E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শিরোনাম:

পলাশবাড়ীতে ভুট্টা চাষে বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা

২০১৮ ফেব্রুয়ারি ১৬ ১৭:১৯:১৯
পলাশবাড়ীতে ভুট্টা চাষে বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা

ছাদেকুল ইসলাম রুবেল, গাইবান্ধা : গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার প্রত্যান্ত অঞ্চলে চলতি মৌসুমে ভুট্টা চাষের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। অল্প দিনে কম খরচে কৃষকরা অতি লাভবান হওয়ায় ভুট্টা চাষের জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে। কম পুঁজি, ঝুঁকিহীন, সেচ ও সার প্রয়োগে সুবিধা বলেই স্থানীয় কৃষকদের মাঝে রীতিমত ভুট্টা  চাষের প্রতিযোগিতা চলছে। 

এবারে ভুট্টা চাষে আশানুরুপ ফলন পাওয়ার আশায় কৃষকদের মুখে হাসি দেখা দিয়েছে। অন্য ক্ষেতের ন্যায় ঝুঁকিপূর্ণ না হওয়ায় কৃষকরা বেশী বেশী ভুট্টার চাষের দিকে ঝুঁকে পড়েছেন। এখানকার উৎপাদিতভুট্টাচাহিদা মিটিয়ে অন্য জেলায়ও নেওয়া হচ্ছে বলে কৃষকরা জানিয়েছেন।

পলাশবাড়ী উপজেলার বড় শিমুলতলা গ্রামের কৃষক গোলাম কিবরিয়া জানান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কারিগরী সহযোগীতা পেলে গ্রামীণ কৃষকরাভুট্টাচাষ করে নিজেদের ভাগ্য বদলে সহায়ক ভূমিকা রাখতে পারবে। উন্নত জাতেরভুট্টাচাষ করে কৃষকরা প্রচুর টাকা আয়ের মাধ্যমে জীবন জীবিকায় অবদান রাখবে বলে তিনি মনে করছেন।

সরেজমিনে জানা যায়, মহদীপুর, কিশোরগাড়ী, হোসেনপুর,বরিশাল, বেতকাপা, পবনাপুর, মনোহরপুর ইউনিয়ন সহ অন্যন্যা ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলের কৃষকরাভুট্টা চাষ করে আসছেন। এখানকার কৃষি-অকৃষি পরিবারগুলো সহজে ওতপ্রোতভাবেভুট্টাচাষ করে বেশী বেশী টাকা আয় করছেন বলে একাধিক সুত্রে জানা গেছে।ভুট্টা চাষীদের অনুকরণ করে অন্য চাষে নিয়োজিত কৃষকরাও বর্তমানে এ চাষের দিকে মনোযোগী হচ্ছে।

উপজেলার মংলেশপুর গ্রামেরভুট্টা চাষী নয়ন মিয়া জানান, মাত্র ৯০-১২০দিনের মধ্যে ভুট্টা বা মক্কা গোলার ফলন ঘরে তুলতে পারে। প্রতি বছর শীত কালীন মৌমুমে কৃষকরা ভুট্টা বীজ বপন করে থাকে। মৌসুমের শেষের দিকে এ ফলন বাজারে বিক্রি করে। বীজ মাটিতে বপন করে পুরো সিজনে শুধুমাত্র ১-২ বার জমিতে সেচ দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে। এ ক্ষেতে বিঘা প্রতি কৃষককে মাত্র ২-৩বস্তা ইউরিয়া সার প্রয়োগ করতে হয়।

চেরেঙ্গা এলাকারভুট্টাচাষী আবু বকর জানায়, একবিঘা জমিতে ১২হাজার ভুট্টার বীজ বপন করা যায়। একেকটি গাছে ২-৩টি ফল ধরে। সাধারণ কৃষকরাও ভুট্টা ক্ষেত করে সহজেই লক্ষাধিক টাকা আয় করছে। অন্য চাষের চাইতে ভুট্টা চাষে কল্পনাতীত টাকা আয় করা সম্ভব বলে তিনি জানান।

পলাশবাড়ী উপজেলার গ্রামীণ কৃষককূলকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন জানিয়ে কৃষক আব্দুস মহির মন্ডল বলেন, কৃষি অফিসের সহযোগীতা ছাড়াই এখানকার কৃষকরা অন্য ক্ষেতের পরিবর্তে ভুট্টা চাষ করে আসছে। কৃষি অধিদপ্তরের কারিগরী সহযোগীতা পেলেই কৃষকরা আরো বেশী লাভবান হবে।

পলাশবাড়ী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আজিজুল ইসলাম জানান, চলতি মৌসুমেভুট্টাচাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৪শ হেক্টর। তা ছাড়িয়ে অর্জন হয়েছে ৬শ হেক্টর।

তিনি আরও জানান, নতুন জাত সর্ম্পকে প্রশিক্ষণ ও প্রদর্শনীর মাধ্যমে আমরা প্রতিনিয়ত কৃষকদের উদ্ধুদ্ধ করে যাচ্ছি। যে কোন চাষে কৃষকদের কারিগরী সহায়তা প্রদানে আমাদের মাঠ পর্যায়ের উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিক নিয়োজিত আছেন।

(এসআইআর/এসপি/ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

২৬ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test