E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

হালুয়াঘাটে পুড়ছে ফসলি জমির মাটি, নির্বিকার প্রশাসন

২০১৭ মার্চ ০৮ ১৮:১৭:৪২
হালুয়াঘাটে পুড়ছে ফসলি জমির মাটি, নির্বিকার প্রশাসন

হালুয়াঘাট (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি : হালুয়াঘাটে অসাধু ইট-ভাটা মালিকদের বিভিন্ন মিথ্যা প্রলোভনে কৃষকদের কে ফাঁদে ফেলে ভাটায় পুড়াচ্ছে ফসলি জমির উর্বর মাটি। ফলে দিন দিন কমছে ফসলি জমির পরিমাণ হ্রাস পাচ্ছে কৃষি জমির উর্বরতা। উপরিভাগের ২-৩ ফুট পরিমাণ উর্বর মাটি যাচ্ছে ভাটায়। ফলে ফসলি জমি হারাচ্ছে উর্বরতা অপরদিকে বিষাক্ত কালো ধোয়ায় জনজীবন সহ দূষিত হচ্ছে প্রাকৃতিক পরিবেশ উদ্দেশ্যহীনভাবে কোন প্রকার আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন না প্রশাসন। আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে গেছেন অনেকেই।

সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার ধারা ইউনিয়নের কুতিকুড়া গ্রামের কনকর্ড ব্রিকস (সিসিবি) ফিল্ড করুয়াপাড়া গ্রামের সবুজ বেষ্টিত ফসলি জমির মাঠে ভেকুর সাহায্যে অবাধে উত্তোলন করছে ফসলি জমির উর্বর মাটি। টাঙ্গাইল থেকে নুরুল ইসলাম নামক এক ব্যক্তির পাঁচটি ড্রাম ট্রাক শেরপুর জেলার উজ্জ্বল নামক এক ব্যক্তি ভাড়ায় নিয়ে আসে কনকর্ড ব্রিকস ফিল্ডের ম্যানেজার জামাল উদ্দিনের চুক্তিভিত্তিক কৃষি জমির মাটি কাটার জন্য। অধিক মুনাফার আশায় জামাল উদ্দিন কৃষকদের মিথ্যা কথার ফুলঝুরি সাজিয়ে মাটি বিক্রিতে উদ্ভুদ্ধকরণ সহ হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অংকের অর্থ।

নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে কৃষি জমির মাটি দিয়ে দেদারসে তৈরী করা হচ্ছে ইট। নূরুল ইসলাম নামক ড্রাম ট্রাক মালিক মুঠোফোনে বলেন, কৃষি জমির মাটি ব্রিকস ফিল্ডে বহন করার জন্য গাড়ি ভাড়া দেননি। নালিতাবাড়ী থানার উজ্জল নামক এক ব্যক্তি তার গাড়ীগুলো ভাড়ায় নিয়েছেন চুক্তিভিত্তিক। এ বিষয়ে জামাল উদ্দিনের সাথে কথা বলতে গেলে উচ্চস্বরে সাংবাদিকদের বলেন, ফসলি জমির মাটি দিয়ে ইট তৈরি করা হবে, লিখে কিছু করতে পারবেন না।

স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিবর্গ তাদের ছত্রছায়ায় রয়েছে। এলাকাবাসী জানায়, গত তিন বৎসর পূর্বে উক্ত ইট ভাটায় পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাগণ প্রায় দশ লক্ষ টাকা জরিমানা প্রদান করে ছিল। এ বিষয়ে কনকর্ড ব্রিকস ফিল্ড এর প্রোপাইটর ও উপজেলা ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি আবু আব্দুল্লাহ হোসাইন খান (তারা মিয়া) এ প্রতিবেদককে মুঠোফোন বলেন, তিনি কৃষি জমির মাটি দিয়ে ইট তৈরি করছেন না। কৃষি জমির মাটির উত্তোলনের বিষয়টি অস্বীকার করেন। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাশেদ চৌধুরী (অতিরিক্ত দায়িত্ব) বলেন, বিষয়টি তিনি খতিয়ে দেখবেন। ফসলির জমির মাটি দিয়ে ইট তৈরি প্রমাণিত হলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে আশ্বস্ত করেন।

(জেসিজি/এএস/মার্চ ০৮, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

১৪ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test