E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

বেগুনি রংয়ের ধান চাষে চমক দেখাতে চায় কৃষকরা

২০১৯ জানুয়ারি ১৮ ১৭:৩৯:২৩
বেগুনি রংয়ের ধান চাষে চমক দেখাতে চায় কৃষকরা

ছাদেকুল ইসলাম রুবেল, গাইবান্ধা : নতুন জাতের বেগুনি রঙয়ের ধানচাষে এবার চমক দেখাতে চায় গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার কৃষক মহল। গত বছর জেলার সুন্দরগঞ্জে এই বেগুনি রংয়ের ধান পরীক্ষামূলক ভাবে চাষ করায় এক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছিল। ধানক্ষেত যেনো ফুলেল শোভাবর্ধনে নজর কাড়ছিল অত্রালাকার মানুষের। অন্যান্য জাতের ধানক্ষেত সবুজ রঙয়ের হলেও এই বেগুনি ধানক্ষেত দেখতে একদম বেগুনের রংয়ের। দেখতে যেমন সৌন্দর্যময় ফলনও তেমনি আশানুরূপ।

গত বছরে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার রামজীবন ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামের দুলালী বেগম চাষ করেছিলেন বেগুনী রংয়ের ধান। সেই ধানক্ষেত নিয়ে শুরু হয়েছিল নানা হইচই। ব্যপক আলোড়ন সুষ্টি হয়েছিল বেগুনী রঙয়ের ধানক্ষেত নিয়ে।

সেই দুলালী বেগমকে অনুকরণ করে এবার চলতি ইরি-বোরো মওসুমে এই প্রথম সাদুল্লাপুর উপজেলায় বেশ কিছু কৃষক বেগুনি রঙয়ের ধান চাষে ঝুঁকে পড়েছে। ইতোমধ্যে শুরু করেছে এই ধানচারা রোপনের কাজ।

সম্প্রতি সাদুল্লাপুর উপজেলার ইদিলপ্রু ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রাব্বী আব্দুল্যা, চকনদী গ্রামের কৃষক শুটকু মিয়া ও তরফ পাহাড়ি গ্রামের শাকিল মিয়া বেগুনি রঙয়ের ধানচারা রোপন কাজ শুরু করেছেন। এবারে তারা পরীক্ষামূলক ভাবে এক একর জমিতে বেগুনি রংয়ের ধানচারা লাগাবেন।

কৃষক শুটকু মিয়া ও শাকিল মিয়া জানান, এই ধানের চারা সংগ্রহরে জন্য কৃষি বিভাগের উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তার তানজিমুল হাসানের সাথে যোগাযোগ করা হয়। এর পর তার সহযোগিতায় বা সার্বিক ব্যবস্থাপনায় নতুন জাতের এই ধান চাষ করা হচ্ছে।

সাদুল্লাপুর উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা তানজিমুল হাসান বলেন, এই ধান গাছটি দেখতে পুরোপুরিই বেগুনি রংয়ের। শীষটি সাধারণ উফশী ধানের মতোই। গড়ে প্রতি গোছাতে ২৫টি কুশি হয়, যেখানে পার্শ্ববর্তী উফশী ক্ষেতে গড়ে ২১টি গোছা রয়েছে। কুশির সংখ্যা যেহেতু তুলনামূলক বেশি সে কারণে ফলন বেশি হওয়াই স্বাভাবিক। জীবনকাল অন্যান্য উফশী ধানের মতোই ১৪০ দিন। বিঘা প্রতি ২৫ মন ফলন আসার সম্ভবনা রয়েছে।

(এসআইআর/এসপি/জানুয়ারি ১৮, ২০১৯)

পাঠকের মতামত:

০৪ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test