E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

তাড়াশে আগাম জাতের ক্ষীরায় কৃষকের দ্বিগুণ লাভ

২০১৯ জানুয়ারি ২৪ ১৫:৩৬:২৩
তাড়াশে আগাম জাতের ক্ষীরায় কৃষকের দ্বিগুণ লাভ

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি : চলতি বছরে সিরাজগঞ্জের তাড়াশে, শাহজাদপুর, উল্লাপাড়া, রায়গঞ্জ উপজেলার মাঠে প্রায় ১৭ হাজার হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের ক্ষীরা চাষ করা হয়েছে। এ বছর প্রাকৃতিক দুর্যোগ না থাকায় ও বীজ সার এবং কীটনাশক সুলভমূল্যে পাওয়ায় ক্ষীরার বাম্পার ফলন হয়েছে।

কৃষি অধিদপ্তর সুত্রে জানা যায় বিস্তৃর্ন মাঠে এ বছর ক্ষীরার বাম্পার ফলন হয়েছে। তাড়াশ উপজেলাতে ৩৩০ হেক্টর জমিতে আগাম জাতের ক্ষীরা চাষ করা হয়েছে, আর ক্ষীরাকে কেন্দ্র করে তাড়াশ উপজেলার দিঘরীয়া গ্রামে গড়ে উঠেছে ক্ষীরার মৌসুমি হাট। এ হাটে প্রতিদিন ঢাকা, বগুড়াসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে পাইকার এসে ক্ষীরা ক্রয় করেন।

উপজেলার বারুহাস ইউনিয়নের দিঘরীয়া গ্রামের কৃষক আহমেদ আলী জানান, এবছর ১ বিঘা জমিতে ক্ষীরার আবাদ করতে খরচ হয়েছে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা। খরচ বাদে আবাদে ৩৫ হাজার থেকে ৪০ হাজার টাকা লাভ হয়েছে আরো ক্ষীরা তিনি বিক্রী করবেন।

চলনবিলে ব্যাপক ক্ষীরা উৎপাদন হওয়ায় শুধু চলনবিলের তাড়াশের দিঘুরিয়া, রানীর হাট ও কোহিতসহ ১৫টি গ্রামে গড়ে উঠেছে ক্ষীরা বিক্রির অস্থায়ী আড়ত। প্রতি মণ ক্ষীরা ৭০০-৯০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, চলনবিল অধ্যুষিত কোহিত, সাচানদিঘি, সান্দুরিয়া, সড়াবাড়ি, বারুহাস, দিঘুরিয়া, দিয়ারপাড়া, তালম সাতপাড়া, নামো সিলট, খাসপাড়া, বড় পওতা, তেঁতুলিয়া, ক্ষীরপোতা, খোসালপুর, বরগ্রাম, বিয়াস আয়েস, পিপুলসোন গ্রামের মাঠের পর মাঠ ক্ষীরার আবাদ হয়েছে। অনেক কৃষক লাভের আশায় নিজের জমি না থাকায় জমি লিজ নিয়ে ক্ষীরার আবাদ করেন।

নজরুল ইসলাম, জালাল উদ্দিনসহ একাধিক কৃষক জানান, এলাকায় ক্ষীরা চাষের জন্য জমি লিজ পাওয়াই যায় না। কারণ ক্ষীরা চাষে কৃষক লাভ পাওয়া তারা ক্ষীরা চাষে ঝুঁকে পড়েছেন। আর যাদের নিজস্ব জমি আছে তারা আরও বেশি লাভবান হচ্ছেন।

তাড়াশ উপজেলার বারুহাস ইউনিয়নের দিঘুরিয়া ক্ষীরার আড়তের ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য শামসুল জানান, তাড়াশের দিঘুরিয়া ক্ষীরার আড়ত থেকে মৌসুমের সময় স্থানীয় চাহিদা পূরণের পর প্রতিদিন শতাধিক ট্রাক ক্ষীরা ঢাকা, চট্টগ্রাম, বগুড়া, পাবনা, সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন শহরে চলে যাচ্ছে।

তাড়াশ উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ সাইফুল ইসলাম বলেন, চলনবিলে ক্ষীরা চাষে কৃষকরা ব্যাপক সফলতা পেয়েছে। কৃষকেরা ক্ষীরা চাষ করে লাভবান হচ্ছেন। কৃষকেরা বিঘা প্রতি খরচ বাদে ৪০-৪৫ হাজার টাকা করে লাভ করছেন। এভাবে আগামীতে কৃষকেরা ক্ষীরাচাষে আরো উদ্দ্যেগী হবেন।

(এমএসএস/এসপি/জানুয়ারি ২৪, ২০১৯)

পাঠকের মতামত:

২৬ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test