E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

মধুপুরে বর্ষণে হাওদা ও ডাহাবিলে বোরো ধান পানির নিচে

২০১৭ এপ্রিল ০৩ ১৬:৫১:২৮
মধুপুরে বর্ষণে হাওদা ও ডাহাবিলে বোরো ধান পানির নিচে

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি : টাঙ্গাইলের মধুপুরে ভারি বর্ষণে জলাবদ্ধতায় হাওদা ও ডাহাবিলের বোরো ধানের জমি তলিয়ে গেছে। স্থানীয় কৃষকরা ধান নষ্ট হওয়ার আশংকায় হতাশ হয়ে পড়েছেন। গত দুই-তিন দিনের বর্ষণে ওই দুই বিলের বিস্তীর্ণ এলাকা তলিয়ে যায়। কয়েকশ’ একর বোরো থোর ধানের ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষকরা।

স্থানীয় কৃষকরা জানায়, চৈত্র মাসের মাঝামাঝিতে গত দুই-তিন দিনে মধুপুরের অরণখোলা ইউনিয়নে ভারি বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে হাওদা ও ডাহাবিলের কয়েকশ’ একর এক ফসলী জমির বোরো ধান তলিয়ে গেছে। উপজেলার পিরোজপুর গ্রামের কৃষক আব্দুল্লাহ’র(৪০) দেড় বিঘা, নজরুল ইসলামের(৪৫) ৮ বিঘা, ফজলুল হকের(৩৫) ৫ বিঘা, রাধানগর গ্রামের কালু মিস্ত্রীর(৬০) ১০ বিঘা, আকালিয়া বাড়ি গ্রামের ইমাম আলীর(৯০) ১৪ বিঘা, আব্দুল মান্নানের(৪০) ৫ বিঘা ও আব্দুল কুদ্দুসের(৪৩) ২ বিঘাসহ পিরোজপুর, জটাবাড়ী, কাকরাইদ, আকালিয়া বাড়ি, গাছাবাড়ীসহ কয়েক গ্রামের শত শত কৃষকের আবাদ করা বোরো থোর ধান তলিয়ে নষ্ট হয়ে যাওয়ায় তারা হতাশ হয়ে পড়েছেন।

পিরোজপুর গ্রামের কৃষক আব্দুল্লাহ জানান, ওই দুই বিলে একমাত্র বোরো ধান আবাদ করা যায়। ওই ধান নষ্ট হয়ে গেলে আমাদের খাবারের ধানের সঙ্কট দেখা দেবে। পিরোজপুর গ্রামের ফজলুল হক সরকার জানান, ওই বিলের মধ্য দিয়ে একটি লম্বা নালা ছিল। কাকরাইদ থেকে দো’খলা পর্যন্ত নালাটি ভরাট হয়ে যাওয়ায় বিলের পানি নামতে পারে না। তাই বর্ষণ হলেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয় এবং ধান তলিয়ে যায়। তিনি দ্রুত কৃষকের এ সমস্যার কথা চিন্তা করে খালটি খননের দাবি জানান।

অরণখোলা ইউপি চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবীর সরকার জানান, আমারও হাওদা বিলে ৭-৮ বিঘা জমির বোরো থোর ধান তলিয়ে গেছে। তিনি হাওদা বিলের নালা ও গোজা খালটি পুনখননের জন্য দাবি জানান। দুইটি খাল খনন করা হলে ওই দুই বিলের জলাবদ্ধতা দূর হবে।

এ বিষয়ে মধুপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান জানান, শুধু ওই দুই বিলেই নয়। মধুপুরের আরো কয়েকটি বিলে বর্ষণের কারণে বোরো ধান তলিয়ে গেছে।

(ওএস/এএস/এপ্রিল ০৩, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

২৯ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test