E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

নারী কৃষকদের স্বীকৃতি দেয়ার আহ্বান

২০১৫ জুন ১৪ ১৫:৪৯:৪৪
নারী কৃষকদের স্বীকৃতি দেয়ার আহ্বান

স্টাফ রিপোর্টার : অবিলম্বে নারী কৃষকদের স্বীকৃতি দেয়ার দাবি জানিয়েছেন অক্সফ্যামের নারী কৃষকদের অধিকার সংরক্ষণ জাতীয় প্রচারাভিযানের বক্তারা। কৃষকদের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে তারা বলেন, পুরুষদের পাশাপাশি একজন নারীও মাঠে সমানভাবে কাজ করেন কিন্তু তাদের কাজের মূল্যায়ন হচ্ছে না।

‘খাদ্য নিরাপত্তায় নারী কৃষকদের অধিকার সংরক্ষণে জাতীয় প্রচারাভিযান’ উপলক্ষে নারী কৃষকদের অবদানের স্বীকৃতি শীর্ষক মতবিনিময় সভা রবিবার দুপুরে রাজধানীর বিয়াম ফাউন্ডেশনে অনুিষ্ঠত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া। বিশেষ অতিথি ছিলেন সংসদ সদস্য শিরীন আক্তার। অক্সফ্যামের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন কান্ট্রি ডিরেক্টর স্নেহাল ভি সোনেজি। অনুষ্ঠনটি সঞ্চলনা করেন অক্সফ্যামের পলিসি অ্যান্ড অ্যাডভোকেসি ম্যানেজার মনীষা বিশ্বাস।

একজন নারী কৃষক তার কাজের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে বলেন, আমি দুই দিনে ২৫ শতাংশ জমি খনন করতে পারি যে কাজ করতে আমার স্বামীর সময় লাগে সাত দিন। অথচ রাষ্ট্র আমাকে একজন নারী কৃষক হিসেবে আজও স্বীকৃতি দেয়নি। তারা আরো বলেন, যেহেতু তারা পুরুষের সঙ্গে কাধে কাধ মিলিয়ে কাজ করছেন এবং দেশের মানুষের খাদ্যের চাহিদা পূরণে ভূমিকা রাখছেন সুতরাং রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার জোর দাবি জানানো হয়।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া বলেন, বাংলাদেশে নারীরা পিছিয়ে রয়েছে এটা বলা যাবে না। বাংলাদেশে নারী কৃষকরা পিছিয়ে থাকবে এটা আমি বিশ্বাসও করতে চাই না। বিপুল অংশের মানুষকে পিছিয়ে রেখে কোনো দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। তাই নারীরা যে কাজ করছেন তার স্বীকৃতি প্রদান করতে হবে। তিনি তার বক্তব্যে নারী কৃষকদের কাজের সঠিক মূল্যায়ন ও রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির প্রদানের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

তিনি আরো বলেন, যে বাংলাদেশ এক সময় সাড়ে সাত কোটি মানুষকে খাওয়াতে পারেনি সেই বাংলাদেশ আজ ১৬ কোটি মানুষের খাদ্যের চাহিদা পুরণ করে খাদ্য রফতানি করছে। এটি বর্তমান সরকারের বড় অর্জন। আর এ অর্জন সম্ভব হয়েছে দেশের নারী ও পুরুষ কৃষকদের অক্লান্ত পরিশ্রম ও কৃষিবান্ধব শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের প্রগতিশীল নীতি নির্ধারণের কারনে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সংসদ সদস্য শিরিন আক্তার বলেন, আমরা মুখে নারীর অধিকারের কথা বললেও যখন সম্পত্তিতে সমাধিকার প্রদানের প্রশ্ন আসে তখন আর সেটা মেনে নিতে পারি না।

সবশেষে সাতটি বিভাগের সাতজন সেরা নারী কৃষককে অক্সফ্যামের পক্ষ থেকে সম্মননা প্রদান করা হয়। তাদের হাতে ক্রেস্ট ও উত্তরীয় তুলে দেন ডেপুটি স্পিকার।

এর আগে জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন হয়। এরপর অক্সফ্যামের এ প্রচারাভিযানের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন ইউএসএইডের এভিসি প্রজেক্ট, প্রাকটিক্যাল অ্যাকশন, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনসহ বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ।

দেশের সাতটি বিভাগ থেকে সর্বমোট ৯০ জন নারী কৃষক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। বিভাগীয় পর্যায় থেকে নির্বাচিত শ্রেষ্ঠ নারী কৃষকেরা তাদের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন।

(ওএস/এএস/জুন ১৪, ২০১৫)

পাঠকের মতামত:

১৯ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test