E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

ধামইরহাটে বোরো ধান কাটা-মাড়াই শুরু

২০১৫ এপ্রিল ২৮ ১৬:২৫:৫২
ধামইরহাটে বোরো ধান কাটা-মাড়াই শুরু

নওগাঁ প্রতিনিধি : নওগাঁর ধামইরহাটে চলতি বোরো মৌসুমে প্রায় ১৮ হাজার ৬শ’ হেক্টর জমির বোরো ধান কাটা-মাড়াই শুরু হয়েছে। সঠিক সময়ে সার কীটনাশক প্রয়োগ ও ধান চাষের অনুকূল পরিবেশ থাকায় বাম্পার ফলন হয়েছে এবার।

কৃষকরা ধান মাড়াইয়ের কাজে মহাব্যস্ত সময় পার করছে। তবে বাজারে ধানের দাম কম থাকায় অনেকটা হতাশ হয়ে পড়ছেন তারা।

জানা গেছে, নওগাঁর আদি বরেন্দ্র অঞ্চল হিসেবে খ্যাত ধামইরহাট উপজেলায় এবার ১৮ হাজার ৬শ’ হেক্টর জমিতে কৃষকরা বোরো ধান চাষ করেছে। ১৭ হাজার ২শ’ ৩৫ হেক্টর জমিতে উফশী জাতের এবং ১ হাজার ৩শ’ ৭০ হেক্টর জমিতে হাইব্রীড জাতের ধানের চারা রোপন করা হয়। বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের ৩শ’ ৫৭টি বিদ্যুৎ চালিত গভীর নলকূপের মাধ্যমে ৭ হাজার ৬ শ’ ৭০ হেক্টর জমিতে পানি সেচ দেয়া হয়েছে। অবশিষ্ট জমি বিদ্যুৎ চালিত এসটিডব্লিউ ১৭৭টি (অগভীর নলকূল) ও ডিজেল চালিত শ্যালো মেশিনের মাধ্যমে সেচের ব্যবস্থা করে কৃষকরা। জিরাশাইল, ব্রি-২৮, ব্রি-২৯, পারিজা প্রভৃতি জাতের ধান চাষ করা হয়েছে। এলাকার কৃষকরা শুরু থেকেই সঠিকভাবে বীজতলায় চারা গজানো ও ক্ষেতে চারা রোপন করে।

পরবর্তীতে ধান গাছের পরি”র্জা ও সঠিক সার কীটনাশক প্রয়োগ ও পানি সেচ দেয়া হয়। এবার ধানগাছে রোগ বালাই তেমন ছিল না বললেই চলে। তবে এবার ঘন ঘন বৃষ্টি হওয়ার কারণে জমিতে পানি সেচ দিতে কৃষকদেরকে বেগ পেতে হয়নি। তবে কয়েক দিন পূর্বে কালবৈশাখী ঝড়ের প্রভাবে অনেক ক্ষেতের ধান গাছ মাটিয়ে নুয়ে পড়েছিল। এতে ফলন কিছুটা কম হয়। মালাহার গ্রামের কৃষক বদিউল আলম বলেন, প্রাকৃতিক কোন দূর্যোগ না হওয়ার এবার বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। হাটনগর গ্রামের কৃষক আবু সাঈদ বলেন, আশা করা যাচ্ছে এবার হেক্টর প্রতি প্রায় ৬ মেঃ টন ধান ফলন হতে পারে।

এদিকে সরু ধান হিসেবে পরিচিত জিরাশাইল চালের ভাত খাওয়ার জন্য কৃষক দিন গুনছেন। বাজারে ধান কেনা বেচা শুরু হয়েছে। বর্তমান বাজারে প্রতি ৪০ কেজি ধান ৫ শ’ থেকে ৫শ’ ৩০ টাকা দরে কেনা বেচা চলছে। কয়েকজন কৃষক অভিযোগ করে বলেন, ধানের ন্যায্য মূল্য না পেলে তাদেরকে ক্ষতির সম্মুখিন হতে হবে। তাছাড়া ধানের উৎপাদন খরচ আগের থেকে বেড়ে গেছে। সরকারীভাবে মৌসুমের শুরু থেকেই কৃষকদের কাছ থেকে ন্যায্যমূল্যে সরকারী খাদ্য গুদামে ধান ক্রয় করলে তারা উপকৃত হবেন বলে দাবি করেন কৃষকরা।

এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ড. মোঃ জামাল উদ্দিন বলেন, ধান চাষের অনুকূল পরিবেশ এবং অন্যান্য বারের তুলনায় এবার ধান গাছের তেমন কোন রোগ বালাই নেই বললেই চলে। সঠিক সময়ে কৃষকরা সার, কীটনাশক, পানি সেচ ও ধান গাছের পরি”র্জা এবং উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিরলস পরিশ্রম ও কৃষকদের বিভিন্ন বিষয়ে সঠিক দিক নির্দেশনা প্রদান করায় সার্বিকভাবে এ উপজেলায় এবার বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। বর্তমানে কৃষকরা ধান মাড়াই কাজে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। হেক্টর প্রতি প্রায় ৬ মে. টন ধান ফলন পাওয়া যাচ্ছে। তবে ধানের দাম কম হয়ায় কৃষকরা বেশ কিছুটা চিন্তিত।

(বিএম/এএস/এপ্রিল ২৮, ২০১৫)

পাঠকের মতামত:

২২ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test