E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শিরোনাম:

সিরাজগঞ্জে বন্যার পানিতে নিমজ্জিত জমির ফসল

২০২২ জুন ২৩ ১৮:২৭:৫৯
সিরাজগঞ্জে বন্যার পানিতে নিমজ্জিত জমির ফসল

ইমরান হোসাইন, সিরাজগঞ্জ : প্রতিবছরেই বন্যাসহ নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতির মুখে পড়েন যমুনা পাড়ের সিরাজগঞ্জ জেলার কৃষকেরা। এবারও  চলতি বন্যার পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে ইতিমধ্যে প্রায় ১২ হাজার ৫৯৯ হেক্টর জমির ফসল। রোপা আমন, বোনা আমন, আমনের বীজতলা,  গ্রীস্মকালীন সবজি, মরিচ , কাউন, পাট, আখসহ বিভিন্ন ফসল। নিমজ্জিত হয়ে যাওয়ায় লোকসানের মুখে পড়েছেন হাজার হাজার কৃষক। 

চলতি বন্যায় পানিতে নিমজ্জিত হয়ে পড়েছে শষ্যভান্ডার হিসেবে খ্যাত চলনবিল অধ্যুষিত সিরাজগঞ্জের সদর, তাড়াশ, উল্লাপাড়া, শাহজাদপুর ও, কাজিপুর, চৌহালী, বেলকুচি, উপজেলার বিস্তীর্ন ফসলি জমি।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ি জেলার নয়টি উপজেলার মধ্যে ইতিমধ্যে ৭টি উপজেলার জমির ফসল নিমজ্জিত হয়েছে বন্যার পানিতে । ফলে আমন ধান ও গ্রীস্মকালীন সবজিসহ কৃষি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন না হবার আশংকা দেখা দিয়েছে।

বন্যার পানিতে নিমজ্জিত হয়ে বিস্তীর্ণ ফসলি জমির ফসল নষ্ট হয়ে যাওয়ায় বড় ধরনের লোকসানের মুখে পড়েছেন জেলার কৃষকেরা। জমি প্রস্তুত করা, বীজ লাগানো, সাড় ও কিটনাশক দেয়া এবং শ্রমিক বাবদ ব্যাপক পরিমান ব্যায় করার পর ফসল তলিয়ে যাওয়ায় মুলধন সংকটে পড়েছেন এ সমস্ত কৃষকেরা। ফলে বিপাকে পড়েছেন কৃষি উৎপাদন নির্ভর কৃষকেরা। ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে পুনরায় চাষাবাদের জন্য বীজ, সাড়ের পাশাপাশি সরকারি প্রণোদনা ও কৃষিঝণ প্রদানের দাবি জানিয়েছেন কৃষকেরা।

সরেজমিনে কয়েকদিন ঘুরে বেশ কয়েক জন কৃষকদের সাথে কথা হয়। ফসল নিমজ্জতি হয়ে যাওয়া কৃষক শাহজাদপুর উপজেলার ধীবপুর গ্রামের মাহবুদ আলী তিনি জানান, তিল রোপন করে ছিলাম কয়েক বিঘা, বন্যার পানিতে তুলিয়ে গেছে। এত টাকা ব্যায় করার পর জমিতে পানি উঠে পড়ায় সব নষ্ট হয়ে গেছে। কৃষিনির্ভর আমার পরিবার, একদিকে মুলধন শেষ হয়ে গেল, অন্যদিকে কোন ফসল পাওয়া যাবে না। সারাবছর আমি পরিবার নিয়ে কিভাবে চলবো এ নিয়ে দুচিন্তায় দিন কাটছে।

একই গ্রামের কৃষক আবেদ আলী জানান, আমন ধান ছিল, বাদাম ছিল, সবই বন্যার পানি খেয়ে গেছে। পানি নামলে নতুন ফসল আবাদ করতে হবে। কিন্তু নতুন ফসল লাগানোর মুলধন কোথায় পাব, সরকার সহযোগিতা না করলে আর চাষাবাদ করা হবে না।

সদর উপজেলার চর অঞ্চলের কৃষক আবু ইউসুফ বলেন, আমরা গরিব মানুষ কৃষির উপর নির্ভর করে চলতে হয়। বন্যার পানিতে অনেক ফসল ডুবে গেছে। অনেক টাকা ক্ষতি হয়ে গেছে।

সিরাজগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বাবুল কুমার সূত্রধর জানান, প্রায় ১২ হাজার ৫৯৯ হেক্টর জমির ফসল রোপা আমন, বোনা আমন, আমনের বীজতলা, গ্রীস্মকালীন সবজি, মরিচ, পাট, আখ, কাউনসহ বিভিন্ন ফসল নিমজ্জিত হয়ে গেছে। তাদের সার্বিক সহযোগতীর বিষয় প্রক্রিয়াধীন আছে।

(আই/এসপি/জুন ২৩, ২০২২)

পাঠকের মতামত:

১৬ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test