E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

রৌমারীতে বন্যায় ৪ হাজার হেক্টর জমির ফসল নষ্ট

২০১৪ সেপ্টেম্বর ২৯ ১৫:৩১:১৯
রৌমারীতে বন্যায় ৪ হাজার হেক্টর জমির ফসল নষ্ট

রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি :প্রথমদফা বন্যার ক্ষতি পুশিয়ে উঠতে না উঠতেই দ্বিতীয় দফা বন্যায় ৪ হাজার হেক্টর জমির রোপা আমন বিনষ্ট হয়েছে। প্রথম দফায় হয়েছিল ৩ হাজার হেক্টর। পানির তোরে অর্ধশত রাস্তাঘাট, ব্রিজ-কালভার্ট ভেঙ্গে গেছে। ভেসে গেছে ৫ শতাধিক পুকুরের পোনা মাছ। ৩ শতাধিক পরিবার ঘরবাড়ি হরিয়ে অন্যের বাড়িতে ঠাঁই নিয়েছে। সবমিলে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ২০ কোটি টাকা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রথম দফা বন্যার ১৫দিন যেতে না যেতেই দ্বিতীয় দফা বন্যা শুরু হয়। এতে উপজেলার সীমান্ত এলাকা ডুবে যায়। রাস্তাঘাট ভেঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। পাহাড়ি ঢলে লাল পানি এসে ঢেকে দেয় আমনসহ নানা ধরনের ক্ষেত। বালিয়ামারি বেঁড়িবাঁধ ভেঙ্গে জালচিড়া বিল ও পুকুরগুলো ডুবে প্রায় ২ কোটি টাকার পোনা মাছ ভেসে যায়। সীমান্তের খেওয়ারচর, ইজলামারী, বড়াইবাড়ি ও গয়টাপাড়া বিজিবি ক্যাম্পে পানি ওঠায় জওয়ানরা বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আশ্রয় নেয়। অর্থশত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বন্ধ হয়ে যায় শিক্ষা কার্যক্রম। ব্রিজ-কালভার্ট বিধ্বস্ত হওয়ায় যাতায়াত ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে। স্থানীয়রা নিজ খরচে বাঁশের সাঁর্কো দিয়ে রাস্তা পারপার হচ্ছে। তবে অভিযোগ উঠেছে, একশ্রেণির অসাধু মানুষ সেখান থেকে ২ টাকা থেকে ৫ টাকা করে টোল তুলছে।


বালিয়ামারি এলাকার মৎস্য চাষী লুৎফর রহমান, আকুল মাস্টার, আব্দুল করিম জানান, বাঁধ ভেঙ্গে আমাদের প্রায় ১ কোটি টাকার পোনা মাছ ভেসে গেছে। এ ক্ষতি আগামী কয়েক বছরেও পুশিয়ে নেয়া সম্ভব নয়। বিকরীবিল এলাকার আলহাজ্ব জয়নাল আবেদীন, গ্রাম সরকার আব্দুল জলিল, আব্দুল আজিজ জানান, একেকজন কৃষকরে প্রায় ২০ একর করে জমির আমন ও অন্যান্য আবাদ নষ্ট হয়েছে। শুধু বন্যা হলে তো কিছুটা বাঁচতো কিন্তু ঢলের সাথে লাল পলি এসে জমির আবাদ একেবারে ঢেকে দিয়েছে। ফলে এগুলো আর হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই। ভুয়াপাড়া গ্রামের আনিছ ও হবি জানান, আমাদের ২০ একর জমির আখ ক্ষেত সম্পূর্ণ বিনষ্ট হয়েছে।

(আরআইএস/এসসি/সেপ্টেম্বর২৯,২০১৪)


পাঠকের মতামত:

২৪ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test