E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

সালথায় মানুষের অর্থনীতির প্রধান শক্তি হচ্ছে কৃষি

২০১৭ জানুয়ারি ০৩ ২০:০১:২২
সালথায় মানুষের অর্থনীতির প্রধান শক্তি হচ্ছে কৃষি

আবু নাসের হুসাইন, সালথা : ফরিদপুরের সালথা উপজেলার মানুষের অর্থনীতির প্রধান চালিকা শক্তি হচ্ছে কৃষি। এরা একমাত্র কৃষির উপর নির্ভরশীল। বিভিন্ন মৌসুমে হরেক রকম ফসলের চাষাবাদ হয়ে থাকে এ উপজেলায়। সারাদেশের মধ্যে পাট-পিয়াজের জন্য বিখ্যাত এ অঞ্চলটি। ব্যবসা বাণিজ্য, চাকুরি ও অনন্য পেশার সাথে সংযুক্ত রয়েছে কৃষি। কৃষির আয় ছাড়া এখানে দু-মুঠো ডাল-ভাত খেয়ে বেঁচে থাকা দূরস্কার।

এলাকা সূত্রে জানা যায়, এই উপজেলায় সৃজন অনুযায়ী প্রধান ফসল পাট-পিয়াজের পাশাপশি আমন ধান, গম, ইরি ও বোরো ধান, সরিষা, আলু, তিল, কালোজিরা, খেসাড়ী, মুসুরী, মুগ, সুর্যমূখী, গর্জন তীল, মাসকালাই, ধনিয়া, রসুন, তামাক, তরমূজ, চিনা বাদাম, ভূট্টা, মিষ্টি আলু, পান, ক্ষিরাই, পানি কচু, ছোলা, মটর ডাল, বাঙ্গী, আখ, শশা, মরিচ ও মেথিসহ বিভিন্ন ধরনের ফসলের চাষ করা হয়। প্রতি মৌসুমে প্রধান ফসল পিয়াজ চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যায়। চলতি রবি মৌসুমে- গম, সরিষা, মুসুরী সহ অন্যান্য ফসল চাষে লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করবে বলে উপজেলা কৃষি অফিস জানিয়েছেন।

উপজেলার জগন্নাথদি গ্রামের কৃষক আজগর আলী এ প্রতিবেদককে বলেন, আমাদের দু-মুঠো ডাল-ভাত খেয়ে বেঁচে থাকার একমাত্র অবলম্বন হচ্ছে কৃষি কাজ। তাই এবছরে ১বিঘা জমিতে পিয়াজ, ১০ কাঠা জমিতে গম, ১০ কাঠা মুসুরী ও ২কাঠা কালোজিরার চাষ করেছি। আবহাওয়া যদি ফসলের অনুকূলে থাকে তাহলে পিয়াজ বিঘা প্রতি ৭০/৮০ মণ, গম বিঘা প্রতি ১৫/১৬ মণ ও কালোজিরা বিঘা প্রতি ৮/১০ মণ করে ফলন হবে বলে আশা করছি। মাঝারদিয়া ইউপি পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও ধনী কৃষক আফছার উদ্দীন মাতুব্বার বলেন, এবার ৬০/৭০ বিঘা জমিতে পিয়াজ ও ১০ বিঘা জমিতে গম চাষ করছি। প্রতি বছর জমিতে বিভিন্ন রকমের চাষাবাদ করে থাকি। জমির ফসল দিয়েই সংসার চালাতে হয়।

উপজেলার বিভিন্ন এলাকার কৃষকদের সাথে কথা বলে আরো জানা যায়, গত বছরে পিঁয়াজের মূল্য কম থাকার পরও এবার উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের প্রতিটি গ্রামে কৃষকরা অনন্য ফসলের চেয়ে পিয়াজের আবাদ বেশি করছে। বর্তমানে হালি পিয়াজ লাগানোর কার্যক্রম চলছে। কিছুদিন পরে অন্য ফসলের সাথেই এই পিয়াজ তুলবে চাষীরা। সেক্ষেত্রে কৃষি অফিসের নির্দেশ মোতাবেক সময় মতো সার-কীটনাশক প্রয়োগ ও সেচ দিতে হবে।

উপজেলা কৃষি অফিসার মোহাম্মাদ বিন ইয়ামিন বলেন, এই উপজেলায় এ বছরে পিয়াজ চাষের লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করতে পারে। সে জন্য পিয়াজ চাষীদের যাবতীয় মরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

(এএনএইচ/এএস/জানুয়ারি ০৩, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

৩০ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test