E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

নন্দীগ্রামে ৪০হেক্টর জমিতে হাইব্রিড ও দেশি বেগুনের চাষ

২০১৫ নভেম্বর ৩০ ১৪:৫১:১১
নন্দীগ্রামে ৪০হেক্টর জমিতে হাইব্রিড ও দেশি বেগুনের চাষ

নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার নন্দীগ্রামে দিনদিন বেগুন চাষিদের সংখ্যা বাড়ছে। উপজেলায় ৪০হেক্টর জমিতে এবার হাইব্রিড ও দেশি জাতের বেগুন চাষ করছেন চাষিরা। সূত্রমতে, এ উপজেলায় অর্থকরি সবজি চাষের বড় একটি অংশ বেগুন।

পৌর শহরের পাশাপাশি কাথম, নিজামতকুড়ি, খেংশহর, ডেরাহার, ভাদুম, হাটকড়ই, বালাশন, চাকলমা, বীজরুল, আমড়া গোহাইল, ঢাকুইর, বেলঘরিয়া, ওমরপুর ও গুছইন গ্রামগুলোতে বেগুন চাষে বিখ্যাত। হাইব্রিড সবজির মধ্যে এখনও এখানকার বেগুন সুস্বাদু।

সব গ্রামে কমবেশী বেগুনের চাষ হলেও ভাটগ্রাম, ডেরাহার, ভাদুম, হাটকড়ই ও বাদলাশন গ্রামে এচাষ সবচেয়ে বেশি হয়ে থাকে। এসব গ্রামে উৎপাদিত বেগুন জেলা সদরসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বাজারজাত করা হয়। মাটির কারণেই এউপজেলার বেগুন সুস্বাদু। উপজেলার গোল-লম্বা থাবা ও মেন্টার জাতের বেগুনের সুখ্যাতি স্থানীয় পর্যায়ের পাশাপাশি ছড়িয়ে পড়েছে দেশের বিভিন্ন এলাকায়।

একসময় এউপজেলায় কৃষকেরা সবজি চাষের আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছিল। সময়ের ব্যবধানে নতুন করে কৃষকদের মাঝে সবজি চাষে আগ্রহ সৃষ্টি হচ্ছে। বেশ কয়েক বছর ধরে উপজেলার কৃষকরা রবি মৌসুমের শুরুতে ব্যাপক হারে ফুলকপি, বাঁধাকপি, মুলা, বেগুন, শসা, শিম, লাউসহ বিভিন্ন শীতকালীন শাকসবজির আগাম চাষ করে আসছেন। বেগুনের বাজারমূল্য ভালো পাওয়ায় অনেক কৃষক লাভবান হচ্ছেন।

কৃষি অফিস সূত্র জানিয়েছে, এউপজেলায় গতবছর ২৫হেক্টর জমিতে হাইব্রিড ও দেশি জাতের বেগুন চাষ হয়েছিল। সেই তুলনায় এবার ৪০হেক্টর জমিতে বেগুন চাষ করছেন চাষিরা। উপজেলার কাথম বেড়াগাড়ি গ্রামের কৃষক আব্দুল মতিন বলেন, আমি ৩বছর ধরে বেগুনের পাশাপাশি বিভিন্ন সবজি চাষ করে আসছি। গতবার বেগুনের ফলন ও বাজারে ভালো দাম পাওয়ায় এবার বেশী জমিতে বেগুন চাষ করছি।

ভাদ্র মাসের ২০তারিখে থাবা গোল বেগুনের চারা রোপন করেছি। আগ্রাহায়ন মাসের ১৫দিনের মাথায় ফল ধরবে। দেড়বিঘা জমিতে বেগুন চাষে আমার খরচ হয়েছে শ্রমিক মজুরিসহ প্রায় ৫০হাজার টাকা।

বেগুন চাষি নিরমল, ভুপেন, সুকুমার, গৌরাঙ্গ, শাজাহান, আব্দুল জলিল, মমতাজ উদ্দিন, তফসের আলী বলেন, এবছর বেগুনের ফলন ভালো হয়েছে। রোগবালাই নেই বললেই চলে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ না থাকার কারণে বেগুন চাষিরা লাভবান হবেন বলে চাষিরা এমন মন্তব্য করেছেন।

এ প্রসঙ্গে উপজেলা কৃষি অফিসার মুহা: মুশিদুল হক জানান, উপজেলার প্রায় ৪০জন চাষিরা বেগুন চাষ করছেন। এবছর আবহাওয়া ভালো থাকায় শুধু বেগুন নয়, সকল ধরনের সবজির চাষ ভালো হয়েছে। সবজি চাষে কৃষকদের মাঝে কৃষি বিভাগের সহযোগীতা ও পরামর্শ অব্যহত রয়েছে।

(এমএনআই/এএস/নভেম্বর ৩০, ২০১৫)

পাঠকের মতামত:

০৬ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test