E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শিরোনাম:

সাগর পাড়ে এক ফসলী জমিতে বোরো আবাদ বেড়েছে চারগুণ  

২০২৪ ফেব্রুয়ারি ২৮ ১৮:১৭:৫৪
সাগর পাড়ে এক ফসলী জমিতে বোরো আবাদ বেড়েছে চারগুণ  

সরদার শুকুর আহমেদ, বাগেরহাট : মাত্র এক বছরের ব্যবধানে বাগেরহাটের বঙ্গোপসাগর পাড়ে শরণখোলা উপজেলায় পাল্টে গেছে বর্ষাকালীন এক ফসলী মাঠের দৃশ্য। বছর খানিক আগেও যেসব জমি শীতকালে পতিত থাকতে দেখা যেতো সেইসব জমির দিকে এখন তাকালেই শুধু চোখে পড়ে ফসলের সবুজের সমারোহ। বর্ষা মৌসুমে চাষাবাদ করা ধান পৌষে ঘরে তুলেই সেই জমিতে বোরো আবাদ করছেন কৃষকরা। শীতকালীন বোরো আবাদে কৃষকরা যেমন পাচ্ছেন বাড়তি ফসল,তেমন আর্থিকভাবেও হচ্ছেন লাভবান। তাই গোটা উপজেলা জুড়েই চলছে এখন বোরো আবাদ। তবে, কৃষি অফিসের সঠিক পরামর্শ, উঠান বৈঠক ও উন্নত বীজ সহায়তায় শরণখোলায় বোরো আবাদ বেড়েছে এমনটাই বলছেন কৃষি বিভাগ। কৃষি বিভাগ বলছে, গতবছর বোরো আবাদ হয় মাত্র ৩০০ হেক্টর জমিতে। সেখানে এক বছরের ব্যবধানে চাষাবাদ হচ্ছে ১২০০ হেক্টর জমিতে।  

কৃষক শাহজাহান ফকির, আসলাম খান, মানিক মোল্লা, সবুর ফকির, মোশারফ হাওলাদার ও কৃষানী রহিমা বেগম, বলেন, এই এলাকায় এক ফসলী আমন ধান উঠে যাবার পর জমি পতিত থাকতো। কেউ বোরো চাষ করতেন না। কৃষি কর্মকতাদের গত বছর পরামর্শে তারা প্রথম বোরো চাষ করেন। গতবছর ফসল ভাল হওয়ায় এবং ভাল দাম পাওয়ায় কৃষকরা ব্যাপকভাবে উদ্ভুদ্ধ হয়েছেন বোরো চাষে। তাই এবছর উপজেলার চারটি ইউনিয়নেই বোরো আবাদ দ্বিগুনের বেশী বেড়েছে। এরমধ্যে ধানসাগর ও সাউথখালী ইউনিয়নে ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পেয়েছে বোরো আবাদ। গতবছর যে ইউনিয়নে দুই একজন চাষি স্বল্প পরিসরে বোরো চাষ করে সফলতা পেয়েছেন,তাদের দেখে এবছর অনেক কৃষকরা বোরো চাষ শুরু করেছেন। কৃষকরা বলছেন আষাঢ়ের তুলনায় শীতকালীন বোরো আবাদে ফসল বেশি পাওয়া যায়। উফশি ও হাইব্রিড জাতের ধান চাষ করে বিঘা প্রতি ৫০ থেকে ৬০ মন ধান ঘরে তোলেন তারা। বাড়তি আয়ের পাশাপাশি দামও ভাল পাওয়া যায়। পোকামাকড়ের আক্রমণ এবং আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে ফলন ভাল হবে এমনটাই আশা কৃষকদের।

শরণখোলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দেবব্রত সরকার বলেন, গত বছন এ উপজেলায় বোরো আবাদ হয় মাত্র ৩০০ হেক্টর জমিতে। এবছর চাষাবাদ হয়েছে ১২০০ হেক্টর জমিতে। যা গতবছরের তুলনায় তিনগুন বেশী। কৃষি অফিসের ঊঠান বৈঠকসহ বিভিন্ন প্রদর্শনী দেখে কৃষকরা বোরো চাষে উদ্ভুদ্ধ হচ্ছেন। তাই ব্যাপকভাবে বোরো আবাদ বেড়েছে। আগামীতে বোরো চাষের জন্য শরণখোলা উপজেলায় কোনো জমিই পতিত থাকবেনা বলেও জানান এই কর্মকর্তা।

(এস/এসপি/ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২৪)

পাঠকের মতামত:

০২ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test