E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

দুলালী সুন্দরী ধানের জমিতে দর্শনার্থীর ভিড় দিন দিন বেড়েই চলছে

২০১৮ মে ০৯ ১৬:৪৮:১৯
দুলালী সুন্দরী ধানের জমিতে দর্শনার্থীর ভিড় দিন দিন বেড়েই চলছে

ছাদেকুল ইসলাম রুবেল, গাইবান্ধা : ধানের জমিতে দর্শনার্থী। কথাটি শুনতে বেমানান হলেও বাস্তবে এমন ঘটনা ঘটেছে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার রামজীবন ইউনিয়নের একটি বেগুনি রংয়ের ধানের জমিতে।

প্রতিদিন দূর দূরান্ত থেকে দর্শনার্থীসহ কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীরাও আসছে বেগুনি রংয়ের ধান ক্ষেত দেখতে। রীতিমত চাপ সামলাতে ধানের জমিতে গ্রাম পুলিশ দিয়ে প্রহারা বসানো হয়েছে।

দুলালী বেগম নামে স্থানীয় এক কৃষাণী ২০১৭ সালের বোরো মৌসুমে মাত্র এক শতাংশ জমিতে কৌতুহলবশত এ ধানের চাষ করেন। তিনি তার এক নিকট আত্মীয়ের মাধ্যমে এ ধানের বীজ পেয়েছেন বলে জানা যায়।

চাষের পর ধানের রংয়ে ভিন্নতা দেখে তার কৌতুহল আরো বেড়ে যায় এবং উৎপাদিত ধান থেকে ২০১৮ সালের বোরো মৌসুমে তিনি স্থানীয় উপসহকারী কৃষি অফিসারের পরামর্শে প্রতি গোছাতে একটি করে চারা দিয়ে প্রায় ২৫ শতাংশ জমিতে এ ধানের আবাদ করেছেন। মানুষ সাধারণত সবুজ রং এর ধান গাছের সঙ্গে পরিচিত। কিন্তু এ ধান গাছের রং পুরোপুরিই বেগুনি। ফলে এ ধানের প্রতি মানুষের কৌতুহল দিন দিন বেড়েই চলেছে।ধানের জমি দেখতে আসা সুন্দরগঞ্জ ডি ডব্লিউ কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র মতিউরের সঙ্গে কথা হলে সে ক বলে, বেগুনি রংয়ের ধানের কথা শুনে বন্ধু বান্ধবসহ দেখতে এলাম। দেখে খুবই ভাল লাগল, পাশের অনান্য জমির তুলনায় এ ধানের ফলনও ভাল। সর্বোপরি ধান ক্ষেতটি দেখতে অনেক সুন্দর।

পাশের জমিতে ধান কাটতে থাকা নজরুল ইসলাম বলেন, আমার জমিতে ফলন খুবই কম। ব্লাস্ট রোগে ও শিলাবৃষ্টিতে জমির অধিকাংশ ধানই নষ্ট হয়ে গেছে। সে তুলনায় বেগুনি ধানের ফলন অনেক ভাল। বিশেষ করে এ ধানটি দেখতে খুবই সুন্দর। সুন্দরগঞ্জ কৃষি বিভাগ যদি ধানের বীজ আমাকে দেয় তাহলে পরের বছর আমিও বেগুনি ধানের চাষ করব।

সুন্দরগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসার রাশেদুল ইসলাম নিজেই এ ধানের তদারকি করছেন।

তিনি ধানের নাম দিয়েছেন দুলালী সুন্দরী। এ বিষয়ে কথা হয় তার সঙ্গে। তিনি বলেন, প্রথম থেকেই ধানের জমি আমরা পরিচর্যা করছি।

(এসআইআর/এসপি/মে ০৯, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

২৬ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test