E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

নন্দীগ্রামে ঢেঁড়স চাষে শিক্ষকের মুখে সফলতার হাসি

২০১৫ জুন ২৩ ১১:৫৮:৪৯
নন্দীগ্রামে ঢেঁড়স চাষে শিক্ষকের মুখে সফলতার হাসি

নন্দীগ্রাম(বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার নন্দীগ্রামে পটল, করল্যা, শিম ও মরিচ চাষের পাশাপাশি এখন ঢেঁড়স চাষে ঝুঁকছেন উপজেলার চাষীরা। পৌর শহরের কালিকাপুর গ্রামে ঢেঁড়স চাষ করে সফলতার মুখ দেখতে চলেছেন নন্দীগ্রাম বিজনেস ম্যানেজমেন্ট টেকনিক্যাল কলেজের শিক্ষক হাফিজুর রহমান।

শিক্ষকতার ফাঁকে অবসর সময়ে ঢেঁড়স চারা পরিচর্যা করছেন তিনি। বীজ থেকে চারা গজিয়ে ফুল ফুটে ফল ধরতে শুরু করেছে। নিজের হাতে গড়ে ওঠা সফলতার বিষয়টি অত্যন্ত আনন্দদায়ক। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, শিক্ষক হাফিজুর রহমান কলেজ ছুটির পর বাড়িতেই বসে সময় কাটাতেন। এমন মুহুর্তে তার মাথায় ঢেঁড়স চাষের পরিকল্পনা এসে বাঁসা বাঁধে। ঘরে বসে অলস সময় না কাটিয়ে শিক্ষকতার ফাঁকে শখের বসে ঢেঁড়স চাষে আগ্রহী হন তিনি। পরে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে নিজের ধান চাষাবাদি ২৪শতক জমিতে এসবজি চাষের লক্ষ্যে মাটি ভরাট করেন শিক্ষক হাফিজুর রহমান। জমিতে মাটি ভরাট করতে প্রায় ১লাখ ৩৩ হাজার টাকা খরচ হয়। এরপর ৩০০টাকা মুল্যে ঢেঁড়সের বীজ ক্রয় করে মাটিতে রোপন করেন তিনি। পাশাপাশি ১২৪০টাকায় পেঁপে চারা ক্রয় করে রোপন করেছেন। একান্ত আলাপচারিতায় শিক্ষক হাফিজুর রহমান বলেন, বৈশাখের প্রথম সপ্তাহের দিকে ঢেঁরসের চারা রোপন করতে হয়। চাষাবাদের ৯০দিনের মাথায় ফল পাওয়া যায়। তিনি বলেন, অর্থের জন্য নয়, শখের বসে এচাষ করে আমি সত্যিই আনন্দিত। শিক্ষকতার ফাঁকে আমার ধানি জমিতে মাটি ভরাট করে নিজ হাতে ঢেঁড়স বুনিয়েছি। ফল ধরা দেখে মনে হচ্ছে আমার শখের স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। শুধু শিক্ষক হাফিজুর রহমানই নন। তার ঢেঁড়স চাষ দেখে কালিকাপুর, ফোকপাল, সিধইলসহ পাশ্ববর্তী এলাকার চাষিরা ঢেঁড়স চাষে ঝুঁকে পড়েছেন। বাড়ির উঠানে, ফাঁকা জায়গায়, ভিটি ও উচুঁ মাটিতে, বাগানে, রাস্তার পাশে গড়ে উঠেসে অশংখ্য ঢেঁড়সের ছোট বড় বাগান। আর এ চাষের মাধ্যমে কৃষকেরা জানান দিচ্ছে ঢেঁরস আগ্রহের বার্তা। ঢেঁরস মানব দেহের জন্য উপকারি সবজি। চিকিৎসকদের মতে, ডায়াবেটিস রোগের প্রকোপ দিনকে দিন বেড়েই চলছে। এই রোগে কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ আলু, মিষ্টিআলু বা রাঙাআলু, ওল, কচু বেশি খাওয়া চলবেনা। তবে করলা, ঢেঁড়স, কলার থোড়, মোচা, ডুমুর, পালং শাক, মেথি শাক, কচি নিমপাতা, হেলেঞ্চা শাক এ রোগের মহৌষধ। উচ্চ রক্তচাপ থাকলে ঢেঁড়স, ঝিঙে নিয়মিত খাওয়া প্রয়োজন।
এপ্রসঙ্গে উপজেলা কৃষি অফিসার মুহাম্মদ মুশিদুল হক জানান, এউপজেলার কৃষক তথা চাষীরা অত্যন্ত পরিশ্রমী। অধিক কষ্টের মাধ্যমে হলেও বিভিন্ন চাষে তারা এগিয়ে চলেছেন। এউপজেলার কৃষকদের মাঝে ঢেঁরস চাষের আগ্রহ বাড়ছে। নতুন নতুন চাষে কৃষকদের আগ্রহ দেখা যাচ্ছে। তবে কৃষকদের মাঝে কৃষি অফিসের পরামর্শ প্রদান অব্যহত রয়েছে বলে তিনি জানান।
(এনআই/পিবি/জুন ২৩,২০১৫)

পাঠকের মতামত:

১৯ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test