E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শিরোনাম:

মেলায় তাহমিনা ছাত্তারের ‘ভালবাসার নীলকমল’

২০১৯ ফেব্রুয়ারি ১৭ ১৫:৫১:৩৯
মেলায় তাহমিনা ছাত্তারের ‘ভালবাসার নীলকমল’

উত্তরাধিকার ৭১ নিউজ ডেস্ক : ‘ভালবাসার নীলকমল’ শিক্ষিকা, নারী নেত্রী ও সাংস্কৃতিক কর্মী তাহমিনা ছাত্তারের প্রথম কাব্যগ্রন্থ। ভালবাসার নীলকমল কাব্যগ্রন্থটি মোড়কউন্মোচন অনুষ্ঠিত হয় ১৬ ফেব্রুয়ারি অমর একুশে গ্রন্থমেলায়। বইটির মোড়ক উন্মোচন করেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। 

এটি তাহমিনা ছাত্তারের প্রথম কাব্যগ্রন্থ। তিনি হৃদয়ের অন্তর্নিহিত উপলব্দি থেকেই সাজিয়েছেন মলাটবন্দী কিছু কাব্যকথার পুষ্পমঞ্জুরি। তাঁর কবিতায় আছে সারল্য, শব্দ-বাক্যের পরিমিতিবোধ। যদিও তিনি কবিতা লিখেছেন তবুও পাঠকের কাছে মনে হবে এযেন পত্রপাঠের শব্দমালা।

কবিতায় শব্দ বুননে তিনি যেন ঠিক শিক্ষকের ভুমিকাটিই রেখেছেন। তাঁর কবিতায় আছে- প্রেম, বিরহ, বোধ, দেশ ও আত্মোপলব্দির নানামাত্রিক বিশ্লেষণ। জটিল শব্দ প্রয়োগকে পাশকাটিয়ে তিনি কবিতার ভাব প্রকাশে বেছে নিয়েছেন সরলমাত্রা। তাই তাঁর কবিতাগুলোর রচনাশৈলিকে মনে হবে কবিতাপাঠে পত্রালাপের নতুনমাত্রার রূপায়ন।

যিনি রাধঁতে জানেন, তিনি চুলও বাঁধতে জানেন- এটি নিছক কোনো প্রবচন নয়। নারী যে কেবলই অবয়বে আর সত্তায় নারী নন- তারই উজ্জ্বল উদাহরণ একজন তামমিনা ছাত্তার। কারণ তিনি শিক্ষকতা পেশার ব্যস্ততার বৃত্তকে ছিন্ন করেছেন বহুমাত্রিক সামাজিক কাজের মাধ্যমে। তিনি পেশায় এবং নেশায় একজন শিক্ষিকা। নেশা শব্দটি অপ্রসাঙ্গিক মনে হলেও তাহমিনা ছাত্তারের বেলায় যেন এটিই সঠিক। কেননা শিক্ষকতা তিনি কেবলই একটি পেশা হিসেবে গ্রহণ করেননি, বরং তিনি শিক্ষার্থীদের মাঝে বিশুদ্ধ জ্ঞানচর্চা বীবটি বুনে দেওয়ার কাজটিই যেন করে যাচ্ছেন সরবে-নীরবে। একই সাথে যিনি শিক্ষার আছো ছড়ান, সাহিত্য ও সংস্কৃতি চর্চায় নিবেদিত ভুমিকা রাখেন।

তিনি শিক্ষকতা পেশার দায়িত্ব নিষ্ঠার সাথে পরিপালনের করেও নানান সামাজিক কাজে নিজের মেধা, দক্ষতার প্রমাণ রেখে যাচ্ছেন। তাঁর বর্ণাঢ্য কর্মযজ্ঞের মাধ্যমেই প্রমাণিত হয় যে- একজন শিক্ষকের দায়িত্ব কেবলই শ্রেনিকক্ষে পাঠদানে সীমাবদ্ধ নয়। উপজেলা পর্যায়ে থেকে তিনি নারীজাগরণ ও সংস্কৃতির বিকাশে যে ভুমিকা রেখে যাচ্ছে তা শিক্ষক পেশাজীবিদের কাছে অনুকরণীয় হতে পারে। নেত্রকোনার মোহগঞ্জ উপজেলা শহরে নারীদের জ্ঞান ও সাহিত্য চর্চায় তিনি গড়ে তুলেছেন ‘চয়নিকা পাঠাগার’। নারীর অধিকার আদায়ে নের্তৃত্বদান কারি একজন সাহসী ও দক্ষ সংগঠক, সুস্থ্য সংস্কৃতিচর্চায় একজন নিবেদিতপ্রাণ কর্মী হিসেবে তিনি সর্বজনে ভালোবাসায় অভিষিক্ত।

নিজ স্কুলের শিক্ষকতা, পারিবারিক দায়িত্ব, উদীচীর সভাপতির দায়িত্ব, মহিলা সমিতির দায়িত্ব, চয়নিকা পাঠাগার পরিচালনা, উপজেলা প্রাসনের কার্যক্রমে সক্রিয় অংশগ্রহণ, প্রেস ক্লাবের দায়িত্ব পালন সহ মোহনগঞ্জ উপজেলা এমনকি নেত্রকোনা জেলা পর্যায়ে অসংখ্য সামাজিক দায়িত্ব পালন এই কবির বেলায় পারিবারিক দায়িত্ব পালনের মতোই। ব্যক্তি জীবনে তিনি মোহনগঞ্জ পাবলিক হাইস্কুলের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক আব্দুল বারী’র সহধর্মিনী এবং এক ছেলে এক মেয়ের জননী। তাহমিনা ছাত্তার নেত্রকোনার বারহাট্টা থানার সিংধা ইউনিয়নের ভাটিপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা মরহুম আব্দুস ছাত্তার শাহ্ মোহনগঞ্জ বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন।

(ওএস/এসপি/ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০১৯)

পাঠকের মতামত:

০২ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test