E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

রাজবাড়ীতে পানির অভাবে পাট নিয়ে দুশ্চিন্তায় কৃষক

২০২২ জুলাই ১৮ ১৬:৫২:১৯
রাজবাড়ীতে পানির অভাবে পাট নিয়ে দুশ্চিন্তায় কৃষক

একে আজাদ ও মিঠুন গোস্বামী, রাজবাড়ী : রাজবাড়ী জেলার বিভিন্ন এলাকায় খাল-বিলে পানি না থাকায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকরা। এখন বর্ষার ভরা মৌসুম খাল-বিলে পানিতে থৈ থৈ করার কথা থাকলেও এবার দেখা মিলছে না এমন চিত্র।

বিশেষ করে বালিয়াকান্দি উপজেলার কৃষকরাই পড়েছেন বেশি ভোগান্তিতে। সেখানে নদী, মাছ চাষের পুকুর ছাড়া খাল, বিলে, কোথাও পর্যাপ্ত পানি না থাকায় পাট জাগে ফেলতে পারছে না। কোনো উপায় না পেয়ে কৃষকরা পাট কেটে ক্ষেতেই ফেলে রাখছেন। অনেকে বানের পানির আশায় পাট না কেটে রেখে দিচ্ছে।

আবার কেউ কেউ পর্যাপ্ত পানি না পেয়ে নিচু জায়গায় জমে থাকা বৃষ্টির পানিতে জাগ দিচ্ছেন । তবে পাটের ফলন ভালো হলেও পর্যাপ্ত পানির অভাবে পাটের আঁশ আর সোনালি না থেকে কালো রঙের ফ্যাকাসে হয়ে যাচ্ছে। এটির বাজারমূল্য সোনালি আঁশের থেকে অনেক কম হবে বলে ধারণা কৃষকদের।

পরিমল নামে এক কৃষক জানান, এ বছর বৃষ্টির পরিমান খুবি কম, আষাঢ় মাস শেষ হয়ে গেছে এখনো খালে বিলে কোথাও পর্যাক্ত পরিমান পানি নেই, বানের পানির আশায় আছি, খালে সামান্য বৃষ্টির পানি জমছে সেখানে পাট জাগে ফেলতে হচ্ছে। কম পানিতে জাগ দেওয়া পাটের আঁশ কালো ও চটাচটা হয় বলে তা কম দামে বিক্রি করতে হয়। পাটের ফলন এবার ভালো হলেও প্রয়োজনীয় পানির অভাবে আঁশ নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি৷

খালেদ বিন ওয়ালিদ নামের এক কৃষক জানান, পাট চাষে কোন লাভ নেই অনেক খরচ জমি পস্তত করা বীজ বোপন ছেঁচ দেওয়া সারদেওয় আগাছা পরিষ্কার করা পাটকাটা জাগ দেওয়া পাট ধোয়া পর্যন্ত যে খরচ হয় হিসাব করলে কৃষকদের লছ, করতে হয় তাই করি।

রাজবাড়ী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক এসএম শহীদ নূর আকবর বলেন, এ বছর জেলায় ৪৮ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে। যা গত বছরের চেয়ে ১ হাজার হেক্টর বেশি। ফলনও ভালো হয়েছে। তবে খালে বিলে পর্যাক্ত পানি না থাকায় কৃষকরা পাট জাগ দেওয়া নিয়ে কিছুটা সমস্যায় পড়েছেন।পট চাষে একটা উপকারিতা আছে পাটের যে পাতা জমিতে পড়ে সে পাতা পোচে যৌইব সার তৌইরী হয় ফলে জমির উর্বরতা বেড়েযায় , যে কোন ফসল করলে ভালো ফলন পাওয়া যায়।

তিনি আরো বলেন, জমি থেকে অনেক দূরে বহন করে নিয়ে পাট জাগে ফেলতে হচ্ছে বলে কৃষকদের পাট উৎপাদন খরচ বেড়ে গেছে। পাটের ভালো দাম না পেলে লোকশান গুন্তে হবে কৃষকদের।

(একেএমজি/এসপি/জুলাই ১৮, ২০২২)

পাঠকের মতামত:

১৮ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test