E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

গোপালগঞ্জে আমন জাতের ব্রি হাইব্রিড ধান-৪ কর্তন ও মাঠদিবস পালিত

২০১৫ নভেম্বর ১৩ ১৫:১১:০২
গোপালগঞ্জে আমন জাতের ব্রি হাইব্রিড ধান-৪ কর্তন ও মাঠদিবস পালিত

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি : গোপালগঞ্জে আমন জাতের ব্রি হাইব্রিড ধান ৪ কর্তন ও মাঠদিবস পালিত হয়েছে। আজ শুক্রবার দুপুরে সদর উপজেলার ঘোনাপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ উপলক্ষে কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনিস্টিটিউটের পরিচালক (প্রশাসন ও সাধারণ পরিচর্যা) ড. মোঃ শাহজাহান কবীর।

পিরোজপুর-গোপালগঞ্জ-বাগেরহাট সমন্বিত কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ড. মোঃ আব্দুল জলিল মৃধার সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে ধান গবেষণা ইনিস্টিটিউটের পরিচালক ড. আনসার আলী, বিএডিসির প্রকল্প পরিচালক মোঃ মিজানুর রহমান, প্রকল্প পরিচালক ড. জি এম রুহুল আমীন, গোপালগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণের উপ-পরিচালক সমীর কুমার গোস্বামী, কৃষক খোন্দকার লিয়াকত হোসেন, ননী গোপাল রানা প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

এর আগে, কৃষকদের সম্মুখে ননী গোপাল রানা ও হাবিবুর রহমানের জমি থেকে ব্রি হাইব্রিড ধান ৪ কাটা হয়। এতে হেক্টর প্রতি ৬.৩ মেঃ টন বরাদ্দে ফলন পাওয়া যায়।
কৃষক ননী গোপাল রানা ও হাবিবুর রহমান জানিয়েছেন, তারা এ বছর এ জাতির ধানের আবাদ করে ভাল ফলন পেয়েছেন। আগামী বছর তারা আরো বেশী জমিতে এ জাতের আমন ধানের আবাদ করবেন।

এ ধানের উদ্ভাবক ড. মোঃ জামিল হাসান বলেছেন, ব্রি উদ্ভাবিত আমন জাতের ধানের মধ্যে এটাই একমাত্র উচ্চ ফলনশীল ধান। এটি আমাদের নিজস্ব জাত। এ জাতের ধানে পোকা-মাকড়ের আক্রমন কম হয়। ১১৪ দিনে ফলন পাওয়া যায় ও হেক্টর প্রতি ৬ থেকে সাড়ে ৬ টন ধান উৎপাদন হয়।

বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনিস্টিটিউটের পরিচালক (প্রশাসন ও সাধারণ পরিচর্যা) ড.মোঃ শাহজাহান কবীর জানিয়েছেন, স্বল্প দিনের মধ্যে এ ধান কৃষকরা তাদের ঘরে তুলতে পারেন। ফলন ও ভাল। এ এলাকার মাটি ব্রি ৪ জাতের ধানের আবাদের জন্য উপযোগী। তাছাড়া বিদেশ থেকে আনা ধানের থেকে আমাদের দেশে উদ্ভাবিত এ জাতের ধানের বীজের দাম কম। উৎপাদনের দিক থেকেও বিদেশী হাইব্রীড থেকে কম নয়। তিনি এ অঞ্চলের কৃষকদেরকে ব্রি হাইব্রিড ধান ৪ চাষের জন্য পরামর্শ দিয়েছেন।

(এমএইচএম/এএস/নভেম্বর ১৩, ২০১৫)

পাঠকের মতামত:

১৯ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test