E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

রোহিঙ্গা সমস্যা-সমাধান, আবেগ নয় বিবেক দিয়ে ভাবুন

২০১৬ ডিসেম্বর ১৯ ১৬:১৮:১২
রোহিঙ্গা সমস্যা-সমাধান, আবেগ নয় বিবেক দিয়ে ভাবুন

মো.আলী আশরাফ খান


প্রিয় পাঠক বন্ধুদের উদ্দেশে আমি প্রথমে বলে রাখছি, আমার লেখাটির কারণে কেউ আমাকে ভুল বুঝবেন না। যদিও রোহিঙ্গা সমস্যা ও সমাধান নিয়ে আমার বেশ কয়েকটি লেখা জাতীয় দৈনিকসমূহে প্রকাশিত হয়েছিল একযুগেরও আগে। তারপরেও গত কয়েক বছরে বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গা এবং সম্প্রতি মায়ানমারে সরকার কর্তৃক ভয়াল নৃশংস হত্যাযজ্ঞ, ধর্ষণসহ নানা রকম নির্যাতনের শিকার হয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকারীদের হালচাল স্বচক্ষে দেখার জন্য ছুটে গিয়েছিলাম কক্সবাজারের বিভিন্ন উপজেলায়। যদিও ওইসব এলাকায় এখন চলাচল ততটা নিরাপদ নয় তারপরেও কক্সবাজারে চারদিন অবস্থান করে যেসব তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করা হলো তা সত্যি সত্যিই বিস্মিত হওয়ার মত।

মায়ানমারে অবর্ণনীয় নির্যাতনের শিকার হয়ে অগণিত রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে এটাই প্রকৃত সত্য। এসব নির্যাতিত রোহিঙ্গা দ্রুত ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ছে কক্সবাজারসহ সারাদেশে। তাদেরকে নিয়ে একরকম বাণিজ্য সৃষ্টি হয়েছে কিছু দুষ্টুুচক্রের মাঝে। টাকার বিনিময়ে ওইসব অর্থলোভীরা রোহিঙ্গাদের সীমান্ত পারাপারসহ সাধারণ মানুষদের সঙ্গে মিশে যাওয়ার সুযোগ তৈরি করে দিচ্ছে।কিন্তু এসব রোহিঙ্গারা যে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের জন্য কতটা হুমকির, কতটা সমস্যার কারণ-এটা কি একবার ভেবে দেখেছি আমরা? নিজের মধ্যে আবেগকে আশ্রয়-প্রশ্রয় না দিয়ে বিবেকস্বত্বা তথা বাস্তবতার নিরিখে বিষয়টিকে বিচার বিশ্লেষণ করলে আপনাআপনিই দিনের আলোর মত পরিষ্কার হয়ে যাবে মূল এ ব্যাপারটি।

যদিও মানবিকতার বিষয়টি চিন্তা করে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ হতে উল্লেখযোগ্য সংখ্যকরোহিঙ্গা শরনার্থীদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে বিভিন্ন ক্যাম্পের মাধ্যমে। যা নজিরবিহীন দৃষ্টান্তই বলা যায় প্রতিবেশি দেশের ক্ষেত্রে। প্রতিবেশি দেশ কিংবা মানবিক দৃষ্টিভঙ্গির দিক দিয়ে যদি আমরা বিচার করি তাহলে রোহিঙ্গা শরনার্থীদের কোন রকম সহযোগিতা-আশ্রয় দেওয়ার বিষয়টি শুধু বাংলাদেশর একারই দায়িত্ব-কর্তব্য নয়; পার্শ্ববর্তী দেশসমূহেরও রয়েছে সমান দায়বোধ। আমাদের বুঝতে হবে, রোহিঙ্গা সমস্যাটি একান্তই মায়ানমারের। যা কিনা মায়ানমার সরকারের পক্ষেই সমাধান যোগ্য বলে আমরা মনে করি। যদিও রোহিঙ্গা সমস্যাটি দীর্ঘদিনের কিন্তু মায়ানমার সরকারের নীতিভ্রষ্টতার কারণে এই সমস্যাটি দিনে দিনে প্রকটাকার ধারণ করছে এবংভয়াবহতায় রূপ নিয়েছে। কিন্তু অবাক হওয়ার মত বিষয়,এই অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টিকে আন্তর্জাতিক অঙ্গণ তেমন একটা আমলে নিচ্ছে না। যা কিনা সৃষ্টিশীল বিশ্ববাসীকে ক্রমশই ভাবিয়ে তুলছে।

আমরা যতটুকু জানতে পেরেছি, সম্প্রতি বাংলাদেশ সীমান্তের বিপরীতে মায়ানমারের সীমান্ত বাহিনীর ৩টি ক্যাম্পের ওপর সশস্ত্র বিদ্রোহীরা আক্রমণ চালায়। ওই আক্রমণে মিয়ানমারের ৯জন সীমান্ত বাহিনী নিহত হয়।এর সূত্র ধরে নতুন করে রোহিঙ্গা ইস্যুটি আবার সামনে চলে আসে। ওই আক্রমণের ঘটনায় মায়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী বরাবরের মত দায়ী করে রোহিঙ্গা সশস্ত্র সংগঠন আরএসও (রোহিঙ্গা সোলিডারিটি অরগানাইজেশন)। ফলে রাখাইন প্রদেশে রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকায় মায়ানমার সেনাবাহিনী চালায় কম্বিং অপারেশন। যার জের ধরে গত কয়েক সপ্তাহে হাজার হাজার রোহিঙ্গা উদ্বাস্তু পরিবার বাংলাদেশে প্রবেশ করার চেষ্টা করে এবং তারা অনেক ক্ষেত্রে সফলও হয়। যদিও বিজিবি বেশ কিছু দলকে পুশব্যাক করতে সক্ষম হয় কিন্তু উদ্বাস্তুদের প্রবল স্রোত ঠেকিয়ে রাখা সম্ভব হয়নি। এ সুযোগে অগণিত রোহিঙ্গা ঢুকে পড়ে বাংলাদেশে। যা স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের জন্য শুধু চরম হুমকির কারণই নয় বরং এটি আমাদের স্থায়ী মাথাব্যথার কারণও হয়ে দাঁড়িয়েছে এখন।

প্রসঙ্গক্রমে উল্লেখ করতে হয়, বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশের ঘটনা নতুন কিছু নয়। ১৯৪৮ সালে মায়ানমার (পূর্ব নাম বার্মা) স্বাধীনতা লাভের পর থেকেই বিচ্ছিন্নভাবে কিছু কিছু রোহিঙ্গা পরিবার বিভিন্ন সময়ে কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফ এলাকায় এসে বসতী স্থাপন করে এবং একসময় এদেশের মানুষের সাথে মিশে যায়। ওইসময় তাদের এ বসতী নিয়ে কেউ তেমন একটা মাথা ঘামায়নি। তবে ভৌগোলিক, ঐতিহাসিক, জাতিগত ও ধর্মীয় কারণে মায়ানমারের মূলস্রোতের সমাজ, রাজনীতি এবং ধর্মীয় গোষ্ঠীর সঙ্গে রোহিঙ্গাদের যেমন পার্থক্য ও দূরত্ব রয়েছে তেমনি বাংলাদেশীদের সঙ্গেও তাদের রয়েছে বেশ দূরত্ব। ১৯৪৭-৪৮ সালে রোহিঙ্গাদের কিছু স্থানীয় নেতা রাখাইন বা আরাকান অঞ্চলকে পাকিস্তান অর্থাৎ পূর্ব-পাকিস্তানের সঙ্গে যুক্ত করার চেষ্টা করে। যদিও সে সময় এটি তেমন গুরুত্ব পায়নি কোন মহলে। তবে ১৯৪৮ সাল থেকেই লক্ষ্য করা যায়, মায়ানমারের সর্ববৃহৎ জাতিগোষ্ঠী বার্মিজ এবং তাদের শাসকদের কাছে রোহিঙ্গারা জাতিগতভাবে সন্দেহের তীরে পরিণত হয়। আর এর পর হতেই শুরু হয় তাদের মধ্যে নানা রকম দ্বন্দ্ব-সংঘাত।

যার সূত্র ধরে বার্মিজ শাসকদের বৈষম্য, বঞ্চনা, নিপীড়ন, নির্যাতনের প্রতিক্রিয়ায় রোহিঙ্গাদের মধ্য হতে গড়ে ওঠে কিছু বিদ্রোহী গ্রুপ। যা পরবর্তীতে সশস্ত্র সংগঠনে রূপ নেয়। কিন্তু ওইসব সশস্ত্র তৎ্পরতা বেশি দূর এগোয়নি। প্রতিবেশী কোনো দেশের সক্রিয় সহযোগিতা ছাড়া যেমন কোন কার্যকর সশস্ত্র তৎপরতা চালানো যায়না তেমনি এক্ষেত্রেও এর ব্যতিক্রম ঘটেনি। সংগত কারণেই চীন ও ভারতের কাছ থেকে রোহিঙ্গারা কোন সহযোগিতা পায়নি-পাওয়ার কথাও নয়। আর পাকিস্তান নিজেদেরকে নিয়ে ব্যস্ত থাকায় রোহিঙ্গাদের প্রতি কোন রকম দৃষ্টি দেওয়ার সুযোগ তাদের তৈরি হয়নি।

এদিকে বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভের পর সরকার অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ না করার নীতির কারণেই রোহিঙ্গারা সশস্ত্র হওয়ার চিন্তা মাথায় আনেনি। কিন্তু এ ধারা বেশি দিন টিকে থাকেনি। স্বাধীনতা লাভের কয়েক বছর পরে বাংলাদেশে একটি গোষ্ঠী নিজেদের ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করতে উগ্রবাদীদের ওপর অশুভভাবে নির্ভরশীল হয়ে পড়ে। যার ফলে রোহিঙ্গা সশস্ত্র সংগঠনগুলো নতুন করে আবারও সক্রিয় কর্মকান্ড চালানোর সাহস পায়। ফলে ১৯৭৮ সালে মায়ানমার সরকার সব রোহিঙ্গাকে বিতাড়ন করার উদ্দেশে অভিযান চালায় এবংঅনৈতিকভাবে৫ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশের ভিতর ঢুকিয়ে দেয়।মায়ানমারের এই নীতিভ্রষ্টতায় সমস্যার সমাধান তো দূরের কথা, বিষয়টি আরও জটিল হয়ে ওঠে এবং বহুমুখী জটিল রূপ ধারণ করতে দেখা যায়। আর এটাই স্বাভাবিক যে, রোহিঙ্গা নাগরিকরা সমস্যাক্রান্ত হলে এবং তাদের মধ্যে মানবিক বিপর্যয়ের সৃষ্টি হলেই ওই সশস্ত্র সংগঠনগুলোর জন্য নতুন নতুন বাণিজ্য তথা নানা রকম সুযোগ সৃষ্টি হয়; শুরু হয় নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থের হলিখেলা।

আর এভাবেই মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সমস্যাতাদের ভ্রান্তনীতির কারণে একের পর এক আমাদের ঘাড়ে চেপে বসে। বারোটা বাজে আমাদের কক্সবাজারের সমাজব্যবস্থার।আমাদের জন্য মহাযন্ত্রণার কারণ হয়ে দাঁড়ায় রোহিঙ্গারা। অপ্রিয় হলেও সত্য, বিশেষ করে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সামরিক শাসনামলে রোহিঙ্গাদের সশস্ত্র গ্রুপগুলো কক্সবাজার তথা এর আশেপাশের এলাকাগুলোয় অবাধে চলাফেরা এবং অন্যান্য নাগরিক সুযোগ-সুবিধা ভোগ করার সুযোগ পেয়ে যায়। এরই মধ্যে ১৯৮২ সালে মায়ানমার সরকার তাদের নৈতিকতার চরম অবক্ষয় ঘটিয়ে রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব বাতিল করে। সমস্যা আরো জটিল থেকে জটিলতর হয়। ১৯৯১ সালে আবারও দ্বিতীয়বারের মত অবৈধভাবে মায়ানমার সেনাবাহিনী অভিযান চালিয়ে আরও প্রায় ২ লক্ষ রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে ঢুকিয়ে দিতে সক্ষম হয়।আর এই নোংরা খেলা তাকিয়ে তাকিয়ে দেখ বিশ্ব! মায়ানমার বরাবরই মনে করে, সব রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দিতে পারলেই তাদের সব সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে! আসলে বিষয়টি এমন নয়, এটা এখন বাংলাদেশ ও মায়ানমার দু’টো দেশের জন্যই বড় ধরনের জটিল ও ভয়ানক নিরাপত্তা সংকটের পথে এগিয়ে দিচ্ছে-এটা সন্দেহাতীতভাবে বলা যায়।

রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী সম্পর্কে মায়ানমার সরকারের দু’চোখানীতি থেকেই এ সংকটের উৎপত্তি এবং এই সংকট কোন দিকে যায এটা বলাও মুশকিল। মায়ানমার সরকারকে মনে রাখতে হবে, কোন জনগোষ্ঠীকে নির্যাতন, বিনাশ-বিতাড়ন করার প্রচেষ্টা কখনোই কোনো সমাধান কিংবা সুফল বয়ে আনে না।বরংদুই দেশেই সামগ্রিক সমস্যা বৃদ্ধি পায় এবং রাজনৈতিক, সামাজিক ও নিরাপত্তাজনিত সমস্যার সৃষ্টি করে। আমরা লক্ষ্য করছি, রোহিঙ্গা ইস্যুকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের ভিতরে এবং বহির্বিশ্বে একদল স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে।শুরু করেছে বাংলাদেশকে নিয়ে একধরনের সাপলুডু খেলা। এসব কুচক্রীমহল রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও ধর্মীয় উগ্রবাদিতার স্বার্থে এই সমস্যাকে আরও গভীর সংকটকের দিকেঠেলে দিতে চায়-এটা আমাদেরকে বুঝতে হবে।

আমাদের ভুলে গেলে চলবে না ১৯৭৮ ও ৯১ সালে দু’দফায় প্রায় ৭ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পাঠাতে সক্ষম হয় মায়ানমার। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে নির্যাতনের শিকার, প্রাণের ভয় এবং উন্নত সুযোগ-সুবিধার সন্ধানে বিক্ষিপ্তভাবে চোরাই পথে দলে দলে রোহিঙ্গারা এদেশে প্রবেশ করেছে-করছে। যদিও মাঝখানে একবার প্রায় দেড় লাখের মতো রোহিঙ্গাকে ফেরত পাঠাতে সক্ষম হয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু এখনো ৫ লাখেরও বেশি অবৈধ রোহিঙ্গা কক্সবাজারের বিভিন্ন এলকায় একরকম স্থায়ীভাবে বসবাস করছে। যদিও বৈধ শরণার্থীর সংখ্যা ২৮ হাজারবলে একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়। কিন্তু এর সংখ্যা যে কত এটা আল্লাহ তায়ালাই ভাল জানেন। কক্সবাজার ও টেকনাফের স্থানীয় প্রভাবশালী চক্র রোহিঙ্গাদের ব্যবহার করে নানা রকম অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে অবলীলায়। হেনহীন কাজ নেই যে তারা করছে না। বড় বড় অপরাধ- মানব পাচার, প্রায় সবরকমের মাদক, পতিতাবৃত্তিসহ জঘন্য সব কর্মকান্ড করে পার পেয়ে যাচ্ছে রোহিঙ্গারা।

জানা যায়, বিরাট সংখ্যক রোহিঙ্গা ইতোমধ্যে বাংলাদেশের ভোটার তালিকায়ও অন্তর্ভুক্ত হয়ে গেছে। এটা বাংলাদেশের নিরাপত্তার জন্য যে কতটা ভয়ংকর তা বোধ করি আমাদের অনেকেরই ভাবনার বাহিরে। এঅশুভধারা চলতে থাকলে এক সময় আমাদের প্রিয় কক্সবাজার রোহিঙ্গাদের হাতের মুঠোয় চলে যাবে বলে আশংকা প্রকাশ করছেন সমাজের চিন্তাশীল মানুষজন।

আমরা মনে করি, এখনইমায়ানমারের সঙ্গে স্থায়ীভাবে এইজটিল সমস্যার সমাধান হওয়া জরুরি। তবে এ ক্ষেত্রে মায়ানমার সরকারের সদিচ্ছাই পারে বিশ্ববাসীকে একটি আলোর প্রদীপ উপহার দিতে। মায়ানমার সরকারের পক্ষে সহজ সমাধানের একটা পথ হলো, আগে-পরে যত রোহিঙ্গা বাংলাদেশে এসেছে তাদের সকলকে দ্রুত ফিরিয়ে নিয়ে তাদের নাগরিকত্ব ফিরিয়ে দেয়া। আর এটা করতে হবে তাদের নিজেদের দায়িত্বেই। কিন্তু এখনও মিয়ানমারের পক্ষ হতে এমন কোন শুভবুদ্ধির উদয় না হওয়ায় আমরা বিস্মিত, যারপরনাই সঙ্কিত। নোবেল জয়ী অং সান সুচি’র দল নির্বাচনের মাধ্যমে এখন ক্ষমতায় আসীন কিন্তু সবাইকে তিনি হতাশ করে চলছেন কেনো? এই প্রশ্ন কিন্তু এখন কোটি কোটি মানুষের।আমরা চাই না, বিদেশি কোনো সশস্ত্র সংগঠন বা সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আমাদের প্রিয় জন্মভূমি বাংলাদেশের মাটিতে আশ্রয় নিক। আমাদের অনুরোধ বাংলাদেশ সরকারের প্রতি, মায়ানমারের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কূটনৈতিক তৎপরতা জোরদার করে এই সমস্যা সমাধান করা হউক। প্রয়োজনে আন্তর্জাতিক অঙ্গণেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের পথ বের করতে হবে। আর নয়তো বাংলাদেশের ১৬ কোটি আবাল-বৃদ্ধ-বণিতা বাংলাদেশে অবস্থান রত সকল রোহিঙ্গাদের মায়ানমারে পাঠানোর জন্য যে ব্যবস্থা করার দরকার তাই করবে। আমরা বাংলাদেশীরা শান্তি প্রিয় মানুষ। মানুষের বিপদেআপদে আমরা সবসময় এগিয়ে যাই। সাহায্য-সহযোহিতার হাত বাড়িয়ে দিই। যেমনটা রোহিঙ্গা শরনার্থীদের বেলায়ও ঘটেছে-ঘটছে বিভিন্ন সময়ে। আমরা দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছি এক্ষেত্রেও। তাই বলে আমাদের ঘাড়ে অশুভ কোন শক্তি চেপে বসবে এবং আমাদের ভূখন্ডে কোন সন্ত্রাসী অপতৎপরতা চলবে তা আমরা কখনও মানবো না-মানতে পারি না।

লেখক : কবি, কলামিস্ট ও সংগঠক

পাঠকের মতামত:

২৩ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test