E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

নওগাঁয় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, রোপা-আমন চাষ নিয়ে শঙ্কায় কৃষক

২০১৫ আগস্ট ০২ ১৮:৩৫:৫১
নওগাঁয় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, রোপা-আমন চাষ নিয়ে শঙ্কায় কৃষক

নওগাঁ প্রতিনিধি : দ্বিতীয় দফায় অবিরাম বৃষ্টিপাতের ফলে নওগাঁর নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। জেলার নিয়ামতপুর, মান্দা ও রাণীনগরে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় চলতি মৌসুমে রোপা-আমন চাষ ব্যাহত হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে।

জানা গেছে, জেলার নিয়ামতপুর উপজেলার ছাতড়া বিল এলাকায় কয়েক হাজার হেক্টর জমির রোপা আমন ধান ও বীজতলা প্রথম দফার বর্ষণেই তলিয়ে গেছে।

অপরদিকে রাণীনগর উপজেলায় অব্যাহত বৃষ্টিপাতে উপজেলার মীরাট ইউনিয়নে বিল মনসুর, বিল চৌর ও উপজেলার পূর্বাংশে রক্তদহ বিলের পানি অতিরিক্তমাত্রায় বৃদ্ধি পাওয়ায় বিস্তীর্ণ এলাকার রোপা-আমন চাষের জমিগুলো পানিতে তলিয়ে গেছে। যেসব জমিতে আগাম রোপা লাগানো হয়েছিল, সেগুলো এবং রোপা ধানের বীজতলা ডুবে যাওয়ায় কৃষকরা যথাসময়ে তাদের জমিতে রোপা আমন ধান লাগাতে পারছেন না। ফলে চলতি মৌসুমে রোপা-আমন চাষ ব্যাহত হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে।

ঈদের পর কয়েক দিন একটু রোদ হলে স্থানীয় কৃষকরা যে পরিমান ধান লাগিয়েছিল তাও আবার দ্বিতীয় দফার লাগাতার বৃষ্টিপাতে তলিয়ে গেছে। এমন কি ধান লাগানোর জন্য চাষ-মই দেয়া তৈরি জমিগুলো এবং বীজতলা পর্যন্ত পানির নিচে হাবুডুবু খাচ্ছে। রাণীনগর কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি রোপা-আমন মৌসুমে উপজেলার ১৮ হাজার ২শ’ হেক্টর জমিতে ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়।

ইতোমধ্যে কয়েকটি ইউনিয়নে চাষযোগ্য উঁচু এলাকায় প্রায় ৭ হাজার হেক্টর জমিতে ধান লাগানো সম্পূর্ণ হয়েছে। কিন্তু কয়েক দিন ধরে লাগাতার বৃষ্টি হওয়ার কারণে চাষযোগ্য জমিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হওয়ায় কৃষকরা তৈরি জমিতেও ধান রোপণ করতে পারছেন না। ফলে ওই উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের চলতি মৌসুমে রোপা-আমন আবাদ নিয়ে কৃষকরা শঙ্কাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। রানীনগর উপজেলা কৃষি অফিসার এসএম গোলাম সারওয়ার জানান, অতি বৃষ্টিপাতের কারণে বিশেষ করে বিল অঞ্চলে কৃষকরা ধান লাগাতে পারছেন না। যেহেতু মৌসুমের এখনও সময় আছে, বৃষ্টি থেমে খরা ধরলেই কৃষকরা পূর্বের মত করে ধান লাগাতে পারবে।

(বিএম/এএস/আগস্ট ০২, ২০১৫)

পাঠকের মতামত:

১৯ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test