বারবিডা’র ক্ষোভ
- সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর জন্মদিন আগামীকাল
- সরিষাবাড়ী উপজেলা পরিষদ নির্বাচন স্থগিত
- ফরিদপুর সদর উপজেলা নির্বাচনের ভোট কাল
- দিনাজপুরে আইইবি’র ৭৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন
- শ্যামনগরের দুর্গম দুই দ্বীপ ইউনিয়নে আজই যাচ্ছে ব্যালট
- দিনাজপুরে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ শুরু
- বাগেরহাটে দু’টি উপজেলায় নির্বাচন, ভোট কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে নির্বাচনী সামগ্রী
- দিনাজপুরে ৩ উপজেলায় নির্বাচন বুধবার
- ওয়ালটন হাই-টেক পার্কে সর্বজনীন পেনশন স্কিমের ‘অবহিতকরণ ও উদ্বুদ্ধকরণ’ কর্মশালা
- মহম্মদপুরে হাজী বজলুর রহমান মাস্টার আর নেই
- পলাশবাড়ীতে মেয়র পুত্রের ব্যক্তিগত উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ
- উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় ভূঞাপুরে বিএনপি নেতা বহিষ্কার
- ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ে সেমিনার অনুষ্ঠিত
- মির্জাপুরে গজারি বনে আগুন ধরিয়ে ফায়দা লুটতে চায় দুর্বৃত্তরা
- টানা পঞ্চমবার প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিলেন পুতিন
- বোয়ালমারীতে বজ্রপাতে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীসহ আহত ৮, দুই গরুর মৃত্যু
- শতবর্ষী জেলা পরিষদ ভবনসহ পুরাতন সকল ভবন রক্ষার দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি
- পলাশবাড়ীতে মাংস ব্যবসায়ীদের নিয়ে অবহিতকরণ সভা
- ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ খচিত স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণ শুরু
- হাসিনা সাহিদ মাধ্যমিক মডেল একাডেমীতে খোলা আকাশের নিচে চলছে ক্লাস
- ‘সতর্ক হতে হবে আইএমএফের পরামর্শে কর ছাড় প্রত্যাহারে’
- ‘ডেঙ্গুতে মাকে হারিয়েছি, আর কেউ যেন না হারায়’
- ‘৬ মাসের মধ্যে থার্ড টার্মিনালের পুরোপুরি ব্যবহার করা যাবে’
- ‘কৃষকদের হয়রানি করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে’
- লালপুরে দুস্থদের মাঝে যাকাত ফান্ডের নগদ অর্থ বিতরণ
- জনগণের সেবা করার সুযোগ চাই: মন্নু
- কেন্দ্রে কেন্দ্রে যাচ্ছে নির্বাচনী সরঞ্জাম, ব্যালট যাবে সকালে
- ‘প্রকল্প কতটুকু জনকল্যাণে লাগবে আগে বিবেচনা করুন’
- ঈশ্বরদীতে খরায় পুড়ছে সবজি ক্ষেত, উৎপাদন নিয়ে শঙ্কা
- রাত পোহালেই রাজবাড়ীর ২ উপজেলায় ভোট, কেন্দ্রে যাচ্ছে সরঞ্জাম
- জুমা আক্তার স্পেনে প্রথম বাংলাদেশি চিকিৎসক
- থ্যালাসেমিয়া সম্পর্কে জানতে প্রয়োজন সচেতনতা
- গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে শেখ হাসিনার সাহসী প্রত্যাবর্তন
- লোহাগড়ায় চেয়ারম্যান প্রার্থী তারিকুল ইসলাম উজ্জলের ব্যাপক গণসংযোগ
- অতিরিক্ত লবণ খাওয়া ক্ষতিকর
- রোহিঙ্গাদের জন্য আরও তহবিল সংগ্রহের আহ্বান জানালেন প্রধানমন্ত্রী
- কাপাসিয়ায় উপজেলা নির্বাচন বিষয়ক প্রেস ব্রিফিং
- কালিহাতীতে কাভার্ডভ্যান-ট্রাকের সংঘর্ষে নিহত ১, আহত দুই
- মহম্মদপুরের নহাটা ইউনিয়নে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আনারস প্রতীকের অফিসের উদ্বোধন
- সাতক্ষীরায় অপরিপক্ক আম জব্দ, দুই ব্যবসায়িকে জরিমানা
- এবার দেশে সংবর্ধনা পেলেন রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা
- জেনে নিন কে এই 'প্রিন্স ড. মুসা বিন শমসের' !
- জেনে নিন কে এই 'প্রিন্স ড. মুসা বিন শমসের' !
- এবারও মেডিকেল ভর্তি কোচিংয়ের ফাঁদে শিক্ষার্থীরা
- এবারও মেডিকেল ভর্তি কোচিংয়ের ফাঁদে শিক্ষার্থীরা
- সিলেটের ভ্রমণ কাহিনী
- শুধু প্রভাবশালীদের পক্ষেই আইন!
- অম্ল-মধুর যন্ত্রণায় অপু বিশ্বাস
- লাইন ধরে খেতে হয় লিখনের জগা খিচুড়ি !
- আমার বোন শেখ হাসিনাকে খোলা চিঠি : চিনে নিন কে এই বরকত!
- 'ইতিহাসের ইতিহাস'
- ধনী হওয়ার আট কার্যকর উপায়
- মেয়ে পটানোর কৌশল!
- লক্ষাধিক রাখাইন জনগোষ্ঠী আড়াই হাজারে নেমে এসেছে
- উত্তরাধিকার ৭১ নিউজের নতুন যাত্রা ১ বৈশাখ
- লোভী মানুষ চেনার সহজ উপায়
- আমায় ক্ষমা কর পিতা : পর্ব ১৪'তোমার সহজাত উদারতা তোমাকে আকাশের সীমানায় উন্নীত করলেও তোমার ঘনিষ্ঠ অনেকের প্রশ্নবিদ্ধ আচরণ তোমার নৃশংস মৃত্যুর পথে কোনই বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি'
- বাংলা বই পড়ার ওয়েবসাইট
- শাকিবের নায়িকা শ্রাবন্তী, অপুর নায়ক জিৎ
- মঠবাড়িয়ায় ৯ বছরের শিশুকে পাশবিক নির্যাতনের পর হত্যা
- হুমায়ূনের মৃত্যুর কারণ মদের পার্টি !
- দেশে ফিরছেন তারেকস্ত্রী জোবায়দা রহমান
- বোরকা পরা মেয়ের গণধর্ষণের ভিডিও নিয়ে সিলেটে তোলপাড়
- ইউটিউবে নায়লার আত্মপ্রকাশ
- নেপালের ভূমিকম্প প্রাকৃতিক নয়, যুক্তরাষ্ট্রের সৃষ্টি !
- বিএনপির আন্দোলন হচ্ছে দলের অভ্যন্তরে !