E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শৈলকুপায় স্কোয়াশের সফল চাষী হাবিবুর রহমান ওমর

২০১৫ মার্চ ০৪ ১৪:৪১:৪৬
শৈলকুপায় স্কোয়াশের সফল চাষী হাবিবুর রহমান ওমর

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি : আমাদের খাদ্য তালিকায় শাকসবজির ভূমিকা অপরিহার্য। দেশে শাকসবজির তালিকাও বেশ দীর্ঘ। আর শীতকাল হলে তো কোন কথায় নেই। গোটা শীতে শাকসবজি দিয়েই নিয়ন্ত্রিত হয় বাঙালির রান্নাঘর। সেই সবজির তালিকায় যোগ হয়েছে নতুন এক নাম 'স্কোয়াশ'। এটি একটি বিদেশি সবজি। স্কচ আঞ্চলিক নাম হলেও এর প্রকৃত নাম স্কোয়াশ বলে জানা গেছে। খেতে সুস্বাদু। দেখতে লম্বা আকৃতির আবার মিষ্টি কুমড়ার সঙ্গে এর বেশ মিল রয়েছে। ইতোমধ্যে ভোজনরসিকদের মাঝে আলোড়ন তুলতে সক্ষম হয়েছে এই নতুন সবজি।

এদিকে শীতকালিন এই সবজি চাষ ব্যাপক লাভজনক হওয়ায় কৃষকদের মাঝে আগ্রহ দেখা দিয়েছে। ঝিনাইদহের শৈলকুপায় স্কোয়াশ চাষে ব্যাপক সফলতা অর্জন করেছেন হাবিবুর রহমান ওমর। পরামর্শের জন্য কৃষকরা ছুটে যাচ্ছে ঝিনাইদহ জেলায় প্রথম এ সবজি আবাদ করা কৃষক শৈলকুপা উপজেলার কাজীপাড়ার হাবিবুর রহমান ওমর এর কাছে।কৃষক হাবিবুর রহমান ওমর জানান, ছয় মাস আগে ফজলু নামে এক ব্যাক্তির পরার্মশে ঢাকার সিদ্দিক বাজার থেকে বীজ সংগ্রহ করেন। অগ্রহায়ণ মাসে বাড়ির পাশে ১০ কাঠা জমিতে বীজ রোপন করে। ৬০টি বীজের এক একটি প্যাকেটের দাম ২শত টাকা। তিনি নয় প্যাকেট ব্যবহার করেন। পরিচর্যায় বেড়ে ওঠে গাছ। ২৫-৩০ দিনে ফুল থেকে সবজি ধরতে শুরু করে। ৪০-৪৫ দিনে মাথায় ক্ষেত থেকে সবজি তুলে বাজারে ওঠান। বাজারের প্রথম দিনে বর্ণনা দিতে গিয়ে তিনি জানান, নতুন সবজি পেয়ে ক্রেতাদের মাঝে ব্যাপক সাড়া পড়ে যায়।

আদ্য পান্ত না ভেবে তিনি তার 'স্কচ' ৮০০ টাকা মন (৪০ কেজি) দরে বিক্রি করে দেন। আস্তে আস্তে চাহিদা বাড়তে থাকে। এক একটি স্কচ তিন কেজি পর্যন্ত ওজন হয়ে থাকে। খুচরা বাজারে নতুন এই সবজি বিক্রি হচেছ কেজি প্রতি ২৫-৩০ টাকা দরে। ওমর জানান, সবকিছু ঠিক ঠাক চলছিল কিন্তু বাঁধ সাধে শীত কমে যাওয়ায়। অজানা ভাইরাসে আক্রান্ত হয় গাছ। হলুদ বর্ণ ধারণ করে কিছু গাছ মরে যায়। বেঁচে থাকা গাছগুলোর ফলনে প্রভাব ফেলে এ ভাইরাস। স্থানীয় কৃষি অফিসে জানিয়ে লাভ হয়নি বলে তিনি জানান। তার পরেও এ পর্যন্ত তিনি ৩০ হাজার সবজি বিক্রি করেছেন। ক্ষেতে আরও সবজি রয়েছে।

আগামীতে আরও বেশি জমিতে এ চাষ করার পরিকল্পনা তার আছে। এছাড়া বিভিন্ন এলাকা থেকে পরামশের জন্য অনেক কৃষক তার কাছে এসেছেন বলে কৃষক হাবিবুর রহমান ওমর জানান। মাঠ পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায়, গাছগুলো ছোট ঝোপ ঝোপ আকৃতির। পাতা ও ফুল মিষ্টি কুমড়ার মত, তবে গাছ কুমড়া গাছের লতার মত বেড়ে ওঠে না। দুই-আড়াই ফুট উচ্চতার দৃষ্টি নন্দন এই গাছগুলোতে লম্বা আকৃতির সবুজ বর্ণের ‘স্কোয়াশ’ ধরে আছে। এ ব্যাপারে জেলা কৃষি সমপ্রসারণ অধিদফতর উপ-পরিচালক শাহ মো. আকরামুল হক বলেন, এই সবজির ব্যাপারে আমার কিছু জানা নেই।

(জেএইচআর/এএস/মার্চ ০৪, ২০১৫)

পাঠকের মতামত:

২৫ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test