E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

বগুড়ায় বরবটি চাষে স্বাবলম্বী গৃহবধূ

২০১৫ মে ২৫ ১২:৫৯:৩১
বগুড়ায় বরবটি চাষে স্বাবলম্বী গৃহবধূ

বগুড়া প্রতিনিধি : বগুড়ায় বরবটি চাষ করে সংসার পরিচালনা করছেন গৃহবধূ পেয়ারা বেগম। বরবটি শুধু চাষই নয়, নিজ উদ্যেগে পাইকারদের কাছে বিক্রি করেন। বিক্রিত টাকা দিয়ে সংসারের খরচ চালানোর পাশাপাশি ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ার খরচও মেটাচ্ছেন। নিজ সংসারে আলোকিত হয়ে সফলভাবে নিজের কৃষি কাজকে এগিয়ে নিচ্ছেন।

জানা যায়, বগুড়া সদর উপজেলার শেখেকোলা ইউনিয়নের মহিষবাথান গ্রামের ফজলার রহমানের স্ত্রী পেয়ারা বেগম। বিয়ের আগে ও পরে ফজলার রহমান অন্যের জমিতে কাজ করে সংসার চালাতো। কিন্তু, ফজলার ও পেয়ারা বেগমের সংসারের ২ বছরের মাথায় প্রথম সন্তানের জন্ম হওয়ার পর থেকে দিন যতটায় গড়িয়েছে ততটায় অভাব দেখা দিয়েছে তাদের সংসারে। অভাব অনটনের সংসারে পেয়রা বেগম বাড়ির চালে ও আশেপাশে বিভিন্ন প্রকার সবজি চাষ শুরু করেন। সেই সবজি স্থানীয় হাটে বাজারে বিক্রির অর্থের একটি অংশ সংসারে এবং বাকিটা জমিয়ে রাখতেন। এভাবে দিন ফুরিয়ে যেতে থাকে তাদের। ৬ বছরের সংসারে এক ছেলে আর দুই মেয়েকে নিয়ে অভাবটা ফুটে উঠতে থাকে। সংসারের খরচ বৃদ্ধির সাথে বাজার মূল্যের তালমিল পান না। জমিয়ে রাখা টাকা দিয়ে স্বামীর সাথে পরামর্শ করে প্রতিবেশির এক বিঘা জমি বর্গা নিয়েছেন। বিভিন্ন প্রকার সবজির পাশাপাশি বরবটি চাষ করেন। গ্রীষ্মকালিন বরবটি চাষ করে আয়ের মুখ দেখেন। নিজের জমির কাজের পাশাপাশি অন্যের জমিও শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন। ধান কাটতে পারেন। ছাষবাসের সব কাজই তার জানা। কৃষি অফিসের সহযোগিতায় চারা রোপন, জমি নিরানি, সার প্রয়োগ, পানি সেচ, মাচাং তৈরীসহ প্রয়োজনে কীটনাশক প্রয়োগ করতে জানেন।পেয়ারা বেগম জানান, ১ বিঘা জমিতে বরবটি চাষ করতে তার খরচ হয় ১৫-২০ হাজার টাকা। উৎপাদন শেষে তা বাজারে বিক্রি করে ৪০ হাজার টাকা। এক মৌসুমে বরবটি থেকে ২০ হাজার টাকায় আয় করেন। বরবটির ক্ষেতে তিনি পুই শাক, লাল শাক, জমির পাশ দিয়ে কচু শাকও আবাদ করেন। তিনি বলেন শুরুটা খড়ের ঘর হলেও এখন তার ঘরে টিনের চালা করেছেন। ইট দিয়ে আধাপাকা ঘর তৈরী করা হয়েছে। ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ার খরচ যুগিয়েছি। ছেলে ও মেয়ে এইচএসসি পাশ করার পর বগুড়ার একটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় চাকুরী করছে। কৃষি কাজের পাশাপাশি বাড়িতে একটি গরু, ২ টি ছাগল ও ১০ টি মুরগী পালন করছেন। ধান কাটা মৌসুমের সময় মজুরী ২০০-২৫০ টাকা কিন্তু অসময়ে ৩৫০ টাকা করে মজুরী পাওয়া যায়। পেয়ারা বেগমের স্বামী ফজলার রহমান জানান, রোজগারকৃত অর্থ দু’জনে যৌথভাবে খরচ করা হয়ে থাকে। তিনি জানান, পেয়ারা বেগম নিজে উদ্যোগ নিয়ে বরবটির বাগান করেছে। বরবটি বিক্রির সময় হলে সে নিজেই বিক্রি করে। পাইকার ব্যবসায়িরা বাড়িতে এসে অনেক সময় কিনে নিয়ে যায়।
(এএসিব/পিবি/মে ২৫,২০১৫)

পাঠকের মতামত:

১৯ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test