জলাশয়ের অভাবে পাট পচাতে ব্যয় বাড়ছে
প্রসেনজিৎ বিশ্বাস, নগরকান্দা : ফরিদপুরের নগরকান্দা-সালথায় এবার পাটের ভালো ফলন হলেও পানি সঙ্কটে বিপাকে পড়েছেন এ অঞ্চলের কৃষকেরা। একদিকে পাটগাছ বড় হওয়ার পর পানির অভাবে অনেক স্থানে পাটগাছের পাতা শুকিয়ে মরে যাচ্ছে। বিভিন্ন স্থানে দেখা যায় ঘোড়ার পিঠে করে কাঁচা পাট সরবরাহ করছেন।
অন্যদিকে বৃষ্টির অভাবে পাট ক্ষেতের পাশের ডোবা গুলো পানি শূন্য। ফলে পাটগাছ কেটে পচাতে তাদেরকে দূরের জলাশয়ে নিয়ে যেতে হচ্ছে। এতে কৃষকের খরচও বেড়ে যাচ্ছে। পাটের উৎপাদনে খরচ বৃদ্ধি পেলেও বাজারে এসব পাট বিক্রি করে লাভের মুখ দেখতে পারবেন কিনা তা নিয়ে ও রয়েছে শঙ্কিত এই এলাকার পাট চাষিরা।
ফরিদপুরের ব্রান্ডিং পণ্য এই সোনালী আঁশ পাট। ‘সোনালী আঁশে ভরপুর, ভালোবাসি ফরিদপুর’এটি এ জেলার প্রশাসনিক শ্লোগান।
দেশে পাট উৎপাদনে সেরা জেলার নগরকান্দা-সালথা উপজেলা সহ অন্যান্য উপজেলা গুলোতেও কম বেশি প্রচুর পরিমাণ পাট উৎপাদিত হয়।
নগরকান্দা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী এবছর উপজেলায় প্রায় ১১ হাজার ৭ শো হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ করা হয়েছে। যা থেকে প্রায় ৩০ হাজার মেট্রিকটন পাট উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।
সালথা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ তাওহীদ মৃধা জানান, এবছরও উপজেলায় ১২ হাজার ৩৩০ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে। যা থেকে প্রায় ৩৬ হাজার মেট্রিকটন পাট উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।
সরেজমিনে নগরকান্দা উপজেলা পরিদর্শনকরে দেখা গেছে, প্রায় প্রত্যেকটি গ্রামে মাঠের পর মাঠ জুড়ে শোভা পাচ্ছে সোনালী আঁশ পাট।
স্থায়ীয় কৃষকেরা জানান, এ বছর জমিতে পাটের বীজ বপনের পরপরই কয়েক দফায় প্রয়োজনীয় বৃষ্টি হয়েছিলো। এতে পাটচাষের শুরুর দিকে কৃষককে সেচের জন্য অতিরিক্ত টাকা খরচ করতে হয়নি।গত বছরের তুলনায় এ বছরে ছটকা ও বিছার উপদ্রব কম ছিল পাটের পাতাকে তেমন ক্ষতি করতে পারে নি। তবে শেষের দিকে এসে বৃষ্টি কমে গেছে এতে পাটচাষে ক্ষতি হচ্ছে।
উপজেলার পুরাপাড়া ইউনিয়নের দফা ও বেতাল গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে ক্ষেতের পাটগাছের উপরের দিকে পাতা মরে গেছে। জমির মাটি শুকিয়ে গেছে।
উপজেলার নগরদিয়া গ্রামের বাসিন্দা মুন্নু মিয়া জানান, এবছর বৃষ্টি কম হওয়ায় খালে-বিলে পানি নেই। প্রচন্ড রোদে পাটগাছ পরিপক্ক হয়ে শুকিয়ে যাচ্ছে। পাট কেটে কোথায় জাগ দিবো। অনেক চাষি পাট কেটে মাথায় করে নিয়ে যেয়ে দূরবর্তী জলাশয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।
একই এলাকার কবির হোসেন নামে আরেকজন কৃষক বলেন, এ কার পক্ষেতো এতো পাট কেটে দূরের খালে নেয়া সম্ভব না। এজন্য অতিরিক্ত লোক লাগবে। অতিরিক্ত শ্রমিক দিয়ে পাট কেটে জলাশয়ে নিতে অতিরিক্ত খরচ হবে। এক বিঘা জমির পাট কেটে খালে নিতে হলে অতিরিক্ত ২হাজার থেকে ২৫শ’ টাকা খরচ হবে। কিন্তু পাটের দাম কি বাড়বে তাতে?
তাদের অভিযোগ, অনেক স্থানে সুইস গেট আটকে রাখার জন্য খালে পানি আসেনা। এতে তারা পাট জাগ দেয়ার পানি পান না সময় মতো।সুইস গেটগুলো সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট অবমুক্তকরণ করে দেওয়ার জন্য দাবি জানান।
পাটগাছ ভালোভাবে জাগ দিতে না পারলে আঁশের মান ভালো হয় না। গত বছর মৌসুমের শুরুর দিকে পাটের মন ৩ হাজার ৬শ' টাকা পর্যন্ত পৌঁছালেও পরে দরপতন হয়। দুই হাজার থেকে আড়াই হাজার টাকায় এক মণ পাট বিক্রি হয়। এবার পাট জাগে খরচ বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি কৃষককে পাট আবাদে অন্যান্য খাতেও বেশি খরচ করতে হয়েছে বলে কৃষকেরা জানালেন।
কৃষকের দাবি, চার থেকে পাঁচ হাজার টাকায় এক মণ পাট বিক্রি করতে পারলে তাদের ভালো লাভ হবে।
নগরকান্দা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ তিলক কুমার ঘোষ বলেন, এবার আবহওয়া অনুকূলে থাকায় নগরকান্দা উপজেলায় পাটের আবাদ খুবই ভালো হয়েছে। এ বছর উপজেলায় প্রায় ৩০ হাজার মেট্রিকটন পাট উৎপাদন হবে বলে আশা করছি।
অবশ্য মৌসুমের শেষের দিকে বৃষ্টিপাত কমে যাওয়ায় পাট জাগ দিতে একটু বেগ পেতে হচ্ছে জানিয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বলেন, এক্ষেত্রে পাটচাষীদের ‘রিবনিং’ ও ‘রিবন রেটিং’ পদ্ধতি ব্যবহার করার পরামর্শ দেই। তবে তারা এ পদ্ধতিতে অভ্যস্ত নন।
(পিবি/এসপি/জুলাই ২৩, ২০২৩)
পাঠকের মতামত:
- শহিদ বাবুর কবর জিয়ারত করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি দল
- কালিয়ায় বিএনপির অফিস ভাঙচুর, গুলিবিদ্ধসহ আহত ২
- হাজীগঞ্জ রণক্ষেত্র : নিহত ৬, আহত ৬০
- ‘এখান থেকে ম্যাচ বাঁচানো খুব কঠিন’
- ‘দেশের বিরুদ্ধে যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে’
- নির্ভয়ে দুর্গাপূজা পালনের আহ্বান তারেক রহমানের
- ইসরায়েলে ১৪০ রকেট ছোড়ার দাবি হিজবুল্লাহর
- সাতক্ষীরায় গত ৫ আগষ্টের পর থেকে আদালতে দায়িত্ব পালন করছেন না রাষ্ট্রপক্ষের পিপি ও জিপি
- ফরিদপুরে 'ইসলামী সমাজ' এর ব্যানারে মানবাধিকার সমাবেশ
- ফরিদপুরে বিএনপি নেতৃবৃন্দের সাথে পূজা উদযাপন কমিটির নেতৃবৃন্দের মতবিনিময়
- ‘মব জাস্টিস থামাতে ছাত্রদের দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে’
- পাহাড়ের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে যা জানাল আইএসপিআর
- বকেয়া বেতনের দাবিতে শ্রমিক অসন্তোষ-বিক্ষোভ, থামালো পুলিশ
- বীর মুুক্তিযোদ্ধা আবদুল. মান্নান মিয়া’র রাষ্ট্রীয় দাফন সম্পন্ন
- মহাসড়কের পাশে পৌর বর্জ্যর ভাগাড়
- জামাই-শ্বশুরের ‘রিকশা চোর সিন্ডিকেট’
- মোংলা বন্দরে নিলাম হচ্ছে আমদানি করা ৪০ গাড়ি
- রিমান্ড শেষে কারাগারে রংধনু গ্রুপের পরিচালক মিজানুর রহমান
- গণপিটুনি কেন বাড়ছে, এর শাস্তি কী?
- ৩ পার্বত্য জেলার সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান
- ঈশ্বরগঞ্জে এক একর জমির শিম গাছ উপড়ে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা
- বিএনপি নেতা নাসিরুলের নামে মিথ্যা অভিযোগের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন
- ‘নতুন বাংলাদেশ গড়তে দায়িত্বশীলদের যোগ্যত্যাকে আরো বিকশিত করতে হবে’
- কোটিপতি পিয়নের গল্প
- গোয়ালন্দে গলায় ফাঁস নিয়ে যুবকের আত্মহত্যা
- ধামইরহাটে জাতীয় শোক দিবসে ১২ হাজার বৃক্ষরোপন
- সুনামগঞ্জে ট্রাক-অটোরিকশা মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২
- বিপুল ভোটে জয়ী শেখ হাসিনা
- ১৭ বছর পর ধর্ষণ মামলার আসামি গ্রেফতার
- অবৈধপথে ভারতে যাওয়ার সময় কলারোয়ার হিজলদি সীমান্ত থেকে তিন নারী আটক
- আবারও পেছালো সাগর-রুনির হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন
- হাসিনা-কাদেরসহ ২৪ জনের নামে মামলা, তদন্তে পিবিআই
- ‘প্রতিটি মৃত্যুই দুঃখজনক, বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে বিচার করা হবে’
- শেরপুরে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হচ্ছে ‘শেরপুর দৌড়’ প্রতিযোগিতা
- মেহেরপুরে জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস পালন
- বর্ণিল আয়োজনে মেহেরপুরে পহেলা বৈশাখ পালন
- কক্সবাজারে পাহাড়ধসে মা-মেয়েসহ নিহত ৪
- বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধ, চরম লোডশেডিং
- আমড়ার রয়েছে অনেক গুণ
- শ্রীমঙ্গলে পর্যটন শিল্পের বর্তমান অবস্থা নিয়ে শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত
- ‘গণঅধিকার পরিষদ আগামীতে বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেবে’
- শেরপুরের শ্রীবরদীতে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী গ্রেপ্তার
- নড়াইলে ‘মায়াবী মরীচিকা’ কাব্যগ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন
- ফরাসি ফুটবলারের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ
- ভৈরবে ডেকোরেশন ব্যবসায়ীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার