E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

বগুড়ায় ১ লাখ মেট্রিক টন গ্রীস্মকালীন সবজি উৎপাদনের সম্ভাবনা

২০১৫ মে ১১ ১৬:০৯:০২
বগুড়ায় ১ লাখ মেট্রিক টন গ্রীস্মকালীন সবজি উৎপাদনের সম্ভাবনা

বগুড়া প্রতিনিধি : চলতি মৌসুমে বগুড়ায় গ্রীস্মকালীন সবজি চাষ হয়েছে ২৯ ধরনের। গ্রীস্মকালীন সবজির বাপ্পার ফলনের আশা করছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। আর চাষীরা বলছে চাহিদা মাফিক বৃষ্টিপাত থাকায় এখন পর্যন্ত ভাল ফলন পাওয়া গেছে।

ইতিমধ্যে বাজারে বিক্রি শুরু হয়েছে নতুন ফলন করলা, পোটল, মিস্টি কুমড়া, চাল কুমড়া, শশা, ঢেড়স, বরবটি, বেগুন। বগুড়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, বগুড়ায় জেলায় ২৯ ধরনের গ্রীস্মকালিন সবজি চাষাবাদ হয়ে থাকে। এখন পর্যন্ত চাষীরা প্রায় ২ ২৪ টি সবজির চাষাবাদ করেছে। দান কাটা শেষ হলে আরো সবজির চাষ হবে। মিষ্টি কুমড়া, ঢেড়স, বরবটি, চাল কুমড়া, পটল, চিচিঙ্গা, লাউ, শশা, ক্ষিরা, ডাটা, ঝিঙ্গা, করলা, বেগুন বাজারে এসেছে। কিছু দিনের মধ্যে বাজারে পাওয়া যাবে মুখি কচু, গ্রীস্মকালীন লাল শাক। বেগুন ভাল হলেও কিছু কিছু ক্ষেতে গাছের ডগা নষ্ট করা পোকা আক্রমন করেছে। সেসব আক্রান্ত ক্ষেতগুলোতে কৃষি কর্মকর্তারা পরিদর্শন করে ওষুধ ব্যবহারের পরামর্শ দিতে শুরু করেছে। ২০১৩-১৪ মৌসুমে জেলায় গ্রীস্মকালিন সবজি চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৬ হাজার ৮৯৫ হেক্টর জমি। উৎপাদন ধরা হয়েছে ৯৬ হাজার ৫৩০ মেট্রিক টন। আর চলতি মৌসুমে ৭ হাজার হেক্টর জমিতে সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু কৃষি অফিস বলছে, সবজির দাম বেশি হওয়ায় চাষিরা বাড়তি জমিতে গ্রীষ্মকালিন সবজি চাষ করেছে। এজন্য সবজি চাষ অর্জন হবে সাড়ে ৭ হাজার হেক্টর জমিতে। গ্রীস্মকালীন ফসল আবাদ এখনো চলমান রয়েছে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে। প্রাথমিকভাবে ১ লাখ ২০ হাজার মেট্রিক টন গ্রীষ্মকালিন সবজি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। বগুড়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে আরো জানা যায়, জেলায় শীত মৌসুমে সবজির চাষ হয়েছিল ১২ হাজার হেক্টর। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৩ লাখ ১৫ হাজার মেট্রিক টন। শীতসবজির উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যায়। শীতের পর গ্রীষ্মকালিন সবজি চাষেওে চাষীরা এবার বাম্পার ফলন পাবে। বগুড়া সদরের মাটিডালি এলাকার করলা চাষী কোরবান আলী জানান, করলার ভাল ফলন পাওয়া গেছে। প্রথববার ফলন বিক্রি করা হয়েছে। আরো ফলন পাওয়া যাবে। বগুড়ার শিবগঞ্জের শশা চাষী সাজেদুর জানান, কম খরচে শশার এবার ভাল ফলন পাওয়া গেছে। ভাল ফলন পাওয়া গেলেও বাজারে দাম পাওয়া যাচ্ছে কম।
(এসএস/পিবি/মে ১১,২০১৫)

পাঠকের মতামত:

১৯ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test