E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

আমাদের দীপু মনি

২০১৬ জুলাই ১৪ ০৮:৫৮:৫১
আমাদের দীপু মনি

সোহরাব শাহরিয়ার অভি


জনগণের ভালবাসা যার ঝুলিতে জননেতা তো তাকেই বলে। যেমন তিনি ভালবেসেছেন মানুষকে, ঠিক তেমনই ভালবাসা পাচ্ছেন জনগণ থেকে। তিনি আমাদের দীপু আপা, তিনি সবারই দীপু আপা, জনগণের দীপু আপা, দীপু আপা চাঁদপুরবাসীর নয় তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দীপু আপা, সাংগঠনিক দক্ষতার এক অনন্য উদাহরণ।

বাবা ছিলেন ভাষাবিদ এম. এ. ওয়াদুদ পাটোয়ারী। যিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রথম কাউন্সিলে নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক (১৯৪৮), গণতান্ত্রিক যুবলীগ (১৯৪৮) ও পূর্ব পাকিস্থান আওয়ামী মুসলিম লীগ (বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ) (১৯৪৯) এবং কেন্দ্রীয় কচিকাঁচার মেলা (১৯৫৬) এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, স্বেচ্ছাসেবকবাহিনী তথা বাংলাদেশ স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রতিষ্ঠাতা (১৯৫৩)। এছাড়াও ছিলেন সাপ্তাহিক ইত্তেফাক (১৯৪৯), দৈনিক ইত্তেফাক (১৯৫৩) এর কর্মাধ্যক্ষ।

দীপু মনি বাবার মতই আকঁড়ে ধরেছেন আওয়ামী লীগ এর পতাকা। ঢাকা মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগ, এরপর উচ্চতর শিক্ষাগ্রহণ করে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নারী বিষয়ক সচিব এবং পররাষ্ট্র বিষয়ক নেভিগেশন সাব কমিটির সদস্য ছিলেন। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক পদেও দায়িত্ব পালন করেছেন।

১/১১ এর রাজনৈতিক সংকটময় সময়ে তিনি দলে গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান নেন, আন্দোলন সংগ্রামে অংশগ্রহণ করে তিনি দলের শৃঙ্খলা বজায় রেখে কারারুদ্ধ জননেত্রী শেখ হাসিনার মনোবল রক্ষা করে ২০০৮ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে নির্বাচন দিতে বাধ্য করে আন্দোলন করে যান।

৯ম জাতীয় সংসদে তিনি চাঁদপুর-৩ আসন (চাঁদপুর-হাইমচর) আসন থেকে নির্বাচিত হয়ে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রথম নারী পররাষ্ট্র মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রী হিসেবে তিনি দেশ-বিদেশে দক্ষ ও যোগ্যব্যাক্তি হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন, একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু হলে বিদেশের গণমাধ্যমে বর্তমান সরকার সম্পর্কে যে বিরোধিতা ও বিদ্বেষমূলক অপপ্রচার চালানো হয় তা মোকাবেলার সকল কৃতিত্ব তৎকালীণ পররাষ্ট্র মন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি এমপির।

সমুদ্রসীমা নিয়ে ভারত ও মায়ানমারের সাথে বিরোধ না করে আন্তর্জাতিক আদালতে নিজে মামলা লড়ে বাংলাদেশের পক্ষে জয় এনেছিলেন ডাঃ দীপু মনি।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে তিনি দুইবার যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন এবং চাঁদপুরের মানুষের ভালবাসার প্রতীক হয়ে দুই বারের সংসদ সদস্যও নির্বাচিত হন, বর্তমানে তিনি জনপ্রতিনিধি হিসেবে পররাষ্ট্র মন্ত্রানলয় বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

ব্যাক্তিগতভাবে, তিনি অভিজ্ঞ চিকিৎসক, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও একজন আইনজীবী।

তিনি ঢাকা মেডিকেল থেকে এমবিবিএস পাস করেন এবং যুক্তরাষ্ট্র জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জনস্বাস্থ্য বিষয়ে স্নাতক পাশ করেন, তিনি লন্ডনের প্রিমিয়ার স্কুলেও পড়াশোনা করেন। এছাড়া তিনি জন হপকিন্স এবং হার্ভাড থেকে নেগোশিয়েশনস অ্যান্ড কমফ্লিক্ট রেজুলিউশনের উপর বিশেষ কোর্স করেন।

কিন্তু আওয়ামী লীগের তৃণমূল রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করার জন্য তিনি পেশা বদল করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি এবং লন্ডন ইউনিভার্সিটি থেকে এমএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের একজন আইনজীবী।

নারী অধিকার, স্বাস্থ্য অধিকার, স্বাস্থ্যনীতি ও ব্যবস্থাপনা, স্বাস্থ্য অর্থায়ন, কৌশলগত পরিকল্পনা, মানবাধিকার, বাংলাদেশের অঅর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন কর্মসূচি এবং আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক ক্ষেত্রে পররাষ্ট্রনীতি ইত্যাদি ইস্যুতে কাজ করেছেন।

বিনামূল্য সর্বসাধারণকে চিকিৎসা সুবিধা দেয়ার নানা প্রকল্পে যুক্ত রয়েছেন। দলের রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় নারীর অংশগ্রহণ ও প্রতিনিধিত্বমূলক রাজনীতির একজন প্রবক্তা।

দলের নারী রাজনৈতিক কর্মীদের প্রশিক্ষণে দু'জন প্রশিক্ষকদের মধ্যে একজন। তিনি যুক্তরাষ্ট্র ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইন্সটিটিউট এর সহযোগীতায় দলের মহিলা কর্মীদের প্রশিক্ষণ দিতেন।

বঙ্গবন্ধু তাঁর আদর্শ, দেশরত্ন শেখ হাসিনা তাঁর পথ প্রদর্শক, আওয়ামী লীগ তার প্রাণ।

জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।

লেখক : সহ-সম্পাদক, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, ঢাকা মহানগর উত্তর।

পাঠকের মতামত:

২৬ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test