E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

মরিচ চাষে স্বাবলম্বী চরাঞ্চলের কৃষক

২০১৭ এপ্রিল ১২ ১৫:৩৯:১৭
মরিচ চাষে স্বাবলম্বী চরাঞ্চলের কৃষক

ছাদেকুল ইসলাম রুবেল, গাইবান্ধা : হরিপুর, চন্ডিপুর, শ্রীপুর, কাপাসিয়া ইউনিয়নের উপর দিয়ে প্রবাহিত তিস্তা নদীর চরাঞ্চল আবাদি জমিতে পরিণত হয়েছে। তিস্তার কড়াল গ্রাসে বাপ-দাদার ভিটা মাটি ছেড়ে যাওয়া পরিবার গুলো পুনরায় চরে ফিরে এসব রবি শস্য চাষ করে স্বাবলম্বী হয়ে উঠেছে।

কথা হয় হরিপুর চরাঞ্চলের কৃষক বিদ্যুৎ কুমার দেব শর্মার সাথে। তিনি জানান, উজান থেকে নেমে আসা পলি জমে তিস্তার চরাঞ্চল এখন আবাদি জমিতে পরিনত হয়েছে। আমরা সেই বাপ-দাদার ভিটা মাটিতে বিভিন্ন ফসলের চাষাবাদ করে সংসার পরিচালনা করে আসছি। বর্তমানে চরাঞ্চলে নানা রকম ফসলের চাষাবাদ খুব ভাল হচ্ছে। অল্প খরচে অধিক লাভ পাওয়া যাচ্ছে। তিনি জানান আমি ২ বিঘা জমিতে মরিচ চাষ করেছি।

এক সপ্তাহ পর পর আমি ২ বিঘা জমির মরিচ বিক্রি করে ৫ হতে ৬ হাজার টাকা আয় করছি। এছাড়া পিয়াজ, ভুট্টা হতে প্রায় ৫০ হাজার টাকা আয় করব। চরাঞ্চল বাসিরা এখন কৃষির উপর নির্ভরশীল।
চরাঞ্চলে যোগাযোগ ব্যবস্থা না থাকায় কাঁচা তরিতরকারি যথা সময়ে বাজারজাত করা সম্ভব হয় না। যার কারণে তরিতরকারী নষ্ট হয়ে যায় এবং কৃষকদের বড় ধরণের লোকসান গুণতে হয়।

এছাড়া স্থানীয়ভাবে কোন হিমাগার এবং প্রক্রিয়াজাত করণ ব্যবস্থা না থাকায় ওইসব তরিতরকারি সংরক্ষণ না করে কম দামে বাজারে বিক্রি করতে হচ্ছে কৃষকদের। চরাঞ্চল বাসির প্রাণের দাবী যদি স্থানীয় ভাবে একটি হিমাগার নির্মাণ করা হয়। তাহলে বিভিন্ন ফসল গুদামজাত করা সম্ভব হবে। এতে করে কৃষকদের লোকসান গুণতে হবে না।

উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে চরাঞ্চলে ১৫৫ হেক্টর জমিতে মরিচ চাষাবাদ হয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় ৫০ হেক্টর বেশি। উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ রাশেদুল ইসলাম জানান, তরিতরকারির চাষাবাদে অধিক লাভ। এছাড়া দীর্ঘদিন তরিতরকারি বাজারজাত করে সংসার পরিচালনা করা যায়। এজন্য চরাঞ্চলের কৃষকরা মরিচসহ নানাবিধ রবি শস্য চাষে ঝুঁকে পড়েছে। তিনি আরও জানান, বর্তমানে উন্নত জাতের উচ্চ ফলনশীল রবি শস্য চাষ করায় অধিক লাভবান হচ্ছে কৃষকরা।


(এসআইআর/এসপি/এপ্রিল ১২, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

২৯ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test