E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

বরগুনায় ভর্তুকি পাওয়া ইউরিয়া সার কালোবাজারে !

২০১৪ অক্টোবর ২৫ ১৫:৫৯:২১
বরগুনায় ভর্তুকি পাওয়া ইউরিয়া সার কালোবাজারে !

বরগুনা প্রতিনিধি : বরগুনা জেলার চাহিদার বিপরীতে ভর্তুকি কর্মসূচির আওতায় বেসরকারি পর্যায়ে আমদানি করা প্রায় দুই হাজার ২০০ মেট্রিক টন ইউরিয়া সার কালোবাজারে বিক্রি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

জেলা প্রশাসক কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, আমতলী, তালতলী ও পাথরঘাটা উপজেলায় মাসিক বরাদ্দের চেয়ে অতিরিক্ত ইউরিয়া সার প্রয়োজন বলে চাহিদাপত্র পাঠানো হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসক গত আগস্টে দুই দফায় দুই হাজার ২০০ মেট্রিক টন ইউরিয়া সার বরাদ্দ দিতে উপ-বরাদ্দ পাঠান।

অভিযোগ আছে, এসব সার মাঠপর্যায়ে বিক্রি না করে সেপ্টেম্বর মাসের মাঝামাঝি উপ-বরাদ্দপ্রাপ্ত ডিলাররা যশোরের নওয়াপাড়ায় আমদানিকারকদের কাছে বিক্রি করে দেন। এর অনুকুলে ভুয়া আগমনী বার্তাও জমা দেন তাঁরা।

বরগুনা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ জানায়, ২১ ও ৩১ আগস্ট বরগুনার চাহিদার বিপরীতে পাবনার মেসার্স রবিউল ইসলামের নামে তিউনিসিয়া থেকে ৩০০ মেট্রিক টন টিএসপি ও চট্টগ্রামের মৌসুমী এন্টারপ্রাইজের নামে চীন থেকে ২০০ মেট্রিক টন ডিএপি ও ৭০০ মেট্রিক টন ডিএপি, রাজশাহীর আমান অ্যাসোশিয়েটসের নামে তিউনিসিয়া ও মরক্কো থেকে এক হাজার মেট্রিক টন টিএসপি সার আমদানি করা হয়। আমদানি করা ভর্তুকির এসব সার আমতলী ও তালতলীর ১০ জন এবং পাথরঘাটার তিনজন ডিলারের নামে বরাদ্দপত্র দেওয়া হয়। টিএসপি টনপ্রতি ২০ হাজার টাকা, এমওপি ১৩ হাজার এবং ডিএপি ২৫ হাজার টাকা দরে এই সার বরাদ্দ দেওয়া হয়।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, তালতলীর কড়ইবাড়িয়া বাজারের মেসার্স ভাই ভাই ট্রেডার্স, কুকুয়া ইউনিয়নের সততা ট্রেডার্স, চাওড়া ইউনিয়নের হাবিবুর রহমান ট্রের্ডাসের সারের গুদামে যশোরের নওয়াপাড়া থেকে বরাদ্দ হওয়া ইউরিয়া সারের কোনো বস্তা বা খুচরা ক্রেতাদের তালিকা পাওয়া যায়নি। মৌসুমভিত্তিক ২০১৪-১৫ অর্থবছরে উপজেলাভিত্তিক তালিকায় আগস্ট মাসে আমতলী ও তালতলী উপজেলায় ইউরিয়া বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ১৬০ মেট্রিক টন। অথচ একই মাসে তদবির করে শুধু আমতলী ও তালতলীর ১০ জন ডিলারের প্রত্যেকে ১৮৩ মেট্রিক টন করে এক হাজার ৮৩০ মেট্রিক টন, পাথরঘাটার তিনজন ডিলার ৩৭০ মেট্রিক টন অতিরিক্ত ইউরিয়া সারের বিশেষ বরাদ্দ নেয়। এসব সার উত্তোলন না করেই নওয়াপাড়ায় আমদানিকারকদের কাছে বিক্রি করে দেওয়া হয়।
আমতলী ও তালতলী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বদরুল আলম বলেন, আমার জানামতে বিশেষ বরাদ্দের সব সার আনা হয়েছে। এর অনুকূলে আগমনী বার্তাও দেওয়া হয়েছে।

বরগুনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক অশোক কুমার হালদার বলেন, বেশ কিছুদিন আমি কর্মস্থলে ছিলাম না। এসে বিষয়টি শুনে খোঁজ নিয়েছি। তবে ওই সব উপজেলা সার মনিটরিং কমিটি আমাকে বলেছে, যথাযথভাবে সার আনা ও বিতরণ করা হয়েছে। তার পরও বিষয়টি খতিয়ে দেখব। ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের অনিয়ম না হয় সে ব্যাপারে সজাগ থাকব।

(এমএইচ/এএস/অক্টোবর ২৫, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

২৪ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test