E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

কেন্দুয়ায় ২৮ ব্রি-ধানে ব্লাস্ট রোগ দমনে স্কোয়াড গঠন

২০২৩ এপ্রিল ০৬ ১৭:১০:৪৭
কেন্দুয়ায় ২৮ ব্রি-ধানে ব্লাস্ট রোগ দমনে স্কোয়াড গঠন

কেন্দুয়া প্রতিনিধি : নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ২৮ ব্রি-ধান জাতের ধান ক্ষেতে ব্লাস্ট রোগ দেখা দিয়েছে। উপজেলার মোজাফরপুর ও চিরাং ইউনিয়নসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের ১৫ হেক্টর জমি ব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত হয়েছে। এতে আক্রান্ত জমির কৃষকরা শতভাগ ধান কেটে ঘরে তুলতে পারবেন না। পরেছেন ক্ষতির মুখে। ধান গাছের পাতায় ডিম্বাক্রিতির দাগ পড়ে পাতা, কান্ড ও শিষ আক্রান্ত হয়ে গেছে। যার দুপ্রান্ত লম্বা হয়ে চোখাকৃতির মতো ধারণ করেছে। এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ফলে অনেক ধান গাছের পাতার দাগের মধ্যভাগ সাদা ছাই রং ও বাইরের দিকে প্রান্ত ঘাঢ় বাদামী রং ধারণ করে। গিটে থোড় বের হওয়ার আগে আক্রান্ত হয়ে কাল দাগ পড়েছে। এর ফলে শিষের গোড়া পছে শিষ ভেঙে পড়ে ও চিটা দেখা দিয়েছে।

উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে ২০ হাজার ৭ শ ১০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ করা হয়েছে। ২৮ জাতের ব্রি-ধান আবাদ করতে কৃষকদেরকে মানা করা হলেও কৃষকরা ওই ধান আগে কেটে ফসল ঘরে তোলার লক্ষ্যে অনেকেই ২৮ ব্রি-ধানের আবাদ করেছেন। পাটাশ সার কম ও অধিক মাত্রায় নাট্রোজেন ব্যবহার এবং বাতাসের আদ্রতা বেশি থাকায় এ রোগের বিস্তার ঘটেছে। রাতে ঠান্ডা দিনে গরম সকালে শিশির পড়া ভ্যাপসা গরম অবস্থার ফলে ব্লাস্ট রোগ দেখা দেয়। গত সপ্তাহে ব্লাস্ট রোগ দমনে উপজেলা কৃষি বিভাগের উদ্যোগে বোরো ধান ফসলের ব্লাস্ট ও বিএলবি রোগ দমনে কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা তারিক আজিজকে আহ্বায়ক ও উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আতিকুর রহমান কে সদস্য সচিব নিযুক্ত করে ৭ সদস্যের একটি স্কোয়াড গঠন করা হয়। ওই স্পোয়াডের সদস্যরা আক্রান্ত এলাকায় উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের নিয়ে কৃষকদের মাঝে ব্লাস্ট রোগ দমনে সচেতনতা মূলক সভা করছেন এবং ব্লাস্ট রোগ দমনে কি কি করণীয় সে লক্ষ্য বাস্তবায়নে লিপলেট বিতরণ করছেন।

বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শারমিন সুলতানার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এই উপজেলায় মাত্র ১৫ হেক্টর জমি ব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত হয়েছে। যা আবাদ করা জমির ১% ও হবে না। তিনি বলেন ওই রোগ নিয়ে কৃষকদের আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। রোগদমনে যা যা পরামর্শ দেওয়ার তা দেয়া হচ্ছে। শারমিন সুলতান আরও বলেন কৃষকদের কে ২৮ জাতের ধান চাষ করতে নিরুসাহিত করা হয়েছিল কিন্তু অনেক কৃষক আমাদের ওই পরামর্শ মেনেছেন আবার অনেকেই মানেন নি। তবে ব্লাস্ট রোগ দমনে আমরা পুরোপুরি মাঠেই কাজ করছি।

(এসবি/এসপি/এপ্রিল ০৬, ২০২৩)

পাঠকের মতামত:

০৪ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test