E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শিরোনাম:

আওয়ামী লীগ : গণতান্ত্রিক ঐতিহ্যের ৬৬ বছর

২০১৫ জুন ২৩ ১১:৫৯:৩৯
আওয়ামী লীগ : গণতান্ত্রিক ঐতিহ্যের ৬৬ বছর

রায়হান কবির : বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী গণতান্ত্রিক সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন ‘পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ’ নামে সংগঠনটির ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ ঘটলেও তার অন্তর্নিহিত গন্তব্য ছিল বাঙালি জাতির জন্য একটি প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র আর সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার প্রত্যয়।

১৯৪৯ সালের ২৩ ও ২৪ জুন ঢাকার ‘রোজ গার্ডেন’-এ এক কর্মী সম্মেলনের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের জন্ম। ওই সম্মেলনে গৃহীত ১২-দফা দাবির প্রথম দফায় বলা হয়- ‘পাকিস্তান একটি স্বাধীন-সার্বভৌম ও জনকল্যাণমূলক রাষ্ট্র হবে। পাকিস্তানের সর্বোচ্চ ক্ষমতার অধিকারী হবে জনসাধারণ।’

১৯৪৯ সালের আওয়ামী মুসলিম লীগের খসড়া মেনিফেস্টোতে বলা হয়- ‘প্রত্যেক অধিবাসীকেই তার নিজস্ব মত অনুযায়ী ধর্মমত গ্রহণের ও নিজস্ব ধর্ম শাস্ত্রানুযায়ী ধর্ম-কর্ম পালন করার অধিকার দিতে হইবে এবং উক্ত অধিকার প্রতিষ্ঠিত রাখার ব্যাপারে সর্বপ্রকার সাহায্য করিতে হইবে।’

দ্বি-জাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে জন্ম নেওয়া পাকিস্তানের মতো সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র এবং মুসলিম লীগের মতো উগ্র প্রতিক্রিয়াশীল শক্তির বিপরীতে আওয়ামী লীগের চেতনা ও আদর্শ নির্ধারণী এ মেনিফেস্টোতে জনগণকে সার্বভৌম ক্ষমতা ও প্রভূত্বের অধিকারী এবং ধর্ম ও সংস্কৃতির সমানাধিকার প্রতিষ্ঠার ঘোষণা ছিল সময়ের সাহসী ঘোষণা।
জন্মলগ্ন থেকেই আওয়ামী লীগ আদর্শে গণতান্ত্রিক, নীতিতে ধর্মনিরপেক্ষ, চেতনায় জাতীয়তাবাদী, মূল্যবোধে সমাজতান্ত্রিক। প্রতিষ্ঠার পর থেকে মূলনীতি বাস্তবায়নে নিরবচ্ছিন্ন সংগ্রাম করে আসছে দলটি। ১৯৫১-এর ১১ ডিসেম্বর ময়মনসিংহে অনুষ্ঠিত কাউন্সিলে পূর্ব বাংলার স্বায়ত্তশাসন ও গণতন্ত্রের দাবি সংবলিত ২১-দফা দাবি পেশ করে আওয়ামী লীগ। পরবর্তীতে তা যুক্তফ্রন্টের নির্বাচনী ইশতেহারে পরিণত হয়।

আওয়ামী লীগের সাহসী ভূমিকা ৫২-এর রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনকে বেগবান করে। ১৯৫৩-এর কাউন্সিল অধিবেশনে দলের নাম থেকে ‘মুসলিম’ শব্দ বাদ দেওয়ার প্রস্তাব উঠলেও খন্দকার মোশতাকসহ অনেকের বিরোধিতার কারণে পাস করা সম্ভব হয়নি। ১৯৫৫ সালের কাউন্সিল অধিবেশনে দলের নাম থেকে ‘মুসলিম’ শব্দটি বাদ দিয়ে অসাম্প্রদায়িক দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে আওয়ামী লীগ।

আওয়ামী লীগের প্রগতিশীল চিন্তাধারা সমগ্র বাঙালিকে ঐক্যবদ্ধ করায় ১৯৫৪-এর নির্বাচনে বাংলার জনগণ ২১-দফার পক্ষে রায় দিলে যুক্তফ্রন্ট নিরঙ্কুশ বিজয় লাভ করে। যুক্তফ্রন্টের প্রাপ্ত মোট আসনের মধ্যে ১৪৩টি আসন লাভ করে আওয়ামী লীগ। অভ্যন্তরীণ অন্তর্কোন্দলে যুক্তফ্রন্ট ভেঙে গেলে সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসেবে ১৯৫৬-এর ৬ সেপ্টেম্বর আতাউর রহমান খানের নেতৃত্বে পূর্ব বাংলায় মন্ত্রিসভা গঠন করে আওয়ামী লীগ। ১২ সেপ্টেম্বর পাকিস্তানের কেন্দ্রেও হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর নেতৃত্বে কোয়ালিশন মন্ত্রিসভা গঠিত হয়। কেন্দ্রে ও পূর্ব বাংলায় আওয়ামী লীগ শাসনামলে পাকিস্তানে গণতন্ত্র বিকাশের সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়। সে সময় আওয়ামী লীগকে আরও গণমুখী করতে সিদ্ধান্ত হয়Ñ সরকারের মন্ত্রী থাকলে দলীয় কর্মকর্তা থাকা যাবে না। এ সিদ্ধান্তে অন্য সকলে দলীয় পদ ত্যাগ করে মন্ত্রিত্ব গ্রহণ করলেও শেখ মুজিবুর রহমান মন্ত্রিত্ব ত্যাগ করে সাংগঠনিক কাজে আত্মনিয়োগ করেন।

১৯৫৮-এর ৭ অক্টোবর সামরিক অভ্যুত্থানের পর সংবিধান, কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক মন্ত্রিসভা বাতিল এবং রাজনৈতিক দল ও কর্মকা- নিষিদ্ধ ঘোষণা করে শেখ মুজিবসহ অসংখ্য রাজনীতিবিদকে গ্রেফতার করা হয়। ১৯৬২ সালে মৌলিক গণতন্ত্রের নামে আইয়ুব খানের একতরফা গণভোটে অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকে আওয়ামী লীগ। ১৯৬৪-এর ২৫ ও ২৬ জানুয়ারি কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় আওয়ামী লীগ পুনরুজ্জীবিত করার সিদ্ধান্ত হয়। ৫ জুন পুনরুজ্জীবিত আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় ১১-দফা দাবি উত্থাপন করা হয়। ১১-দফা দাবি কার্যত ঐতিহাসিক ৬-দফা দাবির ভিত্তি রচনা করে।

১৯৬৪-এর ২৬ জুলাই পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গঠিত কম্বাইন্ড অপোজিশন পার্টি (কপ)-এ যোগদান করে আওয়ামী লীগ। কপ-এর প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ফাতেমা জিন্নাহর পক্ষে দেশজুড়ে নির্বাচনী প্রচারণা চালায় দলটি। ১৯৬৪ সালে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সংঘটিত হলে শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ব্যাপক প্রতিরোধ গড়ে তোলে দলটি। ‘পূর্ব পাকিস্তান রুখিয়া দাঁড়াও’ শিরোনামে লিফলেট বিতরণ করে ব্যাপক মানবিক আবেদন সৃষ্টি করে।

পাকিস্তানের শোষণ-বঞ্চনা ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে ১৯৬৬-এর ৬ ফেব্রুয়ারি লাহোরে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শেখ মুজিবুর রহমান ৬-দফা কর্মসূচি উত্থাপন করেন। সাড়ে সাত কোটি মানুষের কর্মসূচিতে পরিণত হয় বাঙালির মুক্তির সনদ ৬-দফা। ৬-দফা আন্দোলন, ’৬৮-এর আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা ও ১১-দফা, ’৬৯-এর গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ’৭০-এর নির্বাচনে গণচেতনার ইশতেহারে পরিণত হয় আওয়ামী লীগ।

’৭০-এর ৭ ডিসেম্বর পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে পূর্ব বাংলায় ১৬৪টি সাধারণ আসনের মধ্যে ১৬২ আসনে এবং ১৭ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত প্রাদেশিক নির্বাচনে ৩১০টি আসনের মধ্যে ২৮৭ আসনে জয় লাভ করে সমগ্র পাকিস্তানে বৃহত্তম গণতান্ত্রিক শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে আওয়ামী লীগ। কিন্তু পাকিস্তানের সামরিকজান্তা জাতীয় পরিষদের অধিবেশন স্থগিত ঘোষণা করে বাঙালির গণতান্ত্রিক অধিকারকে গলা টিপে হত্যা করে। জনগণের সার্বভৌম ক্ষমতার্জনে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে গড়ে ওঠে দুর্বার আন্দোলন। গণতান্ত্রিক আন্দোলন রূপান্তরিত হয় স্বাধীনতা সংগ্রামে। মহান মুক্তিসংগ্রামের ইশতেহারে পরিণত হয় আওয়ামী লীগের মূলনীতিÑ গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা, জাতীয়তাবাদ ও সমাজতন্ত্র।

’৭১-এর ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রেসকোর্স ময়দানের জনসভায় চূড়ান্ত সংগ্রামের আহ্বান জানিয়ে ঘোষণা করেন- ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’। ২৫ মার্চ কালরাতে পাকবাহিনী নিরীহ বাঙালির ওপর ঝাঁপিয়ে পড়লে ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা ঘোষণা করলে শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ। বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করে পাকিস্তানে নিয়ে যাওয়া হয়। ১০ এপ্রিল নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত হয় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন এ সরকারের অধীনে মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত হয় স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ।

’৭২-এর ১০ জানুয়ারি পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি লাভ করে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। প্রবর্তিত হয় সংসদীয় পদ্ধতির সরকার ব্যবস্থা। মাত্র ৯ মাসের মধ্যে জাতিকে একটি শাসনতন্ত্র উপহার দেয় আওয়ামী লীগ সরকার। ৭২-এর সংবিধানে রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি হিসেবে গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা, জাতীয়তাবাদ ও সমাজতন্ত্রকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। শাসনতন্ত্র প্রণয়নের পর ঘোষণা করা হয় জাতীয় সংসদ নির্বাচন। স্বল্প সময়ের মধ্যে শাসনতন্ত্র প্রণয়ন ও নির্বাচন ঘোষণা আওয়ামী লীগের শক্তিশালী গণতান্ত্রিক আদর্শের কারণেই সম্ভব হয়েছিল। ৭৩-এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ৩০০ আসনের মধ্যে ২৯৩টি আসন এবং ৭৩.১৭ শতাংশ ভোট পেয়ে জয় লাভ করে।

৭৪ সালে গণতান্ত্রিক শাসন পরিকাঠামোকে তৃণমূল পর্যায়ে প্রতিষ্ঠা করতে স্বাধীনতাবিরোধী-প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠী ব্যতীত সকল প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দলের সমন্বয়ে এবং জাতীয় সংসদে বিল পাশের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় জাতীয় দল ‘বাকশাল’ গড়ে তোলা হয়। বাকশাল গঠনের মধ্য দিয়ে জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার জনগণের প্রভূত্ব ও সার্বভৌম ক্ষমতা জনগণের মাঝে বণ্টন করে দেয়। কিন্তু ’৭৫-এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা, ৩ নভেম্বর কেন্দ্রীয় কারাগারে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করে বাংলাদেশকে আবার পাকিস্তানি ধারায় ফিরিয়ে নিয়ে যায় খুনি শাসকগোষ্ঠী।

১৫ আগস্ট পরবর্তী শাসকরা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের কারাগারে আটক, অত্যাচার-নির্যাতন, আওয়ামী লীগ ভাঙার চেষ্টা, নিষিদ্ধকরণ, পাল্টা আওয়ামী গঠন, নানা তৎপরতার মধ্য দিয়ে সংগঠনটিকে নিঃশেষ করার চেষ্টা করে। কিন্তু তারা আওয়ামী লীগের আদর্শ, চেতনা ও মূল্যবোধের সাথে জনগণের অবিচ্ছেদ্য সম্পর্কে চিঁড় ধরাতে পারেনি। চরম প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও আওয়ামী লীগ তার আদর্শ থেকে বিচ্যুত হয়নি। গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিতে চরম বৈরী পরিবেশ ও স্বৈরশাসনাসমলেও নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে।

সামরিক শাসন, কারাবন্দী নেতাকর্মী, দলে ভাঙন এমন বিরূপ পরিস্থিতিতেও ’৭৮-এর ৩ জুনের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ‘গণতান্ত্রিক ঐক্যজোটে’-এর অন্তর্ভুক্ত হয়ে জেনারেল ওসমানির পক্ষে ভোটযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছে আওয়ামী লীগ। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রশাসনের পক্ষপাতদুষ্ঠু আচরণ ও কারচুপীর শিকার হবার পরও ’৭৯-এর ১৮ ফেব্রুয়ারি সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে দলটি। ভঙ্গুর দল নিয়েও সে নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ৩৯টি আসন লাভ করে। সংসদে নিজেদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম অব্যাহত রাখে।

১৯৮৬-এর ৭ মে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বৈরাচার এরশাদের পাতা ফাঁদে পা দিয়ে অন্যান্য দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলেও আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৫ দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে। ১৫ দলে ভাঙন সৃষ্টি, টাকার ছড়াছড়ি, সন্ত্রাস, ভোটকেন্দ্র দখল এবং প্রশাসনের পক্ষপাতমূলক ভূমিকার পরও ১৫ দলের বিজয় ঠেকাতে ৭ তারিখে নির্বাচনে ফল ঘোষণা বন্ধ রাখা হয়।

৬৬ বছরের গৌরবোজ্জ্বল সংগ্রামানুরক্ত পথ-পরিক্রমায় গণতান্ত্রিক আদর্শের প্রশ্নে সামান্য ছাড় দেয়নি আওয়ামী লীগ। স্বৈরশাসক এরশাদের শাসনামলের ১৯৮৮-এর ২৩ মার্চ এবং বেগম খালেদার ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচন ব্যতীত রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণের সুযোগ বিদ্যমান এমন কোনো নির্বাচন থেকে বিরত থাকেনি আওয়ামী লীগ। বিএনপির মতো নির্বাচনকালীন সরকারের অংশ হওয়ার সুযোগ থাকা সত্ত্বেও নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার মতো কোনো অপরিপক্ব, অগণতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেনি।

বাঙালি জাতির স্বাধিকার, স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা এবং অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জনে নেতৃত্বদানকারী আওয়ামী লীগের শক্তিশালী প্রতিপক্ষ ও বিরোধীশক্তি থাকলেও এখন পর্যন্ত দলটির বিকল্প বলা যায় এমন কোনো গণতান্ত্রিক সংগঠন গড়ে ওঠেনি। আওয়ামী লীগ ব্যতীত যেসব প্রগতিশীল সংগঠন আছে ভোট ও জনসমর্থন বিচারে তাদের বিকল্প ভাবা চলে না। বিএনপি, জাতীয় পার্টি ও জামায়াতে ইসলামীর জন্ম-ইতিহাস, নীতি, আদর্শ, কার্যক্রম ও চরিত্র বিশ্লেষণ করলে তাদের গণতান্ত্রিক সংগঠন দাবি করা কঠিন। আওয়ামী লীগের বিকল্প কেবল আওয়ামী লীগই। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে বাংলাদেশ শান্তি, গণতন্ত্র, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাচ্ছে। একসময়ের দারিদ্র্যপীড়িত বাংলাদেশ এখন মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হওয়ার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে।

লেখক : সংবাদকর্মী, উত্তরণ

পাঠকের মতামত:

২৪ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test