E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

সালথায় প্রচণ্ড খরতাপে পাটের ক্ষতির আশঙ্কা

২০২৪ এপ্রিল ২৩ ১৩:৪৪:০৮
সালথায় প্রচণ্ড খরতাপে পাটের ক্ষতির আশঙ্কা

আবু নাসের হুসাইন, সালথা : প্রচন্ড দাবদাহে সোনালী আঁশ পাট ও ধান টিকিয়ে রাখতে অনবরত জমিতে সেচ দিচ্ছে কৃষকেরা। প্রখর তাপে সেচের পরে দুদিনেই শুকিয়ে যাচ্ছে ক্ষেত। তীব্র রোদ আর অসহনীয় গরমে হাঁশফাঁস করছে মানুষ। তাপমাত্রা বেশি হওয়ায় পাটের গাছ বাড়ছে না তেমন।  অপরদিকে যেসব ধানে ফুল আছে, এই রোদে সেসব ধানে চিটা হয়ে যাবে। তাই দুশ্চিন্তায় আছেন কৃষকেরা।

ফরিদপুরের সালথায় প্রচণ্ড দাবদাহ ও অনাবৃষ্টির কারণে সোনালী আঁশ পাটসহ জমির বিভিন্ন ফসল শুকিয়ে যাচ্ছে। কোথাও কোথাও পানির অভাবে কৃষক ক্ষেতে সেচ দিতে পারছে না। এতে আর্থিক ক্ষতির আশঙ্কায় দুশ্চিন্তা আর দুর্ভোগে কৃষকরা। শুধু পাট আবাদ নয়, বিভিন্ন জাতের সবজি চাষে ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা করছেন তাঁরা।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, পাট ও পেঁয়াজের জন্য বিখ্যাত ফরিদপুরের সালথা উপজেলা। চলতি মৌসুমে সালথায় এ পর্যন্ত ১২ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ১২ হাজার ৩৫০ হেক্টর। বেশ কয়েক দিন ধরে প্রচণ্ড দাবদাহ ও রোদে জমির ফসলের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের পাটচাষি ইব্রাহিম মোল্যা ও দবির মোল্যা জানান, প্রচন্ড গরমে জমিতে সেচ দেওয়ার পরেও ফসলের ক্ষেত শুকিয়ে যাচ্ছে। মাটিতে কোন রস থাকছে না। সেচ দিতে খরচও বাড়ছে, আবার মাটি ভিজা থাকছে না। ঘন ঘন সেচ দিলেও পাটের গঠন কেমন জানি হলদে রংয়েয় হয়ে যাচ্ছে। পাট বেড়ে উটছে না।

সোনাপুর ইউনিয়নের চাষি নাছির মাতুব্বর জানান, তিনি প্রায় দুই একর জমিতে পাট চাষ করেছেন। প্রচণ্ড রোদের কারণে পাটের গাছগুলো আস্তে আস্তে হলুদ হয়ে যাচ্ছে। দুশ্চিন্তায় আছেন তিনি।কারণ দেনা হয়ে তিনি জমিতে সেচ দিচ্ছেন। এতে খরচ অনেক বেড়ে যাচ্ছে।

আম চাষি বিল্লাল হোসেন বলেন, রোদের তাপ বেশি হওয়ায় আমার আম বাগানে গাছের আমের গুটি ঝরে ঝরে পড়ছে। সেচ দিয়ে আমের গুটি টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করছি, তারপরও ঝরে পড়ছে আমের গুটি। বৃষ্টি হলে এমনটা হতো না। আমরা বৃষ্টির অপেক্ষা আছি। আল্লাহু যদি একটু বৃষ্টি দেন।

চাষিরা জানান, প্রচন্ড তাপে জমির ফসল জমিতেই শুকিয়ে যাওয়ার উপক্রম।আর কয়েক দিন খরা-দাবদাহ অব্যাহত থাকলে তাঁদের জমির পাটসহ বিভিন্ন সবজি একেবারেই নষ্ট হয়ে যাবে।

সালথা উপজেলার অতিরিক্ত কৃষি অফিসার সুদীপ বিশ্বাস জানান, এ বছর উপজেলায় ১২ হাজার ২শ' হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে। কিন্তু দাবদাহে পাটগাছ শুকিয়ে না যায় সেজন্য প্রচুর পরিমাণ সেচ দেওয়ার পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে কৃষকদের। তবে বৃষ্টি হলে এসব পাটের ক্ষতির সম্ভাবনা থাকবে না। অন্যান্য ফসলের ক্ষেত্রেও সেচ দেওয়ার জন্য পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে।

(এএনএইচ/এএস/এপ্রিল ২৩, ২০২৪)


পাঠকের মতামত:

০৪ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test