E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

ডায়রিয়া প্রতিরোধ ও শিশুর উচ্চতা বাড়াবে ‘ব্রিধান-৬২’

২০১৫ জুন ১২ ১৯:৫১:০৪
ডায়রিয়া প্রতিরোধ ও শিশুর উচ্চতা বাড়াবে ‘ব্রিধান-৬২’

স্টাফ রিপোর্টার : শিশুর উচ্চতা বাড়াতে ‘ব্রিধান-৬২’ নামের নতুন জাতের ধানের চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। উচ্চতা বাড়ানোর পাশাপাশি শিশুদের ডায়রিয়াও ঠেকাবে এই জাতের ধান। জিঙ্ক সমৃদ্ধ এই ধান বগুড়ার বিভিন্ন এলাকায় চাষ করছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।

বগুড়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক চন্ডী দাস কুন্ডু বৃহস্পতিবার তার কার্যালয়ে এসব কথা জানান।

তিনি বলেন, ‘ব্রিধান-৬২’ জাতের এই ধানে অন্যান্য জাতের তুলনায় পুষ্টিগুণ বেশি। জিঙ্ক সমৃদ্ধ হওয়ায় শিশুদের বেটে থেকে যাওয়া ও ডায়রিয়া ঠেকাবে ‘ব্রিধান-৬২’ জাতের ধান।

বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) বিজ্ঞানীরা এই জাতের ধান উদ্ভাবন করেছেন। ব্রিধান-৬২ কোনো হাইব্রিড জাত নয়, দেশি ধানের সঙ্গে পরাগায়নের মাধ্যমে এ জাত উদ্ভাবন করা হয়েছে।

গবেষণার তথ্য দিয়ে কৃষিবিদ চন্ডী দাস কুন্ডু বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে মানুষের উচ্চতা কম দেখা যাচ্ছে। এই জাতের ধানের চাল খেলে জিঙ্কের অভাব পূরণ হবে। সাধারণত শিশুদের ডায়রিয়া হলে ওষুধের সঙ্গে জিঙ্ক সিরাপ দেওয়া হয়। এই জাতের চালের ভাত খেলে শিশুদের ডায়রিয়াও হবে না। বাড়াবে উচ্চতাও।

কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী ২০১৩ সালের আগস্ট মাসে কৃষি মন্ত্রণালয়ে ‘ব্রিধান-৬২’ নামে জিঙ্ক সমৃদ্ধ জাতের ধান বাংলাদেশে প্রথম অবমুক্ত করেন।

ওই সময় কৃষিমন্ত্রী বলেন, এই ধানের প্রতি কেজি চালে ১৯ মিলিগ্রাম জিঙ্ক এবং ৯ শতাংশ প্রোটিন থাকবে, যা পুষ্টিগুণ নিশ্চিত করবে এবং রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করবে। পরবর্তী সময়ে কৃষক পর্যায়ে ধানের বীজ সরবরাহের কথা জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী এই জাতের চাষে প্রচারাভিযান চালানোর কথা বলেন।

বগুড়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ চন্ডী দাস কুন্ডু বলেন, দেশের সব জেলায় এবার এই জাতের বীজ সরবরাহ করছে সরকার।

‘জিঙ্ক ধান করলে চাষ, পুষ্টি পাবে বারো মাস’ স্লোগান নিয়ে আমন মৌসুমে চাষের জন্য বগুড়ায় ৬০০ প্রদর্শনী প্লট পাওয়া গেছে বলে জানান কৃষি কর্মকর্তা চন্ডী দাস।

তিনি বলেন, ১০০ দিনের মধ্যে এই ধান ঘরে তুলে একই জমিতে অন্য ফসল ফলাতে পারবে কৃষক। এই ধান ফলাতে আমন মৌসুমের অন্য জাতের ধানের চেয়ে কম সময় লাগবে।

অন্যান্য জাতের তুলনায় এই ধানের উৎপাদনও বেশি, হেক্টর প্রতি ৪ দমমিক ৫ মেট্রিক টন উৎপাদিত হবে বলে জানান চন্ডী দাস।

পেটের পীড়া প্রতিরোধে জিঙ্ক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে জানিয়ে কৃষিবিদ চন্ডী দাস বলেন, ‘ব্রিধান-৬২’ তে ২২ থেকে ২৭ মিলিগ্রাম জিঙ্ক থাকে। এই ধানের চালের হবে মাঝারি আকার।

(ওএস/পিএস/জুন ১২, ২০১৫)

পাঠকের মতামত:

১৯ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test