E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

টাঙ্গাইলে আমনের বাম্পার ফলনে খুশি কৃষক

২০২০ ডিসেম্বর ১১ ২৩:১৭:৩৮
টাঙ্গাইলে আমনের বাম্পার ফলনে খুশি কৃষক

রঞ্জন কৃষ্ণ পন্ডিত, টাঙ্গাইল : টাঙ্গাইলে গত বন্যার ভয়াবহতা থাকলেও পরবর্তী সময়ে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় চলতি মৌসুমে রোপা আমন ধানের বাম্পার ফল হয়েছে। আমনের বাম্পার ফলনে বেজায় কৃষকরা খুশি।  

চলতি মৌসুমে জেলার মধুপুর, ধনবাড়ী, ঘাটাইল, গোপালপুর, ভূঞাপুর, কালিহাতী, টাঙ্গাইল, মির্জাপুর, সখীপুর, বাসাইল, দেলদুয়ার ও নাগরপুর উপজেলার কৃষকরা ইতোমধ্যে তাদের উৎপাদিত ফসল ঘরে তুলেছেন। এবার রোপা আমন ধানের ভালো ফলন হয়েছে। উৎপাদন খরচ বাদ দিয়ে ধান চাষে লাভের মুখ দেখছেন কৃষকরা এবং আমন ধানের বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি ফুটে ওঠেছে।

টাঙ্গাইল জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, গত বছর জেলায় ৮৬ হাজার ৯০৬ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধান চাষের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হলে ৮৮ হাজার ২৫২ হেক্টর জমিতে চাষ করা হয়েছিল। চলতি বছর ৮৮ হাজার ২৬০ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। সেখানে ৮৯ হাজার ৮৬১ হেক্টর জমিতে আমনের চাষ করা হয়েছে। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে এক হাজার ৬০১ হেক্টর বেশি। ধানের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ৩৪ হাজার ১৯৩ মেট্রিক টন।

তার মধ্যে সদর উপজেলায় ৩ হাজার ৮৫০ হেক্টর, বাসাইলে ১০৮ হেক্টর, কালিহাতীতে ৫ হাজার ৪৫ হেক্টর, ঘাটাইলে ১৭ হাজার হেক্টর, নাগরপুরে ২ হাজার ৩৫০ হেক্টর, মির্জাপুরে ৫ হাজার হেক্টর, মধুপুরে ১২ হাজার ৩৭৪ হেক্টর, ভূঞাপুরে ৫ হাজার ৮৪০ হেক্টর, গোপালপুরে ১০ হাজার ৬৫০ হেক্টর, সখীপুরে ১৫ হাজার ৭৪২ হেক্টর, দেলদুয়ারে এক হাজার ৬০৫ হেক্টর ও ধনবাড়ীতে ১০ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ করা হয়েছে। ফলনও ভাল হয়েছে।

টাঙ্গাইল সদরের বিন্যাফৈর গ্রামের কৃষক আমানত আলী, ছামান সরকার, কালিহাতীর চরদুর্গাপুর গ্রামের রহমত মুন্সী, স্পন তালুকদার, হারেছ প্রামাণিক, ধনবাড়ীর পাইস্কার আব্দুল জব্বার, সোনা মিয়া, সখীপুরের বহেরাতৈলের আমজাদ হোসেন সহ অনেকেই জানান, গেল বন্যায় বেশকিছু জমির রোপা আমন বিনষ্ট হয়েছে। কিন্তু জমিতে অল্প পরিমাণে হলেও পলি পড়ায় ধানের ভালো ফলন হয়েছে। বাজারে ধানের দাম বর্তমানে কিছুটা স্বাভাবিক। তারা কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি ধান-চাল সংগ্রহের জন্য সংশ্লিষ্টদের কাছে দাবি জানান।

টাঙ্গাইলে সদর উপজেলার ভাটচান্দা গ্রামের কৃষক মো. লাভলু মিয়া ও ঘাটাইলের রামদেবপুর গ্রামের কৃষক মনসুর আলী জানান, তারা নিজ নিজ এলাকায় এ বছর তিন বিঘা জমিতে রোপা আমন ধানের চাষ করেছেন। প্রায় এক বিঘা জমির ধান বন্যায় নষ্ট হলেও দুই বিঘা জমিতে ধানের ভালো ফলন হয়েছে। ঘাটাইল উপজেলার সিঙ্গের চালা গ্রামের সুজন মিয়া জানান, চলতি মৌসুমে তিনি আড়াই বিঘা জমিতে রোপা আমন চাষ করেছেন। দফায় দফায় বৃষ্টি হওয়ায় পোকা-মাকড়ের আক্রমণ কমে যাওয়ায় রোগ-বালাইও কম হয়েছে। অন্য বছরের তুলনায় এবার ফলন অনেক ভালো হয়েছে।

টাঙ্গাইল জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আহসনিুল বাশার জানান, তৃতীয় দফায় বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে কৃষকদের প্রণোদনা হিসেবে বিনামূল্যে সার ও বীজ সরবরাহ করা হয়েছে। এছাড়া মাঠ পর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তারা কৃষকদের সাথে নিবির সম্পর্ক রেখে যথাসময়ে সঠিক পরামর্শ দেওয়ায় জেলায় রোপা আমনের বাম্পার ফলন হয়েছে।

(আরকেপি/এসপি/ডিসেম্বর ১১, ২০২০)

পাঠকের মতামত:

২৬ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test