E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

জগন্নাথ হলের কৃতি ছাত্রগুলো যায় কোথায়

২০২৪ মার্চ ৩০ ১৬:৩২:১৭
জগন্নাথ হলের কৃতি ছাত্রগুলো যায় কোথায়

শিতাংশু গুহ


জগন্নাথ হল, এক টুকরো স্মৃতি। ভোলার নয়, সকাল বেলা উত্তর বাড়ীতে হরেন-এর ‘কিছু লাইগবো নি বাবু’ ভুলি কি করে! না, স্মৃতি লিখতে বসিনি, ২৫শে মার্চ কালরাত্রি, বা অক্টোবর স্মৃতিরোমন্থন করছি না, ভাবছি, জগন্নাথ হলের কৃতি ছাত্রগুলো যায় কোথায়! বেশ ক’বছর আগে সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে নিউইয়র্কে কনসাল জেনারেলের সাথে সাক্ষাৎকালে তিনি বললেন, ‘দাদা, আমরা সাতজন ফার্স্ট ক্লাশ পাই, তন্মধ্যে চারজন মুসলমান, তিনজন হিন্দু, কোনও  বৈষম্যতো দেখিনা। বললাম, চমৎকার, আচ্ছা ঐ সাতজন কে কোথায় আছেন? তিনি চারজনের কথা জানালেন, সবাই ভাল ভাল পদে আছেন; বাকি তিনজনের কথা বলতে পারলেন না। বললাম, আমি জানি তারা কোথায় আছেন! তিনি অবাক হলেন। আমি বললাম, তারা হয় কোনও বিদেশী সংস্থা, স্বায়ত্ত¡¡শাসিত প্রতিষ্ঠান অথবা বিদেশে আছেন। দেশ তাদের সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, অথবা দেশের জন্যে কিছু করার সুযোগ তারা পাচ্ছেন না!

টাঙ্গাইল শাড়ির জিআই ভারত নিয়ে গেছে। এতে আমাদের দুঃখের অন্ত নেই! আমরা টাঙ্গাইল শাড়ির জিআই চাই, এটি ন্যায্য দাবি। কিন্তু টাঙ্গাইল শাড়ির জিআই ভারত নিয়ে নেওয়ার সুযোগ পেলো কী করে, তাতো কারুর অজানা নয়! এই শাড়ির শত শত কারিগর এ দেশ থেকে ভারতে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছে। নতুন করে সেখানে তারা টাঙ্গাইল শাড়ি তৈরি ও ব্র্যান্ডিং করেছে। সেই সুযোগ ভারত মোক্ষমভাবে কাজে লাগিয়েছে। তাই এখনো যারা টাঙ্গাইল শাড়ির কারিগর আছেন তারা যেন আর দেশত্যাগ না করে সে ব্যবস্থা ও পরিবেশ নিশ্চিত করাটা দরকার। এটিও এক ধরণের মেধা পাচার। মুসলিমদের মধ্যেও মেধা পাচার মধ্যে হচ্ছে না, তা নয়। তবে দুই সম্প্রদায়ের মেধা পাচারের প্রেক্ষিত ভিন্ন। বৈষম্য ও সুযোগের অভাবে হিন্দুদের মধ্যে মেধা পাচারের হার বেশি।

ক’দিন আগে নিউইয়র্কে এক সাংবাদিক সম্মেলনে বৈষম্যের বর্ণনা দিতে গিয়ে জগন্নাথ হলের সাবেক এক শিক্ষার্থী জানালেন, তার তিনটে ফার্স্টক্লাস (২টি ১ম বিভাগ, একটি ফার্স্টক্লাস), তিনি দু’বার বিসিএস পরীক্ষায় পাশ করলেও ভাইভায় ফেল। শেষ পর্যন্ত এক মন্ত্রীকে ধরে তিনি একটি সরকারি চাকুরী জোগাড় করেন। একজন সাংবাদিক বললেন, ব্যতিক্রম তো দৃষ্টান্ত হতে পারেনা। ওটি যে ব্যতিক্রম নয়, সাংবাদিক তা জানেন, স্বীকার করেন না। ‘ভাইভা’ নামক যন্ত্রণার অভিজ্ঞতা প্রায় সকল হিন্দুর আছে, সেকথা নাই-বা বললাম। তবে সম্প্রতি শুনেছি সরকারি কর্ম কমিশনে লিখিত ও ভাইভা সিস্টেম বদল হয়েছে, অন্তত গত দুই-তিন টার্ম যাবৎ এই যন্ত্রণা থেকে হিন্দুরা কিছুটা পরিত্রাণ পেয়েছে। বিসিএস ফলাফলে এর প্রতিফলন ঘটতে দেখা যাচ্ছে। এমনটি সর্বত্র ঘটুক, হিন্দুরা তাই চায়। দেশ জগন্নাথ হলের কৃতি ছাত্রদের মেধা চায়, তাদের সেবা চায়। তারাও সেবা দিতে চায়। দু’টোই যাতে ঘটে তা নিশ্চিত করার দরকার।

জগন্নাথ হল মেধার খনি, বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের কথা বলতে গেলে জগন্নাথ হল আসবেই। সেই জগন্নাথ হল যখন অবহেলিত থাকে, তখন বাদবাকি হিন্দুদের অবস্থান বুঝতে কারো অসুবিধা হবার কথা নয়। নোবেল বিজয়ী অমর্ত্য সেন, পাবনার কিংবদন্তি সুচিত্রা সেন, নারায়ণগঞ্জের জ্যোতি বসু, সবারইতো তো বাংলাদেশ ভূখণ্ডে জন্ম। এখানেই তাদের প্রাথমিক শিক্ষাজীবন শুরু। পরে তারা ওপার বাংলায় চলে যান। সবাই কোরাসের সুরে বলবেন, এটি ভারত বিভাগের কুফল। কথার মধ্যে কিছুটা সত্যতা আছে। তবে শুধু দেশভাগই কি এজন্যে দায়ী, নাকি এর পিছনে আরো কিছু আছে? শুধু ভারতভাগ হলে তো পূর্ব বাংলা থেকে হিন্দুরা ভারতে যেতো, আর পশ্চিমবাংলা থেকে মুসলমানরা এখানে আসতো। তাতো হয়নি, শুধু হিন্দুরা এখান থেকে চলে যেতে বাধ্য হয়েছে। পাকিস্তান সরকার ও স্থানীয় সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠী বহুবিধ উপায়ে নির্যাতন চালিয়ে হিন্দুদের এদেশ থেকে চলে যেতে বাধ্য করেছে। পক্ষান্তরে পূর্ব-ভারতে তা হয়নি বলেই মুসলমানরা তথায় থেকে যেতে পেরেছি।

এটি সত্য যে, জগন্নাথ হলের মেধাবী ছাত্ররা বৈষম্যের শিকার, সকল হিন্দুর মত তারাও নির্যাতিত। বিবিধ বড়বড় পদে যাদের দেখা যায়, তারা চাপের মধ্যে থাকেন। একটি বিষয় পরিষ্কার যে, এ বৈষম্য নিরসনে জগন্নাথ হল কখনোই সম্মিলিতভাবে রুখে দাঁড়ায়নি। দাঁড়ানো উচিত। একইভাবে সারাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অঙ্গপ্রতিষ্ঠান হিসাবে জগন্নাথ হলের কোন ভূমিক দেখা যায় না, বিপ্লবী ভূমিকা না হোক, কিছুটা নিয়মতান্ত্রিক ভূমিকা থাকাটা স্বাভাবিক ছিলো। জগন্নাথ হলে সমগ্র বাংলাদেশের প্রতিটি অঞ্চলের ছাত্রদের নিবাস। কোনও ঘটনা ঘটলে ওই অঞ্চলের শিক্ষার্থীরা সোচ্চার হলেও কিছুটা কাজ হতো। জগন্নাথ হল কথা বললে দেশবাসী জানতো, শুনতো, সরকার ও প্রশাসন ব্যবস্থা নিতে পারতো। কিন্তু কিছুই হচ্ছেনা, কবে হবে? এখন যৌবন যার, যুদ্ধে যাবার সময় তার, যুদ্ধ না হোক, যুবক শিক্ষার্থীরা অন্তত প্রতিবাদী হলেও কিছুটা সান্তনা থাকতো। দেশে হিন্দুরা প্রতিবাদী হচ্ছে, জগন্নাথ হলের ছাত্ররা পিছিয়ে থাকতে পারেনা!

বাংলাদেশের প্রগতিশীল রাজনীতির সূতিকাগার জগন্নাথ হল, এটিই সত্য। জুলফিকার আলী ভূট্টোর গাড়ীতে লিফলেট দেওয়া, ভার্সিটিতে প্রেসিডেন্ট জিয়ার পিঠে ঘুষি মারা ও ঢিল ছুড়ে তার স্টাফ অফিসারকে আহত করা, এসবই জগন্নাথ হলের ছাত্রদের কৃতিত্ব। পঁচাত্তরের পর আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের উত্থান জগন্নাথ হল থেকেই। ওবায়দুল কাদের নেতা হয়েছেন জগন্নাথ হল থেকেই। না তিনি জগন্নাথ হলের ছাত্র নন, কিন্তু রাজনৈতিক কারণে বেশিরভাগ সময় কাটাতেন জগন্নাথ হলে। আরো একটি সত্য বলছি- পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের প্রতিশোধ নিতে ভারতে কাদের সিদ্দিকীর নেতৃত্বে যে-প্রতিরোধ বাহিনী গড়ে উঠেছিলো তা সফল না হওয়ার অন্যতম কারণ এর সদস্য ছিলো অধিকাংশ হিন্দু ও সংখ্যালঘুরা, এবং তাদের অনেকেই জগন্নাথ হলের ছাত্র। কাদের সিদ্দিকী জীবিত আছেন, তিনি ভাল বলতে পারবেন। জগন্নাথ হলের ছাত্র, বর্তমান সংসদ সদস্য দীপঙ্কর তালুকদার সে সময়ে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর ঘনিষ্ঠ ছিলেন। জগন্নাথ হলের আরেক ছাত্র যাকে এক সময়ে ‘ছাত্রলীগের ব্রেইন’ বলা হতো, সেই হরেকৃষ্ণ দেবনাথ পঁচাত্তরে দেশ ছাড়ার পর আর দেশে ফিরতে পারেননি, কলকাতায় মারা গেছেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জগন্নাথ হল একই সময়ে প্রতিষ্ঠিত এবং সম-গৌরবের অধিকারী। স্বাধীনতার পর একবার শুধু রোল-নাম্বার দিয়ে ক’টি পরীক্ষা হয়েছিল। ফলাফল দেখে কর্তৃপক্ষ দ্রুত তা পাল্টে ফেলেন। প্রশ্নোত্তর খাতায় নাম না থাকলে জগন্নাথ হলকে আটকে রাখার সাধ্য কারো নেই! সেই জগন্নাথ হলের ভাল ছাত্রগুলোর অনেকেই হারিয়ে গেছেন, কারণ সবার জানা। পাকিস্তান আমলে রসায়ন বিভাগে পরিতোষ মজুমদার নামে এক ছাত্রকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছিলো একথা বলে যে, ‘আমরা ভারতের জন্যে কেমিষ্ট সৃষ্টি করিনা’। পরিতোষ মজুমদারের বাড়ী ছিলো আমার জন্মস্থান চাঁদপুরে, তাই ঘটনাটি আমার জানা। এখন পরিস্থিতি তা নয়, তবুও ‘কিন্তু’ কিছু আছে বটে! কী সেই ‘কিন্তু’! পূর্ব পাকিস্তান ও বর্তমান বাংলাদেশ ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের সেবা থেকে বঞ্চিত হওয়া বা দেশের জন্যে তারা কিছু করার সুযোগ না পাওয়ার গোড়াপত্তন হয়েছিল ১৯৪৭ সালে। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ায় সেই অবস্থার পরিবর্তন শুরু হয়েছিল বটে, কিন্তু ঐ যে কথায় আছে ‘গরীবের পেটে ঘি সয় না’!

পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর নৃশংস হত্যাকাণ্ডের মধ্যে দিয়ে আবার শুরু হয় পাকিস্তানী ভাবধারায় দেশ পরিচালনা। ১৯৯৬ পর্যন্ত সেই ধারাই চলছিলো, সাথে যোগ হয় সংখ্যালঘু নির্যাতন, ফলে আবার হিন্দুদের দেশত্যাগ। এরপর ৫বছর বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে রাষ্ট্র পরিচালনা করেন, সংখ্যালঘুরা কিছুটা স্বস্তি ফিরে পান, তারা আবার স্বদেশভূমে স্থিতু হবার চেষ্টা করেন। ২০০১’এ নির্বাচন পরবর্তী সংখ্যালঘু নির্যাতন তো ইতিহাস, সেটি চলমান থাকে পাঁচ ৫বছর, একই সাথে চলতে থাকে হিন্দুদের দেশত্যাগ। মূলত বৃটিশের ‘ডিভাইড এন্ড রুল’, পাকিস্তানের ২৫ বছরের সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রনীতি, বাংলাদেশে দুই দফায় ২৬বছরের মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষ শক্তির শাসন, অর্থাৎ ভারতভাগের পর মোট ৫১ বছরের রাজনীতির কারণে আজকের বাংলাদেশে একটি শক্তিশালী সাম্প্রদায়িক শক্তি’র ভিত্তি স্থাপিত হয়েছে, এটি অস্বীকার করার কোন অবকাশ নেই? ২০০৯-এর পর থেকে আওয়ামী লীগও অ-সাম্প্রদায়িক রাজনীতি থেকে অনেকটা দূরে সরে গেছে, এবং সাম্প্রদায়িক শক্তির সাথে গাঁটছড়া বেঁধেছে, এটিও সত্য। তবুও আওয়ামী লীগই এখনো একমাত্র ভরসা।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হয়তো এটি ভাল করে বুঝতে পেরেছিলেন বলেই সংবিধানে চার রাষ্ট্রীয় মূলনীতির মধ্যে অন্যতম ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’ নীতি সংযোজন করেছিলেন। ঐ সময় তিনি বলেছিলেন, “স্বাধীন বাংলাদেশে সেক্যুলার বাঙ্গালী জাতির অস্তিত্বের রক্ষাকবজ হচ্ছে ধর্মনিরপেক্ষতা। আমি ধর্মনিরপেক্ষতার এ চারাগাছ বাংলাদেশের মাটিতে পুঁতে গেলাম। যদি কেউ এ চারা উৎপাটন করে, তা’হলে বাঙ্গালী জাতির স্বাধীন অস্তিত্বই সে বিপন্ন করবে।” এরপর পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট নৃশংস হত্যাকান্ড। বঙ্গবন্ধু নিহত হবার পরপরই সাম্প্রদায়িক অপশক্তি আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠে, রাষ্ট্রক্ষমতা হাতে পায়, এবং দেশ পুনরায় চলতে শুরু করে পাকিস্তানী সাম্প্রদায়িক ভাবধারায়। ফলে দেশে সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠী ও প্রগতিশীল মানুষগুলো পুনরায় নির্যাতিত হতে শুরু করে।

জাতির পিতার রক্তের উত্তরসুরী শেখ হাসিনা, তিনি বুঝেছিলেন, ‘সোজা আঙ্গুলে ঘি ওঠেনা’, তাই দৃশ্যত ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে দেশ পরিচালনার কৌশল বদলে ২০০৯ সাল থেকে নুতন কৌশল অবলম্বন করেন। তিনি বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার করেন, যুদ্ধাপরাধীদের শাস্তি দেন, জঙ্গিদমনে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি কার্যকর করেন। এ বছর ৭ই জানুয়ারি নির্বাচন নিয়ে অনেকে কথা বলছেন বটে, কিন্তু এটি ‘রাজাকার মুক্ত’ নির্বাচন ও রাজকার মুক্ত সংসদ হয়েছে, এও সত্য। প্রেম ও যুদ্ধে নাকি সবই বৈধ, হয়তো নির্বাচনের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। এটি সত্য, নির্বাচন আয়োজন করেছে নির্বাচন কমিশন; রাজনীতির মাঠে খেলেছেন শেখ হাসিনা। ফল যা হবার তাই হয়েছে, বিরোধীরা নির্বাচন বয়কট করেছে, সাম্প্রদায়িক শক্তি হেরেছে। হিন্দুদের জন্যে লাভ এটুকু যে, সাম্প্রদায়িক শক্তি মাঠে না থাকায় এবার নির্বাচনের আগে-পরে তেমন একটি নির্যাতন হয়নি।

মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষ শক্তি সর্বদা চায়- সংসদে সরকারি দল এবং বিরোধী দল- আসুক স্বাধীনতার স্বপক্ষ দল থেকে। স্বাধীনতা বিরোধীদের রাজনীতি করার অধিকার থাকতে পারেনা, থাকা উচিত নয়। এটি আমাদের মনের কথা, একটি দেশকে এগিয়ে নিতে এর দরকার আছে। কারণ এটি বাস্তবায়িত হলে দেশ এগিয়ে যাবে, হিন্দুরা আস্থার জায়গা ফিরে পাবে, সংখ্যালঘু নির্যাতন বন্ধ হবে এবং হিন্দুদের দেশত্যাগ বন্ধ হবে। আমাকে জগন্নাথ হলের কৃতি ছাত্রগুলো যায় কোথায় তা নিয়ে ভাবতে বা লিখতে হবে না। আমরা চাই জগন্নাথ হলের কৃতি ছাত্রগুলো দেশের কাজে লাগুক, দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাক এবং দেশের মুখোজ্জ্বল করুক। হিন্দুরা এ দেশের ভূমিপুত্র, জগন্নাথ হল ভূমিপুত্রদের, হলের কৃতি ও সাধারণ ছাত্ররা দেশের আপামর শিক্ষার্থীদের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে, তাদের মেধা ও শ্রম দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে, এটাই প্রত্যাশা।

লেখক : যুক্তরাষ্ট্র জগন্নাথ হল এলামনি’র সাবেক প্রেসিডেন্ট ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কর্মী।

পাঠকের মতামত:

০২ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test