E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

নন্দীগ্রামে ডায়মন্ড আলুর বাম্পার ফলন

২০১৫ মার্চ ০৬ ১৫:০৩:৪৯
নন্দীগ্রামে ডায়মন্ড আলুর বাম্পার ফলন

নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধি : শষ্যভান্ডার হিসেবে খ্যাত বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলায় ডায়মন্ড আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে। প্রতি বিঘা জমিতে ১২৫মণ থেকে ১৩০মণ করে আলুর ফলন ও দ্বিগুন দামে বিক্রয় করতে পেরে কৃষকের মুখে আনন্দের হাসি যেন’ আকাশ ছোঁয়া। গত বছরের লোকসান কাটিয়ে লাভের মুখ দেখবেন বলে কৃষকেরা অভিমত ব্যক্ত করেছেন। মৌসুমের শুরুতে ন্যায্য দাম পেলেও সামনের দিনগুলো নিয়ে শঙ্কা রয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানিয়েছে, চলতি মৌসুমে উফসী ১১৩৫ হেক্টর ও স্থানীয় ৮০০ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। অর্জিত উফসী ১৬০০ হেক্টর ও স্থানীয় ৮২৫ হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়েছে। আলু ফলনের লক্ষমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছিল, উফসী ২৩হাজার ৯১৪ মেট্রিকটন ও স্থানীয় ১১হাজার ৪৯৬ মেট্রিক টন।

কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, গত বছরের তুলনায় আবহাওয়া অনুকূলে ও চাষাবাদি জমির মাটিতে রস থাকায় এউপজেলায় আলুর ফলন ভালো হয়েছে। গত বছর উপজেলার ২৫০০ হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়েছিল। তবে গত মৌসুমে চাষাবাদি জমির মাটিতে রস না থাকায় ফলন কম হওয়ায় এবার আশানুরুপ জমিতে আলু চাষ হয়নি। চলতি মৌসুমে ২৪২৫ হেক্টর জমিতে আলু চাষ হলেও ফলন হয়েছে দ্বিগুন। এবার লক্ষমাত্রার তুলনায় ৫২হাজার ৩২৫ মেট্রিকটন আলু হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন কৃষি কর্মকর্তারা। এছাড়া আলুর ভালো দাম পেতে উন্নত আলু চাষের পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

গতকাল সরেজমিতে উপজেলার বিভিন্ন মাঠ ঘুরে দেখে গেছে, এমৌসুমে উপজেলায় উফসী জাতের কার্ডিনাল, ডায়মন্ড, এ্যাসটিক ও স্থানীয় জাতের পাকড়ি, ফাঁটা পাকড়ি, তেল পাকড়ি, কাঠিলাল জাতের আলু চাষ হয়েছে। গত মৌসুমে বিঘা প্রতি ৯০ মণ থেকে ৯৫মণ আলুর ফলন হয়েছিল। এবার ১২৫মণ থেকে ১৩০মণ করে ফলন হয়েছে। মৌসুমের শুরুর দিকে আলুর দাম বেশি পাওয়ার আশায় অনেক কৃষকেরা মাঠ থেকে আলু তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এক সপ্তাহের মধ্যে চাষাবাদি সকল জমির আলু তোলা শেষ হবে। সমন্বিত বালাই-নাশক পদ্ধতি ও আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করে উপজেলার চাষাবাদি জমিগুলো মূল্যবান সম্পদে পরিনত হয়েছে।

উপজেলার বীরপলী গ্রামের আলু চাষি মতিউর রহমান মুসা জানান, আমি ১০বিঘা জমিতে উফসী জাতের ডায়মন্ড আলু চাষ করেছি। গতবার একই জাতের আলু চাষ করেছিলাম। জমির মাটিতে রস না থাকায় ফলন কম হয়েছিল। আলু বিক্রি হয়েছিল মণপ্রতি ৩০০থেকে ৩২০টাকা দরে। এবার আবহাওয়া অনুকুলে ও চাষাবাদি জমির মাটিতে রস থাকায় ফলন ভাল হয়েছে। দামও ভাল পাচ্ছি। প্রতিমন আলু বিক্রয় করছি ৩৬০টাকা থেকে ৪০০টাকা পর্যন্ত। কাথম গ্রামের আলুচাষি ও ইউপি সদস্য আলহাজ্ব বুলু মিয়া, বীরপলী গ্রামের হাজী রুহুল আমিন, আরিফুল ইসলাম, গোলাম মোস্তফা, মানিক মিয়া, সিংজানী গ্রামের মুকুল হোসেন, বুলবুল আহমেদ, টুটুল হোসেন, মোজাফ্ফর আলী, নুন্দহ গ্রামের আলুচাষি আব্দুল মতিন জানান, গতবারের চেয়ে আশানুরুপ আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে। গতবছরের লোকসান পুষিয়ে এবার লাভের মুখ দেখবেন বলে তারা আশা প্রকাশ করেছেন।

এপ্রসঙ্গে উপজেলা কৃষি অফিসার মুহাম্মদ মুশিদুল হক বলেন, আলু চাষে কৃষকদের মাঝে প্রয়োজনীয় পরামর্শ অব্যহত ছিল। আবহাওয়া অনুকুলে ও মাটিতে রস থাকায় ফলন ভাল হয়েছে।

(এমএনআই/এএস/মার্চ ০৬, ২০১৫)

পাঠকের মতামত:

০৭ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test