E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

ঈশ্বরগঞ্জে একদিনের অতিবৃষ্টিতে রোপা-আমনের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি 

২০২৩ অক্টোবর ০৮ ১৮:০০:৪০
ঈশ্বরগঞ্জে একদিনের অতিবৃষ্টিতে রোপা-আমনের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি 

ঈশ্বরগঞ্জ প্রতিনিধি : ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে অতিবৃষ্টিতে মাছ চাষ এবং রোপা আমন ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এসব এলাকায় প্রায় অর্ধ শতাব্দি পর একটানা এত পরিমাণে বৃষ্টি হয়েছে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়। গত ৫ অক্টোবর বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে প্রবল বর্ষণে মাছের চাষকৃত পুকুর ও রোপা আমন ধানের জমি পানিতে তলিয়ে যায়। 

উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে জানা যায়, উপজেলায় ২ হাজার ১শ ৮৯ হেক্টর জমিতে পুকুর রয়েছে। পুকুরের সংখ্যা ১৫ হাজার ১শ ৫২টি। প্রবল বৃষ্টিপাতের ফলে ৫ হাজার ৮শত ১০ টি পুকুর পানিতে ডুবে যায়। যার ফলে প্রায় ২৫ কোটি টাকার ক্ষতি সাধিত হয়। চাষীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, বেশির ভাগ চাষীরাই ঋণ করে মাছের রেনু ও মাছের খাবারের খরচ বহন করত।

অন্যদিকে উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় এ বছর ১৯ হাজার ৩শত ২০ হেক্টর জমিতে রোপা আমান চাষ হয়েছে। এসব জমির মধ্যে প্রায় ১ হাজার ৪শত ৫০ হেক্টর জমির ধান পানিতে তলিয়ে গেছে। পাশাপাশি ৩ শত হেক্টর আবাদকৃত সবজির ২০ হেক্টর জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। রোপা আমান এবং সবজি নষ্ট হওয়ায় প্রায় ৩ কোটি টাকা ক্ষতি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এখনও যেসব জমিতে পানি রয়েছে সেসব জমির পানি চলে গেলেও ফসল হবে কিনা তা নিয়ে চিন্তিত কৃষক। বৃষ্টির পর কয়েকদিন চলে গেলেও নিচু জমির পানি এখনও খুব একটা কমেনি। ধান ও মাছের পাশাপাশি রাস্তাঘাট, কালভার্ট ভেঙ্গে পড়েছে এবং নিঁচু ঘরবাড়িতে পানি চলে আসায় মৃদু বন্যাও দেখা দিয়েছে। মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে আশ্রয় নিয়েছে উঁচু জায়গায়। পৌর এলাকার বেশ কয়েকটি স্থানেও দেখা দিয়েছে জলবদ্ধতা।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নুসরাত জামান জানান, পানি দ্রুত নেমে গেলে ক্ষতির পরিমাণ কমে যাবে। প্রকৃত ক্ষতি নিরুপণ ও কৃষকদের পরামর্শ প্রদানের জন্য মাঠ পর্যায়ে কর্মকর্তারা দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন।

সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা এএসএম সানোয়ার রাসেল বলেন, এ ক্ষতির বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের প্রত্যয়নপত্র দেওয়া হচ্ছে যেন ব্যাংক ঋণের ক্ষেত্রে কিছুটা সুবিধা পেতে পারে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম জানান, উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির একটি জরুরি সভা শনিবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সকল দপ্তরের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ের মাধ্যমে প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতি নিরুপনের কাজ চলছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোসা. হাফিজা জেসমিন বলেন, ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা সরেজমিনে পরিদর্শন করা হচ্ছে এবং প্রয়োজনীয় জায়গায় শুকনো খাবার বিতরণ করা হচ্ছে। এছাড়ও মেডিকেল টিম, কন্ট্রোল রুম, ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম গঠন করা হয়েছে। প্রত্যেক দপ্তরের কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিরা ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণ এবং প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদানের লক্ষ্যে মাঠে রয়েছেন।

(এন/এসপি/অক্টোবর ০৮, ২০২৩)

পাঠকের মতামত:

০৬ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test