E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

আওয়ামী লীগের ৬৭তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে প্রজন্মের ভাবনা

২০১৬ জুন ২৩ ২৩:৩৪:৫৭
আওয়ামী লীগের ৬৭তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে প্রজন্মের ভাবনা

মোঃ ইয়াসিন করিম


২৩ জুন উপমহাদেশের ইতিহাসে অন্যতম ঐতিহ্যবাহী সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৬৭তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী। জনগণের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে অবিচল থাকার প্রত্যয়ে ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠা লাভ করে।

জননেতা হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী, মহাকালের মহানায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রাহমান, শামসুল হকের নেতৃত্বে তৎকালীন পূর্ব বাংলার জনসাধারণের অধিকার আদায়ের লক্ষে ১৯৪৯ সালে এই সংগঠনের যাত্রা শুরু করেন। প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে “আওয়ামী মুসলিম লীগ” নামে সংগঠনের যাত্রা শুরু হলেও পরবর্তীতে অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে সংহত করার লক্ষে এবং পরিবেশ-পরিস্থিতি বিবেচনায় সংগঠনের নাম পরিবর্তন করে আওয়ামী লীগ নামে আবির্ভূত হয়।

আওয়ামী লীগের পথ চলার সাথে সাথে ইতিহাস, ঐতিহ্য, আন্দোলন, সংগ্রাম, অর্জন, উন্নয়ন ও বিজয় কথাগুলো চলে আসে। বাংলাদেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার প্রায় সকল সংগ্রামে যেই সংগঠনটি অগ্রভাগে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে সেই সংগঠনের নাম আওয়ামী লীগ। ১৯৫২ সালে “মাতৃভাষা বাংলা” প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ অগ্রভাগে থেকেই নেতৃত্ব দিয়েছে এবং বিজয় ছিনিয়ে এনে “বাংলা ভাষা” কে এই দেশের মাতৃভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে আওয়ামীলীগের নেতৃত্বে যুক্তফ্রন্ট পাকিস্তানের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে সরকার গঠন করেছিলেন। ১৯৬৬ সালের ৬-দফা আন্দোলন, ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানসহ সহ বাঙালির অধিকার আদায়ের প্রতিটি সংগ্রামে নেতৃত্ব দেওয়ার কৃতিত্ব শুধুমাত্র আওয়ামী লীগের।

১৯৭১ সালের ৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রাহমান উনার ঐতিহাসিক ভাষণে ঘোষণা করেন, “এইবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এইবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম”। এই ভাষণের মাধ্যমে বাঙালি জাতি তাঁদের মুক্তির সংগ্রামের দিকনির্দেশনা পেয়ে যান। ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণে বঙ্গবন্ধু পাড়ায়-মহল্লায় আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে সংগ্রাম পরিষদ গঠনের নির্দেশ দেন। জাতির পিতার এই ভাষণের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামের চূড়ান্ত প্রস্তুতি শুরু করেন তৎকালীন পূর্ব বাংলার জনগণ। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ মহাকালের মহানায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রাহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন এবং দেশের জনগণকে মুক্তির সংগ্রামে ঝাপিয়ে পড়ার নির্দেশ দেন। ইতিমধ্যে বঙ্গবন্ধুকে পাকিস্তানের হানাদার বাহিনী গ্রেপ্তার করে পাকিস্তানে নিয়ে যায়। জাতির পিতার নির্দেশনা অনুসারে আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা এই দেশের জনগণকে সাথে নিয়ে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর কাঙ্ক্ষিত বিজয় অর্জন করেন। ১৯৭২ সালে জাতির পিতা বনবন্ধু শেখ মুজিবুর রাহমান পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করেন। স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করেই বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের অর্থনৈতিক মুক্তির পথে এগিয়ে নিতে হাল ধরেছিলেন। তিনি সরকারের প্রধান হিসেবে এই দেশকে “সোনার বাংলাদেশ” হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয়ে পুনরায় নিজেকে নিয়োজিত করেন, একই সময়ে তিনি আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত করার লক্ষে দলের প্রধানের দায়িত্বভারও নিজের হাতে রাখেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট স্বাধীনতাবিরোধী চক্র, প্রতিক্রিয়াশীল চক্র এবং আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রকারীরা মিলে জাতির পিতাকে স্বপরিবারে হত্যা করে। হত্যাযজ্ঞ চালানোর সময়ে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা এবং শেখ রেহানা দেশের বাহিরে থাকার কারণে হায়েনাদের হাত থেকে রক্ষা পান। ১৯৭৫ পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করার জন্য সকল ধরণের ষড়যন্ত্র অব্যাহত থাকা সত্ত্বেও তৃণমূলের ত্যাগী ও নিবেদিতরা দলকে আঁকড়ে ধরে ছিলেন। কেন্দ্রীয় পর্যায়ের কিংবা জাতীয় পর্যায়ের কিছু লোভী নেতা নিজেদের অবস্থান থেকে সরে গিয়ে স্রোতে শরীর ভেজালেও ত্যাগী নেতাকর্মীরা নির্যাতন-জুলুম সহ্য করে দলকে টিকিয়ে রেখেছেন।

১৯৮১ সালের ১৭ মে জাতির জনকের সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা এই দেশে ফিরে আসেন এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরেই আওয়ামী লীগের পুনজাগরন সৃষ্টি হয়। ১৯৯১ সালের নির্বাচন পূর্ববর্তী সময়ে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার সকল সমর্থন থাকা সত্ত্বেও ষড়যন্ত্রের রাজনীতির কাছে আওয়ামী লীগ পরাজিত হয়ে সরকার গঠন করতে পারে নাই। বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা তৎকালীন সরকারের দুর্নীতি-জুলুম-অত্যাচারের প্রতীবাদে রাজপথের সংগ্রামে নেতৃত্ব দেন। অবশেষে ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ কাঙ্ক্ষিত বিজয় অর্জন করে এই দেশের সরকার গঠনের সুযোগ পায়। সরকার গঠন করেই সন্ত্রাস, ক্ষুদা ও দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্য স্থির করে জননেত্রী শেখ হাসিনা এগিয়ে যান। ২০০১ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ পরাজিত হয় এবং স্বাধীনতা বিরোধীরা মিলে চার দলীয় জোট সরকার গঠন করেন। নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার পর থেকেই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উপর নেমে আসে চরম নির্যাতনের খড়গ। ২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত তৎকালীন চারদলীয় জোট সরকারের আমলে প্রায় ছাব্বিশ হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করে জোট ক্যাডার বাহিনী। আওয়ামী পরিবারের লোকজনকে অঙ্গহানি, নির্যাতন, ভিটেবাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়া সহ গুম, ধর্ষণ, জেল, জুলুম ছিল তৎকালীন সময়ের চমনান ঘটনা। চার দলীয় জোট সরকারের নির্যাতনের খড়গ শেষ হতে না হতেই নতুন নির্যাতনের খড়গ লাগলো ১/১১ এর পরবর্তী সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে। তৎকালীন সেনা সমর্থিত সরকারের সময়ে বঙ্গরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার করা হয়, মাইনাস টু ফর্মুলার মাধ্যমে নেত্রীকে রাজনীতি থেকে চিরতরে বিতাড়িত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হন সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার। পুনরায় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক শক্তিকে চিরতরে শেষ করে দেওয়ার জন্য একের পর এক গণগ্রেপ্তার সহ নানা নির্যাতনের ফর্মুলা চালানো হয়। সকল ষড়যন্ত্রের দেওয়াল টপকে দলের ত্যাগী, নিবেদিত এবং আদর্শবানরা সংগ্রামের মাধ্যমে নেত্রীকে কারামুক্ত করে নিয়ে আসেন। আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করার সকল ষড়যন্ত্রকে রুখে দিয়ে নতুন উদ্যমে রাজপথে নেমে আসে আওয়ামী লীগ।
২০০৮ সালের নির্বাচনের পূর্বে জাতির পিতার কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা “রূপকল্প-২০২১” নামক কর্মসূচীর মাধ্যমে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের সুখী-সমৃদ্ধশালী ডিজিটাল দেশে রূপান্তরের স্বপ্ন দেখান। নির্বাচনে মহাজোটের মহাবিজয়ের পরে ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। সারা দুনিয়ার উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের “রোল মডেল”। সামজিক এবং অর্থনৈতিক সকল সূচকে একসাথে উন্নতির নজীর একমাত্র আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকার দেখাতে পেরেছে। বর্তমান আওয়ামী লীগে সরকারের উন্নয়নের প্রশংসা দুনিয়ার বড় বড় দেশের সরকার কিংবা রাষ্ট্রের প্রধানদের মুখেও শুনা যায়। সকল ক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যাবহার সহ কৃষিতে বিপ্লব সাধিত হয়েছে বর্তমান সরকারের সময়ে। সারা দেশের যোগাযোগ অবকাঠামো উন্নয়নে নিরজেদের অর্থায়নে পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ এগিয়ে চলছে। দেশের সকল সড়ক ও মহাসড়কের উন্নয়নে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে অসংখ্য প্রকল্প। সব কিছু মিলিয়ে এক অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।

ইতোমধ্যে ২০১৩ সালে স্বাধীনতা বিরোধীরা বাংলাদেশকে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করতে ধর্মীয় উগ্রতাকে উস্কানি দিয়ে এবং নির্বিচারে সাধারণ মানুষকে পুড়িয়ে মারতে শুরু করে। সারা দেশের একসাথে সন্ত্রাসের বিষবৃক্ষ ছড়িয়ে দেওয়া হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে আওয়ামী লীগের ত্যাগী, নিবেদিত এবং আদর্শবান নেতাকর্মীরা পুনরায় রাজপথে নেমে আসেন। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকারকে হটানোর সকল ষড়যন্ত্রকে রুখে দিয়ে শান্তির বাংলাদেশ কায়েমে নিজেদের সামর্থ্যের পরিচয় দেন। ২০১৪ সালের নির্বাচনে জননেত্রী শেখ হাসিনা তৃতীয়বারের মত বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। সরকারের হাতে নেওয়া সকল মেঘা প্রকল্পের দ্রুত বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।

গৌরব, ঐতিহ্য, সংগ্রাম, বিজয়, উন্নয়নের সাথে যেই সংগঠনের পথচলার ইতিহাস, বাংলাদেশের ইতিহাসের সাথে যেই সংগঠনের ইতিহাস জড়িত সেই সংগঠনকে বিতর্কিত করতে অনুপ্রবেশকারী, হাইব্রিড, লোভী এবং ষড়যন্ত্রকারীরা বার বার তৎপর ছিলেন। ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিজয়ের পরে দলের মাঝে ক্ষমতাসীন কিছু নেতা নিজেদের স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে আদর্শহীন, লোভী, ধান্দাবাজদের সামনের সারিতে নিয়ে আসেন। আদর্শবান, ত্যাগী, নিবেদিত ও যোগ্য নেতারা অনেক ক্ষেত্রেই ক্ষমতার কাছে পরাজিত হয়ে নিজেদের অবস্থান থেকে পিছু হাঁটতে থাকেন, অনেকেই রাজনীতি বিমুখ হয়ে অন্যদিকে নিজেকে জড়িয়েছেন। একটা আদর্শনির্ভর সংগঠনের মধ্যে যেই পরিমাণে গণতন্ত্রের চর্চা হওয়ার কথা তার বিপরীত কিছু মাঝে মাঝে লক্ষ্য করা যায়। দলের মধ্যে মাথাচাড়া দিয়ে উঠা আদর্শহীনরা একের পর এক বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে দলের ইমেজ সঙ্কট সৃষ্টি করে যাচ্ছেন। তৃণমূল পর্যায়ে অনেক ক্ষেত্রেই যোগ্য, দক্ষ, সৎ, নিষ্ঠাবানরা নিজেদের অবস্থান সুসংহত করতে পার নাই বিধায় নেতৃত্বশূন্যতায় পড়েছে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন ইউনিট। আঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের কিছু অনুপ্রবেশকারীর অতিমাত্রায় বাড়াবাড়ি দলকে বিতর্কিত করেই চলেছে।

বাংলাদেশের ইতিহাসে অন্যতম গৌরবউজ্জল এই দলের কর্মকাণ্ডে হায়েনাদের প্রভাব জনগণ স্বাভাবিক ভাবে মেনে নিতে পারে না। জাতির সকল অর্জনে যেই সংগঠন নেতৃত্ব দিয়েছে, যেই সংগঠনের নেতাকর্মীরা জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার সকল আন্দোলনে সব সময় ত্যাগ শিকার করেছে সেই সংগঠনের নাম দিয়ে অনৈতিক, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী কিংবা সমালোচিত কর্মকাণ্ড জনগণ প্রত্যাশা করেনা। অন্য যেই কোন রাজনৈতিক সংগঠনের চাইতে আওয়ামী লীগের প্রতি মানুষের প্রত্যাশা অধিক, সেই প্রত্যাশা পুরুনে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকার নিরলস ভাবে কাজ করলেও সংগঠন হিসেবে আওয়ামী লীগের বর্তমান ভূমিকা আলোর দ্রুতি ছড়াতে পারছেনা। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের ধারক এবং বাহক হিসেবে আওয়ামী লীগের সকল কর্মকাণ্ডের প্রতি সাধারণ জনগণের তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রয়েছে। আদর্শ বিবর্জিত অনুপ্রবেশকারীদের দ্বারা সংগঠনের যেই ইমেজ ক্ষুণ্ণ হচ্ছে, তার দায়ভার এক সময়ে সংগঠনের নিবেদিত নেতাকর্মীদের নিতে হবে।

সংগঠনের মধ্যে বর্তমানে সামান্য আকারে হলেও বিশৃঙ্খলার চর্চা রয়েছে, দলের প্রধান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কার্যকর উদ্যোগ নিলে তা থাকবেনা বলে নতুন প্রজন্মের নেতাকর্মীরা বিশ্বাস করেন। বঙ্গন্ধু যেমন এই দেশের মানুষের হৃদয়ে বিশাল অবস্থান সৃষ্টি করতে পেরেছেন তেমনি করে বঙ্গবন্ধু কন্যাও নিজের দক্ষ ও যোগ্য নেতৃত্বের দ্রুতিতে এই দেশের মানুষের অন্তরে নিজের অবস্থান পোক্ত করেছেন। ঐতিহ্যবাহী সংগঠন আওয়ামী লীগকে আদর্শ নির্ভর রাজনীতিতে ফিরিয়ে আনতে জননেত্রী শেখ হাসিনার কার্যকর পদক্ষেপ এখন সময়ের দাবী। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা লালনকারী সংগঠনকে সরূপে ফিরিয়ে আনতে এখনই দরকার অবাঞ্ছিতদের বিতাড়িত করে আদর্শবানদের প্রতিষ্ঠিত করা। সমালোচিত, নীতিহীন, আদর্শহীন, দুর্নীতিবাজ, অযোগ্যদের বিতাড়িত করে নেত্রী দলের সকল দায়িত্ব যোগ্যদের হাতে তুলে দিবেন মর্মে নতুন প্রজন্মের প্রত্যাশা। যতটুকু কালো মেঘের ছায়া আওয়ামী লীগের উপরে পড়েছে, সেখান থেকে আলোর পথে পুনরায় দলেক নিয়ে আসা সময়ের ব্যাপার মাত্র। দলের ত্যাগীদের মূল্যায়নের মাধ্যমে দলকে সুসংহত করে জাতির প্রত্যাশা পুরুনে আওয়ামী লীগ সর্বদা সামনের কাতারে থাকবে বলে প্রজন্মের বিশ্বাস।

লেখক : আইনজীবী, সমাজকর্মী ও রাজনীতিবিদ

পাঠকের মতামত:

২৫ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test